হেমলতা গুপ্তা

হেমলতা গুপ্তা (২৫ জুন ১৯৪৩ - ১৩ মে ২০০৬)[] একজন ভারতীয় মেডিকেল ডাক্তার এবং লেডি হার্ডিঞ্জ মেডিকেল কলেজের মেডিসিন বিভাগের পরিচালক ও প্রধান ছিলেন।[] গুপ্তা লেডি হার্ডিঞ্জ মেডিকেল কলেজে ( দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় ) মেডিসিন অধ্যয়ন করেন, যেখানে তিনি পরে পরিচালক হন।[] ১৯৯৮ সালে ভারত সরকার চিকিৎসা বিজ্ঞানে অবদানের জন্য গুপ্তকে তৃতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান পদ্মভূষণ প্রদান করে।[] তিনি অবিবাহিত ছিলেন এবং নয়াদিল্লিতে থাকতেন যখন ২০০৬ সালের ১৩ মে তার করোল বাগের বাড়িতে তাকে খুন করা হয়।[][] বছরের পর বছর তদন্তের পর, গণমাধ্যমের দৃষ্টি আকর্ষণ করা মামলাটি অমীমাংসিত রয়ে গেছে।[][]

চিকিৎসা অবদান

[সম্পাদনা]

গুপ্তা ও তার সহকর্মীরা একটি ভারতীয় মেডিকেল জার্নালে থাইরয়েডের একটি বিরল ক্ষেত্রে যক্ষ্মা সম্পর্কে একটি গবেষণা প্রকাশ করেছিলেন।[] নিবন্ধটি রোগীর উপস্থাপনা, রোগ নির্ণয়ে ব্যবহৃত বিভিন্ন পরীক্ষা, মামলার ঐতিহাসিক আলোচনা এবং চিকিৎসা পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করেছে।

পদ্মভূষণ

[সম্পাদনা]

প্রতি বছর প্রজাতন্ত্র দিবসে ভারতে পদ্ম পুরস্কার দেওয়া হয়, সাধারণত ১২০ জনের থেকে কম ব্যক্তিকে।[১০] পদ্ম পুরস্কারের ৩ টি শ্রেণী রয়েছে, সেবার মান বিশিষ্ট থেকে ব্যতিক্রমী উচ্চতর অর্ডার পর্যন্ত। পদ্মভূষণ দ্বিতীয় শ্রেণীতে রয়েছে, যা একজনের নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে উচ্চমানের জনসাধারণের অর্জনকে স্বীকৃতি দেয়। শিল্প, সিভিল সার্ভিস, ক্রীড়া ও সাহিত্য সহ বিভিন্ন শাখায় পুরস্কার দেওয়া হয়। জনসাধারণ মনোনয়ন দিতে সক্ষম হয় এবং চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পদ্ম পুরস্কার কমিটি, প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি সহযোগিতা করে। পুরস্কার কমিটি আজীবন অর্জন, জনসেবা ও তাদের মনোনীতদের মধ্যে শ্রেষ্ঠত্বের সন্ধান করে। হেমলতা গুপ্তা ১৯৯৮ সালে মেডিকেল বিভাগে এই সম্মানজনক পুরস্কার অর্জন করেন, রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষর ও একটি পদক সহ একটি সনদপত্র পান।[১১]

হত্যা

[সম্পাদনা]

পুলিশ গুপ্তাকে তার প্রসাদ নগর অ্যাপার্টমেন্টে মৃত অবস্থায় দেখতে পায়, তার হাত দড়ি দিয়ে বাঁধা, তার মুখ, নাক ও চোখ সার্জিকাল মাক্স দিয়ে ঢাকা এবং গলা কাটা ছিল।[][] প্রতিবেশীরা জানান, গুপ্তাকে তার হত্যার দিন সকাল সাড়ে ১০ টার ৩০ মিনিটের দিকে তার অ্যাপার্টমেন্টে ঢুকতে দেখেন এবং একই সময়ে ২ জন পুরুষ আগন্তুককে উপস্থিত থাকতে দেখেন। প্রায় এক ঘণ্টা পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।[] এই ঘটনাটি ডাকাতির সাথে জড়িত বলে মনে হয় না, কারণ তার গয়না ও তার অধিকাংশ সম্পদ খোয়া যায়নি এবং এই হত্যা কাণ্ডটি পুলিশ কর্তৃক অমীমাংসিত রয়ে গেছে।[]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. Chattopadhyay, Anjana, 1950- (২০১৮)। Women scientists in India : lives, struggles & achievements (First সংস্করণ)। আইএসবিএন 978-81-237-8144-0ওসিএলসি 1045373879 
  2. "Lady Hardinge Medical College - About the College"। ICS Careers। ২০১৬। ৬ এপ্রিল ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ জুলাই ২০১৬ 
  3. "Padma Awards" (পিডিএফ)। Ministry of Home Affairs, Government of India। ২০১৬। ১৫ নভেম্বর ২০১৪ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ জানুয়ারি ২০১৬ 
  4. "Doctor killed in home near police station"। Times of India। ১৪ মে ২০০৬। সংগ্রহের তারিখ ২৩ জুলাই ২০১৬ 
  5. "Padambhushan lady doctor found murdered"The Tribune। ১৪ মে ২০০৬। সংগ্রহের তারিখ ২৩ জুলাই ২০১৬ 
  6. Singh, Karn Pratap (২১ আগস্ট ২০১২)। "Tricksters try to grab dead Padma awardee's property"। Hindustan Times। সংগ্রহের তারিখ ২৩ জুলাই ২০১৬ 
  7. Singh, Sumit Kumar (২০ আগস্ট ২০১২)। "Land grabbers claim dead doc's house as their own"। Deccan Herald। সংগ্রহের তারিখ ২৩ জুলাই ২০১৬ 
  8. Kumar Talwar, Vipin; Gupta, Hemlata (২০০৩)। "Isolated Tuberculosis Thyroiditis" (পিডিএফ): 238–239। ২০ এপ্রিল ২০১৯ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ সেপ্টেম্বর ২০২১ 
  9. "About Padma Awards"padmaawards.gov.in। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৪-২৫ 
  10. "Padma Awards | Interactive Dashboard"www.dashboard-padmaawards.gov.in (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২১-০৫-২৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১২-০৮