হ্যাপি সুগার লাইফ | |
![]() প্রথম খন্ডের প্রচ্ছদ | |
ハッピーシュガーライフ (হ্যাপ্পি শুগা রায়ফু) | |
---|---|
ধরন | মানসিক ভয়াবহতা,[১] মানসিক রোমাঞ্চ[২] |
মাঙ্গা | |
লেখক | তোমিয়াকি কাগিসোরা |
প্রকাশক | স্কোয়ার এনিক্স |
ইংরেজি প্রকাশক | টেমপ্লেট:ইংরেজি মাঙ্গা প্রকাশক |
সাময়িকী | গানগান জোকার |
জনতাত্ত্বিক | শোনেন |
মূল প্রকাশ | ২২ মে, ২০১৫ – ২২ জুলাই, ২০১৯ |
খণ্ড | ১০ |
অ্যানিমে টেলিভিশন ধারাবাহিক | |
পরিচালক |
|
প্রয়োজক | |
লেখক | তোকো মাচিন্দা |
সুরকার | কইচিরো কামেয়ামা |
স্টুডিও | এজো'লা |
লাইসেন্সকারী | অ্যামাজম ভিডিও (স্ট্রিমিং) |
মূল নেটওয়ার্ক | জেএনএন (এমবিএস, টিবিএস, বিএস-টিবিএস), এটি-এক্স |
মূল প্রকাশ | ১৪ জুলাই, ২০১৮ – ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ |
পর্ব | ১২ |
হ্যাপি সুগার লাইফ (জাপানি: ハッピーシュガーライフ হেপবার্ন: হ্যাপ্পি সুগা রায়ফু) হলো তোমায়াকি কাগিসোরা বিরচিত ও চিত্রিত একটি জাপানিজ রোমাঞ্চকর মাঙ্গা সিরিজ। সিরিজটি ধারাবাহিকভাবে স্কোয়ার এনিক্স এর শোনেন মাঙ্গা ম্যাগাজিনে ২০১৫ সালের মে মাস থেকে জুন মাস পর্যন্ত প্রকাশিত হতে থাকে। সিরিজটি ইয়েন প্রেস দ্বারা অধিকৃত। ২০১৮ সালে এটির অ্যানিমে সংস্করণ, অ্যানিমিশম প্রোগ্রামিং ব্লক অনুযায়ী জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত সম্প্রচারিত হতে থাকে।
সিরিজের কেন্দ্রীয় চরিত্র সাতো মাতসুজাকা, এক অজানা ছোট্ট মেয়ে শিওর সাথে বন্ধুত্ব স্থাপন করে এবং অবিলম্বে তার প্রেমে পড়ে যায়। শিওর মা তাকে ত্যাগ করে দিয়েছে জানতে পারলে সাতো নিজের অ্যাপার্টমেন্টে তাকে নিয়ে আসে ও একসাথে থাকতে শুরু করে। সাতো প্রতিজ্ঞা করে যে নিজের ভালোবাসাকে রক্ষা করতে তাকে যদি হাতও লাল করতে হয়, তবুও সে কিছুতেই পিছপা হবে না।
তোমিয়াকা কাগিসোরা মাঙ্গা সিরিজটি স্কোয়ার এনিক্স এর শোনেন মাঙ্গা ম্যাগাজিন "গানগান জোকার" -এ ২০১৫ সালের ২২শে মে, প্রথমবার প্রকাশিত করেন।[২][৩] ২০১৬ সালের ২২শে অক্টোবর থেকে ২০১৮ সালের ২২শে জুন পর্যন্ত মাঙ্গার ৮টি "তানকোবোন" খন্ড মুক্তিলাভ করে। সিরিজটি ২০১৯ সালের ২২ জুন সমাপ্ত হয় এবং এর নবম ও দশম খন্ড একই বছরের ২২শে জুলাই মুক্তি পায়।[৪] ২০১৮ সালের ৮ই জুলাই, ইয়েন প্রেস তাদের অ্যানিমে এক্সপো বৈঠকে এই মাঙ্গার দত্তাধিকার প্রাপ্তির খবর ঘোষণা করে।[৫]
নং | মূল মুক্তির তারিখ | মূল আইএসবিএন | English মুক্তির তারিখ | English আইএসবিএন |
---|---|---|---|---|
১ | ২২ অক্টোবর, ২০১৫[৬] | ৯৭৮-৪-৭৫৭৫-৪৭৬৯-৮ | ২১ মে, ২০১৯[৭] | ৯৭৮-১-৯৭৫৩-০৩৩০-৩ |
২ | ২২ ডিসেম্বর, ২০১৫[৮] | ৯৭৮-৪-৭৫৭৫-৪৮৩৯-৮ | ৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৯[৯] | ৯৭৮-১-৯৭৫৩-০৩৩১-০ |
৩ | ২১ মে, ২০১৬[১০] | ৯৭৮-৪-৭৫৭৫-৪৯৮৬-৯ | ৩ ডিসেম্বর, ২০১৯[১১] | ৯৭৮-১-৯৭৫৩-০৩৩২-৭ |
৪ | ২২ নভেম্বর, ২০১৬[১২] | ৯৭৮-৪-৭৫৭৫-৫১৫৮-৯ | ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২০[১৩] | ৯৭৮-১-৯৭৫৩-০৩৩৩-৪ |
৫ | ২২ মে, ২০১৭[১৪] | ৯৭৮-৪-৭৫৭৫-৫৩৫০-৭ | ২৬ মে, ২০২০[১৫] | ৯৭৮-১-৯৭৫৩-০৩৩৪-১ |
৬ | ২২ আগস্ট, ২০১৭[১৬] | ৯৭৮-৪-৭৫৭৫-৫৪৫২-৮ | ২৭ অক্টোবর, ২০২০[১৭] | ৯৭৮-১-৯৭৫৩-০৩৩৫-৮ |
৭ | ২২ মার্চ, ২০১৮[১৮] | ৯৭৮-৪-৭৫৭৫-৫৫৮০-৮ | ১ ডিসেম্বর, ২০২০[১৯] | ৯৭৮-১-৯৭৫৩-০৩৩৬-৫ |
৮ | ২২ জুন, ২০১৮[২০] | ৯৭৮-৪-৭৫৭৫-৫৭৫৫-০ | ২ মার্চ, ২০২১[২১] | ৯৭৮-১-৯৭৫৩-০৩৩৭-২ |
৯ | ২২ জুলাই, ২০১৯[২২] | ৯৭৮-৪-৭৫৭৫-৬১৯০-৮ | ১৮ মে, ২০২১[২৩] | ৯৭৮-১-৯৭৫৩-২৪৬৬-৭ |
১০ | ২২ জুলাই, ২০১৯[২৪] | ৯৭৮-৪-৭৫৭৫-৬১৯১-৫ | — | — |
অ্যানিমে সংস্করণটি কেইজো কুসাকাওয়া এবং নোবুয়সি নাগায়ামা দ্বারা পরিচালিত এবং এজো'লা স্টুডিও কর্তৃক আয়োজিত। এটি লিখেছেন তোওকো মাচিন্দা ও চরিত্র পরিকল্পক হিসেবে কাজ করেছেন শোকো ইয়াসুদা।[২৫]
ইয়ৌকু মাতসুবারা সিরিজের মুখ্য কালার আর্টিস্ট ছিলেন এবং ব্যাকগ্রাউন্ড চিত্র পরিকল্পনায় ছিলেন কিয়োতাকা ইয়াচি।[২৫] ফটোগ্রাফি পরিকল্পক হিসেবে কাজ করেছেন ইয়াসুয়ুকি ইতোউ, আবহ সঙ্গীত পরিচালনায় ছিলেন ইয়াওই তাতেইশি এবং সিরিজটি এডিট করেছেন ইউজি ওকা।[২৫] সিরিজের গানগুলি রচনা করেছেন কৌচিরো কামেয়ামা। ওপেনিং থিম "ওয়ান রুম সুগার লাইফ" (ワンルームシュガーライフ ওয়ান রুমু শুগা রাইফু) গেয়েছেন আকারি নানায়ো,[২৫] অপরদিকে এন্ডিং থিম "সুইট হার্ট" গেয়েছেন রিওনা।[২৬]
১২ পর্বের এই সিরিজটি জাপানে ২০১৮ সালের ১৪ই জুলাই থেকে ২৯শে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত[ঘ]অ্যানিমিসম প্রোগ্রামিং ব্লক থেকে এমবিএস, টিবিএস, বিএস-টিবিএস এবং এটি-এক্স -এ ধারাবাহিকভাবে সম্প্রচারিত হতে থাকে।[২৭][২৮]অ্যামাজম ভিডিওতে সিরিজটি গোটা বিশ্বে যুগপতভাবে সম্প্রচারিত হয়েছিল। [২৭]
No. | Title[ঙ] | Original air date | |
---|---|---|---|
১ | "মিষ্টি মেয়েটি ভালোবাসা খায়" Transcription: "সাতো শোজো ওয়া আই ও হামু" (জাপানি: 砂糖少女は愛を食む) | ১৪ জুলাই ২০১৮ | |
এই পর্বটি শুরু হয় দুইজন কমবয়সী মেয়েদের নিয়ে, যারা একটা জ্বলন্ত বিল্ডিংয়ের মাথায় দাড়িয়ে একসাথে আত্মহত্যা করার প্রতিজ্ঞা করেছিল। সাতো মাতসুজাকা, যে অতীতে ছেলেদের সাথে প্রেমের অভিনয় করতো, নিজের প্রকৃত ভালোবাসার মানুষের সাথে বসবাস করতে শুরু করেছে: ছোট্ট শিও কৌবে-র সাথে। শিওর জন্যে সাতো "প্রিন্সেস ইম্পেরিয়াল" রেস্টুরেন্টে পরিচারিকার কাজ করতে লাগলে তাইয়ো মিতসুবোশি নামে একজন কর্মচারী তাকে প্রেম নিবেদন করে। কিন্তু সাতো তার প্রেম নিবেদন প্রত্যাখ্যান করে দিলে পরদিন থেকে সে আর কাজ করতে আসে না। যেহেতু সাতোকে বাড়তি কাজ করতে হচ্ছিল কম মাইনের বিনিময়ে, সে ম্যানেজারের সম্মুখিন হয় এবং ম্যানেজার যে তাইয়োকে অপহরন ও তাইয়োর শ্লীলতাহানি করেছে, তার স্বীকারোক্তি ফোনে রেকর্ড করে যথাযথভাবে মাইনে মেটানোর হুমকি দেয়। সাতো যখন তার অ্যাপার্টমেন্টে ফিরে আসে, সে একটা ছোট্ট ঘরের বিষয়ে শিওর কাছ থেকে গোপন রাখে, যে ঘরে কিছু রক্তমাখা ব্যাগ পড়ে থাকতে দেখা যায়। অপরদিকে, আসাহি নামে একটি ছেলে কয়েকটা পোস্টার লাগায় যাতে নিখোঁজ শিওর সন্ধান দেওয়ার বৃত্তান্ত দেওয়া থাকে। | |||
২ | "শিওর ছোট্ট বাগান" Transcription: "শিও নো হাকোনিওয়া" (জাপানি: しおの箱庭) | ২১ জুলাই ২০১৮ | |
সাতো উপলদ্ধি করতে পারে যে তার স্কুল শিক্ষক, দাইচি কিতাউমেকাওয়া, প্রতিদিন তাকে রাস্তায় অনুসরণ করছে। একদিন রাস্তায় তীব্র লাঞ্ছনার হাত থেকে কোনোমতে নিজেকে বাঁচানোর পর সাতো পাল্টা আক্রমনের জন্যে এগিয়ে আসে। দাইচির পরিবারের কাছে দাইচির সমস্ত কান্ড-কারখানা ফাঁস করে দেওয়ার হুমকি দিয়ে সাতো তাকে দিয়ে নিজের কিছু অবাঞ্ছিত প্রমাণের নিষ্পত্তি করায়। পরবর্তীকালে, শিওর নিখোঁজের পোস্টার দেখে, তাইয়ো শিওর ঘোরে আচ্ছন্ন হয়ে যায় এবং ঘটনাচক্রে আহত আসাহির সাথে তার সহসা দেখা হয়ে যায়। তাইয়ো আসাহিকে নিজের কর্মস্থানে নিয়ে আসে ও তার মুখে একই বিবাহের প্রতিশ্রুতি, যা প্রতি রাত্রে শিও সাতোর সাথে করে, তা শুনে সাতো আসাহিকে খুন করার সংকল্প নেয়। | |||
৩ | "এক লম্বা একরঙা রাত" Transcription: "মোনোকুরোমু নো নাগাই ইউরু" (জাপানি: モノクロームの長い夜) | ২৮ জুলাই ২০১৮ | |
আসাহিকে খুন করার দৃঢ় সংকল্প থেকে নিজেকে কোনোরকমে সরিয়ে তাকে ফাঁকায় ফাঁকায় ছেড়ে দিলে, বাড়ি ফিরে এসে সাতো দেখে যে শিও তার খোজে ঘর ছেড়ে বাইরে বেরিয়ে গেছে। এদিকে কল্পনার এক মূর্তিকে অনুসরণ করতে করতে শিওর সাথে তাইয়োর সাক্ষাৎ হয়। তাইয়ো মনে করে যে শিওর নিরীহতা তার কলুষিত দেহকে শুদ্ধ করে দেবে। তবে তাইয়ো যখনই শিওকে তার বাড়ি নিয়ে যাবার চেষ্টা করে, দুজন ছিচড়ে ছেলে তার উপর হামলা করে, যাদের থেকে আগে সে আসাহিকে রক্ষা করেছিল। | |||
৪ | "মিষ্টি মেয়েটি খেয়াল করেনি" Transcription: "সাতো শোজো ওয়া কিজুকানাই" (জাপানি: 砂糖少女は気づかない) | ৪ আগস্ট ২০১৮ | |
নিজের মায়ের ভয়াবহ স্মৃতি মনে করে শিও যখন অজ্ঞান হয়ে যায়, তখন সাতো ঘটনাস্থলে প্রবেশ করে এবং শিওকে অ্যাপার্টমেন্টে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার আগে ছিচকে ছেলেগুলোকে নৃশংসভাবে হত্যা করে। শিওকে নিয়ে সাতোর পলায়ন দেখলে সাতোর উদ্দেশ্য জানার জন্যে তাইয়ো কৌতূহলী হয়ে পড়ে। এদিকে সাতোর এক সহকর্মী, সুমিরে মিয়াজাকি, সাতোর পোশাকের আঘ্রাণ নিতে বিভোর হয়ে যায়। | |||
৫ | "অপরাধ ও শাস্তির স্বাদ" Transcription: "সুমি নো আজি, বাতসু নো আজি" (জাপানি: 罪の味、罰の味) | ১১ আগস্ট ২০১৮ | |
সাতো বুঝতে পারে যে সুমিরে প্রায়ই তার লকারের কাছে আসা যাওয়া করছে। অতএব তার কাছে এটা পরিষ্কার হয়ে যায় যে সুমিরে সাতোর প্রেমে জড়িয়ে যাচ্ছে। যখন সুমিরে সাতোর বাড়ির ঠিকানা জানতে আগ্রহী হয়, সাতো সুমিরেকে চুম্বন করে এবং তাকে নিজের ব্যক্তিগত জীবন থেকে দূরে থাকতে বলে। বাড়ি ফিরে এসে যখন সাতো দেখে যে শিও তার মায়ের স্মৃতি নিয়ে বিক্ষোভে পড়ে গেছে, সাতো তার কর্মের শাস্তি পাচ্ছে বলে মনে করে। সাতো অন্য কাউকে চুম্বন করে যে "অপরাধ" করেছে, তা শিওর কাছে স্বীকার করে ও এরপর দুজনে মিলে একে অপরকে শান্ত করায়। ইতোমধ্যে, সাতোর বান্ধবী শোকো হিদা, তাইয়োর বাড়িতে যায় এবং তাইয়োর কাছ থেকে শোনে যে সাতো, শিওকে অপহরন করে নিয়ে গেছে। তাইয়োর কথা সে অবিশ্বাস করলেও কিছু পড়ে আসাহির সাথে শোকোর দেখা হয়। | |||
৬ | "আমরা চাঁদের চারিদিকে ঘুরি" Transcription: "ওয়াতাসি-তাচি ওয়া, সুকি নো মাওয়ারি ও মাওয়াত্তেইরু" (জাপানি: 私達は、月の周りを回っている) | ১৮ আগস্ট ২০১৮ | |
যেহেতু শোকো সাতোর প্রতি সন্দেহবান হয়ে যায়, সে আসাহির সাথে প্রতিদিন দেখা করতে ও খাবার দিতে থাকে। শিওকে খোঁজার ব্যাপারে শোকোর সাথে কথা বলতে গিয়ে আসাহির মনে পড়ে যায় যে সে কীভাবে নিজের মা ও ছোট্ট বোন শিওকে তাদের খারাপ বাবার হাত থেকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছে। পরদিন, শোকো সাতোকে সত্যি কথা স্বীকার করতে বলে, কিন্তু সাতো শুধুমাত্র ঠিক করে যে তাকে নিজের বাড়িতে নিয়ে আসবে। ইতোমধ্যে, কিতামেকাওয়া, যে মনে করে সাতো নিজের কাকিমাকে খুন করেছে, সে সাতোকে অনুসরণ করতে শুরু করে। | |||
৭ | "মিষ্টি মেয়েটি কি দিয়ে তৈরি" Transcription: "সাতো শোজো নো গেনজাইরিও" (জাপানি: 砂糖少女の原材料) | ২৫ আগস্ট ২০১৮ | |
সাতো নিজের গোপন কথা অন্যকাউকে বলে সে তার সাথে প্রতারনা করেছে ভেবে, কিতামেকাওয়ার তাদের অ্যাপার্টমেন্টে পুলিশ ডাকে। সেই সময় শোকো আর সাতোও এই অ্যাপার্টমেন্টে ঢুকছিল, কিন্তু পুলিশ আসার পর বিস্ময়করভাবে সাতোর কাকিমাই দরজা খোলে। সাতোর কাকিমার অভদ্র আচরন ছাড়া অ্যাপার্টমেন্টে রহস্যময় কিছু চোখে না পড়ায় তারা বিশেষ কোনো ঝামেলা না করে ফিরে যায়। পরবর্তীকালে, জানা যায় যে এই অ্যাপার্টমেন্টটা, সাতো আর শিও যেই অ্যাপার্টমেন্টে থাকে, তার থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। | |||
৮ | "অ্যাপার্টমেন্ট নং. ১২০৮" Transcription: "ইচ-নি-জিরো-হাচি গোশিতসু" (জাপানি: 1208号室) | ১ সেপ্টেম্বর ২০১৮ | |
অতীতের ঝলক; সাতো নিজের কাকিমার থেকে পালিয়ে বৃষ্টির মধ্যে অ্যাপার্টমেন্ট ১২০৮ এ প্রথমবার প্রবেশ করে। বৃষ্টিতে আশ্রয় দেওয়ার জন্যে সাতো এই অ্যাপার্টমেন্টের মালিকের আকার মডেল হিসেবে কাজ করে। একদিন রাস্তায় শিওকে খুঁজে পেয়ে সাতো তাকে এই অ্যাপার্টমেন্টে থাকার জন্যে নিয়ে আসে, কিন্তু অ্যাপার্টমেন্টের মালিক উল্টে রেগে যায় কারন শিওকে পেয়ে সাতো সন্তুষ্ট ছিল, অথচ সে চাইত সাতো সর্বদা অসম্পূর্ণ থাকুক। ক্ষিপ্রভাবে শিওকে খুন করতে গেলে সাতোই তাকে উল্টে খুন করে দেয়। এর ফলে, দেওয়ালে রক্ত ছড়িয়ে পরে আর তার কেটে রাখা শরীরের অংশই সেদিন কিতামেকাওয়া নিষ্পত্তি করতে গিয়েছিল। বর্তমান সময়ে, আসাহি শোকোকে সাহস দিতে থাকে সাতো ও সাতোর কাকিমার অপরাধমূলক আচরনের বিরুদ্ধে এগিয়ে আসার, কিন্তু এদিকে সাতো তাইয়োকে বলে যে সে যদি আসাহিকে এই শহরের বাইরে নিয়ে আসতে পারে, তবে সে তাকে শিওকে দেখার সুযোগ করে দেবে। | |||
৯ | "বৃষ্টিপাত বিলীন হয়ে যাচ্ছে" Transcription: "ইউকাই রেইন" (জাপানি: 融解レイン) | ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ | |
শিওর একটা টাই দেখিয়ে তাইয়ো আসাহিকে শহরের বাইরে আসার জন্যে প্রলুদ্ধ করে। যদিও শোকো তাকে আগে থেকেই তাইয়োর ব্যাপারে সতর্ক করেছিল, কিন্তু তাও আসাহি বোনের জন্যে শহর ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেয়। পরদিন অ্যাপার্টমেন্টে সাতো আর শিও একসাথে নিজেদের বিবাহ সম্পন্ন করতে গেলে শোকো তাদেরকে দেখে ফেলে ও প্রমাণস্বরূপ ছবি তুলে নেয়। শোকোর উপস্থিতি টের পেয়ে পাছে সে আবার পুলিশকে এসব ব্যাপারে জানিয়ে দেয়, এই ভয় পেয়ে পরদিন সাতো তাকে নিজের অ্যাপার্টমেন্টে ডাকে ও খুন করে। যদিও সাতো জানতো না যে শোকো ইতোমধ্যেই শিওর সমস্ত ছবি আসাহিকে পাঠিয়ে দিয়েছে। | |||
১০ | "তারায় ভরা আকাশের নিচে এক মিলন-প্রস্তাব" Transcription: "হোশিজোরা নো পুরোপোজু" (জাপানি: 星空のプロポーズ) | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮ | |
অ্যাপার্টমেন্টের ভেতরে মৃত শোকোর রক্ত মোছার সময় শিওর মনে পরে যায় কীভাবে তার বাবা, তার মাকে অত্যাচার করতো। কিছুপরে সাতো যখন তাকে বলে যে এই অ্যাপার্টমেন্ট তাদেরকে এবার ছাড়তে হবে, শিও তখন তাকে জবাব দেয় যে সে সাতোকে সবসময় সবকিছু তার কাছ থেকে গোপন রাখার জন্যে ঘৃনা করে। তাদের প্রথম দেখাকে স্মরণ করে শিও বলে যে সেও চায় সাতোকে রক্ষা করতে, একা সাতো তাকে সবসময় রক্ষা করতে পারে না। সাতো তার অনুভূতি উপলদ্ধি করতে পারে আর তাই সে নিজের সমস্ত দোষের প্রতি সৎ হয়ে শিওর কাছে এবার থেকে কোনোকিছু গোপন না রাখার প্রতিজ্ঞা করে। | |||
১১ | "তোমার সাথে এক শাশ্বত মুহূর্ত" Transcription: "এইয়েন নো ইসশুন ও, আনাতা তো" (জাপানি: 永遠の一瞬を、貴方と。) | ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৮ | |
শোকোর পাঠানো ছবিগুলি নিয়ে আসাহি তাইয়োর সম্মুখীন হয় এবং তাকে নির্দেশ দেয় সাতোর ঠিকানা খুঁজে আনার জন্যে। কিন্তু যে ঠিকানাটা তাইয়ো পায়, সেটা সাতোর কাকিমার ছিল, তাই অজান্তেই সে শিওকে পাবার আশা করে কাকিমার অ্যাপার্টমেন্টে প্রবেশ করলে, কাকিমা ভাবে যে সে ভালোবাসার জন্যে এসেছে আর তাই তার শ্লীলতাহানি করে। ইতোমধ্যে সাতো নিজের কাকিমার কাছে গিয়ে শহর ছেড়ে দূরে পালানোর ব্যবস্থা করতে সাহায্যের হাত চায়। পর্বের শেষে দেখা যায়, সাতো আর শিও তাদের অ্যাপার্টমেন্টে একে অপরকে চুম্বনের মধ্যে দিয়ে নিজেদের বিবাহ উৎসব সম্পন্ন করছে। | |||
১২ | "হ্যাপি সুগার লাইফ" Transcription: "হ্যাপ্পি শুগা রাইফু" (জাপানি: ハッピーシュガーライフ) | ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ | |
জিনিসপত্র গুছিয়ে নিয়ে শহর ছাড়ার জন্যে প্লেনের টিকিট কেনার পর সাতো খেয়াল করে যে সে তার বিবাহের আংটি অ্যাপার্টমেন্টে ফেলে চলে এসেছে। আংটিটা আবার নেওয়ার জন্যে অ্যাপার্টমেন্টে ফিরলে, আসাহির সাথে তাদের সম্মুখীন হতে হয়। সে শোকোর পাঠানো ছবি দেখে সাতোর ঠিকানা জেনে ফেলেছে। কাকিমার অ্যাপার্টমেন্টের দিকে পালানোর চেষ্টা করলে আবার তাইয়ো তাদের পথ আটকে দেয়। কিন্তু তাইয়ো দুর্ভাগ্যবশত অ্যাপার্টমেন্ট থেকে নিচে মাটিতে পড়ে যায়। এরপর সাতো আর শিও অ্যাপার্টমেন্টের ছাদে আসে কারন ততক্ষণে সাতোর কাকিমা গোটা বারো তলা অ্যাপার্টমেন্টে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। আসাহি তাদের খুঁজতে খুঁজতে সাতোর ঘরে ঢোকে কিন্তু শোকোর মৃতদেহ বাদে আর কিছুই পায় না। অবশেষে ছাদে আসাহি তাদের খুঁজে পায় আর শিওর কাছে সত্য প্রকাশ করে যে তাদের মা, তাদেরকে এজন্য ছেড়ে দিয়ে চলে গেছিল কারন শিওকে রাগের বশে মারবার জন্যে মার মনের ভিতর সংশয় হয়েছিল যে সেও তাদের বাবার মতোই আচরন করা শুরু করে দিয়েছে। তবুও শিও ঠিক করে যে জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত সে সাতোর সঙ্গেই থাকবে, আসাহি বা নিজের দাদার সাথে কোথাও যাবে না। শিও আর সাতো, দুজনে মিলে একসাথে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিলো এবং ছাদ থেকে ঝাঁপ মারলো। কিন্তু শিওর প্রতি সাতোর সম্পূর্ণ হৃদয় থেকে যে গভীর ভালোবাসাটা ছিল, তার জন্যে নিচে পড়া পর্যন্ত শিওকে সাতো রক্ষা করলো। নিজের শরীর দিয়ে সে শিওকে এমনভাবে ঢেকে দেয় যাতে নিচে পড়লে আঘাতটা প্রথমে এসে সাতোকে লাগে ও শিও বেঁচে যায়। এরপর আগুন সংযোগের ও শোকোকে খুনের দোষে কাকিমাকে গ্রেপ্তার করা হয়, সাথাসাথি কিতামেকাওয়াকেও ছাত্রীদের শ্লীলতাহানি করার জন্যে কারাবন্দী করা হয়। এদিকে শিওকে হারানোর জন্যে খুব দুঃখের সাথে তাইয়ো বাড়ি ফিরে যায়। আসাহি শিওকে দেখতে হাসপাতালে আসে। শিও তখন জানলা দিয়ে বাইরে তাদের দাঁড়িয়ে থাকা মা এর দিকে তাকিয়ে ছিল। শিও আসাহিকে বলে যে তার ভালোবাসার ব্যক্তি শুধুমাত্র সাতো এখনো সে তার হৃদয়ে বেঁচে আছে আর বেঁচে আছে ক্ষণিকের স্মৃতিতে, যে স্মৃতিতে এখনো স্পষ্ট সাতোর হাসি দেখা যায়।। শেষের কথা: "এই হলো আমার সুখের মিষ্টি জীবন" - শিও |