হিলিয়া বা ḥilya আরবি: حلية, plural: ḥilān, or ḥulān; তুর্কি: hilye, বহুবচন: hilyeler) শব্দটির আভিধানিক অর্থ হলো "অলঙ্কার"। তবে, অটোমান শিল্প ও অটোমান তুর্কি সাহিত্যের একটি বিশেষ শাখায় এই শব্দটি ইসলামের নবী মুহাম্মাদ এর শারীরিক বর্ণনার প্রসঙ্গে ব্যবহৃত হয়।
ḥilya শব্দটি শামাইল শাস্ত্র থেকে উদ্ভূত, যেটি হাদিসের বর্ণনাগুলোর উপর ভিত্তি করে মুহাম্মাদ এর চেহারা ও চরিত্রের একটি বিস্তারিত অধ্যয়ন। বিশেষতঃ আল-তিরমিযির "শামাইল আল-মুহাম্মদিয়া" গ্রন্থটির উপর ভিত্তি করে এই শাস্ত্র গড়ে ওঠে।
অটোমান যুগে মুসলিম জনসাধারণের মধ্যে একটি বিশ্বাস গড়ে ওঠে যে, নবী মুহাম্মাদ এর শারীরিক বর্ণনা পাঠ করা এবং তা নিজের কাছে রাখলে পার্থিব ও পরকালীন জীবনে বিপদ-আপদ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। তাই, সুন্দর ক্যালিগ্রাফিতে লেখা এবং আলোকসজ্জা করা এই বর্ণনাগুলো তাবিজ হিসেবে বহন করা একটি প্রথা হয়ে দাঁড়ায়।[১][২]
সপ্তদশ শতাব্দীতে অটোমান তুরস্কে 'ḥilān' এক ধরণের চিত্রশিল্পে রূপ নেয় যার একটি নির্দিষ্ট পরিকাঠামো তৈরি হয়। এগুলো প্রায়ই ফ্রেম করা হতো এবং দেয়ালে সাজানোর প্রচলন ছিল। পরবর্তীতে, খুলাফায়ে রাশেদীন, নবীর সাহাবীগণ, নবীর দুই নাতি হাসান ও হুসাইন এবং বিভিন্ন ওলি-আউলিয়াদের জন্যও 'ḥilān' রচিত হতে থাকে।
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়; DermanN.Y.)1998
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি