এই নিবন্ধটি অন্য একটি ভাষা থেকে আনাড়িভাবে অনুবাদ করা হয়েছে। এটি কোনও কম্পিউটার কর্তৃক অথবা দ্বিভাষিক দক্ষতাহীন কোনো অনুবাদক কর্তৃক অনূদিত হয়ে থাকতে পারে। |
হিগুরাশি নো নাকু কোরো নি | |
![]() | |
ひぐらしのなく頃に (হিগুরাশি নো নাকু কোরো নি) | |
---|---|
ধরন | |
গেম | |
নির্মাতা | 07থ এক্সপ্যানশন |
প্রকাশক |
|
ধরন | ভিজুয়্যাল নভেল |
ভিত্তিমঞ্চ | মাইক্রোসফ্ট উইন্ডোজ প্লেস্টেশন ২ নিন্টেন্ডো ডিএস আইওএস অ্যান্ড্রয়েড প্লেস্টেশন ৩ প্লেস্টেশন ভিটা ম্যাকওএস লিনাক্স নিন্টেন্ডো সুইচ প্লেস্টেশন ৪ |
মুক্তি |
|
মাঙ্গা | |
লেখক | রিয়ুকিশি০৭ |
অঙ্কনশিল্পী | কারিন সুজুরাগী ইউতোরি হোজো জিরো সুজুকি ইয়োশিকি তোনোগাই হিনাসে মোমোয়ামা এন কিতো মিমোরি ইউনা কাগেসাকি |
প্রকাশক | স্কোয়ার এনিক্স কাদোকাওয়া শোতেন |
ইংরেজি প্রকাশক | |
সাময়িকী | গানগান পাওয়ারড গানগান উইং জিফ্যান্টাসি মাসিক শোনেন গানগান মাসিক গানগান জোকার কম্প এস |
ইংরেজি সাময়িকী | |
জনতাত্ত্বিক | শোনেন, সেইনেন |
মূল প্রকাশ | ২৪ মার্চ, ২০০৫ – ২২ নভেম্বর, ২০১১ |
খণ্ড | ৩৮ |
মাঙ্গা | |
লেখক | রিয়ুকিশি০৭ |
অঙ্কনশিল্পী | কারিন সুজুরাগী ইউতোরী হোজো জিরো সুজুকি ইয়োশিকি তোনোগাই মিমোরি রাতো |
প্রকাশক | স্কোয়ার এনিক্স |
মূল প্রকাশ | ২০০৬ – ২০০৭ |
খণ্ড | ৪ |
অ্যানিমে টেলিভিশন ধারাবাহিক | |
হোয়েন দে ক্রাই | |
পরিচালক | চিয়াকি কোন |
প্রয়োজক | হিরোউকি ওমোরি মিকা নোমুরা ইয়াসুতাকা হিউগা |
লেখক | তোশিফুমি কাওয়াসে |
সুরকার | কেনজি কাওয়াই |
স্টুডিও | স্টুডিও ডিন |
লাইসেন্সকারী | |
মূল নেটওয়ার্ক | চিবা টিভি, কানসাই টিভি, টোকাই টিভি |
মূল প্রকাশ | ৪ এপ্রিল, ২০০৬ – ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০০৬ |
পর্ব | ২৬ |
অ্যানিমে টেলিভিশন ধারাবাহিক | |
হোয়েন দে ক্রাই: কাই | |
পরিচালক | চিয়াকি কোন |
প্রয়োজক | হিরোউকি ওমোরি মিকা নোমুরা তাকেমা ওকামুরা |
লেখক | তোশিফুমি কাওয়াসে |
সুরকার | কেনজি কাওয়াই |
স্টুডিও | স্টুডিও ডিন |
লাইসেন্সকারী | |
মূল নেটওয়ার্ক | চিবা টিভি, কানসাই টিভি, টোকাই টিভি |
মূল প্রকাশ | ৬ জুলাই, ২০০৭ – ১৭ ডিসেম্বর, ২০০৭ |
পর্ব | ২৪ |
অ্যানিমে | |
হোয়েন দে ক্রাই: নেকোগোরোশি চ্যাপ্টার | |
পরিচালক | চিয়াকি কোন |
প্রয়োজক | হিরোউকি ওমোরি মিকা নোমুরা তাকেমা ওকামুরা |
লেখক | তোশিফুমি কাওয়াসে |
সুরকার | কেনজি কাওয়াই |
স্টুডিও | স্টুডিও ডিন |
মুক্তি | ২৭ জুলাই, ২০০৭ |
মাঙ্গা | |
লেখক | রিয়ুকিশি০৭ |
অঙ্কনশিল্পী | তোমোহি |
প্রকাশক | কোদানশা |
মুদ্রণ | কোদানশা বক্স |
মূল প্রকাশ | আগস্ট ২০০৭ – মার্চ ২০০৯ |
খণ্ড | ১৭ |
অ্যানিমে | |
পরিচালক | আতারু ওইকাওয়া |
প্রয়োজক | তাকেশি ওইকাওয়া |
লেখক | আতারু ওইকাওয়া |
সুরকার | কেনজি কাওয়াই |
স্টুডিও | জেনিয়ন ইউনিভার্সাল এন্টারটেইনমেন্ট ওয়াশিরো-সামা পার্টনারস |
মুক্তি | ১০ মে ২০০৮ |
অ্যানিমে | |
হোয়েন দে ক্রাই: রেই | |
পরিচালক | তোশিফুমি কাওয়াসে |
প্রয়োজক | হিরোউকি ওমোরি মিকা নোমুরা তাকেমা ওকামুরা |
লেখক | তোশিফুমি কাওয়াসে |
সুরকার | কেনজি কাওয়াই |
স্টুডিও | স্টুডিও ডিন |
লাইসেন্সকারী | |
মুক্তি | ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ – ২১ আগস্ট, ২০০৯ |
অ্যানিমে | |
হিগুরাশি নো নাকু কোরো নি: চিকাই | |
পরিচালক | আতারু ওইকাওয়া |
প্রয়োজক | তাকেশি ওইকাওয়া |
লেখক | আতারু ওইকাওয়া |
সুরকার | কেনজি কাওয়াই |
স্টুডিও | জেনিয়ন ইউনিভার্সাল এন্টারটেইনমেন্ট ওয়াশিরো-সামা পার্টনারস |
মুক্তি | ১৮ এপ্রিল ২০০৯ |
অ্যানিমে | |
হিগুরাশি নো নাকু কোরো নি: কিরা | |
পরিচালক | হিদেকি তাচিবানা |
প্রয়োজক | ইয়োশিহিতো দান্নো সাতোশি নাগাওকা সাতোশি ফুকাও তাকেমা ওকামুরা |
লেখক | তোশিফুমি কাওয়াসে |
সুরকার | কেনজি কাওয়াই তোমোকি কিকুয়া |
স্টুডিও | স্টুডিও ডিন |
মুক্তি | ২১ জুলাই, ২০১১ – ২৫ জানুয়ারি, ২০১২ |
অ্যানিমে | |
হিগুরাশি নো নাকু কোরো নি: আউটব্রেক | |
পরিচালক | তোশিফুমি কাওয়াসে |
প্রয়োজক | মাসাইউকি লিদা সাতোশি ফুকাও শিগেতো সুজুকি তাকেমা ওকামুরা |
লেখক | তোশিফুমি কাওয়াসে |
সুরকার | কেনজি কাওয়াই |
স্টুডিও | স্টুডিও ডিন |
মুক্তি | ১৫ আগস্ট, ২০১৩ |
অ্যানিমে | |
পরিচালক | তোরু ওতসুকা তারো মিয়াওকা |
প্রয়োজক | আতসুহি নাগাওচি মোতোকো কিমুরা তাতসুয়া ইতো |
লেখক | তোরু হাসেগাওয়া ইয়ো হোসাকা |
স্টুডিও | বিএস স্কাই পারফেক টিভি! |
মুক্তি | ২০ মে, ২০১৬ – ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৬ |
অ্যানিমে টেলিভিশন ধারাবাহিক | |
হিগুরাশি: হোয়েন দে ক্রাই– গৌ | |
পরিচালক | কেইচিরো কাওয়াগুচি |
প্রয়োজক | তাকাইউকি নাগাতানি জোতারো ইশিগামি ইউকো হিরাতা মাকোতো নাকামুরা হিরোতাকা কানেকো সাতোরু শিমোসাতো তোমোইউকি ওয়াদা তাকেমা ওকামুরা |
লেখক | নাওকি হায়াশি |
সুরকার | কেনজি কাওয়াই |
স্টুডিও | প্যাশনে |
লাইসেন্সকারী | ফানিমেশন |
মূল নেটওয়ার্ক | টোকিও এমএক্স, বিএস১১, সান |
মূল প্রকাশ | ১ অক্টোবর, ২০২০ – ১৯ মার্চ, ২০২১ |
পর্ব | ২৪ |
অ্যানিমে টেলিভিশন ধারাবাহিক | |
হিগুরাশি: হোয়েন দে ক্রাই– সোতসু | |
পরিচালক | কেইচিরো কাওয়াগুচি |
প্রয়োজক | তাকাইউকি নাগাতানি জোতারো ইশিগামি ইউকো হিরাতা মাকোতো নাকামুরা হিরোতাকা কানেকো সাতোরু শিমোসাতো তোমোইউকি ওয়াদা তাকেমা ওকামুরা |
লেখক | নাওকি হায়াশি |
সুরকার | কেনজি কাওয়াই |
স্টুডিও | প্যাশনে |
লাইসেন্সকারী | ফানিমেশন |
মূল প্রকাশ | জুলাই ২০২১ – পূর্বাহ্নে পরিকল্পিত |
অন্যান্য | |
হিগুরাশি ডেব্রেক (ফাইটিং গেম) |
হিগুরাশি হোয়েন দে ক্রাই (জাপানি: ひぐらしのなく頃に হেপবার্ন: হিগুরাশি নো নাকু কোরো নি, টেমপ্লেট:আক্ষরিক. "যখন সিকাডারা কাঁদে"), অথবা ২০২০ সালের আগে, উত্তর অ্যামেরিকায় মুক্তিপ্রাপ্ত অ্যানিমে অভিযোজনের ফলে লোকেমুখে সর্বাধিক প্রচলিত নাম হোয়েন দে ক্রাই, হলো ০৭থ এক্সপ্যানশন-এর প্রযোজিত একটি জাপানীজ হত্যা রহস্য দোজিন সফ্ট ভিজুয়্যাল নভেল সিরিজ, যেটি এই হোয়েন দে ক্রাই ফ্র্যাঞ্চাইজের প্রথম দুই খণ্ডের সমন্বয়ে গঠিত। একদল তরুণ বন্ধুদের নিয়ে এই সিরিজের শুরু, যারা হিনামিজাওয়া নামে একটি পুরনো গ্রামে বসবাস করে এবং ১৯৮৩ সালে সেখানে ঘটে যাওয়া ঘটনাদ্বয়ের উপর কাহিনীটি কেন্দ্রীভূত হয়েছে।
গেমগুলি এনস্ক্রিপ্টার গেম ইঞ্জিন এবং অপারেটিং সিস্টেম মাইক্রোসফ্ট উইন্ডোজ থেকে তৈরি করা হয়েছে। এই সিরিজের প্রথম গেম, ওনিকাকুশি-হেন, ২০০২ সালের ১০ই আগস্ট মুক্তি পেয়েছিল, ও আসল পিসি সিরিজের অষ্টম বা শেষ গেম, মাতসুরিবায়াশি-হেন, ২০০৬ সালে আগস্টের ১৩ তারিখ মুক্তি পেয়েছিল। যেহেতু হিগুরাশি নো নাকু কোরো নি শিরোনামে, এর প্রথম চারটি গেমকে হোয়েন দে ক্রাই ফ্র্যাঞ্চাইজের প্রথম এন্ট্রি হিসেবে বিবেচিত করা হয়েছিল, তাই পরবর্তী চার গেমকে হিগুরাশি নো নাকু কোরো নি কাই শিরোনামে মুক্তি দেওয়া হয় এবং এটিকে দ্বিতীয় এন্ট্রি হিসেবে মনোনীত করা হয়েছিল। মূল সিরিজের সঙ্গে আরও নতুন গল্প খন্ড যুক্ত করা হয়েছিল মাঙ্গা এবং প্লেস্টেশন ২ ও নিন্টেন্ডো-এর জন্যে তৈরী ভিডিও গেমের সঙ্গে, যাতে কাহিনীটিকে আরো সুবিস্তৃত করা যায়। আসল ৮টি পিসি রিলিজের ইংরেজি ভার্সান মাঙ্গাগেমার ২০০৯ থেকে ২০১০ সালের মধ্যে মুক্তি দিয়েছিল।
দুটি ড্রামা সিডির সেট তৈরি করা হয়েছিল, একটি ওয়াইউতা এবং আরেকটি ফ্রন্টিয়ার ওয়ার্কস-এর দ্বারা। আগস্ট ২০০৭ থেকে মার্চ ২০০৯ সাল পর্যন্ত কোদানশা এই গেম সিরিজকে উপন্যাস আকারে প্রকাশ করেছিল। গেমগুলির থেকে একটি মাঙ্গা সিরিজ অভিযোজিত হয়, যা ৮টি আলাদা আলাদা মাঙ্গা আর্টিস্টরা এক থেকে তিনটি বিভিন্ন গল্প খন্ডকে নিয়ে তাদের কাজ সম্পন্ন করেছিল এবং স্কোয়ার এনিক্স ও কাদোকাওয়া শোতেন এদেরকে প্রকাশিত করেছিল।উত্তর আমেরিকায়, ইয়েন প্রেস মাঙ্গাটি দত্তাধিকারে নিয়ে ইংরেজিতে হিগুরাশি: হোয়েন দে ক্রাই নামে মুক্তি দেয় এবং এটির প্রথম খণ্ড নভেম্বর ২০০৮ সালে মুক্তি পেয়েছিল। জাপানে এই মাঙ্গা মুক্তিকে অনুসরণ করে, স্টুডিও ডিন প্রযোজনায় এবং চিয়াকি কোন-এর পরিচালনায় দুটি অ্যানিমে টেলিভিশন সিরিজ ২০০৬ ও ২০০৭ সালে তৈরি হয়; ২০০৯ সালে একটি তৃতীয় অ্যানিমে অভিযোজনের মুক্তি হয় অরিজিনাল ভিডিও অ্যানিমেশন (ওভা) হিসেবে। প্রথম অ্যানিমে সিরিজটি জিনিয়ন এন্টারটেইনমেন্ট ইংরেজিতে ২০০৭ সালে দত্তাধিকার গ্রহণ করেছিল, কিন্তু ২০১১ সালে সেই অধিকার ফুরিয়ে যায়। তখন থেকে সেন্টাই ফিল্মওয়ার্কস দুটি অ্যানিমে সিরিজ সমেত ২০০৯ সালের ওভাগুলিকে নিজের অধিকার নিয়ে নেয়। আতারু ওইকাওয়ার লেখা ও পরিচালিত একটি লাইভ অ্যাকশন ফিল্ম জাপানের থিয়েটারগুলিতে ২০১৬ সালের ২০শে মে মুক্তি পায়, যার একটি সিক্যুয়েল ২০০৯ সালের ১৬ই এপ্রিল মুক্তি পেয়েছিল। ৬টি পর্বের একটি লাইভ অ্যাকশন টেলিভিশন সিরিজ জাপানে ২০শে মে ২০১৬ সালে এবং ৪টি পর্বের একটি সিক্যুয়াল ২০১৬ সালের ২৫শে নভেম্বর প্রিমিয়ার হয়। প্যাশনে একটি নতুন অ্যানিমে টেলিভিশন সিরিজ অক্টোবর ২০২০ সাল থেকে ২০২১ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত সম্প্রচারিত করে, এবং একটি সিক্যুয়াল জুলাই ২০২১ সালে আসতে চলেছে।।
"হিগুরাশি হোয়েন দে ক্রাই" হলো একটি "সাউন্ড নভেল", ভিজুয়্যাল নভেলের এমন একটি প্রকরণ যা শব্দ এবং পরিবেশের উপর বেশি নির্ভর করে।[৪] গেমপ্লেতে স্বতন্ত্র দৃশ্যগুলি পড়তে পারায় সীমাবদ্ধতা রয়েছে, যখন চরিত্রেরা স্থির দ্বিমাত্রিক স্প্রাইট প্রদর্শিত করে।[৫] গেমের যে সংস্করণটি হোম কনসোলগুলিতে পোর্ট করা হয়েছে, তাতে বাড়তি পেশাদার কণ্ঠ শিল্পীদের সরবরাহিত কণ্ঠ অভিনয় বর্তমান রয়েছে।[৬] গেমের কাহিনীটি "অধ্যায়" নামে বিভিন্ন গল্প আর্কে বিভক্ত আছে, যেগুলি ডেভলপারদের দ্বারা কঠোরভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়ে এক অনুক্রমে অভিগম্য হয়েছে।[৪] কাহিনী বর্ণনাটি বিভিন্ন চরিত্রের পক্ষে পরিচালিত হয়।[৭] কোনো অধ্যায়ের একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ লেখা পড়ার পর প্লেব্যাক সমাপ্ত হয়। সেই সময়, প্লেয়ারকে গেম সেভ করতে ডাকা হয়, এবং গেমের সেটিংসের কিছু "টিপস" প্রকাশ করা হয়, যা মূল কাহিনীতে উপস্থিত ছিল না। আখ্যানের বর্ণিত রহস্যের পেছনে থাকা সমাধানকে অনুমান করতে টিপগুলি প্লেয়ারদের কয়েকসময় সাহায্যও করতে পারে।[৪] গেমের অধ্যায়গুলি দুটি শ্রেণীতে বিভক্ত — "প্রশ্ন আর্ক" ও "উত্তর আর্ক"। প্রত্যেক প্রশ্ন আর্ক হলো বিকল্প জগতে জায়গা করে নেওয়া স্বনির্ভরশীল কাহিনী, এদিকে উত্তর আর্ক হলো নির্দিষ্ট প্রশ্ন আর্কগুলির মতো একই দৃষ্যবিবরণীতে প্রস্তুত এবং প্লেয়ারদের একটি প্রশ্ন আর্ক সংক্রান্ত ঘটনার যথাযথ দর্শন সূচিত করতে সাহায্য করে। প্রত্যেক অধ্যায়ে একটি "কঠিনতার পরিসীমা" বরাদ্দ আছে[৮] যেটি রহস্যের জটিলতা দেখায়। কোনো একটি অধ্যায় পড়া শেষ হলে, সকল পূর্ববর্তী টিপস্ আর স্বতন্ত্র দৃশ্যের ছবি গ্যালারিরূপে প্লেয়ারদের জন্যে ম্যান মেনুতে চলে আসে। তারই সাথে, প্লেয়ার "স্টাফ রুম" নামে একটি ফিচার পাবে, যেখানে লেখক রিয়ুকিশি০৭ সেই অধ্যায়টি নিয়ে আলোচনা ও পরীক্ষা করে,[৯] অথবা "অল-কাস্ট রিভিউ সেশন"টি তারা পায়, যেখানে চরিত্রেরা চতুর্থ দেওয়াল ভেঙ্গে দেয় এবং অধ্যায়ের ঘটনাগুলি সম্পর্কে বিতর্ক করে।।
সিরিজটি হলো ০৭থ এক্সপ্যানশন কর্তৃক প্রযোজিত প্রথম ভিজুয়্যাল নভেল।[১০] গেমের পরিচালক ও দৃশ্য লেখক হলো রিয়ুকিশি০৭, যিনি চরিত্র অঙ্কনও নিজে করেছেন। ব্যাকগ্রাউন্ডের ছবিগুলো রিয়ুকিশি০৭, তার ছোট ভাই ইয়াতাজাকুরা, আর কামেয়া মান্নেদো তুলেছেন। প্রোগ্রামিংয়ে ও মূল কাঠামোয় ইয়াতাজাকুরা কাজ করেছেন, বিরতি ও টিপসে কাজ করেচেন৪ইউ, মিনি গেমগুলিতে বিটি কজ করেছে। গেম ইঞ্জিন এনস্ক্রিপ্টার দিয়ে গেমটি উদ্ভবিত হয়েছে। "হিগুরাশি"র গানগুলি বিভিন্ন সঙ্গীত শিল্পীদের দ্বারা গাওয়া হয়েছে, দাই সমেত পেশাদার আর "দোজিন" শিল্পীরা সকলেই।
২০০৪ সালে রিয়ুকিশি০৭ লিখেছিলেন যে তিনি "হিগুরাশি নো নাকু কোরো নি" পরিকল্পনার সময় কীভাবে কিয়ের কাজ দেখে প্রভাবিত হয়েছিলেন।[১১] অন্যান্য ভিজুয়্যাল নভেলগুলির মধ্যে, রিয়ুকিশি০৭ কি-য়ের গেমগুলি তথ্যসূত্র হিসেবে খেলেন এবং এগুলি বিশ্লেষণ করে তাদের বিখ্যাত হওয়ার কারন খোঁজেন। তিনি বুঝতে পারেন যে মূল রহস্যটা আসলে কাহিনীগুলির মধ্যে লুকিয়ে আছে। কাহিনী সর্বদা সাধারন হাসিখুশি দিনগুলির সাথে শুরু হবে, কিন্তু হঠাৎ এমন একটা কিছু ঘটনা তাতে ঘটবে, যাতে প্লেয়ার চমকে গিয়ে কেঁদে ওঠে। তিনি "হিগুরাশি"র গোড়া হিসেবে এই একই পদ্ধতি ব্যবহার করবে বলে ঠিক করলেন, কিন্তু প্লেয়ার দের কাঁদানোর পরিবর্তে ভয়ঙ্কর জিনিস দেখিয়ে ভয় দেখানোর চেষ্টা করেন। এইভাবে, রিয়ুকিশি চেয়েছিলেন কি-কে "মাস্টারপিস মেকার" হিসেবে বর্ণনা করবেন।[১১]
২০০৮ সালের ডিসেম্বর মাসে, ইয়েন প্রেসের "ইয়েন প্লাস" মাঙ্গা সংহিতার একটি সাক্ষাৎকারে রিয়ুকিশি০৭ বলেন যে "হিগুরাশি"র সূচনা হয় হিনামিজাওয়া তেইরিয়ুজো (雛見沢停留所, lit. হিনামিজাওয়া বাস স্টপ) নামের একটি অপ্রকাশিত থিয়েটার স্ক্রিপ্ট থেকে, যা তিনি "হিগুরাশি" গেমের মুক্তির কয়েক বছর আগে লিখেছিলেন।[১২] যখন তিনি স্ক্রিপ্টটি পুনরায় লিখবেন এবং মুক্তি দেবেন বলে ঠিক করেন, তখন তিনি "সরল, মজাদার জীবন ও সাধারন কিছু থেকে উঠে আসা কোনো কিছু ভয়ঙ্করের মধ্যে বৈপরীত্য" তৈরি করতে চেয়েছিলেন। "হিগুরাশি" জগৎটি সৃষ্টি করার সময় রিয়ু কিশি০৭ সেইশি ইয়োকোমোজির কথায় চমৎকারভাবে অনুপ্রেরণা পান। রিয়ুকিশি০৭ সিদ্ধান্ত নিলেন "গল্পটি আগে থেকে এমনভাবে তৈরি করবেন, যাতে কিছু দীর্ঘকালীন কাহিনীগুলো দেখলে সত্যিটা সামনে চলে আসে"। যদিও এটিকে তিনি প্রথমে একটিমাত্র গেম হিসেবে মুক্তি দেওয়ার কথা চিন্তা করেছিলেন কারন তিনি মনে করেন গল্পটি একটা বছরের মধ্যেই লেখা সম্পূর্ণ হয়ে যাবে।[১২]
"হিগুরাশি" শব্দটি একপ্রকারের ঘুর্ঘুরে পোকার নাম।[১৩] "নাকু"-র অর্থ হলো "শব্দ তৈরি করা" (鳴く), বিশেষত আমনুষ্যগত উত্তেজনার। রিয়ুকিশির অনুযায়ী, প্রতীকচিহ্নে লাল Na (な) হলো শিরোনামেরই একটি অফিসিয়াল অংশ।।[১৪]
হিগুরাশি নো নাকু কোরো নি, ১৯৮৩ সালের জুন মাসে, হিনামিজাওয়া (雛見沢) নামে একটি কাল্পনিক গ্রামে স্থান দখল করে। এর ঠিক কিছু সময় আগে কাহিনীর কেন্দ্রীয় চরিত্র, মায়বারা কেইচি, এই গ্রামে বসবাস করা শুরু করে এবং তার স্কুলের সহপাঠীদের— মিয়ন সোনোজাকি, তার যমজ বোন শিয়ন সোনোজাকি, রেনা রিউগু, রিকা ফুরুদে ও সাতোকো হোজো-কে নিজের বন্ধু বানিয়ে ফ্যালে। কেইচি খুব শীঘ্রই এই গ্রামের বার্ষিক উৎসব, ওয়াতানাগাশি উৎসবের সম্বন্ধে জানতে পারে, যা উদযাপন করা হয় গ্রামের স্থানীয় দেবতা ওয়াশিরো-কে ধন্যবাদ ও স্মরণ করার জন্যে। হিনামিজাওয়াকে প্রথমত দেখলে শান্ত আর শান্তিপূর্ন মনে হবে, কিন্তু উৎসবের কিছু আগে কেইচি জানতে পারে যে এই গ্রামের মানুষেরা পরস্পর চার বছর ধরে এই উৎসবের সন্ধ্যায় খুন হয়ে বা নিখোঁজ হয়ে আসছে। এইসমস্ত অপরাধের রহস্য এখনো পর্যন্ত কেউ সমাধান করতে পারেনি এবং গ্রামের বাসিন্দারা একে ওয়াশিরো অভিশাপ বলে থাকে। এবছর, উৎসবের পরের দিনে পুলিশ এই গ্রামের ক্লিনিকের নার্স, মিয়ো তাকানোর দগ্ধ দেহ খুঁজে পায় এবং ফ্রিল্যান্স ফটোগ্রাফার জিরো তোমিতাকের মৃতদেহ আবিষ্কার করে, যাকে দেখে বোঝা যায় যে সে তার নিজের হাত দিয়ে গলা ছিঁড়ে নিয়েছিল। বেশিরভাগ চ্যাপ্টারে, কেইচি এই ওয়াশিরো অভিশাপকে নিয়ে অনুসন্ধান করার চেষ্টা করে, কিন্তু শেষকালে শুধুমাত্র সে আর তার বন্ধুরা ভৌতিকভাবে বিকারগ্রস্ত হয়ে পড়ে তাদেরই কেউ একজন আরেকজনকে হত্যা করে অপরাধ সৃষ্টি করে। উৎসবের কিছু দিন পরে, রিকার মৃতদেহ, ওয়াশিরোকে উৎসর্গ করে থাকা পারিবারিক মন্দিরের মধ্যে খুঁজে পাওয়া যায়, এবং সেই একই দিনে মারাত্বকরকমভাবে এই গ্রামে সোয়াম্প গ্যাসের নির্গমন ঘটে, যার ফলে পুরো গ্রামের সকলেই মারা যায়।
উত্তর খন্ডগুলিতে বোঝা যায় যে আগের প্রত্যেকটি খণ্ড হলো এক একটি বিকল্প বাস্তব, যেখানে রিকা নিজের মৃত্যুকে আটকানোর আপ্রাণ চেষ্টা করে গেছে। ফুরুদে মন্দিরের পুরোহিত হওয়ার ফলে রিকা, হানিয়ু নামে একটি আত্মার সাথে যোগাযোগ করতে পারে, যে ওয়াশিরোর দূত হিসেবে উপচরিত হয়েছিল এবং সে একজন ফুরুদে পরিবারের পূর্বসুরী। রিকা মরে গেলে হানিয়ু তাকে অপর একটি বাস্তব জগতে পাঠিয়ে দিত, যাতে সে তার পরিস্থিতি পরিবর্তন করতে পারে। রিকা তার অতীতের সবকটি বাস্তব জগতের কথা মনে রাখতে পারে, শুধুমাত্র তার মৃত্যুর শেষ মিনিটগুলি ছাড়া, ফলে তার এই অকাল পরিণতির কারন সে খুঁজে পেতে পারেনা। মিনাগোরোশি-হেন ও মাতসুরিবায়াশি-হেন চ্যাপ্টারগুলিতে আমরা জানতে পারি, মিয়ো, যে কিনা এই গ্রামের একটি স্থানীয় পরজীবী রোগকে নিয়ে অনুসন্ধান করছে, সেই ওয়াশিরো অভিশাপের নাম ভঙ্গিয়ে আগের কিছু অপরাধের পেছনে রয়েছে। রোগটি কার্যকরী হওয়া শুরু করে, যখন কেউ "সংক্রামক রানীর" থেকে কিছু দূরত্বে চলে যায়। এই রানী আসলে নিজের থেকে একপ্রকার ফেরোমন মুক্ত করে, যা গ্রামবাসীদের রোগের প্রকোপ থেকে বাঁচিয়ে রাখে, অথবা তাদেরকে, যারা প্রচণ্ড মানসিক চাপে থাকে। সংক্রমিত মানুষেরা ধীরে ধীরে তাদের সদ্বিবেচনা হারিয়ে ফেলে ও নিজেদের গলা চিরে আত্মহত্যা করে ফ্যালে। ফুরুদে পরিবারের সকল নারীরা সংক্রামক রানী হিসেবে ভূমিকা পালন করে গেছে, এবং এখন রিকা তার বাবা মার মৃত্যুর পর এই পরিবারের একমাত্র প্রতিনিধি।
মিয়ো রিকাকে প্রত্যেক বাস্তবতায় হত্যা করেছে এই রোগকে অবমুক্ত করার জন্যে, যাতে সে তার পালিত পিতামহর কাজকে প্রমাণিত করতে পারে, যাকে এই রোগের থিসিস লেখার জন্যে বিজ্ঞানমহল কঠিনভাবে উপহাসের পাত্র ও লজ্জিত করেছে। কয়েক শত লুপের পর কেইচির অবচেতনভাবে পূর্ববর্তী কিছু লুপের কথা মনে পড়ে যায়, ফলে সে কিছু আসন্ন সংকট এড়াতে পারে এবং সকলে মিলে মিয়োকে প্রায় পরাস্ত করতে ফ্যালে। অন্তিম লুপে, দলের সকলে হানিয়ুকে তাদের সঙ্গে অংশগ্রহণ করতে বলে, ও তাই সে একটি বাস্তব শরীর তৈরি করতে সক্ষম হয়ে যায়। তার সহায়তায়, সকলে শেষপর্যন্ত বেঁচে থাকে ও মিয়োর পরিকল্পনা সব বাঁচাল করে দেয়। এরপর মিয়ো ও তার বাবাকে বাঁচাতে হানিয়ু অতীতে ফিরে যায় এবং সমস্ত ভবিষ্যত পরিবর্তন করে দেয়।।
সিরিজকে কেন্দ্র করে কতকগুলি ড্রামা সিডির সেট মুক্তি পেয়েছিল, মূলত ফ্রন্টিয়ার ওয়ার্কস আর ওয়াইউতার মাধ্যমে এগুলি বিতরিত হয়েছিল।[১৭] পরবর্তী মুক্তিগুলি অন্যান্য মিডিয়া অভিযোজনের থেকে আলাদা হয় কারন সেগুলিতে আসল সাউন্ড নভেল থেকে ব্যাপকভাবে মূল বিষয়বস্তুগুলি নেওয়া হয়েছিল, এবং কয়েকটি সময় এগুলিতে দাই-এর অ্যালবাম থেকে গানও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। HOBiRECORDS প্রকাশিত মূল ৮টি সাউন্ড নভেল খণ্ড মোট ১১টি সিডিতে মুক্ত পেয়েছিল ও ওয়াইউতা আর জিনিয়ন এন্টারটেইনমেন্ট ২০০৫ সালের ২৭শে মে থেকে ২০১২ সালের ৯ই মার্চ পর্যন্ত এগুলির বিতরন করেছিল; মিনাগোরোশি-হেন ও মাতসুরিবায়াশি-হেন —এদেরকে দুটি কি তিনটি আলাদা আলাদা মুক্তি দিয়ে পৃথক করা হয়েছিল।[১৮][১৯] প্রত্যেকটি চ্যাপ্টার হলো ২০০-৩০০ মিনিট পর্যন্ত এবং ৩-৬টি ডিস্কে বিভক্ত। সিডিগুলিতে গেমের মিউজিক রিমিক্স আর আবহ সঙ্গীত রয়েছে ও স্বয়ং রিয়ুকিশি০৭ কণ্ঠস্বর দেওয়ার জন্যে ব্যক্তিদের নির্বাচন করেছেন, যদিও অ্যানিমে আর পিএস ২ মুক্তির সময়সূচি নিয়ে ঝামেলা হওয়ার কারণে কিছুজনের পরিবর্তন ঘটে।[২০] বুকলেটের অন্তর্গত সিডিগুলির মধ্যে পাসওয়ার্ড সংরক্ষণ করা ছিল, সেটি ব্যবহার করে যদি কেউ অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যায়, প্রত্যেকটি খণ্ডের অডিও ফাইল ডাউনলড করতে পারবে সে। ফ্যানদের অনুরোধে, ২০০৫ সালের ২৯শে ডিসেম্বর কমিকেট ৬৯-এ প্রথম ৫টি খণ্ডের অডিও টিআইপিএস অ্যাপেন্ড ডিস্ক ০১ নামের ড্রামা সিডিগুলিতে উপলদ্ধ হয়ে যায়, এবং ২০০৭ সালের ২৬শে অক্টোবর, অ্যাপেন্ড ডিস্ক ০২ মুক্তি পায়।[২১][২২] HOBiRECORDS আরো তিনটে ড্রামা সিডি মুক্তি করে, যেগুলিতে কাতারিবানাশি-হেন উপন্যাস বা মাঙ্গা অ্যান্থলজি খণ্ড থেকে ফ্যানদের উপস্থাপিত গল্পের অভিযোজন ছিল। প্রথম সিডিটি ২৫শে এপ্রিল, ২০০৭ সালে, দ্বিতীয়টি ৯ই মে, ২০০৮ সালে এবং তৃতীয়টি ২৪শে এপ্রিল, ২০০৯। [২৩][২৪][২৫] ফ্রন্টিয়ার ওয়ার্কস কয়েকটি সিডির মুক্তি দিয়েছিল, যার শুরুতে "অ্যান্থলোজি ড্রামা সিডি ১" নামে একটি নৃতাত্ত্বিক পিস ২২শে ডিসেম্বর, ২০০৫ সালে বেরোয়, পরবর্তীকালে এটির একটি দ্বিতীয় সিডি ২০০৬ সালের ২৪শে মার্চ মুক্তি পায় যার নাম দেওয়া হয় "অ্যান্থলোজি ড্রামা সিডি ২", আর তারও পরে "অ্যান্থলোজি ড্রামা সিডি হিগুরাশি নো নাকু কোরো ন ফিচারিং উমিনেকো নো নাকু কোরো নি" ২৭শে মে, ২০০৯ সালে আসে। নৃতত্ত্বগুলি ছাড়াও, বহু সংখ্যক চরিত্র সঙ্গীত সিডি আর ডিজেসিডি বিশেষ বিশেষ ইভেন্টগুলিতে মুক্তি পেয়েছে, যেমন— কমিকেট, ম্যাগাজিন সাবস্ক্রিপশন, এবং অ্যানিমে/ফিল্ম/গেম প্রি-অর্ডার বোনাসের সাথে।।
"হিগুরাশি" মাঙ্গা সিরিজে আটটি মূল খণ্ড রয়েছে, প্রথম চারটি প্রশ্ন খণ্ড এবং পরের চারটি উত্তর খণ্ড। প্রত্যেক প্রশ্ন খণ্ডের মধ্যে দুটি করে আবদ্ধ খণ্ড রয়েছে। প্রথম দুই উত্তর খণ্ডকে চার ভাগে ভাগ করা হয়েছে, অন্যদিকে "মিনাগোরোশি-হেন" ছয়টি ভাগে বিভক্ত ও "মাতসুরিবায়াশি-হেন" আট ভাগে। মাঙ্গায় বিভিন্ন খণ্ডে বিভিন্ন শিল্পিরা কাজ করেছেন। কারিন সুজুরাগি এঁকেছেন "ওনিকাকুশি-হেন", "সুমিহোরোবোশি-হেন" আর "মাতসুরিবায়াশি-হেন", ইউতোরি হোজো এঁকেছেন "ওয়াতানাগাশি-হেন" আর "মায়কাশি-হেন", জিরো সুজুকি এঁকেছেন "তাতারিগোরোশি-হেন", ইয়োশিকি তোনোগাই এঁকেছেন "হিমাতসুবুশি-হেন", এবং হিনাসে মোমোয়ামা এঁকেছেন "মিনাগোরোশি-হেন"। কোকোরোইয়াশি-হেন (心癒し編 হৃদয় নিরাময়ী অধ্যায়) নামে আরেকটি মাঙ্গা ইউনা কাগেসাকি এঁকেছেন ও ২০০৮ সালের ২৬শে আগস্টে কাদোকাওয়া শোতেন-এর কম্প এস্"-এ শুরু হয়।[২৬] ইয়েন প্রেস মাঙ্গা সিরিজটির দত্তাধীকার নিয়ে উত্তর অ্যামেরিকায় ইংরেজিতে হিগুরাশি: হোয়েন দে ক্রাই" নামকরনে বিতরন করে। প্রথমত, মাঙ্গাটি ইয়েন প্রেসের ইয়েন প্লাস নৃতাত্বিক পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়, যার প্রথম ইস্যু ২৯শে জুলাই, ২০০৮ সালে বাজারে আসে। মাঙ্গার প্রথম ইংরেজি খণ্ডটি ২০০৯ সালের শুরুর দিকে বিক্রি করবার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল,[২৭] কিন্তু মুক্তি পায় ২০০৮ সালের নভেম্বর মাসে।[২৮]
এগুলি হচ্ছে মূল "হিগুরাশি" কাহিনীর তিনটি পার্শ্ব কাহিনী, তবে নতুন নতুন চরিত্রের সাথে। প্রথমটির নাম হলো ওনিসারাশি-হেন" (鬼曝し編 দৈত্য উদ্ভাসিত অধ্যায়), এটি এঁকেছেন এন কিতো ও কম্প এস-এ মার্চ ২০০৫ থেকে জুন ২০০৬ পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়। পরেরটির নাম দেওয়া হয়, ইয়োগোশি-হেন" (宵越し編 রাতারাতি অধ্যায়), এঁকেছেন মিমোরি ও "জিফ্যান্টাসি"তে ২০০৬ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত প্রকাশিত হয়। শেষ পার্শ্ব কাহিনীটিকে সকলে উৎসুতসুকোওয়াশি-হেন (現壊し編 বাস্তব লঙ্ঘনকারী অধ্যায়) নামে চেনে, এটিও এন কিতো এঁকে থাকেন ও "কম্প এস"-এ ২০০৬ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়।
হিগুরাশির পূর্বসুরী হিনামিজাওয়া তেইরিয়ুজু-র একটি মাঙ্গা অভিযোজন স্কোয়ার এনিক্সের "বিগ গানগান" ম্যাগাজিনে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়, এবং ২০১১ সালের ২৫শে অক্টোবর বিক্রি হয়।।[২৯]
চারটি লাইট নভেল বর্তমান রয়েছে, যেটিতে পাঁচজন ভিন্ন শিল্পীর আঁকা বাড়তি চিত্র সংযুক্ত আছে এবং পৃথক ভিজুয়্যাল নভেল খণ্ডের জন্যে ১৭টি নতুন উপন্যাস লেখা হয়েছে।[৩০][৩১] প্রত্যেক উপন্যাস রিয়ুকিশি০৭-এর লেখা। লাইট নভলগুলির সবকটি মুক্তি পেয়েছিল যেহেতু লিমিটেড এডিশনগুলি দোকানে বিক্রি হয়নি। প্রথমটি, "নেকোগোরোশি-হেন", অলংকরণ করেছেন কারিন সুজুরাগি, ইউতোরি হোজো, আর জিরো সুজুকি এবং তাদের কাছে এটি পাঠানো হয়েছে যারা "ওনিকাকুশি-হেন", "ওয়াতানাগাশি-হেন" ও "তাতারিগোরোশি-হেন" —এদের মাঙ্গা অভিযোজনের প্রথম খণ্ডটি কিনেছে। দ্বিতীয় লাইট নভেল, "কুরাদাশি-হেন" অলংকরণ করেছেন ইয়োশিকি তোনোগাই, কারিন সুজুকি, ইউতোরি হোজো ও মিমোরি। এই উপন্যাসটি তাদের কাছে পাঠানো হয়েছিল যারা "হিমাতসুবাশি-হেন" মাঙ্গার দ্বিতীয় খণ্ড এবং "সুমিহোরোবোশি-হেন", "মায়কাশি-হেন", ও "ইয়োইগোশি-হেন" — এদের মাঙ্গা অভিযোজনের প্রথম খণ্ডটি কিনেছিল। বিশেষ ছোট্ট গল্পটি পড়ার জন্যে পাঠককে একটি নির্দিষ্ট দিনের মধ্যে এই চারটি মাঙ্গার কাটআউট স্ট্যাম্প পাঠাতে হবে। তৃতীয় লাইট নভেল, "হাজিসারাশি-হেন", অলংকরণ করেছেন রাতো, এবং এর মধ্যে প্লেস্টেশন ২ গেম "হিগুরাশি নো নাকু কোরো নি মাতসুরি" -এর লিমিটেড এডিশন অন্তর্গত রয়েছে। চতুর্থ উপন্যাসটি হলো "কুরাদাশি-হেন জোকু", এটি "কুরাদাশি-হেন"-এর সিক্যুয়াল এবং এটি তাদের কাছে পাঠানো হয়েছিল যারা "সুমিহোরোবোশি-হেন", "মায়কাশি-হেন", ও "ইয়োইগোশি-হেন" মাঙ্গার দ্বিতীয় খণ্ডগুলি কিনেছিল। বিশেষ ছোট্ট গল্পটি পড়ার জন্যে পাঠককে একটি নির্দিষ্ট দিনের মধ্যে এই চারটি মাঙ্গার কাটআউট স্ট্যাম্প পাঠাতে হবে। স্কোয়ার এনিক্স লাইট নভেলগুলি ২০০৬ এবং ২০০৭ সালে মুক্তি দিয়েছিল।
কোদানশা বক্স ভিজুয়্যাল নভেল খণ্ডগুলির থেকে রূপান্তরিত ১৭টি উপন্যাসের সাথে তোমোহির আঁকা অলংকরণ মুক্তি দেয় আগস্ট ২০০৭ থেকে মার্চ ২০০৯ পর্যন্ত, যার শুরু "ওনিকাকুশি-হেন" থেকে এবং শেষ "সাইকোরোশি-হেন"। বেশিরভাগ গল্প খণ্ডগুলি দুটি ভাগে বিভক্ত, তবে "হিমাতসুবুশি-হেন" ও "সাইকোরোশি-হেন" একটি খণ্ডে সংযোজিত হয়েছে আর "মাতসুরিবায়াশি-হেন" তিনটি খণ্ডে। সেপ্টেম্বর ২০১০-এ, সম্পাদক কাতসুশি ওতা টুইটারে সুনিশ্চিত করেন যে উপন্যাসগুলো পেপারব্যাক এডিশনে প্রাকমুক্তি পাবে।[৩২] তোমোহির নতুন প্রচ্ছদ চিত্রের সাথে সেইকাইশা পেপারব্যাকগুলি ১২ই জানুয়ারি ২০১১ সাল থেকে ৮ই জুন ২০১২ সাল পর্যন্ত প্রকাশিত হয়েছিল। ২০২০ সালে, ফুতাবাশা জুনিয়ার বুনকো লেবেলের আন্ডারে সিরিজটি ফুতাবাশা প্রকাশিত ও সাতোইয়োশিমির অলংকারিত একটি নতুন পেপারব্যাক এডিশন গ্রহণ করে, যা অক্টোবর ২৩-এ "ওনিকাকুশি-হেন" থেকে শুরু হয়।।[৩৩]
আতারু ওইকাওয়া লিখিত ও পরিচালিত একটি লাইভ অ্যাকশন ফিল্ম অভিযোজন জাপানীজ থিয়েটারে ২০০৮ সালের ১০ই মে মুক্তি পায়, যার নাম দেওয়া হয় হিগুরাশি নো নাকু কোরো নি (ひぐらしのなく頃に, আন্তর্জাতিকভাবে "শ্রীল ক্রায়েস অফ সামার" নামে খ্যাত)।[৩৪][৩৫] এই ফিল্মটি প্রথম গল্প আর্ক, "ওনিকাকুশি-হেন"-এর অভিযোজন।[৩৬] কেইচির অভিনয়ে আছে গোকি মায়দে, রেনার অভিনয়ে আছে আইরি মাতসুয়ামা, রিন আসুকা মিয়নের জায়গায় আছেন, আইকা অভিনয় করেছেন রিকার স্থানে, এবং এরেনা ওনো সাতোকোর ভূমিকা পালন করেছেন।[৩৭] ফিল্মটি ৬০টা থিয়েটারে মুক্তি পেয়েছিল ও বক্স অফিসে ¥২০০ মিলিয়ন অর্থ আয় করেছিল।[৩৮]
আরেকটি লাইভ অ্যাকশন, একটি সিক্যুয়াল[৩৯] জাপানের থিয়েটারে ১৮ই এপ্রিল, ২০০৯ সালে মুক্তি পায়, যায় নাম দেওয়া হয় হিগুরাশি নো নাকু কোরো নি চিকাই" (ひぐらしのなく頃に誓 হোয়েন দা সিকাডাস ক্রাই: ওথ, আন্তর্জাতিকভাবে "শ্রীল ক্রায়েস রিসাফেল" নামে খ্যাত)। সিক্যুয়ালটি "সুমিহোরোবোরোশি-হেন"-এর উপর তৈরি হয়েছে, কিন্তু অন্যান্য আর্কের অংশও এখানে সংযুক্ত করা আছে এবং এতে খানিক আলাদারকম সমাপ্তি হয়। অভিনয়ের প্রত্যেকেই আগের ফিল্মের মতো এখানেও কাজ করে গেছেন, শুধুমাত্র ওইশির ভূমিকায় তেত্তা সুগিমোতোকে সরিয়ে রেন অসুগিকে আনা হয়।
ক্যাবল চ্যানেল বিএস স্কাই পারফেকটিভি!তে ২০শে মে, ২০১৬ সালে তোরু ওতসুকার পরিচালিত এবং কেইচির ভূমিকায় ইউ ইনাবা থাকা একটি লাইভ-অ্যাকশন টেলিভিশন সিরিজ অভিযোজন জাপানে প্রিমিয়ার হয়।[৪০][৪১] অভিনয়ে এনজিটি৪৮-এর সদস্যরা ভূমিকা নিয়েছে।[৪২] চার-পর্বের একটি সিক্যুয়াল ২৫শে নভেম্বর, ২০১৬ সালে প্রিমিয়ার হয়।।[৪৩]
প্রথম মৌসুমের নামকরণ করা হয়েছে হিগুরাশি নো নাকু কোরো নি" (ひぐらしのなく頃に)। এটি অ্যানিমেটেড হয়েছে স্টুডিও ডিন থেকে, প্রযোজনা করেছে ফ্রন্টিয়ার ওয়ার্কস, জেনিয়ন এন্টারটেইনমেন্ট আর সোতসু। সিরিজটি পরিচালনা করেছেন চিয়াকি কোন ও সিরিজ রচনায় ভূমিকা নিয়েছে তোশিফুমি কাওয়াসে। কিয়ুতা সাকাই চরিত্র অঙ্কন ও কেনজি কাওয়াই সঙ্গীত প্রস্তুত করেন। জেনিয়ন আর ফানিমেশন এটির ইংরেজি নামকরণ দেয় "হোয়েন দে ক্রাই — হিগুরাশি নো নাকু কোরো নি"। ২৬ পর্বের প্রথম মৌসুমটি ২০০৬ সালের ৪ঠা এপ্রিল থেকে ২৬শে নভেম্বর পর্যন্ত চিবা টিভি, কানসাই টিভি, টোকাই টিভি প্রভৃতি টেলিভিশন নেটওয়ার্কে সম্প্রচারিত হয়েছিল। কাহিনীর সূত্র ধরে দেখা যায় পাঁচ বন্ধুরা তাদের গ্রামের গত তিন বছরে ঘটে থাকা সমস্ত অমীমাংসিত খুনের রহস্য সমাধান করার চেষ্টা করে। সিরিজটি ছয়টি অধ্যায় বিভক্ত, যেগুলি আসল ভিজুয়্যাল নভেল সিরিজের অধ্যায়গুলির উপর কেন্দ্রীভূত। প্রথম অধ্যায়টি হলো "ওনিকাকুশি-হেন" (পর্ব ১-৪), দ্বিতীয় অধ্যায়টি হলো "ওয়াতানাগাশি-হেন" (পর্ব ৫-৮), তৃতীয় অধ্যায়টি হলো "তাতারিগোরোশি-হেন" (পর্ব ৯-১৩), চতুর্থ অধ্যায়টি হলো "হিমাতসুবুশি-হেন" (পর্ব ১৪ ও ১৫);সবথেকে ক্ষুদ্র গল্প আর্ক। শেষ দুই অধ্যায় হলো "মায়কাশি-হেন" (পর্ব ১৬-২১) এবং "সুমি হোরোবোরোশি-হেন" (পর্ব ২২-২৬)। রিয়ুকুশি০৭ একটি বাড়তি পর্বের ছোট গল্প লিখেছিলেন, হিগুরাশি নো নাকু কোরো নি গার্ডেন নেকোগোরোশি-হেন (ひぐらしのなく頃に外伝 猫殺し編 lit. হোয়েন দা সিকাডাস ক্রাই সাইড স্টোরি: ক্যাট কিলিং চ্যাপ্টার), প্রত্যেক নয়টি অ্যানিমে ডিভিডি খণ্ড কেনার বোনাস হিসেবে জাপানে প্রথম মৌসুমের জন্যে এটি ২০০৭ সালের ২৭শে জুলাই মুক্তি পায়। ওভাতে প্রথম মৌসুমের ওপেনিং আর এন্ডিং অ্যানিমেশন অন্তর্ভুক্ত থাকে, কিন্তু এর সাথে সাকাইয়ের দ্বিতীয় পর্বের জন্যে অঙ্কিত চরিত্র ফিচারও পাওয়া যায়।।
নং. | শিরোনাম | পরিচালক | লেখক | মূল সম্প্রচারের তারিখ | |
---|---|---|---|---|---|
১ | "শুরু (অধ্যায়: ওনিকাকুশি-হেন , প্রথম ভাগ)" Transcription: "ওনিকাকুশি-হেন সোনো ইচি — হাজিমারি" (জাপানি: 鬼隠し編 其ノ壱 ハジマリ) | চিয়াকি কোন | তোশিফুমি কাওয়াসে | ৪ এপ্রিল ২০০৬ | |
অ্যানিমের শুরু হয় পাগল ও আতঙ্কিত কেইচির বেসবল ব্যাট দিয়ে গভীর রাতে নিজের ঘরে রেনা আর মিয়নকে নৃশংসভাবে মারা দিয়ে। ১৯৮৩ সালের জুন মাস, হিনামিজাওয়ার ছোট্ট গ্রামে নতুন বসবাসরত কেইচি মায়বারা ঘুম থেকে ওঠে ও তার বন্ধু রেনা আর মিয়নের সাথে স্কুল যায়। জীবন এখানে তখনো শান্তিপূর্ন ছিল যখন কেইচি রেনা রিউগুর সাথে ভাগাড়ে সূত্র খুঁজে বেড়াচ্ছিল। জিরো তোমিতাকের কাছ থেকে কেইচিরো অতীতের হত্যাকান্ডর ব্যাপারে জানে। সে পাঁচ বছর আগের সরকার প্রস্তাবিত বাঁধ নির্মাণের বিষয়েও জানতে পারে। এই প্রকল্পে বহু মানুষ প্রতিবাদ জানিয়েছিল আর তাই এটি বাদ দেওয়া হয়। যখন সে রেনা আর মিয়নকে এই প্রকল্প সম্পর্কিত কোনো ঘটনার ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করে, তারা তাকে উত্তরই দেয় না, ফলে তার মনে সন্দেহ জাগে। সে আরো সন্দেহবান হয়ে যায় যখন সে আর রিনা কেন্টার একটি মূর্তি খুঁজে পায়, যা কিনা আসলে কলোনেল স্যান্ডার্স-এর প্রতিমূর্তি এবং এরপর রেনা একটি বড়ো দা খোঁজার জন্যে প্রস্থান করে। কেইচি একটি খবরের কাগজের প্রবন্ধ পড়ে, যেখানে একজন ম্যানেজারের খুনের বিষয়ে লেখা আছে ও সেই খুনি এখনো হয়তো ফাঁকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে।। | |||||
২ | "রহস্য (অধ্যায়: ওনিকাকুশি-হেন, দ্বিতীয় ভাগ)" Transcription: "ওনিকাকুশি-হেন সোনো নি – কাকুশিগোতো" (জাপানি: 鬼隠し編 其ノ弐 隠しごと) | ইউজি হিরাকি | তোশিফুমি কাওয়াসে | ১১ এপ্রিল ২০০৬ | |
বার্ষিক অনুষ্ঠানের দিনে, তোমিতাকে আর মিয়ো তাকানো কেইচিকে "ওয়াশিরো অভিশাপের" সম্বন্ধে জানায়। খুন ও নিখোঁজের সারিবদ্ধ ঘটনা রস্পর চার বছর ধরে ঘটে গেছে এই অনুষ্ঠানের রাত্রে এবং সকলের ধারণা এটি এই গ্রামের রক্ষা দেবতা ওয়াশিরোর অভিশাপ। পরদিন, কেইচির সাথে ওইশি কুরাদোর সাক্ষাৎ হয় ও তিনি তাকে জানান যে তোমিতাকে নিজের গলা চিঁরে আত্মহত্যা করেছে আর মিয়ো নিখোঁজ হয়ে গেছে। কেইচি তার তথ্যদাতা হয়ে যায়। সে রেনা আর মিয়নের আচরনে পরিবর্তন খেয়াল করে ও সন্দেহ করে যে তারা তার থেকে কিছু গোপনে রাখছে। উল্টে তাকেও অভিযুক্ত করা হলো ওইশির সাথে তার সম্পর্ক গোপন রাখার জন্যে। কেইচি এই অভিশাপের ইতিহাস জানতে লেগে পড়ে, দেখে তার মনে হয় সাতোকো হোজোর দাদা সাতোশি হিনামিজাওয়ার স্কুল থেকে অন্যত্র চলে গেছে। ঠিক সেই সময়, সে উপলদ্ধি করতে পারে যে রেনা তার কথা এতক্ষণ আড়ি পেতে শুনছে।। | |||||
৩ | "সন্দেহ (অধ্যায়: ওনিকাকুশি-হেন , তৃতীয় ভাগ)" Transcription: "ওনিকাকুশি-হেন সোনো সান – গিশিন" (জাপানি: 鬼隠し編 其ノ参 疑心) | তাকেশি ইয়োশিমোতো | তোশিফুমি কাওয়াসে | ১৮ এপ্রিল ২০০৬ | |
একটু বেশিই বাতিকগ্রস্ত হয়ে, কেইচি অসুস্থতার নাম করে স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দেয় ও নিজে থেকে কেসের আরো গভীরে ঢুকে পড়ে। ওইশি তাকে বলে যে ওয়াশিরো অভিশাপের সমস্ত শিকারই তার বন্ধুদের সাথে কিছু না কিছু সম্পর্কে ছিল। সেই রাত্রেই রেনা আর মিয়নের পাঠানো ওহাগির বাক্সের মধ্যে কেইচি একটি সূচ খুঁজে পায়। তারা তাকে নজরে রাখবে এরকমটা ভয় পেয়ে, কেইচি পরেরদিন স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার সময় সাতোশির বেসবল ব্যাটটা নিয়ে পথে চলে। তার বন্ধুরা তাকে বলে যে সাতোশিও এইরকম পাগলাটে আচরন দেখিয়েছিল।। | |||||
৪ | "বিকৃতি (অধ্যায়: ওনিকাকুশি-হেন, চতুর্থ ভাগ)" Transcription: "ওনিকাকুশি-হেন সোনো ইয়োন – ইউগামি" (জাপানি: 鬼隠し編 其ノ四 歪) | হিসাকাজু ইশিকাওয়া | তোশিফুমি কাওয়াসে | ২৫ এপ্রিল ২০০৬ | |
রেনা কেইচির বাড়িতে তাকে দেখতে আসে কিন্তু সে পাগল হয়ে তাকে জোর করে তাড়িয়ে দেয়। আচরনে পীড়িত হয়ে, মিয়ন এবার ক্ষমা চাইতে আসে কিন্তু কেইচি তাকেও প্রত্যাখ্যান করে। রেনাকে একটা দায়ের সাথে দেখতে পেয়ে, কেইচি তাকে দাবি জানায় সমস্ত খুন ও নিখোঁজ হওয়ার পেছনে কে রয়েছে তা বলতে। রেনা জবাব দেয় যে সব ওয়াশিরোর কাজ। কেইচি রেনার থেকে পালিয়ে আসে, কিন্তু বাড়িতে গিয়ে আবার ধরা পড়ে যায়। যখন রেনা আর মিয়ন সিরিঞ্জ ব্যবহার করতে যায়, কেইচি তাদেরকে ব্যাট দিয়ে মেরে ফ্যালে। সে ওইশিকে ফোন করে বলে যে সমস্ত খুনখারাপি ওয়াশিরো করেছে। যদিও ওয়াশিরো তার পেছনে রয়েছে, এটা জানতে পেরে সে নিজের গলা চিঁরে আত্মহত্যা করে। পরদিন পুলিশ কেইচির বাড়ি থেকে সিরিঞ্জ ও দেওয়াল ঘড়ির পেছনে থাকা নোট সমেত সমস্ত প্রমাণ সরিয়ে দেয়।। | |||||
৫ | "হিংসা (অধ্যায়: ওয়াতানাগাশি-হেন, প্রথম ভাগ)" Transcription: "ওয়াতানাগাশি-হেন সোনো ইচি — শিত্ত" (জাপানি: 綿流し編 其ノ壱 嫉妬) | সোন সিউং-হি | রিকা নাকাসে | ২ মে ২০০৬ | |
শেষ চার পর্বের পর এই সময়কাল নতুন করে শুরু হচ্ছে। কেইচির সাথে শিয়নের এঞ্জেল মর্টে সাক্ষাৎ হয়। সে বুঝতে পারে যে এই দুই বোন তাকে ভালোবাসে। কেইচি একটি প্রতিযোগিতামূলক গেমে একটি পুতুল জিতে রেনাকে দিয়ে দেয়, মিয়নকে বলে যে সেই পুতুলের জন্যে একটু বেশিই পুরুষালী। মিয়ন একথায় হেসেই দেয় কিন্তু দেখেই বোঝা যায় যে সে নিরাশ।। | |||||
৬ | "তাকানো (অধ্যায়: ওয়াতানাগাশি-হেন, দ্বিতীয় ভাগ)" Transcription: "ওয়াতানাগাশি-হেন সোনো নি — তাকানো" (জাপানি: 綿流し編 其ノ弐 タカノ) | ওসামু সেকিতা | রিকা নাকাসে | ৯ মে ২০০৬ | |
কেইচি অভিশাপের সম্বন্ধে জানতে পারে। রিকার শাস্ত্রীয় অনুষ্ঠান চলাকালীন, শিয়ন, কেইচি, তোমিতাকে আর তাকানো একসাথে মিলে শাস্ত্রীয় যন্ত্রপাতি রাখার গুমটিতে তল্লাশি চালায় ও মন্দিরের তাৎপর্য উপলদ্ধি করে। তাকানোর ধারণা হলো গ্রামবাসীরা ওয়াশিরোর কাছে মানুষদের ত্যাগ করার রীতি এখনো চালিয়ে যাচ্ছে। শিয়ন আর কেইচি প্রতিশ্রুতি দেয় যে তারা এব্যাপারে কাউকে বলবে না। কেইচি বিরক্ত হয়ে যায় যখন মিয়ন আর ওইশি তার কাছে শিয়ন, তোমিতাকে ও তাকানোর খোঁজ করতে থাকে। সে শিয়নের কাছ থেকে জানতে পারে যে তাকানো আর তোমিতাকে একইভাবে মারা গেছে। যেহেতু তারা অভিশাপের কারণে মারা গেছে, তাই তাদের এখন ওয়াশিরোকে শান্ত করতে হবে। কেইচি শিয়নের ওপর গর্জন করে যে সে নির্দোষ ও শিয়ন কীভাবে এই সবকিছুর দায়িত্ব নেবে তা জানার দাবি করে। শিয়ন নিরাশ হয়ে ফোন কেটে দেয়।। | |||||
৭ | "মিথ্যা (অধ্যায়: ওয়াতানাগাশি-হেন, তৃতীয় ভাগ)" Transcription: "ওয়াতানাগাশি-হেন সোনো সান – উসো" (জাপানি: 綿流し編 其ノ参 嘘) | ইসাও তাকাইয়ামা | রিকা নাকাসে | ১৬ মে ২০০৬ | |
কেইচির কাণ্ডকারখানার বিষয়ে রিকার নজর পরে এবং একটি রূপকের সাহায্যে তাকে বোঝায় যে মিয়ন আসলে শিয়নের প্রতি উদাশ। এমনকি রিকা তাকে একইভাবে সাবধানও করে দেয়, যে 'কুকুর' গ্রাম প্রধানকে কামড়েছে, সেই একই কুকুর তাকে কামড়াতে গেলে রিকাকে সে ব্যাপারে তার জানানো উচিৎ। কেইচি বুঝতে পারে যে গ্রাম প্রধান নিখোঁজ হয়ে গেছে। শিয়ন তাকে বলে, সে গ্রাম প্রধানের কাছে সমস্তকিছু স্বীকার করে নিয়েছিল। শিয়ন মনে করে যে গ্রাম প্রধানের নিখোঁজের পেছনে দোষটা তারই কারন সে তাকে সবকিছু জানানোর পর সে তাদেরকে রক্ষা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, আর তাই অভিশাপটা তার উপরেও চেপে গিয়েছিল। কেইচি ভাবে যে তবে রিকাও নিশ্চই বিপদের মধ্যে রয়েছে। কেইচি, রেনা আর মিয়ন তার বাড়িতে যায় কিন্তু রিকা বা সাতোকো, কাউকেই খুঁজে পায় না। কেইচি ওইশির সাথে কথা বলে। নিখোঁজ হওয়ার আগে গ্রাম প্রধান আসলে কি করছিল, তা জানতে পেরে শিয়নের স্বিকরোক্তির বিষয়ে তার গভীর সন্দেহ জাগলো। যখন সে শিয়নকে সরাসরি এব্যাপারে জিজ্ঞাসা করে, শিয়ন পাগলের মতো হেসে ফোন কেটে দেয়।। | |||||
৮ | "ইচ্ছা (অধ্যায়: ওয়াতানাগাশি-হেন, চতুর্থ ভাগ)" Transcription: "ওয়াতানাগাশি-হেন সোনো ইয়োন – নেগাই" (জাপানি: 綿流し編 其ノ四 願い) | ইউজি হিরাকি | রিকা নাকাসে | ২৩ মে ২০০৬ | |
কেইচি আর রেনা জানতে পারে যে রিকা আর সাতোকো নিখোঁজ হয়ে গেছে। তারা মিয়নের সম্মুখীন হয়, কারন যথেষ্ট প্রমাণ না থাকায় পুলিশের কোনো সার্চ ওয়ারেন্ট নেই। মিয়ন স্বীকার করে যে রিকা আর সাতোকো তাদের বাড়িতে এসেছিল। পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করার আগে কেইচির সাথে ব্যক্তিগত কিছু কথা বলার জন্যে তাকে একটি অত্যাচার কামরায় নিয়ে যায়। কেইচি অন্ধকূপে শিয়নকে দেখতে পায় এবং সঙ্গে সঙ্গে মিয়ন তার মাথায় আঘাত করে অজ্ঞান করে দেয়। যখন কেইচি বলে যে তার বিশ্বাস ওয়াশিরো মিয়নের উপর ভর করেছে আর শিয়নের শরীরকে ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ করে, অত্যাচারের জন্যে মিয়ন তার প্রস্তুতি থামিয়ে দেয়। সে তাকে নিজের জীবন বাঁচানোর ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলে কেইচি জানায় যে শিয়নের সুরক্ষার চাইতে সেটা কিছুই নয়। মিয়ন এক শব্দ শুনতে পায় এবং বুঝতে পারে রেনা পুলিশ নিয়ে এসেছে। তখন সে কেইচিকে অচেতন করে দিয়ে পালায় ও পুলিশ তাকে আর শিয়ন ওই অন্ধকূপ থেকে উদ্ধার করে। কিছু দিন পরে, মিয়ন কেইচির পেটে ছুরি ঢুকিয়ে দেয়। হাসপাতালে কেইচি জানতে পারে যে শিয়ন অ্যাপার্টমেন্ট থেকে নিচে পড়ে মারা গেছে। ওইশি তাকে জিজ্ঞাসা করে যে সে নিশ্চিত মিয়ন তাকে আক্রমন করেছিল কিনা। কেইচি তা নিশ্চিত করলে ওইশি প্রকাশ করে যে কুয়োর মধ্যে আসল মিয়ন অনেকদিন আগেই মারা গেছে। ময়নাতদন্তে জানা যায় তাকানো তাদের সাথে ওই কুটিরের ভেতরে যাওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগে মারা গিয়েছিল। ওইশি কেইচির কাছ থেকে চলে গেলে মিয়ন আচমকা সেখানে প্রবেশ করে।। | |||||
৯ | "বড়ো ভাই (অধ্যায়: তাতারিগোরোশি-হেন, প্রথম ভাগ)" Transcription: "তাতারিগোরোশি-হেন সোনো ইচি — আনি" (জাপানি: 祟殺し編 其の壱 兄) | তাকেশি ইয়োশিমোতো | তোশিফুমি কাওয়াসে | ৩০ মে ২০০৬ | |
আবারো শেষ চার পর্বের সময়কাল এখানে নতুন করে শুরু হচ্ছে। কেইচির বাবা মা টোকিওর উদ্দেশ্যে কিছু দিনের জন্যে রওনা দিয়েছে। সাতোকো আর রিকার সাহায্যে একসাথে রাত্রের খাবার তৈরির মাধ্যমে কেইচি আগের বছরের অনুষ্ঠান রাত্রের সাতোশির ব্যাপারে জানতে পারে। সে সাতোকোর দাদা হওয়ার প্রতিনিধিত্ব নিয়ে এই ঘটনার তদারকি শুরু করে।। | |||||
১০ | "বন্ধন (অধ্যায়: তাতারিগোরোশি-হেন, দ্বিতীয় ভাগ)" Transcription: "তাতারিগোরোশি-হেন সোনো নি – কিজুনা" (জাপানি: 祟殺し編 其の弐 キズナ) | হিসাকাজু ইশিকাওয়া | তোশিফুমি কাওয়াসে | ৬ জুন ২০০৬ | |
যখন সাতোকো স্কুল থেকে কয়েক দিনের জন্যে অনুপস্থিত থাকে, কেইচি আবিষ্কার করে যে সে তার কাকা তেপ্পেইয়ের দ্বারা শিশু নির্যতনের শিকার হচ্ছে। গত বছর অনুষ্ঠানে স্ত্রীর খুনের পর তেপ্পেই গ্রাম ছেড়ে চলে গিয়েছিল, কিন্তু এখন আবার এখানে ফিরে এসেছেন। সাতোকো আনন্দের সাথে স্কুলে ফিরে আসে, কিন্তু কেইচি লাঞ্চের যখন সময় তার মাথায় হাত বোলায়, সে মানসিকভাবে হঠাৎ ভেঙ্গে পড়ে।। | |||||
১১ | "সীমান্ত (অধ্যায়: তাতারিগোরোশি-হেন, তৃতীয় ভাগ)" Transcription: "তাতারিগোরোশি-হেন সোনো সান – সাকায়মে" (জাপানি: 祟殺し編 其の参 境界) | চিয়াকি কোন | তোশিফুমি কাওয়াসে | ১৩ জুন ২০০৬ | |
কেইচি মিয়নকে বলে সাতোকোকে উৎসবে নিয়ে যেতে। যখন সে জিজ্ঞাসা করে কেন, কেইচি শুধুমাত্র বলে যে তার কিছু কাজ করার আছেন প্রত্যুত্তরে মিয়ন জানায়, নিখোঁজ হওয়ার আগে সাতোশিও তাকে একই কথা বলেছিল। সাতোশি তার কাকিমাকে হত্যা করেছে জানতে পেরে, কেইচিও তেপ্পেইকে সাতোশির বেসবল ব্যাট দিয়ে মেরে ফ্যালে ও তার দেহ মাটি চাপা দিয়ে দেয়। বাড়ি ফেরার পথে গাড়িতে তাকানোর সাথে কেইচির দেখা হয়ে যায় এবং সে তাকে গাড়িতে তুলে নিয়ে মনে করিয়ে দেয় যে সে অপরাধ করেছে।। | |||||
১২ | "হারানো জিনিস (অধ্যায়: তাতারিগোরোশি-হেন, চতুর্থ ভাগ)" Transcription: "তাতারিগোরোশি-হেন সোনো ইয়োন – নাকুশিমোনো" (জাপানি: 祟殺し編 其の四 失しモノ) | মাতসুও আসামি | তোশিফুমি কাওয়াসে | ২০ জুন ২০০৬ | |
কেইচি বিরক্ত হয়ে যায় যখন তার বন্ধুরা বলে সেও তাদের সাথে ওয়াতানাগাশি উৎসবে ছিল। সাতোকো তাও বলে চলেছে যে তার কাকা তাকে নির্যাতন করে যাচ্ছে, যদিও কেইচি জানে যে সে তাকে মেরে ফেলেছে। সে ডাক্তারের অফিসে যায় ও কিয়োসুকে আইরির কাছে নিজের অপরাধ স্বীকার করে ফ্যালে। যদিও আইরি তাকে সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি দেয়, কেইচি চুপিসারে শুনে ফ্যালে যে আইরি তার সহকারীর সাথে চায়ে ওষুধ মিশিয়ে তাকে খাওয়ানোর পরিকল্পনা করছে। ওইশি জোর করে কেইচিকে দিয়ে গর্ত খোঁড়ায়, কিন্তু তেপ্পেইয়ের মৃতুদেহ খুজেই পাওয়া যায় না।। | |||||
১৩ | "ক্ষমা (অধ্যায়: তাতারিগোরোশি-হেন, পঞ্চম ভাগ)" Transcription: "তাতারিগোরোশি-হেন সোনো গো – শাজাই" (জাপানি: 祟殺し編 其の伍 謝罪) | শিগেরু উয়েদা | তোশিফুমি কাওয়াসে | ২৭ জুন ২০০৬ | |
কেইচি তেপ্পেইয়ের অস্তিত্ব নিশ্চিত করতে তাদের বাড়ি যায়, কিন্তু সে শুধুমাত্র স্নানঘরে অসুস্থ সাতোকোকে খুঁজে পায়। কেইচি সঙ্গে সঙ্গে তাকে নিয়ে ক্লিনিকের দিকে ছোটে, তবে সেখানে পৌঁছে আড়ালে জানতে পারে যে আইরি আত্মহত্যা করেছে আর ওইশি নিখোঁজ হয়ে গেছে। মন্দিরে কেইচি রিকার অবতরন দেহ খুঁজে পায় এবং সাতোকো মনে করে যে কেইচির উপর ওয়াশিরো ভর করেছে। কেইচি তাকে মানানোর চেষ্টা করে কিন্তু সাতোকো তাকে তাও সেতু থেকে ধাক্কা মারে নিচে ফেলে দেয়। সেতু থেকে নিচে পড়ে কোনরকমে রক্ষা পাওয়ার কিছু আগে হঠাৎ ওনিগাফুচির জলা থেকে বিষাক্ত গ্যাস গ্রামের সকলকে মেরে ফ্যালে।। | |||||
১৪ | "হিনামিজাওয়া (অধ্যায়: হিমাতসুবুশি-হেন, প্রথম ভাগ)" Transcription: "হিমাতসুবুশি-হেন সোনো ইচি — হিনামিজাওয়া" (জাপানি: 暇潰し編 其の壱 ヒナミザワ) | ইউজি হীরাকি | তোশিফুমু কাওয়াসে | ৪ জুলাই ২০০৬ | |
পাঁচ বছর আগে বাঁধ নির্মাণ প্রকল্প আন্দোলনে, প্রকল্প ম্যানেজারের নাতির অপহরন তদন্তে মামোরু আকাসাকা গ্রামে আসে। ওইশি আকাসাকাকে বাঁধ প্রকল্পের বিরোধী দল এবং নেতৃস্থানীয় পরিবারের কথা জানায়। পর্যটক হিসেবে গ্রামে রিকার সাথে তার দেখা হয়। রিকা তাকে টোকিওতে ফিরে যেতে বলে, কিন্তু পরক্ষনেই রিকা অজ্ঞান হয়ে যায় ও চোখ খুললে স্বাভাবিকভাবে আচরন করতে থাকে। ওইশির এক সহকর্মী ওরিয়োর পরিচালিত একটি প্রকল্পের বিষয়ে আকাসাকাকে জানায়। তারা একটি নিখোঁজ বাচ্ছার ব্যাপারে খবর পায় এবং পাশাপাশি একজন অনভিজ্ঞ পুলিশ তদন্তকারী যে গ্রামে গেছে সে বিষয়েও জানতে পারে। আকাসাকা যদি তাদের বিষয়ে আরো নাক গলাতে আসে তবে তার খেয়াল রাখার দায়িত্ব দেওয়া হয় একজনকে। ওইশি আকাসাকাকে জানিয়ে দেয় যে তাকাতসুদো নামে একটি খালি গ্রামে সেই নিখোঁজ বাচ্ছাকে খুঁজে পাওয়া গেছে।। | |||||
১৫ | "চিহ্ন (অধ্যায়: হিমাতসুবুশি-হেন, দ্বিতীয় ভাগ)" Transcription: "হিমাতসুবুশি-হেন সোনো নি – কিজাশি" (জাপানি: 暇潰し編 其の弐 兆し) | তাকেশি ইয়োশিমোতো | তোশিফুমি কাওয়াসে | ১১ জুলাই ২০০৬ | |
আকাসাকা আর ওইশি তোশিকিকে উদ্ধার করতে আসে, কিন্তু দুষ্কৃতীদের মধ্যে একজন আকাসাকার উপর গুলি চালিয়ে দেয়। তারা বুঝতে পারে যে তাদের সকল প্রচেষ্টা অসফল হয়ে গেছে কারন দুষ্কৃতীরা যা চেয়েছিল, তারা তা পেয়ে গেছে। হাসপাতাল আর রাস্তা থেকে আকাসাকা তার গর্ভবতী স্ত্রী ইউকিইকে ফোন করতে থাকে, কিন্তু কেউ সকল তার কেটে দিয়েছে। একটি আলাদা বুথে রিকার সাথে তার সাক্ষাৎ হয় আর রিকা তাকে বলে যে এইসময় ফোন করলে তার দুঃখ লাগবে। পরিবর্তে রিকা তাকে উৎসবে নিয়ে যায় ও ১৯৭৯ সালে ঘটা সকল মৃত্যুর বর্ণনা সে দেয় এবং শেষ ঘটনা হিসেবে যে তার খুন হবে, এইরূপ অশুভ ভবিষ্যতবাণী করে। রিকা তাকে একটি সুখী জীবনযাপন করার পরামর্শ দেয়। পরে জানা যায় যে ইউকিই হাসপাতালের সিড়ি থেকে পড়ে মারা গেছে, কিন্তু তাদের সন্তান বেঁচে গেছে। কয়েক বছর পর, আকাসাকা ওইশির মায়ের জন্মস্থান হোক্কাইডোতে তার সাথে দেখা করে এবং রিকা তাকে সেই রাত্রে কি কি বলেছিল, সকল কিছু জানায়। ওইশি বলে যে মহা দুর্যোগের দিন রিকাকে খুন করা হয়েছিল। আকাসাকা জানায় যে অভিশাপের বিষয়ে সত্যিটা খুঁজতেই তার ফিরে আসা।। | |||||
১৬ | "প্রথম ভালোবাসা (অধ্যায়: মায়কাশি-হেন, প্রথম ভাগ)" Transcription: "মায়কাশি-হেন সোনো ইচি — হাতসুকোই" (জাপানি: 目明し編 其の壱 初恋) | হিসাকাজু ইশিকাওয়া | রিকা নাকাসে | ১৮ জুলাই ২০০৬ | |
"ওয়াতানাগাশি-হেন"-এর ঘটনাগুলি এই পর্ব থেকে পুনঃকথিত হচ্ছে। বহু প্রজন্ম থেকে সোনোজাকি পরিবারে যমজ সন্তান জন্মলাভ করলে দুর্ভাগ্য এড়ানোর জন্যে একটাকে মেরে ফ্যালা হয়। তবে তারা খুন না করে শিয়নকে সেন্ট লুসিয়ায় পাঠিয়ে দেয়, যেখানের বোর্ডিং স্কুল থেকে সে এখন পালিয়ে আসে। নিজের মতো করে জীবনযাপন করতে মিয়নের মিথ্যা নাটক আর বডিগার্ড কাসাইয়ের সাহায্য নিয়ে সে মিয়নের মতোন হাবভাব দেখায় ও তাদের কাকার দোকানে কাজ করতে লেগে যায়। শিয়ন সব ঘটনার বিষয়ে জানতে পারে। সাতোশির সাথে তার দেখা হয়, যে তাকে মিয়ন মনে করে ভুল করেছিল। শিয়ন তাকে পছন্দ করতে শুরু করে এবং জানতে পারে যে সাতোকোর বাবা-মা বাঁধে কাজ করতে গিয়ে অভিশাপে মারা গেছে। সাতোশি আর সাতোকোকে তাদের কাকা কাকী নিয়ে নেয়। এই দুজন কিন্তু তাদেরকে ঘৃনা করতো, যেহেতু তাদের বাবা-মা বাঁধ নির্মাণের পক্ষে ছিল আর তাই তাদের সকলকে এই গ্রাম নিচু চোখে দেখত। মিয়নের জায়গায় শিয়ন স্কুলে যায় ও সাতোশির সাথে আনন্দ করতে থাকে। লাঞ্চের সময়, সাতোকো তার টিফিন বক্স ফেলে দিয়ে দাদাকে ডাকলে শিয়ন ক্ষেপে গিয়ে তাকে মারধর আর গালিগালাজ করে। সাতোশি তাকে থামায় ও শিয়ন তার কাছ থেকে জানতে পারে যে সে তার নিজের পরিবারকে ঘৃনা করে বাঁধ নির্মাণে সাহায্য করার জন্যে।। | |||||
১৭ | "দায়িত্ব (অধ্যায়: মায়কাশি-হেন, দ্বিতীয় ভাগ)" Transcription: "মায়কাশি-হেন সোনো নি – কেজিমে" (জাপানি: 目明し編 其の弐 ケジメ) | শুনজি ইয়োশিদা | রিকা নাকাসে | ২৫ জুলাই ২০০৬ | |
শিয়নকে সাতোকোর খেয়াল রাখতে দিয়ে, সাতোশি উৎসবের দিন বেসবল ব্যাট দিয়ে তাদের কাকিমাকে খুন করে। মিয়নের ছদ্মবেশে থাকা শিয়ন সাতোশিকে সন্দেহ করলেও ওইশির জিজ্ঞাসাবাদের সময় তার অন্যত্রস্থিতির মিথ্যা প্রমাণ দেয়। তাদের গল্প পরখ করার সময় শিয়নের পরিবার সব জানতে পারে আর তাই শিয়নকে নিজের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়, যেখানে তাকে এইসমস্ত সমস্যা সৃষ্টি করার কৈফিয়ত ঠাকুমাকে দিতে হবে। শিয়ন উল্টে গোটা পরিবারকে নিন্দা করে ও সাতোশির প্রতি তার ভালোবাসা উচ্চকণ্ঠে স্বীকার করে, ফলে ভৃত্য আর মিয়নের দ্বারা তিনটে নখ তোলার মাধ্যমে তাকে শাস্তিগ্রহণ করতে হয়। কয়েক দিন পর, ওইশি তাকে জানায় যে সাতোশি গ্রাম ছেড়ে হঠাৎ চলে গেছে আর খুনি হিসেবে একটি নেশাখোরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।। | |||||
১৮ | "ওনির রক্তরেখা (অধ্যায়: মায়কাশি-হেন, তৃতীয় ভাগ)" Transcription: "মায়কাশি-হেন সোনো সান – ওনি নো কেতসুমীয়াকু" (জাপানি: 目明し編 其の参 鬼の血脈) | মাতসুও আসামি | Rika Nakase | ১ আগস্ট ২০০৬ | |
শিয়ন এই অভিশাপ আর গত চার বছরের সমস্ত হত্যাকান্ডের বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু করে। সে পাঠাগারে তাকানোর থেকে এই অন্ধকারাচ্ছন্ন অতীতের ব্যাপারে আরো কথা জানতে পারে। তাকানো ব্যাখ্যা করে যে গ্রামের বাসিন্দারা ওনিগাফুচি বলে তাদের ডাকতো, এবং ভগবানের কোরবানি রীতি অনুযায়ী প্রত্যেক বলির সঙ্গে আরেকজন মানুষকে গভীর জলায় তলিয়ে নিখোঁজ করাতে হতো। শিয়ন মনে করে তার পরিবারের দ্বারা সাতোশিরও এভাবে বলি দেওয়া হয়েছে এবং তাই সে নিজের ভেতরের রাক্ষসের জেগে যাওয়াকে অনুভব করতে পারে। তাকানোর সাথে শিয়নের দেখা হওয়ার পর, মিয়ন তার অ্যাপার্টমেন্টে চলে আসে। শিয়ন রাগে তার গলা চিপে ধরে, কিন্তু সে জানতে পারে যে মিয়ন তাকে আর সাতোশিকে বাঁচাতে নিজেরও নখ তুলে ফেলেছে। এক বছর পর, ঠিক উৎসবের আগে কেইচির সাথে শিয়নের দেখা ও তার থেকে সাতোশির বিষয়ে জানতে পারে। এরপর তোমিতাকে, তাকানো, কেইচি আর শিয়ন মন্দির পর্যবেক্ষণ করতে চলে যায়। উৎসবের পর, শিয়ন ঘুম থেকে উঠে, মিয়ন আর ওরিয়ো মধ্যে তাকানো ও তদন্তকে ঘীরে যেসমস্ত ঘটনাদ্বয় ঘটেছে তার সম্বন্ধে আলোচনা করতে শুনতে পায়। শাস্তির ভয়ে শিয়ন পালাতে চায় কিন্তু মিয়ন তাকে ধরে ফ্যালে।। | |||||
১৯ | "প্রতিশোধ (অধ্যায়: মায়কাশি-হেন, চতুর্থ ভাগ)" Transcription: "মায়কাশি-হেন সোনো ইয়োন – শিকায়েশি" (জাপানি: 目明し編 其の四 仕返し) | দাইসুকে সুকুশি | রিকা নাকাসে | ৮ আগস্ট ২০০৬ | |
শিয়ন বিশ্বাস করে যে এই গ্রামের মানুষদের নিখোঁজ হওয়ার পেছনে তার পরিবারেরই হাত রয়েছে, বিশেষত সাতোশির নিখোঁজ হওয়ার পেছনে। সে মিয়ন আর তার ঠাকুরমার উপর শারীরিক অত্যাচার চালায়, দুর্ভাগ্যক্রমে এর ফলে দ্বিতীয়জনের মৃত্যু হয়ে যায় এবং তখন সে মিয়নকে অন্ধকূপের মধ্যে বন্দী করে ফ্যালে। সে তাকে ক্রমাগত সাতোশির ব্যাপারে আক্রমন করতে থাকে। পরদিন মিয়ন সেজে সে কেইচির সঙ্গে দেখা করে পূর্ববর্তী সাক্ষাৎ-এর বিষয়ে কথা বলতে। এরপর গ্রাম পরিষদ আলোচনায় গিয়ে শিয়ন গ্রাম-প্রধানকে তাদের বাড়িতে নিয়ে আসে। প্রধান প্রকাশ করে যে শিয়নের নখ তুলে ফ্যালার মাধ্যমে তার আর কাসাইয়ের জীবন দাম মিতে গেলেও, সাতোশির ক্ষমা সেখানে গণ্য করা হয়নি।। | |||||
২০ | "ঠান্ডা হাত (অধ্যায়: মায়কাশি-হেন, পঞ্চম ভাগ)" Transcription: "মায়কাশি-হেন সোনো গো – সুমেতাই তে" (জাপানি: 目明し編 其の伍 冷たい手) | ইউজি হীরাকি | রিকা নাকাসে | ১৫ আগস্ট ২০০৬ | |
শিয়ন গ্রাম প্রধানের উপর অত্যাচার চালিয়ে পূর্ববর্তী হত্যাকাণ্ড আর সাতোশির বিষয়ে তথ্য জানতে থাকে। স্কুলে হত্যাকাণ্ডের সম্পর্কে রিকা আর শিয়নের মধ্যে এক বোঝাপড়া হয়। সোনোজাকি বাড়িতে গিয়ে শিয়ন রিকাকে সিরিঞ্জ দিলে, রিকা আত্মহত্যা করে। শিয়ন এরপর সাতোকোকে আমন্ত্রণ জানায় তাকে ধরতে আসার জন্যে।। | |||||
২১ | "নিন্দা (অধ্যায়: মায়কাশি-হেন, ষষ্ঠ ভাগ)" Transcription: "মায়কাশি-হেন সোনো রোকু – দানজাই" (জাপানি: 目明し編 其の六 断罪) | শাকিয়ো মুজিন | রিকা নাকাসে | ২২ আগস্ট ২০০৬ | |
শিয়ন চালাকি করে গ্রামবাসীদের কাছে কেইচিকে দোষী দেখাতে থাকে, তবে শিয়ন দ্রুত বুঝতে পারে যায় যে ওইশি তাকেই সন্দেহ করতে শুরু করেছে। পরোক্ষভাবে সাতোশির নিখোঁজ হওয়ার ফলে মিয়নের শাস্তি পাওয়ার জন্যে শিয়ন সাতোকোকে অত্যাচার করে খুন করে। এরপরই তার মনে পরে যায় সাতোশির শেষ অনুরোধ ছিল সাতোকোর খেয়াল রাখা। শিয়ন আরো পাগল হয়ে যায়। সেইদিন, রিকা আর সাতোকোর খুনি হিসেবে কেইচি আর রেনা মিয়নকে সন্দেহ করে। এরপর শিয়ন কেইচিকে অন্ধকূপে নিয়ে এসে তার অত্যাচারের প্রস্তুতি করতে থাকে। কেইচি তাকে মিয়ন মনে করে অনুরোধ করে শিয়নকে ছেড়ে দিতে,ফলে শিয়ন দুঃখ পায় ও তাকে ছেড়ে দেয়। শিয়ন এদিকে মিয়নের সাথে পোশাক পরিবর্তন করে তাকে দেহ নিষ্পত্তি করার কুয়োর সামনে নিয়ে এসে জানতে পারে যে সাতোশির দেহ এই কুয়োর নিচে পড়ে আছে। মিয়ন বলতে থাকে যে তাদের ঠাকুরমা শিয়ন আর সাতোশির সম্পর্ক মেনে নিয়েছিল, কিন্তু সে তা বিশ্বাস করে না। এরপর সে মিয়নকে কুয়োয় ঠেলে ফেলে দিয়ে খুন করে। তাকে আর কেইচিকে বাঁচানো হয়। ঘটনাগুলির অনুসরণে, শিয়নের মনে বিভ্রান্তি জাগতে থেকে। সে কেইচির সাথে দেখা করে তাকে গভীরভাবে আহত করে। শিয়ন দ্রুত অ্যাপার্টমেন্টে ছুটে আসে, কিন্তু ওপর থেকে দুর্ভাগ্যক্রমে পড়ে মারা যায়। পড়ার সময় চাঁদের দিকে তাকিয়ে সে সাতোশির মুখ কল্পনা করে এবং নিজের হাত দিয়ে যতগুলো অমার্জনীয় পাপ সে করেছে তার ক্ষমা চায়।। | |||||
২২ | "সুখ (অধ্যায়: সুমিহোরোবোরোশি-হেন, প্রথম ভাগ)" Transcription: "সুমিহোরোবোরোশি-হেন সোনো ইচি — শিয়াওয়াসে" (জাপানি: 罪滅し編 其の壱 幸せ) | দাইসুকে সুজি | তোশিফুমি কাওয়াসে | ২৯ আগস্ট ২০০৬ | |
সময়কাল পুনরায় প্রথম থেকে শুরু হচ্ছে। অধ্যায়টি শুরু হয় রেনা আর কেইচির জল-পিস্তল প্রতিযোগিতা জেতার মাধ্যমে। খেলায় হেরে গিয়ে মিয়ন, সাতোকো আর রিকা এঞ্জেল মর্ট ক্যাফেতে কাজ করার পরিকল্পনা করছিল। সেখানে রেনার সাথে মামিয়া রিনার দেখা হয় এবং তার মা-বাবার বিবাহবিচ্ছেদের কথা মনে পরে যায়, কারন তার মা অন্য একজন মানুষকে বিয়ে করবে বলে ঠিক করেছিল। বাড়ি ফিরে রেনা দেখে যে রিনা তার বাবাকে বসার ঘর সাজাতে সাহায্য করেছে, তবে এর মাধ্যমে রেনার গুরুত্বপূর্ণ জিনিসপত্রগুলো সরানো হয়েছে, যায় মধ্যে ভাগার থেকে উদ্ধার করে নিয়ে আসা কেন্টা-কুনের মূর্তিও ছিল। পরদিন ক্যাফেতে রিনা আর হোজো তেপ্পেই দল থেকে টাকা চুরি করে তাদের বিবাহের জন্যে সঞ্চয় করার পরিকল্পনা ভাঁজতে থাকে।। | |||||
২৩ | "ফিরে আসার জায়গা (অধ্যায়: সুমিহোরোবোরোশি-হেন, দ্বিতীয় ভাগ)" Transcription: "সুমিহোরোবোরোশি-হেন সোনো নি – কায়রু তোকোরো" (জাপানি: 罪滅し編 其の弐 還る処) | তোমোকো হীরামুকি | তোশিফুমি কাওয়াসে | ৫ সেপ্টেম্বর ২০০৬ | |
রেনা তার বাবার চেকবই ঘাটে আর জানতে পারে যে সে অতিরিক্ত টাকা খরচ করে চলেছে। স্কুলের পরে, রেনা ভাগাড়ে আসে এবং সমস্ত পরিকল্পনা করার জন্যে রিনাকে দোষারোপ কর। যখন রিনা তার গলা চিপে ধরে, সে একটা কাঁচের টুকরো দিয়ে তার পেট চিরে দেয় ও আরেকটি ধাতব নল দিয়ে তাকে মারতে থাকে। সেইরাত্রে, বাড়ির বাইরে রেনা দেখতে পায় তেপ্পেই তার বাবাকে মারছে। সে তেপ্পেইকে ভাগাড়ে নিয়ে এসে হত্যা করে। পরের দিন, রেনা তাদের দেহকে খণ্ড খণ্ড করে ছোট ছোট প্যাকেজের মধ্যে মুড়ে দেয়। তার বন্ধুরা তাকে খুঁজে পায় এবং তারা তাকে নিজের মতো হতে সন্তুষ্ট করায়। জঙ্গলের মধ্যে একটি গুহায় তারা সকলে সেই প্যাকেজগুলো ফেলে দেয়। যখন রেনা চলে যায়, মিয়ন বাকি সবাইকে এই ঘটনা ভুলে যেতে বলে।। | |||||
২৪ | "ডকুমেন্ট ৩৪ (অধ্যায়: সুমিহোরোবোরোশি-হেন, তৃতীয় ভাগ)" Transcription: "সুমিহোরোবোরোশি-হেন সোনো সান – সানজুইয়োন-গো বুনশো" (জাপানি: 罪滅し編 其の参 34号文書) | মাতসুও আসামি | তোশিফুমি কাওয়াসে | ১২ সেপ্টেম্বর ২০০৬ | |
তাকানোর স্ক্র্যাপবুক পড়তে পড়তে, রেনা ওয়াশিরো আর তার অভিশাপের পেছনে থাকা সত্যের সম্বন্ধে জানতে পারে। সেখানে বলা ছিল, ওয়াশিরো হলো আসলে একজন ডাক্তার এবং অভিশাপটা ছিল গ্রামের একটি ভাইরাস, যার জন্যে তিনি গোটা গ্রামকে বাইরের সংস্পর্শ থেকে পৃথক করে দেন ও ভাইরাসের ফলে যারা মারা গিয়েছিল, তাদের সাহায্যে তিনি একটি ভ্যাকসিন তৈরি করছিলেন, যেটার ব্যাপারে অসাবধানতাবশত গ্রামবাসীরা জানতে পেরে যায়। যেহেতু উচ্চতা আর উষ্ণতা এই ভাইরাসের বেঁচে থাকার জন্যে খুব জরুরি তাই রোগী গ্রাম ছেড়ে চলে গেলেই অসুস্থ হয়ে পড়ে। এই রোগের ফলেই দেখে মনে হয় সমস্ত খুনখারাপি ঘটেছে। রেনার পেছনে এমন লোকজনেরা পড়ে যায়, যারা এই গুরুত্বপূর্ণ তথ্যকে লুকিয়ে রাখার জন্যে যেকোনো কিছু করতে প্রস্তুত।। | |||||
২৫ | "পৃথিবী আক্রমন (অধ্যায়: সুমিহোরোবোরোশি-হেন, চতুর্থ ভাগ)" Transcription: "সুমিহোরোবোরোশি-হেন সোনো ইয়োন – চিকিয়ু শিনরিয়াকু" (জাপানি: 罪滅し編 其の四 地球侵略) | ইউজি হীরাকি | তোশিফুমি কাওয়াসে | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০০৬ | |
রেনা বুঝতে পারে যে মিয়ন প্যাকেজগুলো সরিয়ে নিয়েছে, ফলে সে তার বন্ধুদের প্রতি বিশ্বাস ও নিজের সদ্বিবেচনা হারিয়ে ফ্যালে। কেইচি রেনাকে থামাতে যায় কিন্তু রেনা তাকে তার খারাপ অতীতের একটি রহস্যের সম্মুখীন করায়। এর ফলে কেইচির প্রথম খণ্ডের কথা মনে পড়ে যায়, যেখানে সে রেনা আর মিয়নকে ভুল মনে করে খুন করে। রিকা তা শুনে বেশ চমকে যায় এবং পরে বলে যে সেই খুনগুলো সে ছাড়া আর কেউ মনে করে পারেনা, তাই রিকা তাকে ক্ষমা করে। এর ফলে রেনার অবস্থার সম্পর্কে কেইচি আরো গাঢ়ভাবে জানতে পারে ও তাই কোনো বিপদ ঘটার আগেই সব ঠিক করার প্রতিশ্রুতি নেয়। সে মিয়নের কাছে ক্ষমা চায়, তবে মিয়ন কিছু বুঝতে পারেনা।। | |||||
২৬ | "রিটেক (অধ্যায়: সুমিহোরোবোরোশি-হেন, পঞ্চম ভাগ)" Transcription: "সুমিহোরোবোরোশি-হেন সোনো গো – রিটেইকু" (জাপানি: 罪滅し編 其の伍 リテイク) | চিয়াকি কোন | তোশিফুমি কাওয়াসে | ২৬ সেপ্টেম্বর ২০০৬ | |
রেনা সকল ছাত্র-ছাত্রীদের ধরে রেখে স্কুলের ছাদে ফিট করা একটি ঘরোয়া বম্ব দিয়ে খুন করার হুমকি দেয়, তবে কেইচি সেই বম্বটিকে ডিফিউজ করতে চলে আসে। ছাদে তার আর রেনার মধ্যে এক লড়াই হয় ও এর মাধ্যমে রেনা তার চিন্তাশক্তি ফেরত পায় এবং কাউকে মারেনা। বন্ধুদের সাথে তার পুনরায় মিলন হয়। আসন্ন বিপদ এড়ানো গেলেও ঘটনাচক্রে শেষপর্যন্ত রিকার খুন হয় এবং আরেকটি সময়কালে তার পুনর্জন্ম হয়।। |
সুপ্রতিষ্ঠিত কোম্পানিগুলির তৈরি ভিজুয়্যাল নভেলের মতো কিন্তু ০৭থ এক্সপ্যানশন "হিগুরাশি" গেমের সঙ্গীত তৈরি করেনি। প্রশ্ন আর্কগুলির মধ্যে অন্তর্গত সঙ্গীতগুলি ইন্টারনেট থেকে বিনামূল্যে নেওয়া হয়েছে, যেগুলির জন্যে কোনো লাইসেন্স লাগে না। এদিকে উত্তর আর্কগুলির জন্যে "হিগুরাশি" ফ্যানদের মধ্যে যারা দোজিন সঙ্গীত শিল্পী, তাদের থেকে গান নেওয়া হয়েছে। পরে, দোজিন সঙ্গীত শিল্পী, দাই, থ্যাংকস/ইউ নামে একটি সিডি অ্যালবাম মুক্তি করেন; সেখান থেকে বহু ট্র্যাক উত্তর আর্কগুলির জন্যে নেওয়া হয়েছিল। ফ্যানেরা সাধারণত এই অ্যালবামটিকেই অফিসিয়াল সাউন্ডট্র্যাক বলে থাকে। যদিও, সিরিজের আসল অফিসিয়াল সাউন্ডট্র্যাক অনেক আগেই মুক্তি পেয়েছিল, যেখানে উত্তর আর্কগুলির বেশিরভাগ গানের সমাগম ছিল। দুই-ডিস্ক সেটটি হলো গেমের সবথেকে সম্পূর্ণ সঙ্গীত সমগ্র।
অ্যানিমের প্রথম মৌসুমের ওপেনিং থিম "হিগুরাশি নো নাকু কোরো নি" গেয়েছেন এইকো শিমামিয়া; জাপানে এটি ২৪শে জুন, ২০০৬ সালে বিক্রি হয়। এন্ডিং থিম "হোয়াই, ওর হোয়াই নট" গেয়েছেন রেক্কা কাতাকিরি; এটি ২৮শে জুন, ২০০৬ সালে মুক্তি পায়। এগুলি দুটি অরিজিনাল সাউন্ডট্র্যাক হিসেবে মুক্তি পেয়েছিল। সিরিজটি কম্পোজ করেছেন কেনজি কাওয়াই এবং অ্যালবামগুলি তৈরি করেছে ফ্রন্টিয়ার ওয়ার্কস। জাপানে প্রথম খন্ড ২১শে জুলাই, ২০০৬ সালে এবং দ্বিতীয় খণ্ড ৬ই অক্টোবর, ২০০৬ সালে মুক্তি পায়। তিনটি চরিত্র সঙ্গীত সিডিও মুক্তি পেয়েছিল, যেগুলি অ্যানিমে অভিযোজনের কণ্ঠ শিল্পীরা গেয়েছিল, ২০০৭ সালের ২৮শে মার্চ এবং ২৫শে জুলাইয়ের মধ্যে।[৪৪][৪৫] দ্বিতীয় মৌসুমের ওপেনিং থিম "নারাকু নো হানা" গেয়েছেন শিনামিয়া। প্রথম মৌসুমের ওপেনিং থিমে একটি গোপন বার্তা প্রেরণ করা আছে: শুরুতে ("হান্নি হারা হারে হি") যে গীত ব্যবহার করা হয়েছে, সেটি উল্টালে পাওয়া যায় নিগেরারেনাইন দা (逃げられないんだ, "কোনো রেহাই নেই")। দ্বিতীয় মৌসুমের ওপেনিং থিমের শেষেও ("আয়য়ী হানান") একটি বিপরীত অংশ রয়েছে, যেটি প্রথম ওপেনিং থিমকে পেছনদিক থেকে বাজালে বোঝা যায়। আননিনা গেয়েছেন এন্ডিং থিম "তাইশো আ"। প্রথম ওভা মৌসুমের ওপেনিং থিম "সুপার স্ক্রিপশন অফ ড্যাটা" গেয়েছেন শিনামিয়া ও এন্ডিং থিম "মানাজাশি" (まなざし) গেয়েছেন আননিনা।[৪৬] "হিগুরাশি নো নাকু কোরো নি কিরা" ওভাতে ব্যাবহৃত ওপেনিং থিম "হ্যাপি! লাকি! ডোচি!" সম্পাদন করেছেন ইউকারি তামুরা, মিকা কানাই আর ইউ হোরিয়ে —যথাক্রমে রিকা, সাতোকো আর হানিয়ুর কণ্ঠ শিল্পী। এন্ডিং থিম "জেনদাই মিমোন মিরাকেল চেঞ্জ" (前代未聞☆ミラクルチェンジ অপূর্ব মিরাকেল চেঞ্জ) -এর চারটি আলাদা সংস্করণ রয়েছে: একটি রেনার কণ্ঠ শিল্পী মাই নাকাহারার গাওয়া এবং অন্যগুলি ইউকারি তামুরা আর মিকা কানাই,সাতসুকি ইউকিনো, মিয়ন আর শিয়নের কণ্ঠ শিল্পী এবং ইউ হোরিয়ের গাওয়া। "গৌ"-এর ওপেনিং থিম "আই বিলিভ হোয়াট ইউ সেড" গেয়েছেন আসাকা। তবে প্রথম পর্বেনএন্ডিং থিম হিসেবে শিমামিয়ার গাওয়া "হিগুরাশি নো নাকু কোরো নি"নব্যবহৃত করা হয়েছে, "গৌ"-এর এন্ডিং থিম হিসেবে পর্ব ২ থেকে ১৭ পর্যন্ত "কামিসামা নো সিনড্রোম" এবং পর্ব ১৮ থেকে ২৪ পর্যন্ত "ফুকিসোকুসেই এনট্রপি" নেওয়া হয়েছে, দুটিই আয়ানের গাওয়া। প্রথম লাইভ-অ্যাকশন ফিল্মের জন্যে, ফিল্মের থিম সঙ্গীতের একটি ক্ষুদ্র সংস্করণ ২২শে ডিসেম্বর, ২০০৭ সালে জাপানে মুক্তি পায়। আবারও, শিমামিয়া "হুইল অফ ফরচুন" (運命の輪 উন্মেই নো ওয়া) নামের গানটি গেয়েছেন। এন্ডিং থিম "ডিওরামা" (ディオラマ) গানটিও শিমামিয়া গেয়েছেন।।
Higurashi: When They Cry is a murder mystery/supernatural horror that might sound more than a bit like Silent Hill