হাফিজুল্লাহ আমিন Hafizullah Amin حفيظ الله امين | |
---|---|
পিপল ডেমোক্রেটিক পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক | |
কাজের মেয়াদ ১৪ সেপ্টেম্বর ১৯৭৯[১] – ২৭ ডিসেম্বর ১৯৭৯ | |
পূর্বসূরী | নূর মুহাম্মদ তারাকি |
উত্তরসূরী | বাবরাক কারমাল |
বিপ্লবী পরিষদের সভাপতিমণ্ডলীর সভাপতি | |
কাজের মেয়াদ ১৪ সেপ্টেম্বর ১৯৭৯ – ২৭ ডিসেম্বর ১৯৭৯ | |
পূর্বসূরী | নূর মুহাম্মদ তারাকি |
উত্তরসূরী | বাবরাক কারমাল |
জাতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী | |
কাজের মেয়াদ ২৭ জুলাই ১৯৭৯ – ২৭ ডিসেম্বর ১৯৭৯ | |
রাষ্ট্রপতি | নূর মুহাম্মদ তারাকি নিজ |
পূর্বসূরী | মোহাম্মদ আসলাম ওয়াতানজার |
উত্তরসূরী | মোহাম্মদ রফি |
মন্ত্রী পরিষদের চেয়ারম্যান | |
কাজের মেয়াদ ২৭ মার্চ ১৯৭৯ – ২৭ ডিসেম্বর ১৯৭৯ | |
রাষ্ট্রপতি | নূর মুহাম্মদ তারাকি নিজ |
পূর্বসূরী | নূর মুহাম্মদ তারাকি |
উত্তরসূরী | বাবরাক কারমাল |
পররাষ্ট্র মন্ত্রী | |
কাজের মেয়াদ ১ মে ১৯৭৮ – ২৮ জুলাই ১৯৭৯ | |
রাষ্ট্রপতি | নূর মুহাম্মদ তারাকি |
পূর্বসূরী | মুহাম্মদ দাউদ খান |
উত্তরসূরী | শাহ ওয়ালী |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | পিংম্যান, আফগানিস্তান | ১ আগস্ট ১৯২৯
মৃত্যু | ২৭ ডিসেম্বর ১৯৭৯ কাবুল, আফগানিস্তান | (বয়স ৫০)
রাজনৈতিক দল | পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টি অব আফগানিস্তান (খলক) |
দাম্পত্য সঙ্গী | পাতমানাহ[২] |
সন্তান | আব্দুর রহমান এক কন্যাা[৩] |
জীবিকা | শিক্ষক, সরকারি কর্মচারী |
হাফিজুল্লাহ আমিন (পশতু/দারি: حفيظ الله امين; জন্ম: ১ আগস্ট ১৯২৯ – ২৭ ডিসেম্বর ১৯৭৯) স্নায়ুযুদ্ধ চলাকালে আফগানিন্তানের রাজনীতিবিদ ছিলেন। আমিন পহমনে জন্মগ্রহণ করেন এবং কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়ে থেকে শিক্ষা জীবন সম্পন্ন করেন। এরপর তিনি শিক্ষক হিসেবে প্রাথমিক কর্মজীবন শুরু করেন। কয়েক বছর পরে, তিনি তার পেশার উন্নতিকল্পে অধ্যয়নের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান। তিনি স্থায়ীভাবে আফগানিস্তান থেকে যাওয়ার পূর্বে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে দ্বিতীয় বারের মত সফর করেন এবং মৌলবাদী রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত হয়ে তিনি তার রাজনৈতিক কর্মজীবন শুরু করেন। ১৯৬৫ সালের সালের সংসদীয় নির্বাচনে তিনি একজন প্রার্থী হিসেবে মনোনীত হন কিন্তু উক্ত নির্বাচনী আসন থেকে তিনি জয়লাভ করতে পারেননি। ১৯৬৯ সালের সংসদ নির্বাচনে আমিন একমাত্র খালিকী সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন এবং স্থায়ীভাবে দলের সামর্থ্য বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখেন। তিনি সাওর বিপ্লব এর প্রধান সংগঠক ছিলেন, যেখানে যিনি মুহাম্মদ দাউদ খান সরকারকে উৎখাত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।
হাফিজুল্লাহ আমিন ১৯২৯ সালের ১লা আগস্ট পিংম্যানের একটি ঘিলজাই পশতুন পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।[৪][৫] তার পিতা একজন সরকারি কর্মচারী ছিলেন। কিন্তু দূর্ভাগ্যবশত তিনি শৈশবকালেই পিতৃহারা যান। তার ভাই আব্দুল্লাহ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক ছিলেন। হাফিজুল্লাহ আমিন প্রাথমিক শিক্ষা ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের উভয়ই ধাপ কৃতিত্বের সাথে শেষ করে কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নের সুযোগ লাভ করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি গণিত বিষয়ে অধ্যয়ন করেন। এরপর তিনি কাবুলের দারুল মৌলিমেন শিক্ষক কলেজ থেকে স্নাতক ডিগ্রী লাভের পর একজন শিক্ষক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। পরবর্তীতে তিনি দারুল মুয়ালিমেন কলেজের সহকারী অধ্যাপক হন এবং তারপর তিনি অভিজাতপূর্ণ এভেসিনা উচ্চ বিদ্যালয় প্রধান অধ্যাপক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৫৭ সালে তিনি আফগানিস্তান ত্যাগ করে নিউ ইয়র্ক সিটির কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে এম.এ. শেষ করার জন্য নিযুক্ত হন।[৪] কলম্বিয়াতে থাকাকালীন সময়ে আমিন মার্কসবাদের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পাড়ে এবং ১৯৫৮ সালে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজতান্ত্রিক প্রগতিশীল ক্লাবের সদস্যপদ লাভ করেন।[৬] আফগানিস্তানে ফিরে আসার পরে তিনি কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে নিযুক্ত হন এবং দ্বিতীয় বারের মত আবেদীন উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পদে যোগ দেন।[৭] তৎকালীন সময়ে আমিন বামপন্থী নূর মুহম্মদ তারকির সাথে পরিচিত হন। একই সময়ে তিনি দারুল মুয়ালিমেন কলেজের অধ্যক্ষ হওয়ার জন্য অ্যাভেসিনা হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষকের পদ থেকে পদত্যাগ করেন।[৮]
পার্টির রাজনৈতিক কার্যালয় | ||
---|---|---|
পূর্বসূরী নূর মুহাম্মদ তারাকি |
আফগানিস্তান পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টির সাধারণ সম্পাদক ১৪ সেপ্টেম্বর- ২৭ ডিসেম্বর ১৯৭৯ |
উত্তরসূরী বাবরাক কারমাল |
সরকারি দফতর | ||
পূর্বসূরী নূর মুহাম্মদ তারাকি |
বিপ্লবী পরিষদের চেয়ারম্যান ১৪ সেপ্টেম্বর – ২৭ ডিসেম্বর ১৯৭৯ |
উত্তরসূরী বাবরাক কারমাল |
পূর্বসূরী নূর মুহাম্মদ তারাকি |
মন্ত্রী পরিষদের চেয়ারম্যান ২৭ মার্চ – ২৭ ডিসেম্বর ১৯৭৯ |
উত্তরসূরী বাবরাক কারমাল |