হিণ্ডুরী | |
---|---|
হণ্ডুরী | |
𑚩𑚮𑚫𑚖𑚱𑚤𑚯 (हिंडूरी), 𑚩𑚫𑚖𑚱𑚤𑚯 (हंडूरी) | |
দেশোদ্ভব | ভারত |
অঞ্চল | নালাগড়, হিমাচল প্রদেশ |
মাতৃভাষী | ৪৭,৮০৩ (২০১১ জনগণনা)[১] বেশ কিছু হিণ্ডুরীভাষী নিজেদের হিন্দিভাষী বলে উল্লেখ করেছেন৷[২] |
টাকরী(প্রাচীন) দেবনাগরী লিপি | |
ভাষা কোডসমূহ | |
আইএসও ৬৩৯-৩ | hii |
গ্লোটোলগ | hind1267 [৩] |
হিণ্ডুরী ভাষা (বা হণ্ডুরী; টাকরী:𑚩𑚮𑚫𑚖𑚱𑚤𑚯/𑚩𑚫𑚖𑚱𑚤𑚯) পশ্চিমা পাহাড়ী ভাষাগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত একটি ভাষা, যা মূলত উত্তর ভারতের হিমাচল প্রদেশ রাজ্যের সোলান জেলার নালাগড় উপত্যকা ও তৎসংলগ্ন অঞ্চলকে কেন্দ্র করে বসবাসকারী জনগোষ্ঠীর ভাষা৷ ইউনেস্কো এই ভাষাটিকে ভারতের অধিকতর বিপন্ন ভাষাগুলির তালিকাভুক্ত করেছে৷[৪] ২০০১ খ্রিস্টাব্দের জনগণনা অবধি এই ভাষাটির উল্লেখ নেই৷
হিণ্ডুরী ভাষার জন্য ব্যবহৃত মূল লিপি হলো টাকরী লিপির একটি বিশেষ স্থানীয় প্রকার, যা কোচি টাকরী লিপি নামে পরিচিত৷ উচ্চ সোলান ও সিমলার মহাসু পাহাড়ি ভাষার জন্যও এই লিপি ব্যবহার করা হতো৷[৫] তবে ভারতের স্বাধীনতা লাভের পর দেবনাগরী লিপি এই লিপিটিকে প্রতিস্থাপিত করে৷
হিণ্ডুরী ভাষাভাষী লোক মূলত নালাগড় অঞ্চলে থাকেন৷ ২০১১ খ্রিস্টাব্দের জনগণনা অনুযায়ী ভারতে হিণ্ডুরী ভাষাভাষীর সংখ্যা ৪৭,৮০৩ জন, তবে ভারতে জনগণনায় পূর্বে এর উল্লেখ ছিলো না৷ এথ্নোলগ অনুসারে যেখানে ২০০১ খ্রিস্টাব্দে এই জনসংখ্যা ছিলো ৩০,০০০ জন৷[৬] জন সচেতনতার অভাবে যথেষ্ট সংখ্যক লোক নিজেদের হিন্দি এবং পাহাড়ী ভাষা (পাহাড়ি মূলত হিমাচলের ভাষাগুলিকে একত্রিত করতে কেন্দ্রীয় সরকার প্রবর্তিত নাম) বলে উল্লেখ করেছেন৷
জনগণনা অনুসারে এক চতুর্থাংশ হিণ্ডুরীভাষী মানুষ মধ্যপ্রদেশ রাজ্যে পরিযান করেছেন৷
হিণ্ডুরী ভাষাটি সাধারণভাবে পাহাড়ি অথবা হিমাচলি ভাষা নামে পরিচিত। তবে কারো কারো মতে বৃহত্তর পাঞ্জাবির ডোগরি ভাষার একটি উপভাষা। এই ভাষাটি কোন সরকারি পদমর্যাদা নেই এবং এটি বর্তমানে হিন্দি ভাষার একটি উপভাষা হিসেবে পরিগণিত হয়। ভাষাটির কোনো সরকারি মর্যাদা নেই৷ ইউনেস্কোর তথ্য অনুসারে এই ভাষাটি বিপন্ন ভাষার তালিকাভুক্ত, অর্থ অধিকাংশ হিণ্ডুরী ভাষাভাষী শিশুরা নিজের মাতৃভাষায় প্রাথমিক শিক্ষালাভে অক্ষম।[৭]
ভারতের সংবিধানের অষ্টম তফসিলে পাহাড়ী হিমাচলি ভাষাগুলির অন্তর্ভুক্তির জন্য ২০১০ খ্রিস্টাব্দে সিংহভাগ সম্মতিতে বিষয়টি রাজ্য বিধানসভায় উপস্থাপিত হয়৷[৮] ছোটো ছোট সংস্থাগুলির দাবীকে বাদ দিতে সরকারীভাবে বিশেষ ঐই ভাষাগুলি সংরক্ষণ ও মান্যতা দানের কোনো বড় পদক্ষেপ নেওয়া হয় নি৷[৯] রাজনৈতিক প্রভাবে ভাষাগুলির অধিকাংশের সাথেই হিন্দি ভাষাগোষ্ঠীর কোনরূপ পারস্পরিক সম্পর্ক না থাকলেও পাহাড়ি এই ভাষাগুলি হিন্দি ভাষার অন্তর্গত একেকটি উপভাষা হয়ে রয়েছে৷[১০]