হাসিমারা বিমানঘাঁটি ভারতের পশ্চিমবঙ্গে অবস্থিত একটি নবীন বায়ু সেনা ঘাঁটি।
দেশের উত্তর-পূর্বে চীনের শক্তির কথা মাথায় রেখেই এই যুদ্ধবিমানের অন্যতম ঘাঁটি তৈরি হচ্ছে উত্তরবঙ্গের সবুজে মোড়া হাসিমারায়।হাসিমারা থেকে বাংলাদেশ, ভুটান এবং চীন তুলনামূলকভাবে নিকটবর্তী। অবস্থানগত দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জায়গা। হাসিমারায় রাফাল এসে গেলে এটি অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটিতে পরিণত হবে। চীনের কথা ভেবেই ভারত সামরিক ঘুঁটি সাজাচ্ছে। আগামী দিনের পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে হাসিমারায় নিজেদেরকে তৈরি রাখতে রাফাল যুদ্ধবিমান কার্যকর ভূমিকা নেবে বলেই দাবি প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের।সাড়ে ন’ টন অস্ত্র বহন এবং এয়ার ডিফেন্স ও গ্রাউন্ড অ্যাটাকে সক্ষম রাফাল হাসিমারায় এসে গেলে পড়শি দেশ চীন চিন্তায় পড়বে স্বাভাবিকভাবেই।[১]
হাসিমারায় শেষবার ১৯৯৩ সালে রানওয়ের আস্তরণ সংস্কার করা হয়েছিল। রাফাল আসার আগে ফের রানওয়ে সংস্কারের কাজে হাত দেওয়া হয়েছে। যতটা সম্ভব মসৃণ করে তোলা হচ্ছে সেটি। এই কাজ ছ’মাসের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে। হাসিমারার বর্তমান রানওয়ে ৮৫০০ থেকে ৯ হাজার ফুট লম্বা। যা অত্যাধুনিক এই যুদ্ধবিমানের জন্য আদর্শ। হ্যাঙারও বিশেষভাবে তৈরি করা হচ্ছে। যাতে শুধু রাফালই নয়, আরও এক অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান সুখোই-৩০ সেখানে থাকতে পারে।
উত্তরবঙ্গের ডুয়ার্সের হাসিমারা বায়ুসেনা ঘাঁটি রাফাল যুদ্ধবিমানকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুতিপর্ব অনেকটাই সেরে ফেলেছে।২০২০-তে প্রথমে পাঞ্জাবের আম্বালা বায়ুসেনা ঘাঁটিতে পরমাণু অস্ত্রবাহী এই যুদ্ধবিমান নামবে। তার এক-দেড় বছরের মধ্যেই হাসিমারা বায়ুসেনা ঘাঁটিতে চলে আসবে আরও বেশ কয়েকটি রাফাল। সেকারণেই এই অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান রাখার জন্য হ্যাঙার তৈরির কাজ প্রায় শেষের পথে। শুরু হয়েছে রানওয়ে মসৃণ করার কাজও। সম্পূর্ণ নতুন মোড়কে হাসিমারা ঘাঁটিকে তৈরি করার পথে কয়েক কদম ইতিমধ্যেই এগিয়ে গিয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক।
হাসিমারা বায়ুসেনা ঘাঁটির এয়ার কমোডর জে এস মান । বর্তমানে হাসিমারায় বায়ুসেনার কোনও স্কোয়াড্রন নেই।