হারিস ইবনে কালাদা | |
---|---|
![]() | |
জন্ম | আনুমানিক ৬ষ্ঠ শতাব্দী তায়েফ, হিজাজ, আরব (বর্তমান সৌদি আরব) |
মৃত্যু | আনুমানিক ৭ম শতাব্দী আরব |
পেশা | চিকিৎসক |
পরিচিতির কারণ | আরবের বিখ্যাত চিকিৎসক |
হারিস ইবনে কালাদা ছিলেন ৬ষ্ঠ ও ৭ম শতাব্দীর আরবের একজন বিখ্যাত চিকিৎসক। তিনি ইসলাম-পূর্ব যুগের অন্যতম শ্রেষ্ঠ চিকিৎসক হিসেবে পরিচিত ছিলেন এবং তাঁর চিকিৎসা বিদ্যার জন্য আরবে ব্যাপক খ্যাতি অর্জন করেছিলেন।
হারিস ইবনে কালাদা হিজাজের তায়েফে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি চিকিৎসা বিদ্যা অর্জনের জন্য পারস্য ও অন্যান্য অঞ্চলে ভ্রমণ করেন এবং পারস্যের গন্দিশাপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করেন। এটি ছিল সে যুগের চিকিৎসাবিদ্যার অন্যতম প্রধান কেন্দ্র। সেখানে তিনি গ্রিক, পারসিক ও ভারতীয় চিকিৎসাবিদ্যা অধ্যয়ন করেন।[১]
হারিস ইবনে কালাদা আরবের প্রথমদিকের চিকিৎসকদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন। তার চিকিৎসার মূলনীতি ছিল স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস অনুসরণ করা এবং প্রাকৃতিক উপাদানের মাধ্যমে চিকিৎসা প্রদান করা। তিনি রোগ প্রতিরোধ এবং সুস্থতার উপর গুরুত্ব দিতেন।[২]
বিশেষত, তার চিকিৎসার পদ্ধতিতে গ্রীক চিকিৎসাবিদ্যার প্রভাব দেখা যায়। তিনি বিভিন্ন রোগ নিরাময়ের জন্য হারবাল ঔষধ, খাদ্যনিয়ন্ত্রণ এবং শরীরের আভ্যন্তরীণ ভারসাম্য রক্ষার ওপর গুরুত্ব দিয়েছিলেন।
বিভিন্ন ঐতিহাসিক সূত্রে জানা যায়, নবী মুহাম্মাদ (সা.)-এর সময়েও হারিস ইবনে কালাদা একজন সম্মানিত চিকিৎসক হিসেবে পরিচিত ছিলেন। বলা হয়, নবী (সা.) তাঁর কাছে চিকিৎসা সংক্রান্ত পরামর্শ গ্রহণ করেছিলেন এবং তাঁর চিকিৎসা পদ্ধতির প্রশংসা করেছিলেন। যদিও হারিস ইসলামের প্রথম যুগে জীবিত ছিলেন, তবে তার ইসলাম গ্রহণের নিশ্চিত প্রমাণ পাওয়া যায় না।[৩]
তার সঠিক মৃত্যু সাল জানা যায় না, তবে ধারণা করা হয় তিনি ৭ম শতাব্দীতে ইন্তেকাল করেন।