হেনরিয়েটা সোয়ান লেভিট | |
---|---|
![]() হেনরিয়েটা সোয়ান লেভিট | |
জন্ম | ৪ঠা জুলাই, ১৮৬৮ |
মৃত্যু | ১২ ডিসেম্বর ১৯২১ | (বয়স ৫৩)
জাতীয়তা | আমেরিকা |
মাতৃশিক্ষায়তন | র্যাডক্লিফ কলেজ |
পরিচিতির কারণ | শেফালী বিষমতারার পর্যায়-উজ্জ্বলতা সম্পর্ক |
বৈজ্ঞানিক কর্মজীবন | |
কর্মক্ষেত্র | জ্যোতির্বিজ্ঞান |
প্রতিষ্ঠানসমূহ | হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় |
যাদের দ্বারা প্রভাবিত হয়েছেন | এডওয়ার্ড চার্লস পিকারিং |
হেনরিয়েটা সোয়ান লেভিট (ইংরেজি: Henrietta Swan Leavitt) (৪ জুলাই, ১৮৬৮ - ১২ ডিসেম্বর, ১৯২১) মার্কিন জ্যোতির্বিজ্ঞানী। ১৮৯৩ সালে তিনি হার্ভার্ড কলেজ মানমন্দিরে সহকারী হিসেবে কাজ শুরু করেন। তার কাজ ছিল ফটোগ্রাফিক প্লেটে তারা গণনা করা। এ যুগে যে কাজটি কম্পিউটারে করা হয় তিনি এবং তার অন্যান্য সহকর্মীরা তা হাতে করতেন বলে তাদের গ্রুপটিকে এখন "হার্ভার্ড কম্পিউটার" নামে ডাকা হয়। এই কাজের জন্য হার্ভার্ডের জ্যোতির্বিজ্ঞানী এডওয়ার্ড চার্লস পিকারিং বেশ কয়েকজন নারী অধিস্নাতক শিক্ষার্থীদের নিয়োগ দিয়েছিলেন।
তারা গণনা করতে গিয়ে অনেকগুলো তারার উজ্জ্বলতা নির্ণয়ের পাশাপাশি লেভিট জ্যোতির্বিজ্ঞানের ইতিহাসে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি আবিষ্কার করে বসেন। আবিষ্কারটি হচ্ছে শেফালী বিষমতারার পর্যায়কাল এবং প্রভার মধ্যে সম্পর্ক। এই সম্পর্ক ব্যবহার করেই পরবর্তীতে এডুইন হাবল আবিষ্কার করেছিলেন যে, আমাদের আকাশগঙ্গার বাইরেও অসংখ্য ছায়াপথ রয়েছে। এই পদ্ধতি ব্যবহার করে অনেকগুলো ছায়াপথের দূরত্ব নির্ণয়ের মাধ্যমে তিনি বিখ্যাত হাবল নীতিও আবিষ্কার করেছিলেন। লেভিটের সূত্র ধরে হওয়া এসব আবিষ্কার মহাবিশ্ব সম্পর্কে আমাদের ধ্যান-ধারণা আমূল পাল্টে দিয়েছিল।