হিশামউদ্দিন আলম শাহ | |||||
---|---|---|---|---|---|
২য় ইয়াং দি-পেরতুয়ান আগং সেলাঙ্গোরের সুলতান | |||||
ইয়াং দি-পেরতুয়ান আগং | |||||
রাজত্ব | ১৪ এপ্রিল ১৯৬০ - ১ সেপ্টেম্বর ১৯৬০ | ||||
পূর্বসূরি | তুঙ্কু আবদুর রহমান ইবনে আলমরহুম তুঙ্কু মুহাম্মদ | ||||
উত্তরসূরি | তুঙ্কু সৈয়দ পুত্রা ইবনে আলমরহুম সৈয়দ হাসান জামালুল্লাইল | ||||
সেলাঙ্গোরের সুলতান | |||||
রাজত্ব | ৪ এপ্রিল ১৯৩৮ - ১৫ জানুয়ারি ১৯৪২ | ||||
রাজ্যাভিষেক | ২৬ জানুয়ারি ১৯৩৯ | ||||
পূর্বসূরি | সুলতান আলাউদ্দিন সুলাইমান শাহ ইবনে আলমরহুম রাজা মুদা মুসা | ||||
উত্তরসূরি | সুলতান মুসা গিয়াসউদ্দিন রিয়ায়াত শাহ | ||||
রাজত্ব | ১৪ সেপ্টেম্বর ১৯৪৫ - ১ সেপ্টেম্বর ১৯৬০ | ||||
পূর্বসূরি | সুলতান মুসা গিয়াসউদিন রিয়ায়াত শাহ | ||||
উত্তরসূরি | সুলতান সালাহউদ্দিন আবদুল আজিজ শাহ আলহাজ ইবনে আলমরহুম সুলতান হিশামউদ্দিন আলম শাহ | ||||
জন্ম | কুয়ালা লাঙ্গাত, সেলাঙ্গোর, ফেডারেডেট মালয় স্টেটস, ব্রিটিশ মালয় | ১৩ মে ১৮৯৮||||
মৃত্যু | ১ সেপ্টেম্বর ১৯৬০ ইসনা নেগারা, কুয়ালালামপুর, মালয়েশিয়া | (বয়স ৬২)||||
সমাধি | ৩ সেপ্টেম্বর ১৯৬০ | ||||
দাম্পত্য সঙ্গী | রাজা জেমাহ চিক পুয়ান কালসুম বিনতে মাহমুদ | ||||
বংশধর বিস্তারিত | তুঙ্কু আবদুল আজিজ শাহ তুঙ্কু বাদিল শাহ তুঙ্কু হাজাহ রাওদজাহ তুঙ্কু সিতি কারতিনা Tengku Ampuan Bariah তুঙ্কু ইসমাইল শাহ তুঙ্কু হাজাহ তাকসিয়াহ | ||||
| |||||
মাতা | হাসনাহ বিনতে পিলং | ||||
ধর্ম | ইসলাম (সুন্নি) |
সুলতান হিশামউদ্দিন আলম শাহ ইবনে আলমরহুম সুলতান আলাউদ্দিন সুলাইমান শাহ (১৩ মে ১৮৯৮ – ১ সেপ্টেম্বর ১৯৬০) ছিলেন মালয়েশিয়ার দ্বিতীয় সম্রাট। ১৯৬০ সালের ১৪ এপ্রিল থেকে ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিনি সম্রাট ছিলেন। তিনি ১৯৩৮-১৯৪২ সাল এবং পুনরায় ১৯৪৫-১৯৬০ সাল পর্যন্ত তিনি সেলাঙ্গোরের সুলতান ছিলেন।
তিনি সুলতান আলাউদ্দিন সুলাইমান শাহর প্রথম ছেলে। তার বড় দুই ভাই থাকায় তিনি সিংহাসনের সম্ভাব্য উত্তরসূরি ছিলেন না।
হিশামউদ্দিন মালয় কলেজ কুয়ালা কাংসারে পড়াশোনা করেছেন। ১৯২৯ সালে মালয় কলেজ ওল্ড বয়েজ এসোসিয়েশন স্থাপনে তার ভূমিকা ছিল। ১৯৩১ সালে তিনি সেলাঙ্গোরের তুঙ্কু লাকসামানা নিযুক্ত হন। ইতিপূর্বে তিনি তুঙ্কু পাংলিমা রাজা হিসেবে দায়িত্বপালন করেছেন।
সুলতান আলাউদ্দিন শাহর বেশ কয়েকজন সন্তান ছিল। প্রথম তিনজন হলেন তুঙ্কু মুসা এদ্দিন, তুঙ্কু বদর শাহ ও তুঙ্কু আলম শাহ। প্রথম দুইজন ছিলেন প্রধান রাণী তুঙ্কু আমপুয়ান মাহারুম বিনতে তুঙ্কু জিয়াউদ্দিন এবং তিনি ছিলেন কেদাহর রাজপরিবারের সদস্য। তুঙ্কু মুসা এদ্দিনকে ১৯০৩ সালে তুঙ্কু মাহকুতা করা হয় এবং ১৯২০ সালে রাজা মুদা বা উত্তরাধিকারই ঘোষণা করা হয়।[১]
তবে ব্রিটিশ রেসিডেন্ট থিওডর স্যামুয়েল এডামসের প্ররোচনায় ১৯৩৪ সালে রাজা মুদার পদ থেকে অপসারিত হন। এডামস তার বিরুদ্ধে অমিতব্যয়িতার অভিযোগ করলেও অধিকাংশ মালয়ীর বিশ্বাস ছিল যে এডামসের আদেশ মানতে রাজি না হওয়ায় তাকে পদচ্যুত হতে হয়।[২] মুসার ব্যাপারে সুলতান সুলাইমান আবেদন জানালেও তুঙ্কু আলম শাহকে রাজা মুদা ঘোষণা করা হয়।[৩] ১৯৩৬ সালের ২০ জুলাই এই নিয়োগ কার্যকর হয়।[২]
বাবার মৃত্যুর পর ১৯৩৮ সালের ৪ এপ্রিল হিশামউদ্দিন নতুন সুলতান হন। ১৯৩৯ সালের ২৬ জানুয়ারি ক্লাঙের ইস্তানা মাহকুতা পুরিতে তার রাজ্যাভিষেক হয়।[২]
১৯৪২ সালের ১৫ জানুয়ারি সেলাঙ্গোরের জাপানি সামরিক গভর্নর কর্নেল ফুজিয়ামা সুলতান হিশামউদ্দিনকে কুয়ালালামপুরে আমন্ত্রণ জানান। ১৯৪৩ সালের নভেম্বরে জাপানিরা তাকে ক্ষমতাচ্যুত করে তুঙ্কু মুসা এদ্দিনকে সুলতান মুসা গিয়াসউদ্দিন রিয়ায়াত শাহ হিসেবে সেলাঙ্গোরের নতুন সুলতান ঘোষণা করে।[৩]
সুলতান হিশামউদ্দিন আলম শাহ জাপানিদের সাথে কাজ করতে অস্বীকৃতি জানান। ১৯৪৩ সালের পর থেকে তিনি তাকে দেয়া জাপানি সুযোগ সুবিধা ফিরিয়ে দেন।[৪]
ব্রিটিশদের আগমনের পর সুলতান হিশামউদ্দিন পুনরায় ক্ষমতালাভ করেন। এসময় সাবেক সুলতান মুসা এদ্দিন কোকোস দ্বীপপুঞ্জে নির্বাসিত হয়েছিলেন।[২]
১৯৫৭ সালের ৩ আগস্ট আট-এক ভোটে সুলতান হিশামউদ্দিন ডেপুটি ইয়াং দি-পেরতুয়ান আগং নির্বাচিত হন।[৫]
তুঙ্কু আবদুর রহমানের মৃত্যুর পর সুলতান হিশামউদ্দিন মালয়ের দ্বিতীয় ইয়াং দি-পেরতুয়ান আগং নির্বাচিত হন। ১৯৬০ সালের ১৪ এপ্রিল তিনি দপ্তর শুরু করেন। ৩০ জুলাই তিনি মালয়েশিয়ার জরুরি অবস্থার ঘোষণা করেন।[২]
সুলতান হিশামউদ্দিন ১৯৬০ সালের ১ সেপ্টেম্বর ৬২ বছর বয়সে কুয়ালালামপুরে মৃত্যুবরণ করেন। ৩ সেপ্টেম্বর সেলাঙ্গোরের সুলতান সুলাইমান মসজিদের নিকটে রাজকীয় কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।[২]
সুলতান হিশামউদ্দিন দুইবার বিয়ে করেছেন। তার স্ত্রীরা হলেন:
হিশামউদ্দিন ও রাজা জেমাহর ছেলে তুঙ্কু আবদুল আজিজ শাহ তার উত্তরসূরি হিসেবে সেলাঙ্গোরের সুলতান হয়েছিলেন। পরবর্তীতে তিনি ১১তম ইয়াং দি-পেরতুয়ান আগং হন।
রাজত্বকাল শিরোনাম | ||
---|---|---|
পূর্বসূরী তুঙ্কু আবদুর রহমান |
ইয়াং দি-পেরতুয়ান আগং | উত্তরসূরী তুঙ্কু সৈয়দ পুত্রা |
পূর্বসূরী সুলতান সুলাইমান |
সেলাঙ্গোরের সুলতান (প্রথম দফা) | উত্তরসূরী সুলতান মুসা গিয়াসউদ্দিন রিয়ায়াত শাহ |
পূর্বসূরী সুলতান মুসা গিয়াসউদ্দিন রিয়ায়াত শাহ |
সেলাঙ্গোরের সুলতান (দ্বিতীয় দফা) | উত্তরসূরী সুলতান সালাহউদ্দিন |