হারমান রোরশাখ | |
---|---|
রোরশাখ ১৯১০ সালের দিকে | |
জন্ম | |
মৃত্যু | ১ এপ্রিল ১৯২২ | (বয়স ৩৭)
জাতীয়তা | সুইস |
পরিচিতির কারণ | রোরশাখ পরীক্ষা |
বৈজ্ঞানিক কর্মজীবন | |
কর্মক্ষেত্র | মনোরোগবিদ্যা, মনোবিশ্লেষক |
যাদের দ্বারা প্রভাবিত হয়েছেন | ইউজিন ব্লয়লার |
হারমান রোরশাখ (জার্মান:hɛʁman ˈʁoːʁʃax; ৮ই নভেম্বর ১৮৮৪ – ১লা এপ্রিল ১৯২২) ছিলেন একজন সুইস ফ্রয়েডীয় সাইকোলজিস্ট এবং মনোবিশ্লেষক, যিনি সবচেয়ে বেশি পরিচিত রোরশাখ ইন্কব্লোট পরীক্ষা নামে মানসিক ভারসাম্যহীনদের জন্য প্রোজেক্টিভ পরীক্ষা উন্নতকরনের জন্য। এই পরীক্ষার মাধ্যমে একজন মানসিক রোগীর অবচেতন মনের চিন্তা চেতনা বা তার ব্যক্তিত্ব পরীক্ষা করে দেখা হয়। ১৯৯০-এর দশকের পর থেকে রোরশাখ পরীক্ষা সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়তা অর্জন করে। এই পরীক্ষার ১০টি ইন্কব্লোটে ভিন্ন ভিন্ন বস্তু দিয়ে রোগীদের জিজ্ঞেস করা হয় তারা প্রত্যেকটিতে কি ধরনের বস্তু দেখতে পেয়েছে।[১]
রোরশাখ জুরিখে জন্মগ্রহণ করেন এবং তার শৈশব ও যৌবনের অধিকাংশ সময় ব্যয় করেন উত্তর সুইজারল্যান্ডের স্কাফহাউসেনে। তিনি তার স্কুলের বন্ধুদের কাছে ক্লেক্স বা ইন্কব্লোট নামে পরিচিত ছিলেন কারণ তিনি ক্লেক্সোগ্রাফির মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের মজার ইন্কব্লোটের ছবি তৈরি করতে পছন্দ করতেন। পরবর্তীতে, ইন্কব্লোট তার কর্মজীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠে।
রোরশাখের পিতা ছিলেনে একজন চারুকলার শিক্ষক যিনি রোরশাখকে সবসময় প্রচলিত জিনিসের চিত্রাঙ্কনে উৎসাহিত করতেন।[২] তিনি যখন উচ্চ বিদ্যালয় থেকে স্নাতক সম্পন্ন করবেন তখনো তিনি সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি তিনি কর্মজীবন হিসেবে চিত্রকলা নাকি বিজ্ঞান বেছে নেবেন। উপদেশের জন্য তিনি বিখ্যাত জার্মান জীববিজ্ঞানী আর্নেস্ট হেকেলের কাছে চিঠি লিখেছিলেন। হেকেল তাকে বিজ্ঞান বিষয় বেছে নেওয়ার উপদেশ দেন এবং রোরশাখ জুরিখ বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল স্কুলে ভর্তি হন। রোরশাখ রাশিয়ান ভাষা শিক্ষা শুরু করেন, এবং ১৯০৬ সালে বার্লিনে পড়ার সময় তিনি ছুটি কাটাতে রাশিয়া ভ্রমণ করেন। রোরশাখ ১৯০৯ সালে জুরিখ থেকে মেডিসিনের উপর তার স্নাতক হন।
১৯০৯ সালে রোরশাখের সাথে রাশিয়ার তাতারাস্তান প্রজাতন্ত্রের কজান অঞ্চলের মেয়ে ওলগা স্টেমপেলিনের সাথে পরিচয় হয়। ১৯১৩ সালের শেষ দিকে তিনি স্টেমপিলিনকে বিয়ে করেন ও এই জুটি বসবাসের জন্য রাশিয়া পাড়ি জমান।[৩] ১৯১৭ সালে তাদের একটি ছেলে ও ১৯১৯ সালে একটি মেয়ে জন্মগ্রহণ করে।