১৮৫৭ সালের ভারতীয় বিদ্রোহ (ভারতের স্বাধীনতার প্রথম যুদ্ধ এবং সিপাহী বিদ্রোহ নামেও পরিচিত) ছিল ভারতীয় উপমহাদেশের সেই অংশে ব্রিটিশ দখলের বিরুদ্ধে ভারতের বিভিন্ন অংশে সশস্ত্র বিদ্রোহ।
ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক, ধর্মীয় এবং সামরিক ক্ষোভের বিল্ড আপের কারণে প্রথম ভারতীয় স্বাধীনতা যুদ্ধ হয়েছিল। পার্বত্য প্রদেশের লোকেরা দেশের অন্যান্য রাজ্যের মানুষের মতো রাজনৈতিক ভাবে সক্রিয় ছিল না। কমবেশি তারা দূরত্ব বজায় রেখেছিল এবং বুশহর বাদ দিয়ে তাদের শাসকরাও তাই করেছিল। তাদের কেউ কেউ বিদ্রোহের সময় ব্রিটিশদের সাহায্যও করেছিল। তাদের মধ্যে চাম্বা, বিলাসপুর, ভাগল ও ধমীর শাসক ছিলেন। সিবা রাজ্যের শাসক রাজা গোবিন্দ সিং-এর ছেলেরা (যেমন:রাজা রাম সিং এবং রাজা সুন্দর সিং) ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছিলেন এবং তাদের কয়েকজনকে তাদের চাচাতো ভাই সহ হত্যা করেছিলেন। ফলে সুন্দর সিং সিংহাসন ত্যাগ করেন[স্পষ্টকরণ প্রয়োজন] এবং তাঁতপালন নামে একটি স্বাধীন ডোমেইন প্রতিষ্ঠা করেন। বুশহরের শাসকরা ব্রিটিশদের স্বার্থের বিরুদ্ধে বিরূপ আচরণ করেছিল। তবে, তারা সত্যিই বিদ্রোহীদের সাহায্য করেছিল কি না তা স্পষ্ট নয়।[১] ১৮৫৮ সালের রানী ভিক্টোরিয়ার ঘোষণার পর পাহাড়ের ব্রিটিশ অঞ্চলগুলি ব্রিটিশ ক্রাউনের সরাসরি নিয়ন্ত্রণে আসে। ব্রিটিশ শাসনামলে চাম্বা, মান্ডি এবং বিলাসপুর প্রদেশগুলি বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভাল অগ্রগতি করেছিল। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময়, পার্বত্য রাজ্যের প্রায় সব শাসকই বিশ্বস্ত ছিলেন এবং যুদ্ধের সময় ব্রিটিশ সেনাবাহিনীতে কাজ করেছিলেন। ব্রিটিশদের সাহায্যকারী রাজ্যগুলির মধ্যে কাংড়া, দাদা-সিবা জাগির, নুরপুর, চাম্বা, সুকেত রাজ্য, মান্ডি এবং বিলাসপুর রাজ্যগুলি ছিল।[১]