হ্যারি ট্রট

হ্যারি ট্রট
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নাম
জর্জ হেনরি স্টিভেন্স ট্রট
জন্ম(১৮৬৬-০৮-০৫)৫ আগস্ট ১৮৬৬
কলিংউড, ভিক্টোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া
মৃত্যু১০ নভেম্বর ১৯১৭(1917-11-10) (বয়স ৫১)
মিডল পার্ক, ভিক্টোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া
ডাকনামহ্যারি
উচ্চতা১.৭৫ মিটার (৫ ফুট ৯ ইঞ্চি)
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি লেগ-স্পিন
ভূমিকাঅল-রাউন্ডার
সম্পর্কআলবার্ট ট্রট (ভাই)
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ৫৩)
১৬ জুলাই ১৮৮৮ বনাম ইংল্যান্ড
শেষ টেস্ট২৬ ফেব্রুয়ারি ১৮৯৮ বনাম ইংল্যান্ড
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছরদল
১৮৮৬-১৯০৮ভিক্টোরিয়া বুশর‌্যাঞ্জার্স
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট এফসি
ম্যাচ সংখ্যা ২৪ ২২২
রানের সংখ্যা ৯২১ ৮৮০৪
ব্যাটিং গড় ২১.৯২ ২৩.৫৪
১০০/৫০ ১/৪ ৯/৪১
সর্বোচ্চ রান ১৪৩ ১৮৬
বল করেছে ১৮৯১ ১৮৬৩৩
উইকেট ২৯ ৩৮৬
বোলিং গড় ৩৫.১৩ ২৫.১২
ইনিংসে ৫ উইকেট ১৭
ম্যাচে ১০ উইকেট
সেরা বোলিং ৪/৭১ ৮/৬৩
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ২১/০ ১৮৩/০
উৎস: ক্রিকেটআর্কাইভ, ১৪ এপ্রিল ২০১৭

জর্জ হেনরি স্টিভেন্স হ্যারি ট্রট (ইংরেজি: Harry Trott; জন্ম: ৫ আগস্ট, ১৮৬৬ - মৃত্যু: ১০ নভেম্বর, ১৯১৭) ভিক্টোরিয়া প্রদেশের কলিংউড এলাকায় জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত অস্ট্রেলীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন। ১৮৮৮ থেকে ১৮৯৮ মেয়াদকালে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। এছাড়াও অস্ট্রেলিয়া দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন হ্যারি ট্রট। মানবীয় গুণাবলীর বৈশিষ্ট্যাবলী নিয়ে অধিনায়কের দায়িত্বে নিয়োজিত থেকে স্মরণীয় হয়ে আছেন তিনি।[] দলে তিনি মূলতঃ অল-রাউন্ডার হিসেবে ভূমিকা রেখেছিলেন। ডানহাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতে লেগ-স্পিন বোলিং করতেন। ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে ভিক্টোরিয়া বুশর‌্যাঞ্জার্সের প্রতিনিধিত্ব করেছেন তিনি।[]

প্রারম্ভিক জীবন

[সম্পাদনা]

মেলবোর্নের কলিংউডে জন্মগ্রহণকারী ট্রট হিসাবরক্ষক অ্যাডলফাস ট্রট ও ম্যারি-অ্যান দম্পতির আট সন্তানের মধ্যে তৃতীয় ছিলেন।[][] তার ছোট ভাই আলবার্টও টেস্ট ক্রিকেটার ছিলেন। স্থানীয় ক্যাপুলেট ক্লাবে উভয়েই জুনিয়র ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন।[] হ্যারি দক্ষিণ মেলবোর্ন ক্লাবে স্থানান্তরিত হন। ক্লাবের স্কাউটে তাকে পার্কে ক্রিকেট খেলতে দেখা যায়।[] প্রথম মৌসুমেই ১৮ বছর বয়সী ট্রট দলের পক্ষে সেরা ব্যাটিং গড়বোলিং গড়ের অধিকারী ছিলেন।[]

খেলোয়াড়ী জীবন

[সম্পাদনা]

১৮৮৬ সালে তার টেস্ট অভিষেক ঘটে। ইংল্যান্ড সফরে অস্ট্রেলিয়া দলের সদস্য মনোনীত হন। লর্ডসে অনুষ্ঠিত প্রথম টেস্টে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তার টেস্ট অভিষেক ঘটে। কিন্তু তার অভিষেক পর্ব সুখকর ছিল না। প্রথম ইনিংসে শূন্য ও দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র তিন রান তোলেন; কিন্তু বোলিং করেননি।[] তার এ হতাশাব্যঞ্জক ফলাফল অবশ্য দলের বিজয়রথকে আটকাতে পারেনি। খেলায় অস্ট্রেলিয়া দল ৬২ রানে জয় পায় যা ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে তাদের দ্বিতীয়বারের মতো টেস্ট জয় ছিল।[] কিন্তু পরবর্তী দুই টেস্টে জয় পেয়ে ইংল্যান্ড অ্যাশেজ অক্ষুণ্ন রাখে। সিরিজে ট্রট তেমন প্রভাববিস্তার করতে পারেননি। কোন ইনিংসেই ২০ রানের বেশি তুলতে পারেননি। এছাড়াও তিনি কোন উইকেট পাননি।[]

১৮৮৮, ১৮৯০, ১৮৯৩ ও ১৮৯৬ - এ চারবার ইংল্যান্ড সফর করেছেন তিনি। প্রত্যেকবারই সহস্রাধিক রান তুলেছিলেন। ১৮৯৬ মৌসুমে ইংল্যান্ড সফরে দলীয় সঙ্গীগণ তাকে অধিনায়ক হিসেবে মনোনীত করেছিলেন। তবে ঐ সিরিজে ইংল্যান্ড দল ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জয়ের পাশাপাশি অ্যাশেজ পুণরুদ্ধার করে। ট্রটের অধিনায়ক হিসেবে যোগ্যতা উচ্চ মার্গের ছিল। ১৮৯৭-৯৮ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত ফিরতি সিরিজে ট্রটের দল অধিক সফল ছিল। এ সফরে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া ৪-১ ব্যবধানে সিরিজ জয় করে অ্যাশেজ পুণরুদ্ধার করে।

খেলার ধরন

[সম্পাদনা]

অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটে কিছুকাল অস্থিতিশীল ও দূর্বল শৃঙ্খলা থাকার পর জো ডার্লিং, মন্টি নোবেলক্লেম হিলের পূর্বে তিনিই দলকে গুছিয়ে আনতে সক্ষম হন। দলীয় সঙ্গীসহ প্রতিপক্ষ কর্তৃক তার ক্রিকেটে ভূমিকার জন্য শ্রদ্ধার পাত্রে পরিণত হয়েছিলেন। পাশাপাশি তিনি দ্রুত প্রতিপক্ষের দূর্বলতা চিহ্নিত করতে পারতেন। রক্ষণাত্মক ব্যাটিংয়ের সাথে মনোমুগ্ধকর শক্তিশালী ব্যাটিংয়ের জন্যও তিনি পরিচিত। তার ধীরগতির লেগ স্পিন বোলিংয়ে পেস ও ফ্লাইট থাকলেও প্রতিপক্ষের ব্যাটসম্যানগণ দ্রুত রান তুলতে সক্ষমতা দেখাতেন।

৩১ বছর বয়সে ট্রটের টেস্ট জীবন বেশ কয়েকবার মানসিক অবসাদে আক্রান্ত হয়। ১৮৯৮ সালে ধারাবাহিকভাবে কয়েকটি অস্ত্রোপচার হয়। এরফলে তার স্মৃতিশক্তি হ্রাস পায়। চারশতাধিক দিন তাকে মানসিক হাসপাতালে অবস্থান করতে হয়েছে। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে তিনি পুনরায় ক্রিকেট জীবনে ফিরে আসেন। নিজ রাজ্য ভিক্টোরিয়ার পক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট খেলেন। এছাড়াও সাউথ মেলবোর্ন ক্লাবে ধারাবাহিকভাবে উঁচু স্তরের খেলা প্রদর্শন করেন। খেলোয়াড়ী জীবন থেকে অবসর নিয়ে তিনি ভিক্টোরিয়া দলের নির্বাচকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন।

১৮৯৪ সালে উইজডেন কর্তৃক উইজডেন বর্ষসেরা ক্রিকেটার হিসেবে মনোনীত হন তিনি।[]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. Robinson (1996), pp. 67–74.
  2. CricketArchive Player Oracle, Retrieved 28 July, 2017
  3. Pierce, Peter (১৯৯০)। "Trott, George Henry Stevens (1866–1917)"Australian Dictionary of Biography, Online EditionAustralian National University। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০৪-০৮ 
  4. Haigh (2004), pp. 107–115
  5. "England v Australia: Australia in England 1888 (1st Test)"। CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০৪-১৯ 
  6. "First Test match: England v Australia 1888"Wisden Cricketers' Almanack – online archive। John Wisden & Co। ১৮৮৯। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০৪-১৯ 
  7. "England 2 Australia 1: The Australian team in England, 1888"Wisden Cricketers' Almanack – online archive। John Wisden & Co। ১৮৮৯। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০৪-১৯ 
  8. "All-Round Cricketer of the Year – 1894: Harry Trott"Wisden Cricketers' Almanack। John Wisden & Co। ১৮৯৪। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০৪-১৭ 

আরও দেখুন

[সম্পাদনা]

গ্রন্থপঞ্জি

[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]
পূর্বসূরী
জর্জ গিফেন
অস্ট্রেলীয় টেস্ট ক্রিকেট অধিনায়ক
১৮৯৬-১৮৯৭/৯৮
উত্তরসূরী
জো ডার্লিং