হীরামন্ডী | |
---|---|
![]() প্রচারণামূলক প্রচ্ছদ | |
ধরন | ঐতিহাসিক নাট্য |
নির্মাতা | সঞ্জয় লীলা বনশালি |
লেখক | চিত্রনাট্য: সঞ্জয় লীলা বনশালি সংলাপ: দিব্য নিধি বিভু পুরি |
কাহিনিকার | মইন বাইগ |
পরিচালক | সঞ্জয় লীলা বনশালি |
শ্রেষ্ঠাংশে | |
সঙ্গীত রচয়িতা | সঙ্গীত: সঞ্জয় লীলা বনশালি নেপথ্য সঙ্গীত: বেনেডিক্ট টেইলর নরেন চাঁদভরকর |
দেশ | ভারত |
মূল ভাষা | হিন্দি |
মৌসুমের সংখ্যা | ১ |
পর্বের সংখ্যা | ৮ |
নির্মাণ | |
নির্বাহী প্রযোজক |
|
চিত্রগ্রাহক | সুদীপ চ্যাটার্জী মহেশ লিমায়ে হুয়েনস্তাং মহাপাত্র রাগুল ধরুমান |
সম্পাদক | সঞ্জয় লীলা বনশালি |
নির্মাণ প্রতিষ্ঠান | বনশালি প্রোডাকশনস |
নির্মাণব্যয় | ₹২০০ কোটি[১] |
মুক্তি | |
নেটওয়ার্ক | নেটফ্লিক্স |
মুক্তি | ১ মে ২০২৪ |
হীরামন্ডী: দ্য ডায়মন্ড বাজার (হিন্দি: हीरामंडी, অনু. হীরার বাজার) হলো সঞ্জয় লীলা বনশালি দ্বারা নির্মিত এবং পরিচালিত একটি ভারতীয় হিন্দি ভাষার ঐতিহাসিক নাট্য টেলিভিশন ধারাবাহিক। ব্রিটিশ রাজের বিরুদ্ধে ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের সময় লাহোরের হীরা মন্ডীর রেড-লাইট জেলায় তাওয়াইফদের জীবন নিয়ে এই ধারাবাহিকটি নির্মিত। মনীষা কৈরালা, সোনাক্ষী সিনহা, অদিতি রাও হায়দারী, ঋচা চড্ডা, সানজিদা শেখ এবং শারমিন সেগলের মতো অভিনয়শিল্পীগণ এই ধারাবাহিকে অভিনয় করেছেন।।[২]
২০২২ সালের জুন থেকে ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত এই ধারাবাহিকের চিত্র ধারণ সম্পন্ন হয়েছে ফটোগ্রাফি অনুষ্ঠিত হয়। মূলত হিন্দি ভাষায় নির্মিত এই ধারাবাহিকটি ২০২৪ সালের ১লা মে তারিখে নেটফ্লিক্সে মুক্তি পেয়েছে।
১৯৪০-এর দশকে ব্রিটিশ রাজের বিরুদ্ধে ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে লাহোরের হীরা মন্ডীর রেড-লাইট জেলায় বসবাসকারী তাওয়াইফদের জীবন নিয়ে এই ধারাবাহিকটি নির্মিত।[৩]
হীরামন্ডী আনুষ্ঠানিকভাবে ২০২১ সালের এপ্রিল মাসে এমন একটি প্রকল্প হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল যা বনশালি ১৪ বছর পূর্বে কল্পনা করেছিলেন।[৮] আট পর্বের এই ধারাবাহিকটি, যা স্ট্রিমিংয়ে বনশালির অভিষেক হিসেবে চিহ্নিত করে, ২০২২ সালের জুনে চিত্রগ্রহণ শুরু হয়েছিল।[৯] বনশালি মে মাসে পুনরায় শুট শুরু করেছেন ঘোষণা দেয়ার পর ২০২৩ সালের জুনে চিত্রগ্রহণ শেষ হয়েছে বলে জানা গেছে।[১০][১১] বলিউড হাঙ্গামা জানিয়েছে যে বনশালি মূল পর্বটি পরিচালনা করেছিলেন, বাকি পর্বগুলো পরিচালনা করেছিলেন মিতাক্ষরা কুমার, যিনি বাজীরাও মাস্তানী এবং পদ্মাবত চলচ্চিত্রে বনশালির সহযোগী পরিচালক হিসেবে কাজ করেছিলেন, তিনি বিভু পুরির স্থলাভিষিক্ত হন, যাকে পূর্বে নিয়োগ করা হয়েছিল।[১২]
নেটফ্লিক্সের সিইও টেড সারানডোসের সাথে ২০২৩ সালের একটি সাক্ষাৎকারে, বনশালি হীরামন্ডীকে তার "বৃহত্তম প্রকল্প" হিসেবে বর্ণনা করেছিলেন এবং বলেছিলেন যে এই ধারাবাহিকটি মাদার ইন্ডিয়া (১৯৫৭), মুঘল-ই-আজম (১৯৬০) এবং পাকিজা (১৯৭২) চলচ্চিত্রের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি হবে।[১৩]
একটি সাক্ষাৎকারে নকশাকার রিম্পল নারুলা এবং হরপ্রীত নারুলা প্রকাশ করেছেন যে এই ধারাবাহিকের কিছু সৃষ্টি পেশেন্স কুপার, সুরাইয়া, স্বরন লতা, নূর জাহান, শমসাদ বেগম এবং মুখতার বেগমের শৈলী থেকে অনুপ্রাণিত হয়েছিল।[১৪] লিলি সিংয়ের সাথে একটি সাক্ষাৎকারে সঞ্জয় লীলা বনশালি আরও বলেছিলেন যে তিনি মাহিরা খান, ফাওয়াদ খান এবং ইমরান আব্বাসসহ পাকিস্তানি অভিনেতাদের এই ধারাবাহিকে অন্তর্ভুক্ত করতে চেয়েছিলেন তবে তা সম্ভব হয়নি।[১৫]
নং. | শিরোনাম | পরিচালক | লেখক | মূল মুক্তির তারিখ | |
---|---|---|---|---|---|
১ | "মল্লিকাজান: দ্য কুইন অব হীরামন্ডী" | সঞ্জয় লীলা বনশালি | সঞ্জয় লীলা বনশালি | ১ মে ২০২৪ | |
মল্লিকাজান যতই তার গণিকাদের উপর রাজত্ব করছেন, রাস্তায় রাস্তায় বিদ্রোহ বাড়ছে। অন্যদিকে আলমজেব তার প্রথম প্রেমের তুলি ধারণ করেছেন। ওয়ালি বিব্বোর সাথে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আদান-প্রদান করেছেন। | |||||
২ | "ফরিদাঁজান: দ্য চ্যালেঞ্জার রিটার্নস" | সঞ্জয় লীলা বনশালি | সঞ্জয় লীলা বনশালি | ১ মে ২০২৪ | |
একজন নবাবের দ্বারা হৃদয়বিদারক লাজ্জো তার প্রাক্তন প্রেমিককে ফিরে পেতে মদ্যপান এবং নাচতে শুরু করে। মল্লিকাজানের অতীত তার সামনে ধরা পড়ার পর একটি অন্ধকার রহস্য প্রকাশ করেন। | |||||
৩ | "ওয়াহিদাজান: স্কেয়ার্ড ফর লাইফ" | সঞ্জয় লীলা বনশালি | সঞ্জয় লীলা বনশালি | ১ মে ২০২৪ | |
খাবগাহে ফরিদনের প্রত্যাবর্তন উত্তেজনা বাড়িয়ে তোলে কেনবান মল্লিকাজান সেখানে নিয়ন্ত্রণ আঁকড়ে ধরার পরিকল্পনা করেন। ওয়াহিদান নিজেই একটি সাহসী পদক্ষেপ নেন। | |||||
৪ | "আলমজেব: দি ইনোসেন্ট পোন" | সঞ্জয় লীলা বনশালি | সঞ্জয় লীলা বনশালি | ১ মে ২০২৪ | |
তার নাচের অভিষেক যত ঘনিয়ে আসছে, আলম হীরামন্ডীতে তার জায়গা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। সায়মা অজান্তেই মল্লিকাজানের ক্রোধের স্বীকার হন এবং ফরিদাঁ পাল্টা আঘাত হানে। | |||||
৫ | "তাজদার: দ্য লাভার'স ডিলেমা" | সঞ্জয় লীলা বনশালি | সঞ্জয় লীলা বনশালি | ১ মে ২০২৪ | |
মল্লিকাজান এবং গণিকারা যখন আকুলভাবে আলমের সন্ধান করে, তখন তাজদার তাকে উদ্ধার করতে আসে। এদিকে ক্ষুব্ধ ওয়াহিদান ফরিদাঁর জন্য একটি প্রস্তাব দেয়। | |||||
৬ | "তাজদার অ্যান্ড আলমজেব: নেশন বনাম লাভ" | সঞ্জয় লীলা বনশালি | সঞ্জয় লীলা বনশালি | ১ মে ২০২৪ | |
আলম এবং তাজদারের ভালোবাসা তীব্র হয়, অন্যদিকে শহরে একটি বিদ্রোহ সৃষ্টি হচ্ছে। মল্লিকাজান এবং ফরিদাঁ একে অপরের সম্পর্কে অন্ধকার এবং গোলমেলে রহস্য প্রকাশ করে। | |||||
৭ | "বিব্বোজান: লং লিভ দ্য রেভোলুশন" | সঞ্জয় লীলা বনশালি | সঞ্জয় লীলা বনশালি | ১ মে ২০২৪ | |
গণিকাদের বিরুদ্ধে কার্টরাইটের ষড়যন্ত্র উন্মোচিত হয়। আলমের সাথে ভবিষ্যতের সন্ধানে তাজদার মল্লিকাজানের কাছে যান - তবে তার অনুমোদনের মূল্য দিতে হয়। | |||||
৮ | "হীরামন্ডী: দ্য সোয়ান সং" | সঞ্জয় লীলা বনশালি | সঞ্জয় লীলা বনশালি | ১ মে ২০২৪ | |
স্বাধীনতার লড়াই হীরামন্ডীর সিঁড়ি বেয়ে পৌঁছেছে – গণিকা ও দেশ উভয়ের জন্যই। যুদ্ধ কি বিজয়ে শেষ হবে নাকি ধ্বংসে রূপ নেবে? |
হীরামন্ডী | ||||
---|---|---|---|---|
কর্তৃক সাউন্ডট্র্যাক অ্যালবাম | ||||
মুক্তির তারিখ | ২৯ এপ্রিল ২০২৪[১৬] | |||
শব্দধারণের সময় | ২০২১–২০২৩ | |||
স্টুডিও |
| |||
ঘরানা | ফিচার ফিল্ম সাউন্ডট্র্যাক | |||
দৈর্ঘ্য | ৩২:৪০ | |||
ভাষা | হিন্দি | |||
সঙ্গীত প্রকাশনী | বনশালি মিউজিক | |||
সঞ্জয় লীলা বনশালি কালক্রম | ||||
| ||||
সঙ্গীত ভিডিও | ||||
ইউটিউবে হীরামন্ডী- সম্পূর্ণ অ্যালবাম |
আমির খুসরো রচিত, রাজা হাসানের গাওয়া এবং সাথে বনশালি রচিত "সকাল বান" এই অ্যালবামের প্রথম গানটি ২০২৪ সালের ৮ মার্চ প্রকাশিত হয়েছিল।[১৭] ২রা এপ্রিল শর্মিষ্ঠা চট্টোপাধ্যায়ের গাওয়া দ্বিতীয় গান 'তিলাসমি বাহেঁ' প্রকাশিত হয়েছে।[১৮]
সকল গানের সুরকার সঞ্জয় লীলা বনশালি তার নিজস্ব রেকর্ড লেবেল বনশালি মিউজিকের অধীনে রেকর্ড করেছেন।
গানের তালিকা | ||||
---|---|---|---|---|
নং. | শিরোনাম | গীতিকার | সঙ্গীতশিল্পী | দৈর্ঘ্য |
১. | "তিলাসমি বাহেঁ" | এ. এম. তুরাজ | শর্মিষ্ঠা চট্টোপাধ্যায় | ২:১৯ |
২. | "সকাল বান" | আমির খসরু | রাজা হাসান | ২:৩০ |
৩. | "আজাদি" | এ. এম. তুরাজ | অর্চনা গোর, প্রগতি জোশি, অদিতি প্রভুদেসাই, আরোহী, অদিতি পল, তারান্নুম মালিক জৈন, দিপ্তি রেগে | ৩:৫৩ |
৪. | "চৌধভি শাব" | এ. এম. তুরাজ | শ্রেয়া ঘোষাল | ৪:০৩ |
৫. | "মাসুম দিল হ্যায় মেরা" | এ. এম. তুরাজ | শিখা জোশি | ৩:৫৬ |
৬. | "ফুল গেঁদওয়া না মারো" | প্রথাগত | বর্ণালি গাঙ্গুলি | ৩:১৩ |
৭. | "সাইয়াঁ হাট্টো যাও" | এ. এম. তুরাজ | বর্ণালি গাঙ্গুলি | ৫:১৩ |
৮. | "এক বার দেখ লিজিয়ে" | এ. এম. তুরাজ | কল্পনা গন্ধর্ব | ৪:১১ |
৯. | "নাজারিয়া কি মারি" | প্রথাগত | মধুবন্তী বাগচী | ৩:১৭ |
মোট দৈর্ঘ্য: | ৩২:৪০ |
এই ধারাবাহিকটির প্রথম ঝলক ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত হয়েছিল, বছরের পরের দিকে নেটফ্লিক্সে মুক্তির তারিখ পরিকল্পনা করা হয়েছিল।[১৯][২০] পরের মাসে, ঘোষণা করা হয়েছিল যে এই ধারাবাহিকটি ২০২৪ সালের ১লা মে মুক্তি পাবে।[২১]