হার্ভি জে অল্টার | |
---|---|
![]() | |
জন্ম | হার্ভি জেমস অল্টার ১২ সেপ্টেম্বর ১৯৩৫ নিউ ইয়র্ক সিটি, নিউ ইয়র্ক, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র |
শিক্ষা | রচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয় (বিএ, এমডি)) |
পরিচিতির কারণ | হেপাটাইটিস সি (যকৃৎপ্রদাহ) |
পুরস্কার | কার্ল ল্যান্ডস্টাইনার স্মৃতি পুরস্কার (১৯৯২) লস্কর পুরস্কার (২০০০) গের্ডনার ফাউন্ডেশন আন্তর্জাতিক পুরস্কার (২০১৩) চিকিৎসাবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার (২০২০) |
বৈজ্ঞানিক কর্মজীবন | |
কর্মক্ষেত্র | ভাইরাসবিজ্ঞান |
হার্ভি জেমস অল্টার (জন্ম ১২ ই সেপ্টেম্বর ১৯৩৫) একজন মার্কিন চিকিৎসা গবেষক, ভাইরাস বিষয়ক বিজ্ঞানী ও চিকিৎসক। তিনি ২০২০ সালে শারীরবিজ্ঞান ও চিকিৎসাবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। তিনি হেপাটাইটিস সি (এক ধরনের মারাত্মক যকৃৎপ্রদাহ) সৃষ্টিকারী ভাইরাস আবিষ্কারের গবেষণার জন্য বিখ্যাত।[১] হার্ভি জেমস মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ম্যারিল্যান্ড অঙ্গরাজ্যের বেথেডা শহরে জাতীয় স্বাস্থ্য সংস্থার (এনআইএইচ) সংক্রামক রোগ বিভাগের প্রাক্তন প্রধান এবং ওয়ারেন গ্রান্ট ম্যাগনুসন ক্লিনিকাল সেন্টারে ট্রান্সফিউশন মেডিসিন বিভাগের গবেষণার সহযোগী পরিচালক। ১৯৭০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে হার্ভি জেমস এবং তার গবেষণা দলটি প্রমাণ করে যে সর্বাধিক ট্রান্সফিউশন পরবর্তী হেপাটাইটিস রোগ হেপাটাইটিস এ বা হেপাটাইটিস বি ভাইরাসের কারণে হয় না। স্বাধীনভাবে কাজ করে মার্কিন খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসনের (ইউএস ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন) বিজ্ঞানী হার্ভি জেমস এবং এডওয়ার্ড টাবর শিম্পাঞ্জিতে ট্রান্সমিশন অধ্যয়নের মাধ্যমে প্রমাণ করেছেন যে হেপাটাইটিসের একটি নতুন রূপ, প্রাথমিকভাবে "নন-এ, নন-বি হেপাটাইটিস" নামে পরিচিত এবং এটি কার্যকারক এজেন্ট সম্ভবত একটি ভাইরাস ছিলো। এই গবেষণার মাধ্যমে শেষ পর্যন্ত ১৯৮৮ সালে হেপাটাইটিস সি ভাইরাস আবিষ্কৃত হয়,[১] যার জন্য হার্ভি অল্টার ২০২০ সালে মাইকেল হিউটন ও চার্লস এম রাইসের সাথে শরীরবিদ্যা বা চিকিৎসাবিদ্যায় নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হন।[২][৩]
যে ভাইরাসের কারণে হেপাটাইটিস সি রোগের সৃষ্টি হয়, সেই ভাইরাস আবিষ্কারের গবেষণা পরিচানলার জন্য হার্ভি জেমস স্বীকৃতি পান এবং তিনি ২০০০ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি জনস্বাস্থ্য পরিষেবাতে প্রাপ্ত সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা রোগশয্যার চিকিৎসা গবেষণার জন্য লস্কর-ডিবেকে পুরস্কারে ভূষিত হন।[৪][৫]