হারুন ইজহার | |
---|---|
শিক্ষা ও সংস্কৃতি সম্পাদক: হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ | |
অফিসে ২০১৯ – ২০২০ | |
পূর্বসূরী | পদ প্রতিষ্ঠা |
উত্তরসূরী | পদ বিলুপ্ত |
সহকারী পরিচালক: জামেয়াতুল উলুম আল-ইসলামিয়া লালখান বাজার | |
অফিসে ২০১৫ – বর্তমান | |
ব্যক্তিগত তথ্য | |
ধর্ম | ইসলাম |
জাতীয়তা | বাংলাদেশি |
পিতামাতা |
|
জাতিসত্তা | বাঙালি |
যুগ | আধুনিক |
আখ্যা | সুন্নি |
ব্যবহারশাস্ত্র | হানাফি |
আন্দোলন | দেওবন্দি |
প্রধান আগ্রহ | দাওয়াত, ধর্মীয় সংস্কার, শিক্ষা সংস্কার, ইসলামি রাষ্ট্রব্যবস্থা, ইসলামের ইতিহাস, রাজনীতি, লেখালেখি,ইসলামী গবেষনা |
উল্লেখযোগ্য কাজ |
|
যেখানের শিক্ষার্থী | |
মুসলিম নেতা | |
যার দ্বারা প্রভাবিত |
দেওবন্দি আন্দোলন |
---|
সিরিজের অংশ |
হারুন ইজহার ( জন্ম: ১৯৭৭) একজন বাংলাদেশি দেওবন্দি আলেম, লেখক, মুফতি ও ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব,[১][২] যিনি হেফাযতে ইসলাম বাংলাদেশের সাবেক শিক্ষা ও সংস্কৃতি সম্পাদক [৩][৪][৫] ও আল জামিয়া ইসলামিয়া লালখানবাজার মাদ্রাসার সহকারী পরিচালক। [৬][৭] তিনি নেজামে ইসলাম পার্টির সভাপতি এবং হেফাজতে ইসলামের সাবেক প্রভাবশালী নেতা ইজহারুল ইসলামের পুত্র। [৮][৯]
হারুন ইজহার চট্টগ্রামের দারুল উলুম লালখান বাজার মাদ্রাসায় প্রাথমিক শিক্ষা অর্জন করেন। এরপর তিনি আল-জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলুম মঈনুল ইসলামে অধ্যয়ন করেন। পরবর্তীতে উচ্চতর জ্ঞানার্জনের লক্ষ্যে পাকিস্তান সফর করেন। সেখানে তিনি দারুল উলুম করাচিতে ২ বছর লেখাপড়া করে দেশে ফিরে আসেন এবং চট্টগ্রামের জামিয়াতুল উলূম আল-ইসলামিয়া লালখান বাজার মাদ্রাসায় শিক্ষকতা শুরু করেন। [১০]
তিনি নেজামে ইসলাম পার্টির বর্তমান সভাপতি ইজহারুল ইসলাম চৌধুরীর বড় ছেলে। [১১] তার মুসা বিন ইজহার নামে একজন ছোট ভাই রয়েছে। [১২]
২০০৯ সালে ভারতীয় হাইকমিশন ও মার্কিন দূতাবাসে হামলার পরিকল্পনার অভিযোগে চট্টগ্রামে ইজহার ও দুইজন সন্দেহভাজন লস্করে তৈয়বার সদস্য গ্রেপ্তার করা হয়। পরবর্তীতে নির্দোষ প্রমাণিত হওয়ার তাকে মুক্তি দেওয়া হয়। [১৩]
২০১৩ সালের ১০ জুলাই চট্টগ্রামের লালখান বাজার মাদ্রাসায় গ্রেনেড বিস্ফোরিত হয়েছিলো এমন একটি অভিযোগে হারুন ইজহার গ্রেফতার হন। তবে হারুন ও মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ দাবি করেছিল যে, সেটি একটি গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হওয়ার কারণে বিকট শব্দ সৃষ্টি হয়েছিল। তিনি দীর্ঘদিন কারাগারে ছিলেন এবং পরে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে মুক্তি দেওয়া হয়। [১৪] [১৫] [১৬]
২০২১ সালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফর ইস্যুকে কেন্দ্র করে দারুল উলুম হাটহাজারিসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘটিত আন্দোলনে প্রত্যক্ষভাবে নেত্তৃত্ব দেওয়ার অভিযোগ ও সরকার-বিরোধী অবস্থানের কারণে ২৮ ই এপ্রিল রাতে চট্টগ্রামের লালখান বাজার মাদ্রাসা থেকে র্যাবের হাতে গ্রেফতার হন। এরপর ২০২৩ সালের ২২ মে রাতে তিনি চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান। [১৭]