ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | হার্সেল হারমান গিবস | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | গ্রীন পয়েন্ট, কেপ টাউন, দক্ষিণ আফ্রিকা | ২৩ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৪|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ডাকনাম | স্কুটার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উচ্চতা | ৫ ফুট ৯ ইঞ্চি (১.৭৫ মিটার) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডান-হাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডান-হাতি মিডিয়াম | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | ওপেনিং ব্যাটিং | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ২৬৪) | ২৭ নভেম্বর ১৯৯৬ বনাম ভারত | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ১০ জানুয়ারি ২০০৮ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ৪২) | ৩ অক্টোবর ১৯৯৬ বনাম কেনিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১০ বনাম ভারত | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই শার্ট নং | ০৯ (গিবস কর্তৃক বার্ষিকাকারে পরিবর্তিত) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৯০/৯১–২০০৩/০৪ | ওয়েস্টার্ন প্রভিন্স | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০৪/০৫ - ২০০৫/০৬ | কেপ কোবরাস | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০৮–১০ | ডেকান চার্জার্স | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০১২– | মুম্বই ইন্ডিয়ান্স | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০৮ | গ্ল্যামারগন | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০১০– | ইয়র্কশায়ার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০১০– | নর্দার্ন ডিস্ট্রিক্টস | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০১১-১২ | পার্থ স্কর্চার্স | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০১২– | ডারহাম ডায়নামোজ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ক্রিকেটআর্কাইভ, ১৬ জুলাই ২০১৬ |
হার্শেল হারম্যান গিবস (ইংরেজি: Herschelle Gibbs; জন্ম: ২৩ ফেব্রুয়ারি, ১৯৭৪) কেপটাউনের গ্রীন পয়েন্টে জন্মগ্রহণকারী দক্ষিণ আফ্রিকার অবসরপ্রাপ্ত ক্রিকেটার। দক্ষিণ আফ্রিকা জাতীয় ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য হার্শেল গিবস মূলতঃ তার ব্যাটিংয়ের জন্যেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অঙ্গনে পরিচিত ব্যক্তিত্ব। রন্ডেবস এলাকার সেন্ট জোসেফ’স মারিয়েস্ট কলেজ ও পরবর্তীকালে ডাইওসেসান কলেজে অধ্যয়ন করেন। সহজাত ক্রীড়া প্রতিভার অধিকারী গিবস বিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালীন সময়েই বিদ্যালয় দলের পক্ষে রাগবি, ক্রিকেট ও ফুটবলে অংশগ্রহণ করতেন।
টেস্ট ক্রিকেটে তিনি দুইটি দ্বি-শতক হাঁকান। ১৯৯৯ সালে জাদ স্টেডিয়ামে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে অপরাজিত ২১১* করেন। সেজন্যে তাকে ৪৬৮ বল মোকাবেলা করতে হয়। পরেরটি করেছিলেন পাকিস্তানের বিপক্ষে। ঐ খেলায় তিনি ২৪০ বলে ২২৮ রান করেন। নিউল্যান্ডসে অনুষ্ঠিত ঐ টেস্টে গ্রেইম স্মিথের সাথে ৩৬৮ রানের জুটি গড়ে নতুন জাতীয় রেকর্ড স্থাপন করেন। দলনায়ক স্মিথের সাথে আরও দুইটি ত্রি-শতক রানের জুটি গড়েন যা টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে তিনবার তিন শতাধিক রানের জুটি। এছাড়াও জ্যাক ক্যালিসের সাথে দ্বিতীয় উইকেটে অপরাজিত ৩১৫ রানের দক্ষিণ আফ্রিকান রেকর্ড স্থাপন করেন।
১৯ জুন, ২০১২ তারিখে বাংলাদেশে নব-প্রবর্তিত টুয়েন্টি২০ চ্যাম্পিয়নশীপ হিসেবে পরিচিত বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে অংশগ্রহণ করেন। খুলনা রয়্যাল বেঙ্গলস দল তাকে ৫০,০০০ ডলারের বিনিময়ে নিজেদের দলের সদস্য করে।
স্ট্যাম্পে বল ছুঁড়ে ব্যাটসম্যানকে আউট করার ক্ষেত্রে দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেট ইতিহাসে তাকে জন্টি রোডসের পরের আসনে রাখা হয়েছে। ২০০৫ সালের শেষদিকে ক্রিকইনফোর এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, তিনি ১৯৯৯ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপের পর থেকে একদিনের আন্তর্জাতিকে সর্বোচ্চ রান আউট করার ক্ষেত্রে যে-কোন ফিল্ডারের চেয়ে অষ্টম ও রান আউটে সফলতার দিক থেকে দশম সর্বোচ্চ ফিল্ডারের মর্যাদা লাভকারী ক্রিকেটার।[১] গিবস বলেছেন যে, খেলা শুরুর পূর্বে তিনি খুব কমসংখ্যক সময়েই নেট প্র্যাকটিস করেছেন।
২০০৭ ক্রিকেট বিশ্বকাপে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে একদিনের আন্তর্জাতিকে এক ওভারে ছয়টি ছক্কা হাঁকান। ৮ জুন, ২০০৭ তারিখে সেন্ট কিটসে তেনিয়েলে পোভে নাম্নী এক রমণীর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন তিনি।[২] কিন্ত স্বল্পকাল পরেই বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে তাদের।
ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে পঞ্চম আন্তর্জাতিক ফ্রাঞ্চাইজ খেলোয়াড় ছিলেন ও প্রথম দক্ষিণ আফ্রিকান খেলোয়াড় হিসেবে নব-প্রবর্তিত টুয়েন্টি২০ প্রতিযোগিতায় নাম লেখান।[৩]
২০০১ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে বেশ কয়েকজন দলীয় সঙ্গীর সাথে নিষিদ্ধঘোষিত মাদক মারিওয়ানা সেবনের অভিযোগ উঠে তার বিরুদ্ধে।[৪] সেজন্যে তাকে জরিমানা করা হয়েছিল। সর্বাপেক্ষা গুরুতর অভিযোগ উঠে পাতানো খেলার জন্যে।
সর্বাপেক্ষা গুরুতর অভিযোগ উঠে পাতানো খেলার জন্যে। সাবেক অধিনায়ক হানসি ক্রনিয়ের সাথে তিনিও এর সাথে জড়িত ছিলেন। সিরিজের তৃতীয় একদিনের আন্তর্জাতিকে ২০ রানের চেয়ে কম রানে আউট হলে তাকে $১৫,০০০ মার্কিন ডলার প্রদান করার প্রস্তাব দেন। কিন্তু কিং কমিশনের কাছে তিনি দৃঢ়চিত্তে দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটে দূর্নীতিকে প্রশ্রয় দেননি বলে জানান। ঐ খেলায় তিনি ৭৪ রান করেন। তাকে ছয় মাসের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। এর প্রেক্ষিতে গ্রেফতার এড়িয়ে যাবার নীতি অবলম্বন করে ভারত সফরে দলের সঙ্গী হননি। এমনকি এ বিষয়ে ভারতীয় পুলিশের সাথে কোন কথা বলতে অস্বীকৃতি জানান। তারপরও ভারতে অনুষ্ঠিত ২০০৬ সালের আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলার জন্য দক্ষিণ আফ্রিকা দলের সদস্য মনোনীত হন। ফলশ্রুতিতে ভারতীয় পুলিশের সাথে পাতানো খেলার কেলেঙ্কারীতে তার জড়িতে থাকার বিষয়ে আলাপ করতে বাধ্য হন।[৫]