হাসান নাসরুল্লাহ | |
---|---|
حسن نصر الله | |
হিজবুল্লাহর মহাসচিব | |
দায়িত্বাধীন | |
অধিকৃত কার্যালয় ১৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৯২ | |
ডেপুটি | নাঈম কাসেম |
পূর্বসূরী | আব্বাস আল-মুসাওয়ী |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | বুর্জ হাম্মুদ, পূর্ব বৈরুত, লেবানন | ৩১ আগস্ট ১৯৬০
জাতীয়তা | লেবাননীয় |
রাজনৈতিক দল | হিজবুল্লাহ (১৯৮২–বর্তমান) |
অন্যান্য রাজনৈতিক দল |
|
দাম্পত্য সঙ্গী | ফাতিমা ইয়াসিন |
সন্তান |
|
পিতা | আব্দুল করিম নাসরুল্লাহ |
বাসস্থান | দক্ষিণ বৈরুত |
প্রাক্তন শিক্ষার্থী | নাজাফ হওজা |
ওয়েবসাইট | www |
ব্যক্তিগত তথ্য | |
ধর্ম | ইসলাম |
আখ্যা | শিয়া |
সম্প্রদায় | উসুলি |
ব্যবহারশাস্ত্র | জাফরি |
ধর্মীয় মতবিশ্বাস | ইসনা আশারিয়া |
প্রধান আগ্রহ | রাজনৈতিক ইসলাম[১] |
যেখানের শিক্ষার্থী |
|
শিক্ষক |
|
মুসলিম নেতা | |
যার দ্বারা প্রভাবিত
| |
সামরিক কর্মজীবন | |
আনুগত্য | লেবানন |
সেবা/ | হিজবুল্লাহ |
কার্যকাল | ১৯৯২–বর্তমান |
নেতৃত্বসমূহ | প্রধান |
যুদ্ধ/সংগ্রাম |
|
হাসান নাসরুল্লাহ (আরবি: حسن نصر الله; জন্ম ৩১ আগস্ট ১৯৬০) হলেন লেবাননীয় রাজনৈতিক ও আধাসামরিক দল হিজবুল্লাহর তৃতীয় ও বর্তমান মহাসচিব। ১৯৯২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে তার পূর্বসূরী আব্বাস আল-মুসাওয়ী ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর বিমান হামলায় নিহত হওয়ার পর থেকে তিনি দলটির প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।[২][৩] নাসরুল্লাহকে প্রায়শই আস-সৈয়দ হাসান (السيّد حسن) নামে ডাকা হয় যার সম্মানসূচক সৈয়দ অংশটি নির্দেশ করে যে তিনি হোসাইন ইবনে আলীর মাধ্যমে ইসলামী নবী মুহাম্মদের একজন বংশধর। তাঁর নেতৃত্বাধীন থাকাকালে হিজবুল্লাহকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও অন্যান্য দেশ সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে। রাশিয়া হিজবুল্লাহকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে অস্বীকার করে একটি বৈধ সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠন হিসেবে গণ্য করে।[৪] চীন এক্ষেত্রে নিরপেক্ষ থাকে এবং হিজবুল্লাহর সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রাখে।[৫][ভাল উৎস প্রয়োজন] উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের মতে হাসান নাসরুল্লাহ হলেন মধ্যপ্রাচ্যের অসাধারণ ব্যক্তিত্বদের অন্যতম।[৬]
ফিলিস্তিনিদের প্রতিরোধ সংগ্রামের প্রতি সবসময় সমর্থন ব্যক্ত করেন হিজবুল্লাহর নেতা নাসরুল্লাহ। তিনি বলেন, হিজবুল্লাহ সবসময়ই ইসরাইলবিরোধী সংগ্রামে ফিলিস্তিনিদের পাশে থাকবে। তিনি আরও বলেন, দশকের পর দশক ধরে ইসরাইল ফিলিস্তিনে জবরদখল বজায় রাখলেও তারা এখন ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে।[৭]
হাসান নাসরুল্লাহ ইহুদিবাদী ইসরাইলকে শত্রুভাবাপন্ন দেশ হিসেবে আখ্যা দেন। ইসরাইলকে একটি অবৈধ রাষ্ট্র হিসেবে উল্লেখ করেছেন এবং বলেছেন, অন্যদের দেশ বা ভূমি দখলের ভিত্তিতে ইসরাইল প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তিনি উল্লেখ করেন ইসরাইলি দখলদারিত্বের বহু বছর পরও ফিলিস্তিনিদের ভূমি ফিলিস্তিন হিসেবেই বিবেচিত হবে। ইসরায়েল বিরোধী কর্মকাণ্ডের জন্য তিনি ইসরায়েলের শত্রু হিসেবে বিবেচিত।[৮]
২০০৬ সালের ইজরায়েল-হিজবুল্লাহ যুদ্ধের সময় নাসরালাহ সম্পর্কে দুটি জনপ্রিয় গান লেখা হয়েছিল, হিজবুল্লাহ নেতাদের বেশিরভাগ মতামত নিয়ে: গান ২ টা হলো "লেবানন এর হক" এবং "ইয়াল্লাহ ইয়া নাসরুল্লাহ"। ২০০৭ সালে লেবাননের গায়ক আলা জালজালী "ইয়া নাসরালাহ" নামে একটি প্রশংসাসুচক গান রচনা করেছিলেন।এবং আহাবাবি (Ahebba'i) নামে আর একটি জনপ্রিয় গান লেবাননের খ্রিস্টান গায়ক জুলিয়া বুত্রোস রচনা করেছিলেন যেটা ২০০৬ সালের যুদ্ধের সময় তিনি দক্ষিণ লেবাননের হিজবুল্লাহ যোদ্ধাদের পাঠানো একটি টেলিভিশনে পাঠানো বার্তাটিতে নাসরাল্লাহের কথাগুলি দ্বারা অনুপ্রাণিত হন।
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়; cgie
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়; AlJazeeraprofile
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নিপার্টির রাজনৈতিক কার্যালয় | ||
---|---|---|
পূর্বসূরী সৈয়দ আব্বাস আল- মুসাওয়ি |
হিজবুল্লাহর সচিব জেনারেল ১৯৯২–বর্তমান |
উত্তরসূরী Incumbent |