হোমি ভাভা | |
---|---|
![]() হোমি ভাভা (১৯০৯-১৯৬৬) | |
জন্ম | হোমি জাহাঙ্গীর ভাভা ৩০ অক্টোবর ১৯০৯ মুম্বই, ব্রিটিশ ভারত (বর্তমান ভারত) |
মৃত্যু | ২৪ জানুয়ারি ১৯৬৬ মন্ট ব্লাঙ্ক, ফ্রান্স | (বয়স ৫৬)
জাতীয়তা | ভারতীয় |
নাগরিকত্ব | ভারত |
মাতৃশিক্ষায়তন | Elphinstone College Royal Institute of Science Gonville and Caius College, Cambridge |
পরিচিতির কারণ | ভারতীয় নিউক্লীয় প্রোগ্রাম কসমিক রশ্মি পয়েন্ট পার্টিকল |
পুরস্কার | পদ্মভূষণ (১৯৫৪) রয়েল সোসাইটির ফেলো[১] |
বৈজ্ঞানিক কর্মজীবন | |
কর্মক্ষেত্র | আণবিক পদার্থ বিজ্ঞান |
প্রতিষ্ঠানসমূহ | ভারতীয় আণবিক শক্তি টাটা মৌলিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান Cavendish Laboratory ভারতীয় বিজ্ঞান প্রতিষ্ঠান Trombay Atomic Energy Establishment |
ডক্টরাল উপদেষ্টা | রাল্ফ ফাউলার |
অন্যান্য উচ্চশিক্ষায়তনিক উপদেষ্টা | পল ডিরাক |
স্বাক্ষর | |
![]() |
হোমি জাহাঙ্গীর ভাভা (ইংরেজি: Homi Jehangir Bhabha /ˈbɑːbɑː/; ৩০ অক্টোবর ১৯০৯- ২৪ জানুয়ারি ১৯৬৬ খ্রিস্টাব্দ) ভারতের একজন প্রসিদ্ধ নিউক্লীয় পদার্থবিজ্ঞানী, প্রতিষ্ঠাকালীন ব্যবস্থাপক এবং টাটা মৌলিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান এর পদার্থবিজ্ঞানের অধ্যাপক ছিলেন৷ [২] তাছাড়া তাঁকে ‘ভারতের নিউক্লীয় প্রোগ্রামের জনক’ বলা হয় [৩]। ভাভা ভারতের দুটি প্রসিদ্ধ শিক্ষা তথা গবেষণা প্রতিষ্ঠান টাটা মৌলিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান(TIFR) এবং ট্রম্বে এটমিক এনার্জি (AEET) প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাকালীন ব্যবস্থাপক ছিলেন(যা বর্তমানে তাঁর নামে নামকরণ করা হয়েছে); উভয় প্রতিষ্ঠান ই নিউক্লিয়ার অস্ত্রে ভারতের অগ্রগতিতে ভিত্তি হিসেবে কাজ করছিল যেখানে ভাভা স্বয়ং তত্ত্বাবধায়করূপে ব্যবস্থাপকের দায়িত্ব পালন করতেন। [৩]
হোমি জাহাঙ্গীর ভাভা একটি ধনী এবং বিখ্যাত শিল্পপতি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন, এসূত্রে তিনি দিশ্ব মানিকজি পেটিট এবং দরাবজি টাটার সঙ্গে সম্পৃক্ত হন। ১৯০৯ খ্রিস্টাব্দের ৩০ অক্টোবর ভাভা একটি দীর্ঘ ঐতিহ্যবাহী এবং রাষ্ট্রীয় কাজে আনুগত্য প্রদর্শনকারী সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম হরমুসজি ভাভা, যিনি পেশায় ছিলেন একজন সুপরিচিত আইনজীবী এবং মাতার নাম মেহেরিন।[৪] মুম্বইয়ের ক্যাথেড্রাল ও জন কন্নন বিদ্যালয় থেকে তিনি প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণ করেন এবং ১৫ বছর বয়সে সিনিয়র কেম্ব্রিজ পরিক্ষায় সম্মানের সঙ্গে উত্তীর্ণ হয়ে এলফিনস্টোন কলেজে প্রবেশ করেন। তাঁর বাবার জেহাঙ্গির নামটি ফারসি শব্দ (جهانگیر) থেকে এসেছে, যার অর্থ হল 'বিশ্ব বিজেতা'[৫]
পরবর্তীতে তিনি কেম্ব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় এর গনভিল ও কাইয়াস কলেজে ভর্তি হওয়ার আগে ১৯২৭ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত মুম্বইয়ের সাইন্স ইন্সটিটিউটে অধ্যয়ন করেন। কারণ এটা তাঁর বাবা ও চাচা দরাব টাটার ইচ্ছা ছিল, কেম্ব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভাভাকে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি নিয়ে ভারতে ফিরে আসা। তাঁদের উদ্দেশ্য ছিল, যাতে তিনি জমসেদপুরের টাটা আয়রন অ্যান্ড স্টিল কোম্পানির ধাতুবিদ্যাবিশরদ হিসেবে যোগদান করেন।
১৯৬৬ খ্রিস্টাব্দে এক বিমান দুর্ঘটনাতে অকাল প্রয়াত হলেন এই মহান বিজ্ঞানী । ভারতীয় বিজ্ঞান সাধনায় অক্ষয়কীর্তি স্থাপন করে তিনি চিরস্মরনীয় হয়ে আছেন।
Padmabhushan (1954)
|doi=10.1098/rsbm.1967.0002
সহ {{সাময়িকী উদ্ধৃতি}} ব্যবহার করুন।