হায়দ্রাবাদ মেট্রো | |||
---|---|---|---|
| |||
সংক্ষিপ্ত বিবরণ | |||
মালিকানায় | তেলেঙ্গানা সরকার | ||
অবস্থান | হায়দ্রাবাদ, তেলেঙ্গানা | ||
পরিবহনের ধরন | দ্রুতগতির পরিবহন | ||
লাইনের (চক্রপথের) সংখ্যা | ৩[১] | ||
বিরতিস্থলের (স্টেশন) সংখ্যা | ৫৭[২] | ||
দৈনিক যাত্রীসংখ্যা | ৪,৯০,০০০[৩] | ||
প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা | এন ভি এস রেড্ডি[৪] | ||
প্রধান কার্যালয় | মেট্রো ভবন, বেগমপেট, হায়দ্রাবাদ | ||
ওয়েবসাইট | |||
চলাচল | |||
পরিচালক সংস্থা | হায়দ্রাবাদ মেট্রো রেল লিমিটেড (এইচএমআরএল) | ||
কারিগরি তথ্য | |||
মোট রেলপথের দৈর্ঘ্য | ৬৯ কিমি (৪৩ মা) (সক্রিয়) ৭২.১৬ কিমি (প্রথম ধাপে) [৫] | ||
বিদ্যুতায়ন | ২৫ কেভি,৫০ হার্জ, এসি ওভার হেড | ||
গড় গতিবেগ | ৩৫ কিমি/ঘণ্টা | ||
শীর্ষ গতিবেগ | ৮০ কিমি/ঘণ্টা | ||
|
হায়দ্রাবাদ মেট্রো (তেলুগু: హైదరాబాద్ మెట్రో రైలు) হল একটি দ্রুত গনপরিবহন ব্যবস্থা। এটি ভারতের তেলেঙ্গানা রাজ্যের রাজধানী ও প্রধান শহর হায়দ্রাবাদের জন্য দ্রুতগতির রেল পরিষেবা প্রদান করে। [৬] এটা সম্পূর্ণরূপে সরকারি-বেসরকারী অংশীদারিত্ব (পিপিপি)-এর ভিত্তিতে বাস্তবায়িত হচ্ছে,[৭] যেখানে রাজ্য সরকার স্বল্প অংশিদারীত্বে অংশগ্রহণ করেছে। [৮] ২৮ নভেম্বর ২০১৭ এ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মীয়াপুর থেকে নাগোলে পর্যন্ত ৩০ কিলোমিটার দীর্ঘ রেলপথে মোট ২৪ টি স্টেশনের উদ্বোধন করেন। [৯][১০] ভারতে দ্রুত গনপরিবহনের জন্য মেট্রো পরিষেবা এক দফায় ৩০ কিলোমিটার দীর্ঘ পথের সূচনা এই প্রথম।[১১][১২] এটি নির্মানের জন্য ₹১৮,৮০০ কোটি টাকা (মার্কিন $২.৭ বিলিয়ন) ব্যয় করা হয়। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারির হিসাবে প্রায় ৪,৯০,০০০ জন যাত্রী প্রতিদিন হায়দ্রাবাদ মেট্রো ব্যবহার করে[৩]। সকাল এবং সন্ধ্যা ঘণ্টার সময় ট্রেনগুলিতে ভিড় হয়, যখন কর্মীরা কর্মক্ষেত্রে যায় এবং কর্মক্ষেত্র থেকে ফিরে আসে। [১৩] ৭ মে ২০১৮ থেকে হায়দ্রাবাদ মেট্রোর সমস্ত ট্রেনে একটি কোচ শুধুমাত্র মহিলাদের জন্য সংরক্ষণ করা হয়েছে।[১৪]
হায়দ্রাবাদ শহরের যানজট কমানোর লক্ষ্যে ২০০৩ সালে অন্ধ্রপ্রদেশ সরকার ও দক্ষিণ মধ্য রেলের সহায়তায় হায়দ্রাবাদে চালু হয় হায়দ্রাবাদ এমএমটিএস বা মাল্টি মডেল ট্রান্সপোর্ট সিস্টেম।[১৫][১৬] এটি প্রতিদিন ১,৫০,০০০[১৭] জন যাত্রী পরিবহন করে। কিন্তু হায়দরাবাদে জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে জনসাধারণের পরিবহনের জন্য এমএমটি ব্যবস্থা যথেষ্ট নয়, সেই কারণে কেন্দ্রীয় গৃহ ও নগর উন্নয়ন মন্ত্রক হায়দরাবাদ মেট্রো রেল প্রকল্পের জন্য অনুমোদন এবং প্রকল্পটির ওপর জরিপ চালানোর নির্দেশ দেয়। [১৮] এছাড়া ২০২১ সালে হায়দ্রাবাদের জনসংখ্যা দাঁড়াবে ১৩ মিলিয়নের বেশি। সেই কারণে ২০১৩ সালে হায়দ্রাবাদ মেট্রো রেল এর নির্মাণ শুরু হয়।[১৯] এই ব্যবস্থাটি ২৯ নভেম্বর ২০১৭ সালে চালু হওয়ার কথা রয়েছে। প্রাথমিক পরিকল্পনার মতে, ইতিমধ্যে বিদ্যমান এমএমটি ব্যবস্থার সাথে মেট্রোর সংযোগ করা হবে যাতে বিকল্প পরিবহন ব্যবস্থার সাথে মিলিত ভাবে যাত্রীদের পরিবহন করতে পারে। একই সাথে, এমএমটিস দ্বিতীয় পর্যায়ের নির্মাণের জন্যও প্রস্তাবগুলোও গ্রহণ করা হয়। [১৬]
২৬ শে মার্চ, ২০১৮ সালে, তেলেঙ্গানা সরকার ঘোষণা দেয় যে, রায়দুর্গ থেকে শামসাবাদে অবস্থিত রাজীব গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পর্যন্ত ব্লু লাইন প্রসারিত করতে এইচএমআরএল এবং এইচএমডিএর যৌথভাবে একটি এসপিভি হায়দ্রাবাদ এয়ারপোর্ট মেট্রো লিমিটেড (হ্যালো) গঠন করা হবে।
২০০৮ সালের জুলাই মাসে দরপত্র প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয় এবং দরপত্র জয়ী মেটাস ২০০৯ সালের মার্চ পর্যন্ত সময়সূচী অনুযায়ী প্রকল্পটির জন্য প্রয়োজনিয় অর্থ প্রদানে ব্যর্থ হয়। ফলে ২০০৯ সালের জুলাইয়ে রাজ্য সরকার চুক্তি বাতিল করে এবং প্রকল্পের জন্য নতুন দরপত্র আহ্বান করে।
জুলাই-২০১০ সালের দরপত্র প্রক্রিয়ায় লার্সেন অ্যান্ড টোবুরো ১২১.৩২ বিলিয়ন (মার্কিন ডলার ১.৮ বিলিয়ন) অর্থ নিয়ে প্রকল্পের জন্য সর্বনিম্ন দরদাতা হিসাবে আবির্ভূত হয়।
নির্মাণ কাজটি দুই পর্যায়ে করা হবে। পর্যায়ে-১ [২০] সম্পূর্ণ করার জন্য ছয়টি ধাপ রয়েছে।
প্রথম ধাপে হায়দ্রাবাদ মেট্রো ৭২.১৬ কিমি রেলপথ নির্মাণের প্রস্তাব রয়েছে। বর্তমানে এর নির্মাণ কার্য চলছে হায়দ্রাবাদ শহর জুড়ে। এটি ২০১৫ সালের শেষের দিকে চালুর কথা থাকলেও বর্তমানে বলা হচ্ছে ২০১৯ সালে এর নির্মাণ শেষ হবে। ২০১২ সালে বলা হয়েছিল প্রথম ধাপের নির্মাণ খরচ হবে ১৪,০০০ কোটি টাকা। ২০১৭ সালের শেষের দিকে প্রথ ধাপে ৩০ কিমি পথে মেট্রো রেল চালু হয়েছে।
পর্যায় | লক্ষ্য বিভাগ | দূরত্ব | লাইন | লাইন রঙ | স্থিতি |
---|---|---|---|---|---|
পর্যায় ১ | নাগোল - ম্যাটুগুডা | ৮.০১ কিমি (৪.৯৮ মা) | লাইন -৩ | নীল | পরিচালনাগত |
পর্যায় ২ | মিয়াপুর -আমিরপেট | ১১.৯ কিমি (৭.৪ মা) | লাইন ১ | লাল | পরিচালনাগত |
পর্যায় ৩ | মিতুগুডা -আমিরপেট | ৯.৪ কিমি (৫.৮ মা) | লাইন তৃতীয় | নীল | পরিচালনাগত |
পর্যায় ৪ | আমিরপেট -হাইটেক সিটি | ৯.৪৩ কিমি (৫.৮৬ মা) | লাইন তৃতীয় | নীল | নির্মাণ অধীন |
পর্যায় ৫ | আমিরপেট - এল বি নগর | ১৭.৩১ কিমি (১০.৭৬ মা) | লাইন ১ | লাল | সম্পন্ন |
পর্যায় ৬/১ | জেবিএস - এমজিবিএস | ৯.৬৬ কিমি (৬.০০ মা) | লাইন ২ | সবুজ | নির্মাণ অধীনে |
মোট | ৬৫.৭১ কিমি (৪০.৮৩ মা) |
রাজ্য সরকার মেট্রো রেলকে আরও প্রসারিত করার জন্য দ্বিতীয় পর্যায়ে মেট্রো লাইন তৈরির পরিকল্পনা করেছে। [২১] দ্বিতীয় পর্যায়ের প্রকল্পটি পাবলিক সরকারি-বেসরকারী অংশিদারীত্ব (পিপিপি)-এর পরিবর্তে রাজ্য সরকার দ্বারা গৃহীত হয়েছে। [২২] দিল্লি মেট্রো রেল কর্পোরেশনকে (ডিএমআরসি) দ্বিতীয় পর্যায়ে একটি বিস্তারিত প্রকল্প প্রতিবেদন (ডিপিআর) তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। [২৩] প্রস্তাবিত মেট্রো পথের নিম্নরূপ:
রুট | দূরত্ব (কিমি মধ্যে) | লাইন |
---|---|---|
রাইডুর্গ -গাচিবওলী - শামসাবাদ আরজিআই বিমানবন্দর | ৩০ কিমি (১৯ মা) | চতুর্থ লাইন |
মীয়াপুর- বিএইচইএল- পাতানচেরু | ১৫ কিমি (৯.৩ মা) | লাইন ১-এর সম্প্রসারণ |
এল বি নগর- হায়দ নগর | ৭ কিমি (৪.৩ মা) | লাইন ১-এর সম্প্রসারণ |
জেবিএস - আলালগ | ৮ কিমি (৫.০ মা) | লাইন ২-এর সম্প্রসারণ |
নাগোলে-এল বি নগর - ফালাকুমুমা - শামসাবাদ আরজিআই বিমানবন্দর | ২৮ কিমি (১৭ মা) | তৃতীয় লাইনের সম্প্রসারণ |
মিয়াপুর - গ্যাচিব্লি -টালিকোভিকী' - লাকদি কা পাল | ২০ কিমি (১২ মা) | লাইন ৫ |
তরণক- ইসিএল 'এক্স' সড়ক | ৭ কিমি (৪.৩ মা) | লাইন ৬ |
হায়দরাবাদ মেট্রো রেলের মাস্কটটি হচ্ছে নিজ। এটি হজরত নিজামের কাছ থেকে এসেছে, যিনি হায়দ্রাবাদ রাজ্য শাসন করেছিলেন।[২৪]
এইচএমআর প্রকল্প ফেব্রুয়ারি-মার্চ ২০১৩ সালে নিউ ইয়র্কতে অনুষ্ঠিত গ্লোবাল ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিডারশিপ ফোরামে শীর্ষ ১০০ টি কৌশলগত বিশ্বব্যাপী অবকাঠামো প্রকল্পগুলির মধ্যে একটি হিসাবে প্রদর্শিত হয়।[২৫] [২৬]
এল.এন্ড.টি মেট্রো রেল হায়দ্রাবাদ লিমিটেড'কে (এলটিএমআরএইচএলএল) ২০১৫ সালের এসএপি এসিই -এর স্ট্র্যাটেজিক এইচআর এন্ড ট্যালেন্ট ম্যানেজমেন্ট [২৭] বিভাগে পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে।
|সংগ্রহের-তারিখ=
(সাহায্য)[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়; আলাদা বিষয়বস্তুর সঙ্গে "bs_metro" নামটি একাধিক বার সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে