হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর د حامدکرزی نړيوال هوائي ډګر میدان هوائی بین المللی حامدکرزی কাবুল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর/খাজা রোয়াশা বিমানবন্দর | |||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
![]() কাবুল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাত্রীবাহী বিমান পার্ক করা, ২০১২ | |||||||||||
সংক্ষিপ্ত বিবরণ | |||||||||||
বিমানবন্দরের ধরন | পাবলিক / সামরিক | ||||||||||
পরিচালক | ![]() | ||||||||||
পরিষেবাপ্রাপ্ত এলাকা | কাবুল, কাবুল প্রদেশ, আফগানিস্তান | ||||||||||
যে হাবের জন্য | |||||||||||
এএমএসএল উচ্চতা | ১,৭৯১ মিটার / ৫,৮৭৭ ফুট | ||||||||||
স্থানাঙ্ক | ৩৪°৩৩′৫৭″ উত্তর ০৬৯°১২′৪৭″ পূর্ব / ৩৪.৫৬৫৮৩° উত্তর ৬৯.২১৩০৬° পূর্ব | ||||||||||
ওয়েবসাইট | http://hamidkarzaiairport.com/ | ||||||||||
মানচিত্র | |||||||||||
রানওয়ে | |||||||||||
| |||||||||||
আফগানিস্তান | |||||||||||
হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর[৩] (ফার্সি: میدان هوائی بین المللی حامدکرزی; পশতু: د حامدکرزی نړيوال هوائي ډګر; আইএটিএ: KBL, আইসিএও: OAKB) হলো আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুুলের কেন্দ্রস্থল হতে ৫ কিলোমিটার (৩.১ মাইল) দূরে অবস্থিত একটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। এটি দেশটির অন্যতম প্রধান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এবং একই সাথে সর্ববৃৃৃহৎ সামরিক ঘাঁটি যেখানে একই সাথে একশটি আকাশযান অবস্থান নিতে সক্ষম। পূর্বে এর নাম ছিলো কাবুল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এবং স্থানীয়ভাবে খাজা রোয়াশ বিমানবন্দর যদিও পরবর্তীতে তা কিছু বিমান পরিসেবা দানকারী দ্বারা সর্বশেষ নামেই অফিসিয়ালি পরিচিত। ২০১৪ সালে বিমানবন্দরটির নতুন নামকরণ করা হয় প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি হামিদ কারজাইয়ের নামানুসারে। এই সিদ্ধান্তটি গৃহীত হয় আফগানিস্তানের জাতীয় পরিষদ এবং আফগানিস্তানের রাষ্ট্রপতি আশরাফ গনির মন্ত্রীপরিষদের মতামতের ভিত্তিতে।[৪]
গত দশকে বিমানবন্দরটিকে সম্প্রসারণ ও আধুনিকায়ন করা হয়েছে। একটি নতুন আন্তর্জাতিক টার্মিনাল যুক্ত করা হয়েছে এবং পুরানো টার্মিনালটি বর্তমানে অভ্যন্তরীণ বিমান পরিবহনের জন্য ব্যবহার করা হয়। বিমানবন্দরের চারপাশে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সশস্ত্র বাহিনী এবং ন্যাটোর আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা সহায়ক বাহিনী (আইএসএএফ) দ্বারা ব্যবহৃত হয় এমন অসংখ্য সামরিক ঘাঁটি নির্মাণ করা হয়েছে। সেখানে আফগানিস্তানের সামরিক বাহিনীরও ঘাঁটি রয়েছে; আর আফগান জাতীয় পুলিশ যাত্রী টার্মিনালের ভিতরে নিরাপত্তা প্রদান করে।
২০১৬ সালের জুন মাসের হিসাব অনুযায়ী এই বিমানবন্দর থেকে সবচেয়ে বেশি বিমান যাতায়াত করে দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পথে এবং কমপক্ষে চারটি যাত্রী পরিবহনকারী বিমান সংস্থা তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে, যাদের মধ্যে কয়েকটি সংস্থার দৈনিক একাধিক ফ্লাইটও ছিলো।
কাবুল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর মূলতঃ ১৯৬০'এর দশকে সোভিয়েত প্রকৌশলীদের দ্বারা নির্মিত হয়েছিল। ইতিহাসের প্রায় এই সময়েই আফগানিস্তান একটি আধুনিক জাতি হয়ে উঠছিলো এবং বিশ্বের অন্যান্য জাতির সাথে তাদের সম্পর্ক স্থাপিত হচ্ছিল। বিশ্বের বিভিন্ন স্থান, যেমনঃ উত্তর আমেরিকা, ইউরোপ, ভারত ও সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে অনেক পর্যটক কাবুল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে দেশে প্রবেশ করতো তখন। ১৯৭৮ সালের সাওর বিপ্লবের পর, বিশেষতঃ ১৯৭৯ সালে সোভিয়েত আগ্রাসনের পর এই ধারার অবসান ঘটে।
কাবুল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরটির উত্তর পার্শ্বস্থ সেনানিবাস সুবিধাটির নির্মাণ কাজ ২০০৮ সালের অক্টোবরে সম্পন্ন হলে তখন থেকেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সশস্ত্র বাহিনীর ঘাঁটি হিসাবে ব্যবহৃত হতে থাকে।
এই বিমানবন্দরটিতে দুটি টার্মিনাল ভবন রয়েছে, যার মধ্যকার অপেক্ষাকৃত নবীনটি আন্তর্জাতিক পথের বিমান চলাচলের জন্য এবং সোভিয়েত নির্মিত পুরাতনটি আভ্যন্তরীণ বিমান পরিবহনের জন্য ব্যবহৃত হয়।