শেখ হামদান | |||||
---|---|---|---|---|---|
যুবরাজ আল ফালাসি রাজবংশ | |||||
![]() গ্লোবাল এজেন্ডা সামিট ২০০৯ এ শেখ হামদান | |||||
যুবরাজ | |||||
ঘোষণা | ১ ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ – বর্তমান | ||||
জন্ম | দুবাই, সংযুক্ত আরব আমিরাত | ১৪ নভেম্বর ১৯৮২||||
দাম্পত্য সঙ্গী | শেখ বিনতে সাঈদ বিন থানি আল মাকতুম | ||||
বংশধর | রাশিদ বিন হামদান আল মাকতুম এবং শাইখা বিনতে হামদান আল মাকতুম (জমজ, জন্ম:- মে ২০, ২০২১) | ||||
| |||||
রাজবংশ | আল ফালাসি | ||||
পিতা | মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুম | ||||
মাতা | হিন্দ বিনতে মাকতুম বিন জুমা আল মাকতুম | ||||
ধর্ম | ইসলাম |
শেখ হামদান বিন মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুম (আরবি حمدان بن محمد بن راشد آل مكتوم) (জন্মঃ ১৪ নভেম্বর, ১৯৮২) সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই আমিরাতের যুবরাজ। তাঁর ছদ্মনাম ফাজ্জা (আরবি: فزاع), এই নামে তিনি তার স্বলিখিত কবিতা প্রকাশ করেন। এ নামের অর্থ "যিনি সহায়তা করেন"।
হামদান বিন মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুম শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুম এবং শেখ হিন্দ বিনতে মাক্তুম বিন জুমা আল মাক্তুমের পুত্র। তিনি তাদের ১২ সন্তানের দ্বিতীয় পুত্র। হামদানের আপন মাত্র্যেয় বড় ভাই হলেন শেখ রশিদ বিন মোহাম্মদ।[১]
হামদান বিন মোহাম্মদ আল মাকতুম দুবাইয়ে রশিদ স্কুল ফর বয়েজ এবং পরে দুবাই স্কুল অফ গভর্নমেন্টে পড়াশোনা করেছিলেন।[২] তারপর তিনি যুক্তরাজ্যে উচ্চতর পড়াশোনা চালিয়ে যান। সেখানে তিনি ২০০১ সালে রয়েল মিলিটারি একাডেমি স্যান্ডহার্স্ট থেকে স্নাতক ডিগ্রী লাভ করেন।[৩] পরে তিনি লন্ডন স্কুল অফ ইকোনমিক্সে পড়াশোনা করেন।[৪][৫]
হামদান ২০০৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসে দুবাই এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ লাভ করেন।[৫] ১ ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ সালে তিনি দুবাইয়ের ক্রাউন প্রিন্স হিসেবে অভিষিক্ত হন। ২০০৯ এর জুলাইয়ে তিনি হামদান বিন মোহাম্মদ স্মার্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট হন। পূর্বে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম ছিলো হামদান বিন মোহাম্মদ ই-বিশ্ববিদ্যালয়।[৬] এছাড়াও তিনি তরুণ উদ্যোক্তাদের জন্য তৈরী প্রতিষ্ঠান শেখ শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ ইসট্যাবলিশমেন্ট, দুবাই স্পোর্টস কাউন্সিল এবং দুবাই অটিজম সেন্টারের প্রধান।[৪]
দুবাই যখন ওয়ার্ল্ড এক্সপো ২০২০ অনুষ্ঠান আয়োজনের অধিকার লাভ করে, তখন শেখ হামদান ছিলেন সেই প্রতিনিধি দলের একজন সদস্য।[৭] তিনি ওয়ার্ল্ড এক্সপো ২০২০ এর জয়ের কয়েকদিন পর সংযুক্ত আরব আমিরাতের পতাকা বুর্জ খলিফার শীর্ষ তলায় নিয়ে যান এবং উড়ান।[৮] তিনি হামদান ইন্টারন্যাশনাল ফটোগ্রাফি অ্যাওয়ার্ডের প্রতিষ্ঠাতা, যা ২০১১ সালে চালু হয়েছিল। [৯]
২৫ জুন ২০২১ পর্যন্ত শেখ হামদানের ইন্সটাগ্রাম অ্যাকাউন্টে ১১.৯ মিলিয়নেরও বেশি ফলোয়ার রয়েছে। তিনি সেখানে তাঁর শখের বিষয় সম্পর্কিত ছবি পোস্ট করে থাকেন, যেমনঃ প্রাণী, কবিতা, খেলাধুলা, ফটোগ্রাফি, অ্যাডভেঞ্চার, ভ্রমণ ইত্যাদি। [১০]
১৫ মে, ২০১৯ সালে তিনি শেখ বিনতে সাঈদ বিন থানি আল মাকতুমকে বিয়ে করেন।[১১] ২০ মে, ২০২১ সালে তাঁদের দুটি জমজ সন্তান জন্ম নেয়, যাদের নাম রাশিদ বিন হামদান আল মাকতুম এবং শাইখা বিনতে হামদান আল মাকতুম[১২]
হামদান আল মাকতুম একজন লাইসেন্সধারী এবং ভালো অশ্বারোহী, স্কাই ডাইভার এবং একজন দক্ষ স্কুবা ডুবুরি। তিনি ফুজাইরাহতে (সংযুক্ত আরব আমিরাতের একটি রাজ্য) ডাইভ করেছেন।[৪] আরবি ভাষায় রোমান্টিক এবং দেশাত্মবোধক কবিতার জন্য তিনি বেশ পরিচিত। তিনি রয়েল অ্যাসকোটেরও সদস্য।[১৩]
শেখ হামদান নরম্যান্ডিতে (এফআরএ) অলটেক এফআইআই ওয়ার্ল্ড ইকুয়েস্ট্রি গেমস ২০১৪-তে স্বর্ণপদক, ২০১২ সালে দলীয় স্বর্ণপদক এবং ২০১০ সালে একটি ব্রোঞ্জ পদক জিতেছিলেন।[১৪][১৫]