হিউ গ্রিফিথ | |
---|---|
Hugh Griffith | |
জন্ম | হিউ এমরিস গ্রিফিথ ৩০ মে ১৯১২ |
মৃত্যু | ১৪ মে ১৯৮০ | (বয়স ৬৭)
সমাধি | গোল্ডার্স গ্রিন ক্রিমেটোরিয়াম |
পেশা | অভিনেতা |
কর্মজীবন | ১৯৩৯-১৯৮০ |
দাম্পত্য সঙ্গী | (অ্যাডেলগুন্ডে) মার্গারেট বিয়াত্রিচ ভন ডেচেন্ড (বি. ১৯৪৭–১৯৮০) |
আত্মীয় | এলেন রজার জোন্স (বোন) |
হিউ এমরিস গ্রিফিথ (৩০ মে ১৯১২ - ১৪ মে ১৯৮০) একজন ওয়েলসীয় চলচ্চিত্র, মঞ্চ ও টেলিভিশন অভিনেতা ছিলেন।[১] তিনি বেন-হার (১৯৫৯) চলচ্চিত্রে তার অভিনয়ের জন্য সর্বাধিক প্রসিদ্ধ, যার জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতা বিভাগে একাডেমি পুরস্কার অর্জন করেন। এছাড়া তিনি টম জোন্স (১৯৬৩) চলচ্চিত্রে অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতা বিভাগে একাডেমি পুরস্কার, গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার ও শ্রেষ্ঠ প্রধান চরিত্রে অভিনেতা বিভাগে বাফটা পুরস্কারের মনোনয়ন এবং অলিভার! (১৯৬৮) চলচ্চিত্রের জন্য শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতা বিভাগে গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন। তার অভিনীত অন্যান্য উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র হল এক্সোডোস (১৯৬০), মিউটিনি অন দ্য বাউন্টি (১৯৬২), ও দ্য ফিক্সার (১৯৬৮)।
গ্রিফিথ ১৯১২ সালের ৩০শে মে ওয়েলসের অ্যাঙ্গলসির মারিয়ান-গ্লাসে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ম্যারি ও উইলিয়াম গ্রিফিথের সর্বকনিষ্ঠ পুত্র।[২] তিনি লেঙ্গফনি কাউন্টি স্কুলে পড়াশোনা করেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় ইংরেজিতে অকৃতকার্য হন। এরপর তিনি ব্যাংকিংয়ে কর্মজীবন শুরুর লক্ষ্যে ব্যাংকের কেরানি হিসেবে যোগদান করেন। সেখান থেকে তিনি লন্ডনে স্থানান্তরিত হন, যেখানে তিনি অভিনয়ের সুযোগ পান।[৩]
রয়্যাল একাডেমি অব ড্রামাটিক আর্টে ভর্তির কিছুদিনের মধ্যেই তিনি অভিনয়ের পরিকল্পনা বাদ দিয়ে ব্রিটিশ সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে তিনি রয়্যাল ওয়েলচ ফুসিলিয়ের্সের সাথে ছয় বছর ভারত ও বার্মায় কর্মরত ছিলেন।[৩] ১৯৪৬ সাল থেকে তিনি পুনরায় তার অভিনয় জীবন শুরু করেন।
গ্রিফিথ ১৯৪০-এর দশকের শেষভাগে ব্রিটিশ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে তার চলচ্চিত্র জীবন শুরু করেন এবং ১৯৫০-এর দশকে হলিউডেও কাজ করেন। তিনি বেন-হার (১৯৫৯) চলচ্চিত্রে শেখ ইলদেরিম চরিত্রে অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতা বিভাগে একাডেমি পুরস্কার অর্জন করেন। এরপর তিনি টম জোন্স (১৯৬৩) চলচ্চিত্রে অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতা বিভাগে একাডেমি পুরস্কার, গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার ও শ্রেষ্ঠ প্রধান চরিত্রে অভিনেতা বিভাগে বাফটা পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন।
১৯৬৮ সালে তিনি অলিভার! চলচ্চিত্রে ম্যাজিস্ট্রেট চরিত্রে অভিনয় করেন, যার জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতা বিভাগে গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন। তার দীর্ঘমেয়াদী মদ্যপানের অভ্যাসের জন্য তার কর্মজীবনের শেষভাগ ক্ষতিগ্রস্থ হয়।[৪][৫]
গ্রিফিথ প্রায় এক বছর অসুস্থ থাকার পর ১৯৮০ সালের ১৪ই মে তার ৬৮তম জন্মদিনের দুই সপ্তাহ পূর্বে লন্ডনের কেনসিংটনে তার নিজ বাড়িতে মৃত্যুবরণ করেন।[৬]
বছর | পুরস্কার | বিভাগ | মনোনীত কর্ম | ফলাফল | সূত্র. |
---|---|---|---|---|---|
১৯৫৯ | একাডেমি পুরস্কার | শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতা | বেন-হার | বিজয়ী | [৭] |
ন্যাশনাল বোর্ড অব রিভিউ পুরস্কার | শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতা | বিজয়ী | |||
১৯৬৩ | একাডেমি পুরস্কার | শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতা | টম জোন্স | মনোনীত | [৮] |
গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার | শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতা | মনোনীত | [৯] | ||
বাফটা পুরস্কার | শ্রেষ্ঠ প্রধান অভিনেতা | মনোনীত | [১০] | ||
১৯৬৮ | গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার | শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতা | অলিভার! | মনোনীত | [১১] |