হারবার্ট (চলচ্চিত্র)

হারবার্ট
হারবার্ট চলচ্চিত্র ডিভিডি কভার
পরিচালকসুমন মুখোপাধ্যায়
রচয়িতানবারুণ ভট্টাচার্য
শ্রেষ্ঠাংশেশুভাশিষ মুখোপাধ্যায়,
সব্যসাচী চক্রবর্তী,
লিলি চক্রবর্তী,
ব্রাত্য বসু
দেবশঙ্কর হালদার
অনিন্দিতা মল্লিক
নীল মুখার্জী
বিশ্বনাথ বসু
কাঞ্চন মল্লিক কবীর সুমন
শঙ্কর দেবনাথ
সুরকারময়ুখ ভৌমিক
চিত্রগ্রাহকসোমক মুখার্জী
মুক্তি২০০৫
দেশভারত
ভাষাবাংলা

হারবার্ট চলচ্চিত্র ধরা পড়েছে সত্তরের দশকের নকশাল আন্দোলন প্রেক্ষাপট []। সেই আন্দোলনের চেতনা যে একেবারে নিশ্চিহ্ন হয়ে যায় নি যেকোনো মূহুর্তেই তা আবার ফেটে পড়তে পারে তা বোঝানো হয়েছে। নবারুণ ভট্টাচার্যের রচিত হারবার্ট উপন্যাস অবলম্বনে থিয়েটার জগতের উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব সুমন মুখোপাধ্যায় এই চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করেছেন। হারবার্ট চলচ্চিত্রটি ৫৩তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে শ্রেষ্ঠ ছবি নির্বাচিত হয়।[]

কাহিনী

[সম্পাদনা]

পিতৃমাতৃহীন হারবার্ট সরকার উত্তর কলকাতার ক্ষয়িষ্ণু যৌথ পরিবারের বাসিন্দা। বাড়ির বৃদ্ধা জেঠিমা ছাড়া সকলের কাছেই অবহেলার পাত্র। তবে পাড়ার ছেলেছোকরারা হারবার্টকে পছন্দ করে। সত্তর দশকে হারবার্টের ভাইপো বিনু একবার আশ্রয় নিয়েছিল হারবার্টের ঘরে তখন সে নকশাল আন্দোলনের সাথে যুক্ত। পরে পুলিশের গুলিতে বিনু মারা যায়। ক্রমশ হারবার্ট তন্ত্র মন্ত্র জ্যোতিষ ইত্যাদি বুজরুকি করে পয়সা রোজগার করতে থাকে। এক যুক্তিবাদী প্রনব ঘোষ দলবল নিয়ে এসে হারবার্টকে শাসিয়ে যায় যে এই ব্যবসার ফলে তাকে জেলে যেতে হবে। এরপরই হারবার্ট আত্মহত্যা করে॥ এবং সে সুইসাইড নোটে লিখে যায় "চৌবাচ্চার তেলাপিয়া গঙ্গাসাগরে চললো।দোবেড়ের চ্যাং দেকবি? দোবেড়ের চ্যাং দেকাবো? ক্যাট ব্যাট ওয়াটার ডগ ফিশ"। তার মৃতদেহের সাথে যাবতীয় বিছানা তোষক বিদ্যুৎবাহী চুল্লীর ভেতর ঢোকানোর কিছু পরে প্রবল বিস্ফোরণ ঘটে শ্মশানে। প্রশাসনিক তৎপরতায়, পুলিশের ঘেরাটোপে হারবার্টের মৃতদেহাংশ কোনো রকমে পোড়ানো হলে যে সত্যটা উঠে আসে তা হল বিস্ফোরক ঘুমন্ত অবস্থায় বহুকাল ছিল। হঠাৎ কোন পরিস্থিতিতে তা ধ্বংসাত্মক হবে তা রাষ্ট্র বুঝে উঠতে পারেনা! আসলে মৃত নকশাল ভাইপো বিনু অনেক ডায়নামাইট সেল ঢুকিয়ে রেখেছিল হারবার্টের বিছানায়। নিরাপদে রাখার জন্যে। ভবিষ্যতে হয়ত কোনো বিপ্লবাত্মক কাজের উদ্দেশ্য ছিল তার। তাই ফেটে পড়েছে বহুদিন পরে। হারবার্টের মৃতদেহের সাথে।

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]