হারমোনিকা Harmonica | |
---|---|
তথ্যসমূহ | |
শ্রেণিবিভাগ | |
হর্নবোস্টেল-শ্যাস শ্রেণিবিন্যাস | 412.132 (Free-reed aerophone) |
বিকশিত | ১৯ শতক এর পূর্বে |
পাল্লা | |
For 64-reed (16-hole) chromatic harmonica: C below middle C (C) to D above C5, slightly over 4 octaves | |
সম্পর্কিত যন্ত্র | |
মেলোডিওন, মেলোডিকা, ইউ |
হারমোনিকা বা হার্প বা ব্লু হার্প বা মাউথ অর্গান[১] হল প্লাস্টিক এবং ধাতু দিয়ে তৈরী একটি বাদ্যযন্ত্র যা মুখের ফু দিয়ে বাজানো হয়। সারা বিশ্বে হারমোনিকা বাজানো হলেও মূলত আমেরিকান জ্যাজ সঙ্গীত, কান্ট্রি মিউজিক, ফোক ও রক সঙ্গীতে এটি বেশি জনপ্রিয়। বাংলাভাষায় একে হারমোনিয়াম বলা হয়।
হারমোনিকা অনেক ধরনের আছে যেমন ডায়াটোনিক, ক্রোমাটিক, ট্রেমোলো, অক্টাভ, অর্কেস্ট্রাল এবং বেস।
এটি জিহ্বা ও ঠোট দিয়ে মুখ নিঃসৃত বাতাস নিয়ন্ত্রণ করে বাজানো হয়, এছাড়াও বাদক দুই হাতের সাহায্যে হারমোনিকা হতে নিঃসৃত বাতাসের প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করেও সুরের তারতম্য আনতে পারেন। বাতাস ঢোকার ছিদ্রগুলির পেছনে কতগুলো ধাতু নির্মিত রিড থাকে যেগুলো বাতাসের প্রবাহের কারণে কম্পিত হয়ে সুমধুর শব্দ উৎপন্ন করে। এই রিডগুলো সাধারণত পিতল, তামা, স্টেইনলেস স্টিল কিংবা ব্রোঞ্জ দিয়ে তৈরী।
উনিশ শতকের গোড়ার দিকে ইউরোপে হারমোনিকা তৈরি হয়েছিল। চিনা শেঙের মতো ফ্রি-রিড যন্ত্রগুলি প্রাচীন কাল থেকেই এশিয়াতে মোটামুটি প্রচলিত ছিল। চিং-যুগের চীনে বসবাসকারী ফরাসী জেসুয়েট জিন জোসেফ মেরি অ্যামিয়ট (১–১–-১9৯৩) পরিচয় করিয়ে দেওয়ার পরে তারা ইউরোপে তুলনামূলকভাবে সুপরিচিত হয়ে ওঠেন। [৩] ১৮২০ সালের দিকে, ইউরোপে ফ্রি-রিড ডিজাইন তৈরি করা শুরু হয়েছিল। খ্রিস্টান ফ্রেডরিচ লুডভিগ বুশম্যানকে প্রায়শই ১৮২১ সালে হারমোনিকার আবিষ্কারক হিসাবে উদ্ধৃত করা হয়, তবে অন্যান্য উদ্ভাবকরা একই সময়ে একই ধরনের সরঞ্জাম বিকাশ করেছিলেন। [৪] প্রায়শই একই সময়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, দক্ষিণ আমেরিকা, যুক্তরাজ্য এবং ইউরোপে মুখ ফুটে থাকা ফ্রি-রিড যন্ত্রগুলি উপস্থিত হয়েছিল। এই যন্ত্রগুলি শাস্ত্রীয় সংগীত বাজানোর জন্য তৈরি করা হয়েছিল।
ভারতবর্ষের মিলন গুপ্ত,ড: ববিতা বসু, গৌরব দাস, শুভ্রনীল সরকার , ধীমন্ত আদক সহ বহু শিল্পী তুমুল জনপ্রিয়তা লাভ করেছেন । ২০২১ সালে হারমোনিকা প্রশিক্ষক শাওন পালের ছাত্র সৌম্যজিত মণ্ডল ইন্ডিয়া বুক অব রেকর্ডসে সর্বপ্রথম সর্বকনিষ্ঠ হারমোনিকা শিল্পী হিসেবে নাম তোলে ।