অ্যাডমিরাল স্যার হেনরি মর্গান | |
---|---|
— জলদস্যু — | |
ডাকনাম | "বার্বাডোস্ড" |
ধরন | প্রাইভেটিয়ার |
জন্ম | সি. ১৬৩৫ |
জন্মস্থান | ল্যানরামনি, ওয়েল্স্ |
মৃত্যু | ২৫ আগস্ট ১৬৮৮ (বয়স ৫৩?) |
মৃত্যুর স্থান | লরেন্সিফিল্ড, জামাইকা ? |
আনুগত্য | যুক্তরাজ্য |
কার্যকাল | ১৬৬৩–১৬৭৪ |
পরবর্তীকালের কাজ | জ্যামাইকা -এর লেফটেন্যান্ট গভর্নর |
অ্যাডমিরাল স্যার হেনরি মর্গান (হ্যারি মর্গান; সি. ১৬৩৫ – ২৫ আগস্ট ১৬৮৮) ছিলেন একজন প্রাইভেটিয়ার, জলদস্যু ও ইংরেজ রাজকীয় নৌবাহিনীর অ্যাডমিরাল।[১][২][৩] তিনি ক্যারিবীয় অঞ্চলে স্প্যানিশদের বিরোদ্ধে কার্যক্রম পরিচালনা করে তার নামকে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছিলেন। তিনি ছিলেন ইতিহাসের অন্যতম একজন কুখ্যাত ও সফল প্রাইভেটিয়ার এবং সেসময় স্প্যানিশদের বিরোদ্ধে যারা অভিযান পরিচালনা করত তাদের মধ্যে সবচেয়ে নির্মম।
হেনরি মর্গান, পূর্ব কার্ডিফের রবার্ট মর্গানের জ্যেষ্ঠ পুত্র। ক্যাথেরিন নামে তার একজন বোনও রয়েছে। হেনরির পিতা রবার্ট (জন্ম সি. ১৬১৫) ছিলেন ট্রেডগার মর্গান ব্রাঞ্চের বংশধর এবং তার দুই ভাই রয়েছে, থমাস ও এডোয়ার্ড। মেজর জেনারেল স্যার থমাস মর্গান ইংরেজ গৃহযুদ্ধের সময় ১৬৪২ থেকে ১৬৪৯ পর্যন্ত কমনওয়েল্থ বাহিনীর মেজর ছিলেন। ১৬৪৫ সালে গ্লুকেস্টার এর শাষক, ফ্লেন্ডরস এর যুদ্ধে আহত ও ১৬৬১ সালে হার্টস -এর কেনার্সলি থেকে অবসর গ্রহণ করেন। তিনি ১৬৬৫ সালের ১০ সেপ্টেম্বর বিয়ে করেন ও তাদের ৯টি সন্তান রয়েছে। তার বড় পুত্র স্যার জন মর্গান তার পিতার পেশা বেছে নেন। থমাসকে পুনরায় ১৬৬৫ সালে জার্সির গভর্নর হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় এবং তিনি সেন্ট হেলিয়ারে ১৬৭৯ সালের এপ্রিলে মৃত্যুবরণ করেন। কর্নেল এডোয়ার্ড মর্গান (সি. ১৬১৬ - ১৬৬৫) ইংরেজ গৃহযুদ্ধের সময় ১৬৪২-১৬৪৯ সাল পর্যন্ত রাজকীয় বাহিনীর কর্ণেল ছিলেন। তিনি ওয়েস্টফালিয়ার ব্যারন ভন পলনিটজের (ডুর্টমন্ড জার্মানি থেকে ২০ মাইল দূরের শহর লপসটেড -এর গভর্নর) মেয়ে অ্যানা পেট্রোনিলাকে বিয়ে করেন। তাদের ছয় জন সন্তান রয়েছে, তাদের মধ্যে দুই জন ছেলে ও চার জন মেয়ে। তিনি ১৬৬৪-১৬৬৫ পর্যন্ত জ্যামাইকার গভর্নর ছিলেন।[৪]
হেনরি মর্গানের ১৬৫৫ সালের পূর্বের কোন নথি পত্র নেই। পরবর্তীতে বলা হয় তিনি শৈশবেই বিদ্যালয় ত্যাগ করেছিলেন। আলেক্সজান্দ্রি জ্যাকুমিলিন যিনি পানামায় মর্গানের সার্জেন ছিলেন তিনি তার বইয়ে বলেন, মর্গান বার্বাডোজে চুক্তিবদ্ধ ছিলেন। পরবর্তীতে মর্গান প্রকাশকের বিরোদ্ধে বইয়ে অপবাদমূলক লেখা যুক্ত করার জন্য মামলা করেন ও £২০০ জরিমানা সংগ্রহ করেন। জ্যাকুমিলিন এর ফলে তার মন্তব্য প্রত্যাহার করতে বাধ্য হন। পরবর্তীতে বইয়ের তথ্য সংশোধন করা হয়।[৫]
জ্যাকুমিলিন বলেন, ১৬৫৮ সালে সাধারণ যুবক হিসেবে জ্যামাইকায় আসেন ও তার বীরত্ব দ্বারা খ্যাতি অর্জন করেন।[৬] তার জীবনী সম্পর্কে বর্তমান সংস্করনের বইয়ে দাবি করা হয় তার সমুদ্রযাত্রা সম্পর্কে কম অভিজ্ঞতা থাকা সত্ত্বেও ক্রোমওয়েল -এর হিসপানিওলা আক্রমণের পরিকল্পনা নিয়ে ওয়েস্টার্ন ডিজাইনের অংশ হিসেবে ক্যারিবিয়তে যাত্রা করেন। তার প্রথম যুদ্ধ সান্তো ডমিনগোর যুদ্ধে তিনি ব্যর্থ হন। তারা দ্বীপ দখল করতে ব্যর্থ হন। পরবর্তীতে বহর নিয়ে জ্যামাইকায় চলে আসেন যেখানে ইংরেজ যুদ্ধারা সফলতার সাথে দ্বীপ দখল করছিল। হেনরি মর্গান তার চাচাতো বোন এডোয়ার্ড মর্গানের মেয়েকে বিয়ে করেন। মর্গান ক্যাপ্টেন মর্গান হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তিনি পরবর্তীতে ক্রিস্টোফার ম্যাঙ্গ এর বহরে যোগদান করেন। স্প্যানিশ বসতি ভিলডেমনস, ট্রাজিল্লু ও গ্রানাডা দখলের তিনিও অন্যতম শরিক ছিলেন।
১৬৬৫ সালের পর মর্গানকে জ্যামাইকার গভর্নর স্যার থমাস মোডিফোর্ড বৃদ্ধ প্রাইভেটিয়ার এডোয়ার্ড ম্যানসফিল্ডের[৭] একটি জাহাজের কমান্ডার হিসেবে এক অভিযানে পাঠান। তারা প্রোভিডেন্সিয়া ও কলম্বিয়ার সান্তা ক্যাটালিনা দ্বীপ দখল করেন। যখন ম্যানসফিল্ড স্প্যানিশদের হতে বন্দি হন ও তাকে মৃত্যুদন্ড দেওয়া হয় তখন প্রাইভেটিয়াররা মর্গানকে তাদের অ্যাডমিরাল হিসেবে নির্বাচন করেন।
|তারিখ=
(সাহায্য)