হোশমান্দ বানু বেগম | |
---|---|
জন্ম | আনু. ১৬০৫ |
দাম্পত্য সঙ্গী | হুশাং মির্জা |
রাজবংশ | তিমুরিদ |
পিতা | খসরু মির্জা |
হোশমান্দ বানু বেগম (ফার্সি: هوشمند بانو بیگم; জন্ম আনু. ১৬০৫) ছিলেন একজন মুঘল রাজকুমারী, যিনি ছিলেন জাহাঙ্গীরের নাতনি ও জাহাঙ্গীর পুত্র খসরু মির্জার কন্যা।[১]
হোশমান্দ বানু বেগম ১৬০৫ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তার সম্পর্কে তৎকালীন জ্যোতিষীরা ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন যে, তার জন্মের পর তার মুখদর্শন তার বাবা খসরুর পক্ষে মঙ্গলজনক হলেও তার দাদা জাহাঙ্গীরের জন্য অমঙ্গলজনক হতে পারে। জ্যোতিষীদের পরামর্শে জাহাঙ্গীর হোশমান্দ বানু বেগম তিনে পা রাখলে তার মুখদর্শন করেন।[২]
১৬২৫ সালে তাহমুরাস মির্জা মুঘল শক্তির নিকট আনুগত্য স্বীকার করেন। এর আগে তার ভাই হুশাং মির্জাও মুঘল শক্তির বশ্যতা শিকার করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে জাহাঙ্গীর তাহমুরাস মির্জার সাথে বাহার বানু বেগমের এবং তার ছেলে খসরু মির্জা মেয়ে হোশমান্দ বানু বেগমের সাথে হুশাং মির্জার বিয়ে দেন।[৩][৪]
হোশমান্দ বানু বেগমের দাদা জাহাঙ্গীরের মৃত্যুর পর শাহজাহান সিংহাসনে বসলে তার বিরোধিতাকারী শাহরিয়ার, তার স্বামী হোশাং মির্জা, বাহার বানু বেগমের স্বামী তাহমুরাস মির্জা ও খসরু মির্জার ছেলে দাওয়াত বকশ এবং গারশাস্প মির্জাকে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেন।[৫]
এরপর বিধবাস্থায় হোশমান্দ বানু বেগম জীবনযাপন করেন। তিনি শাহজাহানের শাসনামলে মৃত্যুবরণ করেন।[৬]