![]() | ||||
একদিনের ম্যাচ নাম | হ্যাম্পশায়ার | |||
---|---|---|---|---|
কর্মীবৃন্দ | ||||
অধিনায়ক | ![]() | |||
কোচ | ![]() | |||
বিদেশি খেলোয়াড় | ![]() | |||
দলের তথ্য | ||||
রং | ||||
প্রতিষ্ঠা | ১৮৬৩ | |||
স্বাগতিক মাঠ | এজিয়াস বোল | |||
ধারণক্ষমতা | ২৫,০০০ | |||
ইতিহাস | ||||
প্রথম শ্রেণী অভিষেক | সাসেক্স ১৮৬৪ সালে অ্যান্টিলোপ গ্রাউন্ড, সাউদাম্পটন | |||
চ্যাম্পিয়নশীপ জয় | ২ | |||
সানডে/ন্যাশনাল লীগ/সিবি৪০/ওয়াইবি৪০ জয় | ৩ | |||
ফ্রেন্ডস প্রভিডেন্ট ট্রফি/আরএলওডিসি জয় | ৫ | |||
টি২০/এফএলটি২০/এনটি২০বি জয় | ২ | |||
বিএন্ডএইচ কাপ জয় | ২ | |||
দাপ্তরিক ওয়েবসাইট | হ্যাম্পশায়ার সিসিসি | |||
|
হ্যাম্পশায়ার কাউন্টি ক্রিকেট ক্লাব (ইংরেজি: Hampshire County Cricket Club) ইংল্যান্ড এবং ওয়েলসে ঘরোয়া ক্রিকেট অবকাঠামোয় প্রচলিত আঠারোটি প্রথম-শ্রেণীর কাউন্টি ক্লাবের অন্যতম। ঐতিহাসিক কাউন্টি হ্যাম্পশায়ারের প্রতিনিধিত্ব করছে এ ক্লাবটি। মূলতঃ শুরুরদিকের সংগঠন ও সর্বদাই প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটের মর্যাদার অধিকারী হ্যাম্বলডন ক্লাবের আদলে হ্যাম্পশায়ার দলটি গঠন করা হয়েছে। ১৮৬৩ সালে কাউন্টি ক্লাবটি প্রতিষ্ঠার পর থেকেও একই মর্যাদাপ্রাপ্ত হয়। তবে, ১৮৮৫ সালের পূর্ব-পর্যন্ত বেশ কয়েক মৌসুম দূর্বল ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শনের কারণে নয় মৌসুম প্রথম-শ্রেণীর মর্যাদা হারায়। ১৮৯৫ সালে পুনরায় কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপ খেলার জন্য দলটিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। এরপর থেকেই ইংল্যান্ডের প্রত্যেক শীর্ষ পর্যায়ের ঘরোয়া ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে আসছে।[১] ১৮৮৫ সালের পূর্ব-পর্যন্ত সাউদাম্পটনের অ্যান্টিলোপ গ্রাউন্ডে খেলতো। এরপর ২০০০ সালের পূর্ব-পর্যন্ত সাউদাম্পটনের কাউন্টি গ্রাউন্ডে খেলতে থাকে দলটি। পরবর্তীতে ইস্টলেই বোরার অধীন ওয়েস্ট এন্ডে নবনির্মিত রোজ বোলে অনুশীলন করতে থাকে। ১৯৬১ ও ১৯৭৩ - এ দুই মৌসুম কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপের শিরোপা জয়ে সমর্থ হয় হ্যাম্পশায়ার দল।
১৯৬৩ সালের জিলেট কাপে প্রথমবারের মতো একদিনের খেলায় অংশ নেয় হ্যাম্পশায়ার দল। ১৯৭৫ সালের পূর্ব-পর্যন্ত দলটি রৌপ্যসৃদশ্য একদিনের শিরোপা লাভে সক্ষম হয়নি। ১৯৭৫ সালে সানডে লীগের শিরোপা জয়ের পর ১৯৭৮ ও ১৯৮৬ সালে আরও দুইবার শিরোপা জয় করে। এরপর ১৯৮৮ ও ১৯৯১ সালে বেনসন এন্ড হেজেস কাপ; ২০০৫ সালে চেল্টেনহাম এন্ড গ্লুচেস্টার ট্রফি এবং ২০০৯ সালে ফ্রেন্ডস প্রভিডেন্ট ট্রফির শিরোপা জয় করে। ২০০৩ সালে প্রথমবারের মতো টুয়েন্টি২০ ক্রিকেট খেলতে নামে দলটি। ২০১০ সালে ফ্রেন্ডস প্রভিডেন্ট টি২০ জয় করে। ২০০০ সালে কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপের নিয়ম-কানুন ঢেলে সাজানো হলে ২০০২ সালে প্রথমবারের মতো অবনমনের মুখোমুখি হয় হ্যাম্পশায়ার দল। পরবর্তী তিন বছর তারা দ্বিতীয় বিভাগে অবস্থান করে ও ২০০৪ সালে শীর্ষস্তরে উত্তরণ ঘটায়। তবে, ২০১১ সালে আবারও অবনমনের মুখে নিপতিত হয়। ২০১২ সালে ফ্রেন্ডস লাইফ টি২০ ও ইসিবি ৪০ প্রতিযোগিতার শিরোপা পেলেও ২০১৪ সালের পূর্ব-পর্যন্ত প্রথম বিভাগে খেলতে পারেনি। ২০১৪ সালে প্রথম বিভাগে খেলার সুযোগ পায়। ২০১৫ সালে অল্পের জন্য অবনমনের হাত থেকে নিজেদেরকে রক্ষা করতে সমর্থ হয়। ডারহামকে অবনমনের মাধ্যমে ইসিবি থেকে এ সুযোগ পায় তারা।
৪৮,৮৯২ রান তুলে ফিল মিড ক্লাবের শীর্ষস্থানীয় রান সংগ্রাহক হিসেবে রয়েছেন। ১৯০৫ থেকে ১৯৩৬ সময়কালে হ্যাম্পশায়ারের পক্ষে ৭০০ খেলায় অংশ নিয়েছেন তিনি। ফাস্ট বোলার ডেরেক শ্যাকলটন ৫৮৩ খেলায় অংশ নিয়ে ২,৬৬৯টি প্রথম-শ্রেণীর উইকেট লাভ করেছেন যা অদ্যাবধি ক্লাব রেকর্ডরূপে চিহ্নিত হয়ে আছে। অ্যালেক কেনেডি ১৯০৭ থেকে ১৯৩৬ সময়কাল পর্যন্ত হ্যাম্পশায়ারে খেলেন। ক্লাবের প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে ১০,০০০ রানের মাইলফলক স্পর্শসহ ১,০০০ উইকেট পান। অন্যদিকে, কলিন ইঙ্গলবি-ম্যাকেঞ্জি হ্যাম্পশায়ারের সর্বশেষ শৌখিন ও প্রথম পেশাদার অধিনায়কের মর্যাদা লাভ করেছেন।
১২ আগস্ট, ১৮৬৩ তারিখে হ্যাম্পশায়ার কাউন্টি ক্রিকেট ক্লাব গঠন করা হয়।[৩] ৭ ও ৮ জুলাই, ১৮৬৪ তারিখে সাউদাম্পটনের অ্যান্টিলোপ গ্রাউন্ডে সাসেক্সের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশগ্রহণ করে। তবে, খেলায় জেমস লিলিহোয়াইট ১০ উইকেট দখল করলে সাসেক্স দল ১০ উইকেটের ব্যবধানে জয়লাভ করতে সমর্থ হয়। ঐ খেলায় জেমস লিলিহোয়াইট নিজের শততম উইকেট লাভ করেছিলেন।[৪] ১৮৬৪ থেকে ১৮৮৫ সাল পর্যন্ত হ্যাম্পশায়ার দলটি প্রথম-শ্রেণীর মর্যাদাভূক্ত ছিল। ১৮৮৬ সালে দলটি কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হয় ও দূর্বল ফলাফল করে। এরফলে, প্রথম-শ্রেণীর মর্যাদা নষ্ট হয় দলটির। একই বছরে সারে ও সাসেক্সের বিপক্ষে খেললেও নিম্নমানের ঘোষণা করা হয়। ১৮৯৫ সালে কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপের সূত্রপাত ঘটলে দলের প্রথম-শ্রেণীর মর্যাদা ফিরিয়ে দেয়া হয়। ঐ মৌসুমের শিরোপা বিজয়ী সারে দলের চেয়ে ষোল পয়েন্ট পিছিয়ে থেকে দলটি দশম স্থান অধিকার করে।[৫]
১৯০০ থেকে ১৯০৫ সময়কালে বোর যুদ্ধে অংশগ্রহণের লক্ষ্যে দলের প্রধান ব্যাটসম্যান ও সামরিক কর্মকর্তা মেজর পুর ও ক্যাপ্টেন উইনিয়ার্ড দক্ষিণ আফ্রিকায় চলে গেলে দলটি ব্যাটিং খড়ার কবলে পড়ে। ১৯০০, ১৯০২, ১৯০৩, ১৯০৪ ও ১৯০৫ সালে ক্লাবটি সর্বশেষ কিংবা যুগ্মভাবে সর্বশেষ স্থানে অবস্থান করতো। এ সময়ে দলটি কোন খেলাতেই জয় পায়নি। তবে, ১৯০১ সালে ভারত থেকে ক্যাপ্টেন গ্রেগ ও চার্লি লিউইলিনের অন্তর্ভূক্তির ফলে এ অবস্থার কিছুটা উত্তরণ ঘটে। ১৯০৬ সালের পর থেকে ফিল মিড, জ্যাক নিউম্যান ও পরবর্তীতে জর্জ ব্রাউনের দলে যোগদানের ফলে আরও শক্তিধর দলের পথে অগ্রসর হয়। ১৯১০ সালের পর থেকে জয়ের ধারায় ফিরে তারা।
১৯১২ থেকে ১৯২৬ সময়কালে কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপের সম্মাননা লাভের কাছাকাছি পর্যায়ে না গেলেও হ্যাম্পশায়ারের ইতিহাসের সর্বাধিক সময় সর্বাপেক্ষা সফলতার স্বাক্ষর রাখে। ঐ এগারো মৌসুমে দলটি ২৯২ খেলায় অংশ নিয়ে ৯৮ জয় ও ৯৬ খেলায় পরাজিত হয়েছিল। কেবলমাত্র ১৯৫৪ সালে দলটি পরাজয়ের চেয়ে জয় পেয়েছিল বেশি।[৬] ফিল মিড, জর্জ ব্রাউন, অ্যালেক কেনেডি ও জ্যাক নিউম্যান এ সময়ে দলের মুখ্য চালিকাশক্তির ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। ১৯১৯ থেকে ১৯৩২ সময়কালে তারা লর্ড টেনিসনের অধিনায়কত্বে পরিচালিত হতেন। এছাড়াও, ১৯১২ সালে মাত্র ৭ খেলায় ১০২ গড় রানের অধিকারী সি. বি. ফ্রাইয়ের ন্যায় শৌখিন খেলোয়াড়গণও মাঝে-মধ্যে দলের অগ্রযাত্রায় ভূমিকা রাখতেন। তন্মধ্যে, ১৯২২ সালে কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপের ইতিহাসের সর্বাপেক্ষা স্মরণীয় জয়ের সাথে নিজেদের যুক্ত করে হ্যাম্পশায়ার দল। মাত্র ১৫ রানে অল-আউট হবার পর ফলো-অনের কবলে পড়ে দলটি ওয়ারউইকশায়ারের বিপক্ষে ১৫৫ রানের নাটকীয় জয় পেয়েছিল। পুনরায় ব্যাটিং করে দলটি ৫২১ রান তুললে ওয়ারউইকশায়ারের জন্যে ৩১৪ রানের জয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত হয়। তবে, ওয়ারউইকশায়ার দল ১৫৮ রানে অল আউট হয়ে যায়। দশম উইকেটে জর্জ ব্রাউনের ১৭২ ও লিভসের অপরাজিত ১১০ রান বীরে পরিণত করে।[৭]
১৯২৭ সাল থেকে পেশাদার খেলোয়াড়দের উপেক্ষা ও শৌখিন খেলোয়াড়দের অপর্যাপ্ত সহায়তার ফলে দলে বিশাল সমস্যা দেখা দেয়। ১৯৫৫ সালের পূর্ব-পর্যন্ত শুধুমাত্র ১৯৩২ ও ১৯৪৮ সালে দলটি দশম স্থানের উপরে অবস্থান করতে সক্ষম হয়। প্রধান বোলিং মেরুদণ্ড অ্যালেক কেনেডি ও জ্যাক নিউম্যানের পরিবর্তে স্টুয়ার্ট বয়েস ও লফটি হারম্যান স্থলাভিষিক্ত হলেও বোলিং বিভাগ কখনো শক্তিশালী ছিল না। ১৯২৯ সালে ফিল মিডের ব্যাটিংশৈলী নিম্নতর হতে থাকলে ঐ বিভাগটিও অনিশ্চয়তার মুখোমুখি হয়। ১৯৩৭ সালে ডিক মুর ব্যক্তিগত রেকর্ড গড়েন। বোর্নমাউথে ডিন পার্ক ক্রিকেট গ্রাউন্ডে ওয়ারউইকশায়ারের বিপক্ষে ৪৩টি চার ও ৩টি ছক্কা সহযোগে ৩৮০ মিনিটে ৩১৬ রানের ইনিংস খেলেন।[৮] দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ডেরেক শ্যাকলটন দলের অসাধারণ বোলিং মেরুদণ্ডের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। তাকে যোগ্য সঙ্গ দিয়েছিলেন ভিক্টর ক্যানিংস। তবে, ১৯৫৫ সালের পূর্ব-পর্যন্ত তারা দলের ভাগ্য পরিবর্তনে প্রয়োজনীয় সহায়তার হাত প্রসারিত করতে পারেননি। ১৯৫৫ সালে দলটি নিজেদের ইতিহাসের তৎকালীন সর্বোচ্চ তৃতীয় স্থান অধিকার করে। এ পর্যায়ে ড্যারেক শ্যাকলটন ১৬০ উইকেটসহ ভিক্টর ক্যানিংস ও পিটার সেইন্সবারির শতাধিক উইকেটের পাশাপাশি রয় মার্শালের ন্যায় কয়েকজন ব্যাটসম্যান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।
পরের বছরগুলোয় মিশ্র সফলতায় পূর্ণ ছিল হ্যাম্পশায়ার ক্লাবের ইতিহাস। ১৯৫৮ সালে তারা দ্বিতীয় স্থানে উপনীত হয়। ক্যানিংসের পরিবর্তে ম্যালকম হিথ, শ্যাকলটনের বোলিং জুটি হন। দুই বছর ব্যর্থ হলেও ১৯৬১ সালে হ্যাম্পশায়ারকে কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপের পরম আকাঙ্খিত শিরোপার সন্ধান দেন। ইয়র্কশায়ারের সাথে ১৮ পয়েন্ট এগিয়ে থেকে ২৬৮ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষস্থান দখল করে। ঐ মৌসুমে ৩২ খেলায় অংশ নিয়ে হ্যাম্পশায়ার দল ১৯টিতে বিজয়ী হয় ও মাত্র সাত খেলায় পরাজয়বরণ করে।[৯] কলিন ইঙ্গলবি-ম্যাকেঞ্জির নেতৃত্বে থেকে ক্লাবের পক্ষে সর্বাধিক ২,৪৫৫ রান তুলেন রয় মার্শাল। ডেরেক শ্যাকলটন ক্লাবের পক্ষে সর্বাধিক ১৫৩ উইকেট পান। পাশাপাশি, বুচ হোয়াইটের প্রচণ্ড গতিসম্পন্ন বোলিং গ্রীষ্মের শুষ্ক দিবসে ভয়ঙ্করের মাত্রা তীব্র করে তুলেছিল।
১৯৬৮ সালের পূর্ব-পর্যন্ত হ্যাম্পশায়ার দল নিচেরসারির দিকে যেতে থাকে। ঐ বছর ব্যারি রিচার্ডস যোগ দেন। এ পর্যায়ে চ্যাম্পিয়নশীপের দশম স্থান থেকে পঞ্চম স্থানে চলে আসে ক্লাব দলটি। সীমিত ওভারে ক্রিকেটে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ভাব গড়ে তুলে। ১৯৬৮ সালে বব কটাম প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে দ্বিতীয় সর্বাধিক উইকেট সংগ্রাহকে পরিণত হন। তবে, নর্দাম্পটনশায়ারে যোগদানের পূর্ব-পর্যন্ত পর্যন্ত তিনি তার ক্রীড়াশৈলী ধরে রাখতে পারেননি। ১৯৭০ ও ১৯৭১ সালে হ্যাম্পশায়ার দল প্রতিযোগিতার মাঝারিসারিতে অবস্থান করে। ১৯৭৩ সালে দলটি দ্বিতীয়বারের মতো কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপের শিরোপা জয়ে সমর্থ হয়। সারে দলের তুলনায় দলটি ৩১ পয়েন্টের ব্যবধানে এগিয়ে ছিল।[১০] দলটি ২০ খেলায় অংশ নিয়ে ১০টিতে জয় পায় ও বাদ-বাকী খেলাগুলোয় ড্র করে। এ মৌসুমে রিচার্ড জিলিয়াট দলের নেত্বত্ব দেন। গর্ডন গ্রীনিজ ক্লাবের পক্ষে সর্বাধিকসংখ্যক ১,৬২০ রান তুলেন। বব হারম্যান ও মাইক টেলর - উভয়েই ৬৩টি করে উইকেট পেয়েছিলেন। এটিই অদ্যাবধি, হ্যাম্পশায়ার দলের এই প্রতিযোগিতায় সর্বশেষ সাফল্য হিসেবে রয়ে গেছে। ১৯৭৯ সালে বিখ্যাত ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেট তারকা ও বিশ্বের সেরা বোলার ম্যালকম মার্শাল হ্যাম্পশায়ার ক্লাবে যোগদান করেন। এরপর থেকে পরবর্তী ১৪ বছর সাফল্যের সাথে ক্লাবের সদস্য ছিলেন। এ সময়কালে ১৮.৬৪ গড়ে ৮২৪টি প্রথম-শ্রেণীর উইকেট দখল করেছিলেন তিনি।[১১] এছাড়াও, একদিনের ক্রিকেটে ২৪.৮৮ গড়ে ২৩৯টি উইকেট পেয়েছিলেন তিনি।[১২]
১৯৮৪ সালে ভেনেজুয়েলীয় বংশোদ্ভূত নিক পোকক সর্বশেষ খেলায় অংশ নেন ও ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান কার্ডিগ্যান কনরের আগমন ঘটে। ক্লাবের পক্ষে ১৪ বছর সাফল্যের সাথে অতিবাহিত করলেও অন্যতম সেরা খেলোয়াড় হিসেবে টেস্ট ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করার সুযোগ হয়নি কার্ডিগ্যান কনরের। তিনি ৩১.৭৪ গড়ে ৬১৪টি প্রথম-শ্রেণীর উইকেট [১৩] ও একদিনের ক্রিকেটে ২৫.০৭ গড়ে ৪১১ উইকেট পেয়েছিলেন।[১৪] ১৯৮৫ সালে হ্যাম্পশায়ার দল কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপে দ্বিতীয় স্থান দখল করে। এ পর্যায়ে শিরোপা বিজয়ী মিডলসেক্সের সাথে তারা ১৮ পয়েন্ট ব্যবধানে পিছিয়ে ছিল। ক্রিস স্মিথ ১,৭২০ রান তুলে দলের অগ্রযাত্রায় সবিশেষ ভূমিকা রাখেন।[১৫] তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন ম্যালকম মার্শাল। দূর্দান্ত ১৭.৬৮ গড়ে ৯৫ উইকেট দখল করেছিলেন তিনি।[১৬] এরপর ১৯৮৮ সালে ক্লাবটি বেনসন এন্ড হেজেস কাপের শিরোপা জয়লাভে দক্ষতা দেখায়। লর্ডসে ডার্বিশায়ারের বিপক্ষে দলটি ৭ উইকেটে জয় তুলে নেয়। এ পর্যায়ে দলের সাফল্য স্টিফেন জেফ্রিসের পাঁচ উইকেট লাভ সবিশেষ ভূমিকা রাখে। ১৯৯০-এর দশকের প্রথমার্ধ্বে সফল হলেও শেষার্ধ্বে শোচনীয় অবস্থায় নিপতিত হয়। ১৯৯১ সালে সারে দলের বিপক্ষে ৪ উইকেটে জয় পেয়ে ন্যাটওয়েস্ট ট্রফির শিরোপা লাভ করে। শন উদাল ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার পান। এটি এ প্রতিযোগিতায় হ্যাম্পশায়ারের প্রথম শিরোপা জয় ছিল।
১৯৮৮ সালের শিরোপা জয়ের পর ১৯৯২ সালে পুনরায় বেনসন এন্ড হেজেস কাপের শিরোপা পায়। লর্ডসের চূড়ান্ত খেলায় তারা কেন্টকে ৪১ রানে পরাজিত করে। দলের এ সাফল্যে রবিন স্মিথের দায়িত্বশীল ৯০ রান এবং ম্যালকম মার্শাল ও শন উদালের তিন উইকেট লাভ ভূমিকা রাখে। দলটি এ প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয়বারের মতো শিরোপা জয় করে। ১৯৯৬ সালে ম্যালকম মার্শাল ক্লাবের কোচ হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত হন। ১৯৯৭ সালে ক্লাবটি তাদের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশিত নতুন মাঠে চলে যায়। স্পোর্ট ইংল্যান্ড ও স্যার মাইকেল হপকিন্সের নেতৃত্বে স্বেচ্ছাসেবী খণ্ডকালীন সংগঠন উদ্যোগী হয়ে ক্লাবের আর্থিক নিয়ন্ত্রণ সংযত হতে থাকে।[১৭]
২০০০ সালে বিখ্যাত অস্ট্রেলীয় ক্রিকেট তারকা শেন ওয়ার্ন ক্লাবের বিদেশী খেলোয়াড় হিসেবে চুক্তিবদ্ধ হন। ঐ বছর দলটি সাউদাম্পটনের কাউন্টি গ্রাউন্ডে সর্বশেষ খেলায় অংশ নেয়। এরপর সাউদাম্পটনের বাইরে নতুন মাঠ রোজ বোলে ২০০১ সালের খেলায় অংশ নিতে শুরু করে। একই বছরে ক্লাবের দীর্ঘদিনের পুঞ্জীভূত আর্থিক দূরাবস্থা কাটাতে ক্লাবের সভাপতি নিযুক্ত করা হয়।[১৮] ২০০২ সালে হ্যাম্পশায়ার দল দ্বিতীয় বিভাগে অবনমিত হয়। প্রথম বিভাগে দলটি নিচেরদিকে তৃতীয় স্থানে অবস্থান করছিল।[১৯] এ মৌসুমে ল্যাঙ্কাশায়ারের ক্রিকেটার ও সাবেক ইংরেজ ব্যাটসম্যান জন ক্রলিকে ক্লাবে চুক্তিবদ্ধ করা হয়। ২০০৩ সালে হ্যাম্পশায়ার ও ইংল্যান্ডের বিখ্যাত ক্রিকেটার রবিন স্মিথ দীর্ঘ ২৩ বছর ক্লাব থেকে সকল স্তরের ক্রিকেট খেলা থেকে নিজেকে বিরত রাখার কথা ঘোষণা করেন।[২০]
২০০৫ সালে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট ও একদিনের ক্রিকেট - উভয় স্তরের ক্রিকেটেই বেশ ভালো ফলাফল করে। কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপের প্রথম বিভাগে প্রবেশের লক্ষ্যে দলটি মাত্র আড়াই পয়েন্টের ব্যবধানে নটিংহ্যামশায়ারে চেয়ে পিছিয়ে ছিল।[২১] ২০০৫ সালের চেল্টেনহাম এন্ড গ্লুচেস্টার ট্রফি প্রতিযোগিতায় শন আরভিনের কল্যাণে সেমি-ফাইনালে ইয়র্কশায়ারকে পরাভূত করে চূড়ান্ত খেলায় উপনীত হয়।[২২] লর্ডসে ওয়ারউইকশায়ারের বিপক্ষে শন আরভিন আবারও নিজেকে মেলে ধরেন। ১০৪ রানের সেঞ্চুরির কল্যাণে দলটি ১৮ রানে ওয়ারউইকশায়ারকে পরাজিত করতে সমর্থ হয়।[২৩] ১৩ বছরের মধ্যে এটিই হ্যাম্পশায়ারের প্রথম সিলভারওয়্যার লাভ করা ছিল। দুই বছর পর ২০০৭ সালে দক্ষিণ বিভাগে শীর্ষস্থান দখলের পর লর্ডসে নতুন নামাঙ্কিত ফ্রেন্ডস প্রভিডেন্ট ট্রফির চূড়ান্ত খেলায় অংশ নেয়।[২৪] ডারহামের বিপক্ষে বৃষ্টিবিঘ্নিত সংরক্ষিত দিনে ১২৫ রানে তারা পরাজিত হয়।[২৫]
২০০৭ সালে হ্যাম্পশায়ারের সভাপতি রড ব্রান্সগ্রোভ রোজ বোলে টেস্ট খেলা আয়োজনের লক্ষ্যে পরিকল্পনার কথা জানান।[২৬] ২০০৮ সালের কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপ শুরুর পূর্বে ক্লাবের অধিনায়ক শেন ওয়ার্ন ক্লাবের উত্তরণের কথা পুণর্ব্যক্ত করেন। তবে, মৌসুম শুরুর অল্প কিছুদিন পরেই প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট থেকে নিজের অবসর গ্রহণের সিদ্ধান্তের কথা জানান।[২৭] ১৯৮৯ সাল থেকে হ্যাম্পশায়ারের পক্ষে অংশগ্রহণকারী ও অধিনায়ক শন উদালও তার অবসরের কথা ঘোষণা করেন।[২৮] তবে, পরে তিনি মিডলসেক্সের পক্ষে যোগ দিয়েছিলেন। ২০০৮ মৌসুমে শেন ওয়ার্নের পরিবর্তে দিমিত্রি মাসকারেনহাস ক্লাবের অধিনায়কের দায়িত্ব গ্রহণের জন্যে মনোনীত হন।[২৯] ঐ বছর দলটি কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হয় ও অধিকাংশ সময় প্রথম বিভাগের নিচেরদিকে অবস্থান করেছিল। মৌসুমের মাঝামাঝি সময়ে পল টেরি কোচের দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করলে জাইলস হোয়াইট তার স্থলাভিষিক্ত হন। বেশ কয়েকটি খেলায় শিরোপা প্রত্যাশী দলগুলোর সাথে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অবতীর্ণ হয় দলটি। মৌসুম শেষে ক্লাবটি তৃতীয় স্থানে চলে আসে। শিরোপা জয়ী ডারহামের তুলনায় দলটি বারো পয়েন্ট পিছনে ছিল।[৩০] ২৫ জুলাই লর্ডসে অনুষ্ঠিত ফ্রেন্ডস প্রভিডেন্ট ট্রফির চূড়ান্ত খেলায় চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী সাসেক্সের বিপক্ষে জয়ী হয়ে শিরোপা লাভ করে।[৩১] ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার বিজয়ী ডমিনিক কর্ক ৪/৪১ বোলিং পরিসংখ্যান গড়েছিলেন। ইংল্যান্ড এবং ওয়েলসের মাঠে প্রথম দল হিসেবে নিজ দর্শকদের অকুণ্ঠ সমর্থনে ২০১০ সালের ফ্রেন্ডস প্রভিডেন্ট টি২০ প্রতিযোগিতার শিরোপা জয় করে ইতিহাস রচনা করে।
১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১১ তারিখে রোজ বোলে ওয়ারউইকশায়ারের বিপক্ষে চারদিনের খেলায় অংশ নেয়। তখন দলটি আনুষ্ঠানিকভাবে কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপের দ্বিতীয় বিভাগের অবনমনকৃত দল ছিল। ২০১২ সালে ডমিনিক কর্মের অবসর গ্রহণের পর নতুন অধিনায়ক জিমি অ্যাডামস নিযুক্ত হন। তুলনামূলকভাবে বেশ সফলতার স্বাক্ষর রাখেন তিনি। ২০১২ সালে ক্লাবের দ্বিতীয়বারের মতো ফ্রেন্ডস লাইফ টি২০[৩২] ও ক্লাইডেসডেল ব্যাংক ৪০ প্রতিযোগিতায় কবির আলী’র শেষ বলে কোন রান না দেয়ায় কম উইকেট খরচের পার্থক্যজনিত কারণে ওয়ারউইকশায়ারের বিপক্ষে জয়ী হয়ে শিরোপা লাভ করে।[৩৩] ক্লাবের সেরা খেলোয়াড় দিমিত্রি মাসকারেনহাস উভয় প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত খেলায় অংশ নিলেও ২০১৩ মৌসুম শেষে নিজের অবসর ঘোষণা দেন।
সীমিত ওভারের খেলায় ব্যাপক সফলতা পেলেও ক্লাব দলটি প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে বেশ ক্রান্তিলগ্নে পৌঁছেছিল। কোচ জাইলস হোয়াইট ক্রিকেট পরিচালকের পদে নিযুক্ত পেলে ২০১৪ সালের শুরুতে দায়িত্ব ভার দক্ষিণ আফ্রিকান ডেল বেঙ্কেনস্টেইনের কাঁধে পড়ে। তাৎক্ষণিক সফলতার স্বাক্ষর রাখেন তিনি। ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৪ তারিখে গ্ল্যামারগনের বিপক্ষে জয়ী হয়ে দলটি প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হয়। ২০১৫ সালে রেকর্ডসংখ্যক ষষ্ঠবারের মতো টুয়েন্টি২০ ফাইনালস ডে প্রতিযোগিতায় খেলার সুযোগ পায়। তবে, মৌসুমের শুরুতে অ্যাডামসের অধিনায়কত্বে দলটি দূর্বলভাবে যাত্রা শুরু করে। ফলশ্রুতিতে, অ্যাডামসকে দায়িত্ব ছেড়ে দিতে হয়। জেমস ভিন্স তার স্থলাভিষিক্ত হন। এরপূর্বে তিনি লিস্ট এ ও টি২০ দলের অধিনায়ক ছিলেন। শেষ পাঁচ খেলার মধ্যে দলটি চারটিতে বিজয়ী হলে হ্যাম্পশায়ার দল কোনক্রমে নিজেদেরকে রক্ষা করে। শেষ খেলায় নটিংহ্যামশায়ারের বিপক্ষে জয়লাভের ফলে বিরাটভাবে রক্ষা পায়। ফিদেল অ্যাডওয়ার্ডস ১০ উইকেট পেয়েছিলেন। ইয়র্কশায়ার দল সাসেক্সের বিপক্ষে জয় পেলে সাসেক্স ও ওরচেস্টারশায়ার অবনমনের কবলে পড়ে দ্বিতীয় বিভাগে চলে যায় ও হ্যাম্পশায়ার একই অবস্থানে থাকে।
২০১৫ সালের শীতকালে ইংরেজ সিমার ও এসেক্সের খেলোয়াড় রিস টপলির সাথে চুক্তিত্বে আবদ্ধ হয়। এছাড়াও, ফিদেল অ্যাডওয়ার্ডসের নতুন করে চুক্তিনামায় স্বাক্ষর ও অপর বিদেশী খেলোয়াড় দক্ষিণ আফ্রিকান অল-রাউন্ডার রায়ান ম্যাকলারিনকে দলে যুক্ত করার কথা জানায়।
১৪ জানুয়ারি, ২০১৬ তারিখে হ্যাম্পশায়ার ক্রিকেট কর্তৃপক্ষ ঘোষণা করে যে, ছয়টি নতুন দল নিয়ে গড়া মহিলাদের ক্রিকেট সুপার লীগে তাদের দল প্রেরণ করবে। বার্কশায়ার, ডরসেট, উইট আইল, অক্সফোর্ডশায়ার, সাসেক্স ও উইল্টশায়ার ক্রিকেট বোর্ডের সাথে সাউদাম্পটন সোলেন্ট বিশ্ববিদ্যালয় একত্রিত হয়ে মহিলাদের টুয়েন্টি২০ প্রতিযোগিতায় হ্যাম্পশায়ারের মুখোমুখি হবে।[৩৪] ২৮ জানুয়ারি, ২০১৬ তারিখে হ্যাম্পশায়ার কর্তৃপক্ষ উইল্টশায়ারের সাবেক কোচ নিক ডেনিংকে মহিলা দলের প্রথম কোচ হিসেবে নিযুক্ত করে। নিক ডেনিংয়ের নিযুক্তির পর হ্যাম্পশায়ার মহিলাদের ক্রিকেট সুপার লীগে অংশগ্রহণকারী দলের নাম সাউদার্ন ভাইপার্স রাখে। ২১ আগস্ট কিয়া সুপার লীগের উদ্বোধনী প্রতিযোগিতায় ভাইপার্সরা ওয়েস্টার্ন ফোর্সকে ৭ উইকেটে পরাজিত করে শিরোপা তুলে নেয়। বিদেশী খেলোয়াড় ও নিউজিল্যান্ডীয় মহিলা ক্রিকেটার সুজি বেটসকে প্রতিযোগিতার সেরা খেলোয়াড়ের মর্যাদা দেয়া হয়। তবে, পুরুষদের দলটি ঐ মৌসুমে বেশ ব্যর্থতার পরিচয় দেয়।
মৌসুমের শুরুতেই ফাস্ট বোলার রিস টপলি, ফিদেল অ্যাডওয়ার্ডস, ক্রিস উড ও রায়ান স্টিভেনসন আঘাতপ্রাপ্ত হন। কয়েকজন দূর্বলশৈলী প্রদর্শন করেন। ফাস্ট বোলার হামজা আলীর সলিলসমাধি ও দীর্ঘদিনের উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান মাইকেল কারবেরির ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত হবার ফলে চিকিৎসার্থে গমনের কারণে দূর্বল সময় পাড় করতে বাধ্য হয়। ন্যাটওয়েস্ট টি২০ ব্ল্যাস্ট প্রতিযোগিতার গ্রুপ পর্বে বিদায় নিলে দলটি ২০০৯ সালের পর প্রথমবারের মতো ফাইনালস ডেসহ রয়্যাল লন্ডন ওয়ান-ডে কাপ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পারেনি। ২০১৫ সালের ন্যায় একই ঘটনা ঘটে। ধীরগতিতে যাত্রা শুরু করলেও ক্রমাগত নিচেরদিকে যেতে থাকে। ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ তারিখে ডারহামের বিপক্ষে পরাজিত হয়। তবে, ৩ অক্টোবর, ২০১৬ তারিখে ইসিবি থেকে আর্থিক সহায়তা লাভ ও পয়েন্ট বিয়োজনের কারণে অর্থদণ্ডের মুখোমুখি হলে তারা বেচে যায়।[৩৫] মধ্য জুলাইয়ে ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে ডেল বেঙ্কেনস্টেইন কোচের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নেন ও ক্রেগ হোয়াইট আপদকালীন কোচের দায়িত্বপ্রাপ্ত হন। নভেম্বরে পূর্ণাঙ্গকালীন প্রথম একাদশের কোচ হন তিনি। ২০০২ সাল থেকে দলের নিয়মিত সিমার জেমস টমলিনসন অবসর নেন। হ্যাম্পশায়ারের পক্ষে সকল স্তরের ক্রিকেটে দেড় শতাধিক খেলায় অংশ নিয়েছিলেন।
২০১৭ সালের শীতকালে কাইল এ্যাবট ও রাইলি রুশোকে কোলপ্যাক চুক্তির আওতায় খেলার জন্য চুক্তিতে আবদ্ধ হলে ব্যাপক সমালোচনার মুখোমুখি হয়। হ্যাম্পশায়ারে থাকাকালেই তারা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলছিলেন।[৩৬] উপর্যুপরী তৃতীয় মৌসুম দলটি অবনমনের হাত থেকে রক্ষা পায়। এ মৌসুমে দলটি মিশ্র সফলতা পেয়েছিল। ওয়ারউইকশায়ারের বিপক্ষে ড্র করে ও মিডলসেক্স অবনমিত হয়। অ্যাবট প্রথম-শ্রেণীর খেলায় ৬০ উইকেট পান। লিস্ট এ ক্রিকেটে হ্যাম্পশায়ার আবারও নকআউট পর্বে বিতাড়িত হয়। তবে, টুয়েন্টি২০ ক্রিকেটে বেশ ভালো করে দলটি। ৮ বছরের মধ্যে সপ্তমবার ফাইনালস ডেতে খেলার জন্য মনোনীত হয়। তবে, শিরোপা বিজয়ী নটিংহ্যামশায়ারের বিপক্ষে সেমি-ফাইনালে পরাভূত হয়েছিল।
এছাড়াও, কোয়ার্টার ফাইনালে ডার্বিশায়ারের বিপক্ষে ২৪৯/৮ তুলে সর্বোচ্চ টুয়েন্টি২০ রেকর্ড গড়ে। বিদেশী খেলোয়াড় হিসেবে পাকিস্তানের শহীদ আফ্রিদি সেঞ্চুরি করেছিলেন।
২০১৮ সালে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে দলটির খেলার উন্নতি দেখতে পাওয়া যায়। ২০১৪ সালে প্রথম-শ্রেণীর মর্যাদায় পুনরায় অন্তর্ভূক্তির পর প্রথমবারের মতো শেষদিনের পূর্বেই নিজেদের প্রথম বিভাগে থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করে। কাইল এ্যাবট ও ফিদেল অ্যাডওয়ার্ডস উভয়েই ঐ মৌসুমে পঞ্চাশোর্ধ্ব উইকেট লাভ করেছিলেন। তবে, লিস্ট এ ক্রিকেটে দলটি বেশ সফলতা পায়। লর্ডসে অনুষ্ঠিত রয়্যাল লন্ডন ওয়ান-ডে কাপের চূড়ান্ত খেলায় রাইলি রুশো’র সেঞ্চুরিতে জয়ী হয় তারা। কিন্তু, টুয়েন্টি২০ ক্রিকেটে বেশ ব্যর্থতার পরিচয় দেয়। দক্ষিণ গ্রুপে শেষদিক থেকে দ্বিতীয় স্থানে ছিল। বিদেশী খেলোয়াড় মুজিব উর রহমান প্রথম আফগান ক্রিকেটার হিসেবে হ্যাম্পশায়ারের পক্ষে খেলেন। তিনি ২১শ শতাব্দীতে জন্মগ্রহণকারী প্রথম হ্যাম্পশায়ার খেলোয়াড়। ২০১৮ মৌসুম শেষে দীর্ঘদিনের খেলোয়াড় জিমি অ্যাডামস ও শন আরভিন অবসর নেতন। সকল স্তরের ক্রিকেটে তারা পঁয়ত্রিশ হাজারের অধিক রান তুলেন। এছাড়াও, দুই মৌসুম পর প্রধান কোচের দায়িত্ব থেকে ক্রেগ হোয়াইট পদত্যাগ করেন।