হেরমান মিংকফ্স্কি | |
---|---|
জন্ম | |
মৃত্যু | ১২ জানুয়ারি ১৯০৯ | (বয়স ৪৪)
জাতীয়তা | জার্মান |
মাতৃশিক্ষায়তন | কনিসবার্গ বিশ্ববিদ্যালয় |
পরিচিতির কারণ | সংখ্যার জ্যামিতি মিংকফ্স্কি কন্টেন্ট মিংকফ্স্কি ছক মিংকফ্স্কির প্রশ্নবোধক চিহ্নের ফাংশন মিংকফ্স্কি স্থাণ ডাইওফ্যান্টাইন সমীকরণের ওপর কাজ |
দাম্পত্য সঙ্গী | অগাস্ত অ্যাডলার |
সন্তান | লিলি (১৮৯৮-১৯৮৩), রুথ (১৯০২-২০০০) |
বৈজ্ঞানিক কর্মজীবন | |
কর্মক্ষেত্র | গণিত, পদার্থবিজ্ঞান, দর্শন |
প্রতিষ্ঠানসমূহ | ইটিএইচ জুরিখ এবং গটিঙেন বিশ্ববিদ্যালয় |
ডক্টরাল উপদেষ্টা | ফের্দিনান্দ ভন লিন্ডেমান |
ডক্টরেট শিক্ষার্থী | কন্সতান্তিন কারাতেওদোরি লুইস কলরস ডেনিস কোনিগ |
স্বাক্ষর | |
হেরমান মিংকফ্স্কি (জার্মান: [mɪŋˈkɔfski][১]; ২২ জুন ১৮৬৪ - ১২ জানুয়ারি ১৯০৯) একজন জার্মান গণিতবিদ, যিনি কনিসবার্গ, জুরিখ ও গটিঙেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ছিলেন। তিনি সংখ্যার জ্যামিতি( জিওমেট্রি অফ নাম্বার্স) তৈরী ও এর বিকাশ ঘটিয়েছেন এবং সংখ্যাতত্ত্ব, গাণিতিক পদার্থবিদ্যা ও আপেক্ষিকতা তত্ত্বের সমস্যা সমাধানে জ্যামিতিক পদ্ধতি ব্যবহার করেছেন।
মিংকফ্স্কি সম্ভবত আপেক্ষিকতার ক্ষেত্রে তাঁর কাজের জন্য সবচেয়ে বেশি পরিচিত। ১৯০৭ সালে তিনি দেখিয়েছিলেন যে তাঁর প্রাক্তন ছাত্র আলবার্ট আইনস্টাইনের বিশেষ আপেক্ষিকতা তত্ত্ব (১৯০৫) জ্যামিতিকভাবে চার-মাত্রিক স্থান-কালের তত্ত্ব হিসাবে দেখানো যায়, যা তখন থেকে "মিংকফ্স্কি স্থানকাল" নামে পরিচিত।
হেরমান মিংকফ্স্কি লিথুয়ানিয়ার রুশ সাম্রাজ্যের অংশ পোল্যান্ড রাজ্যের সুয়ালকি প্রশাসনিক অঞ্চলের অন্তর্গত আলেকসোটাস শহরে ইহুদি বংশোদ্ভূত[২] লেউইন বোরুচ মিংকফ্স্কি (যিনি কাউনাস শহরের প্রথম কোরাল সিনাগগ তৈরীতে অর্থায়ন করেন[৩][৪][৫]) ও র্যাচেল তাউবমানের ঘরে জন্মগ্রহণ করেন। হেরমান, চিকিৎসা গবেষক অস্কার মিংকফ্স্কির (জন্ম ১৮৫৮) ছোট ভাই ছিলেন।[৬] বিভিন্ন সূত্রে মিংকফ্স্কির জার্মান[৭][৮], পোলিশ[৯][১০][১১], লিথুয়ানিয়ান-জার্মান[১২] অথবা রাশিয়ান[১৩] এরকম ভিন্ন ভিন্ন জাতীয়তা পাওয়া যায়।
রাশিয়ার ইহুদি নিপীড়ন থেকে বাঁচতে পরিবারটি ১৮৭২ সালে কনিসবার্গে চলে আসে[১৪], যেখানে তার পিতা প্রথমে ন্যাকড়া রপ্তানীর কাজে এবং পরবর্তীতে যান্ত্রিক ক্লকওয়ার্ক টিনের খেলনা উৎপাদনে জড়িয়ে যান। ( তিনি বড় ছেলে ম্যাক্সকে নিয়ে লেউইন মিংকফ্স্কি এন্ড সন প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনা করেন )[১৫]
মিংকফ্স্কি কনিসবার্গে পড়াশোনা করেন এবং বন ( ১৮৮৭-১৮৯৪), কনিসবার্গ (১৮৯৪-১৮৯৬), জুরিখ (১৮৯৬-১৯০২) ও পরিশেষে গটিঙেনে ১৯০২ থেকে ১৯০৯ সালে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত শিক্ষকতা করেন। তিনি ১৮৯৭ সালে অগাস্ত অ্যাডলারকে বিয়ে করেন ও তাদের দুটি কন্যাসন্তান হয়।
মিংকফ্স্কি হঠাৎ অ্যাপেন্ডিসাইটিসে আক্রান্ত হয়ে গটিঙেনে ১৯০৯ সালের ১২ জানুয়ারি মৃত্যুবরণ করেন। ডাভিড হিলবের্টের রচিত মিংকফ্স্কির শোকবার্তায় এই দুই গণিতবিদের মধ্যকার নিবিড় বন্ধুত্ব ফুটে ওঠে:
মাক্স বর্ন গটিঙেনের গণিতের ছাত্রদের পক্ষে শোকবার্তাটি পাঠ করেন।[১৬]
মেইন-বেল্ট গ্রহাণু ১২৪৯৩ মিংকফ্স্কি ও এম-ম্যাট্রিক্স মিংকফ্স্কির সম্মানে নামকরণ করা হয়েছে।[১৭]
মিংকফ্স্কি পূর্ব প্রাশিয়ায় অবস্থিত কনিসবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের আলবার্টিনায় শিক্ষালাভ করেন, যেখানে তিনি ফের্দিনান্দ ভন লিন্ডেমানের অধীনে ১৮৮৫ সালে ডক্টরেট অর্জন করেন। ১৮৮৩ সালে, কনিসবার্গের ছাত্র থাকাকালীন, দ্বিঘাত তত্ত্বের ওপর পুস্তক লিখে তিনি ফ্রেঞ্চ একাডেমি অফ সায়েন্সের পক্ষ থেকে গণিতে পুরস্কার পেয়েছিলেন। তিনি ডাভিড হিলবের্ট নামে আরেক নামী গণিতবিদের বন্ধুও ছিলেন। তার ভাই অস্কার মিংকফ্স্কি (১৮৫৮-১৯৩১) একজন সুপরিচিত পদার্থবিদ ও গবেষক ছিলেন।[১৪]
মিংকফ্স্কি বন, কনিসবার্গ, জুরিখ ও গটিঙেন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন। ইটিএইচ জুরিখে তিনি আইনস্টাইনের অন্যতম শিক্ষক ছিলেন।
মিংকফ্স্কি দ্বিঘাত সমিকরণ নিয়ে কাজ করেন, বিশেষত n চলক নিয়ে, এবং এ বিষয়ে গবেষণার ফলেই তিনি n মাত্রার কোনো স্থানের জ্যামিতিক বৈশিষ্ট্য নিয়ে ভাবতে শুরু করেন। ১৮৯৬ সালে, তিনি সংখ্যার জ্যামিতি (জিওমেট্রি অফ নাম্বার্স) উপস্থাপণ করেন, যার মাধ্যমে জ্যামিতিক পদ্ধতিতে সংখ্যাতত্ত্বের সমস্যা সমাধান করা যায়। এছাড়াও তিনি বক্ররেখার জন্য মিংকফ্স্কি সসেজ ও মিংকফ্স্কি কভার সৃষ্টি করেছেন।[১৮]
১৯০২ সালে তিনি গটিঙেনের গণিত বিভাগে যোগদান করেন এবং ডাভিড হিলবের্টের ঘনিষ্ঠ সহকর্মী বনে যান, যার সাথে কনিসবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়েই তার পরিচিতি হয়। এখানে কন্সতান্তিন কারাতেওদোরি তার একজন ছাত্র ছিলেন।
১৯০৮ খ্রিস্টাব্দ অবধি মিংকফ্স্কি বুঝতে পেরেছিলেন যে, তার প্রাক্তন ছাত্র আলবার্ট আইনস্টাইন ১৯০৫ সালে লোরেন্ৎস এবং পোয়াঁকারের পূর্ববর্তী কাজের ওপর ভিত্তি করে যে বিশেষ আপেক্ষিকতা তত্ত্ব প্রকাশ করেন তা চার মাত্রার স্থানেই সবচেয়ে ভালোভাবে বোঝা সম্ভব, যা তখন থেকে "মিংকফ্স্কি স্থানকাল" নামে পরিচিত, যেখানে কাল এবং স্থান বিচ্ছিন্ন সত্ত্বা নয় বরং এরা একত্রিত হয়ে চার-মাত্রিক স্থান-কাল তৈরী করে এবং যেখানে বিশেষ আপেক্ষিকতার লোরেন্ৎস জ্যামিতির প্রকাশ:।
মিংকফ্স্কি স্থানের গাণিতিক ভিত্তি উনিশ শতকে ইতোমধ্যে পরিচিত পরাবৃত্তিক স্থানের পরাবৃত্তিক মডেলেই পাওয়া যায়, কারণ পরাবৃত্তিক স্থানের আইসোমেট্রিসমূহ (বা গতি) লোরেন্ৎস রূপান্তরের সাথে সম্পর্কিত, যাতে উইলহেম কিলিং (১৮৮০, ১৮৮৫), অঁরি পোয়াঁকারে ( ১৮৮১), হোমারশাম কক্স (১৮৮১), আলেক্সান্ডার ম্যাকফারলেন (১৮৯৪) এবং অন্যান্যদেরও ভূমিকা রয়েছে।
জার্মান প্রাকৃতিক বিজ্ঞানী এবং চিকিৎসকদের ৮০ তম সমাবেশে (২১ সেপ্টেম্বর, ১৯০৮) প্রদানকৃত তার "স্থান এবং কাল" নামক ভাষণের প্রথম অংশ এখন বিখ্যাত:
স্থান এবং কাল সম্পর্কে আমি আপনাদের সামনে যে মতামতগুলো পেশ করতে চাই তা পরীক্ষামূলক পদার্থবিজ্ঞানকে ভিত্তি করেই উত্থিত এবং তন্মধ্যেই এর শক্তি নিহিত। এগুলো মৌলিক। এখন থেকে স্থান এবং কাল নিতান্তই ছায়ায় পরিণত হলো, এবং এদের উভয়ের মধ্যে এক ধরনের সম্মিলনই কেবল একটি স্বাধীন বাস্তবতা রক্ষা করতে সক্ষম হবে।
Kovno. In 1873 the merchant kupez, Levin Minkovsky, gave (as a gift) to the prayer association of the Kovno state Jewish school a lot with an ongoing construction of a prayer school that (the construction) he had started so that the association would take care of completing the construction. The association, having some funds from voluntary contributions, had built the structure up to the roof, but then, ran out of money