হ্যারি নাইকুইস্ট | |
---|---|
![]() হ্যারি নাইকুইস্ট (১৮৮৯-১৯৭৬) | |
জন্ম | |
মৃত্যু | ৪ এপ্রিল ১৯৭৬ | (বয়স ৮৭)
নাগরিকত্ব | মার্কিন |
মাতৃশিক্ষায়তন | ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিভার্সিটি অব নর্থ ডাকোটা |
পরিচিতির কারণ | নাইকুইস্ট–শ্যানন নমুনাকরণ উপপাদ্য নাইকুইস্ট হার জনসন–নাইকুইস্ট কোলাহল নাইকুইস্ট স্থিতিশীলতা মানদণ্ড নাইকুইস্ট আইএসআই মানদণ্ড নাইকুইস্ট রেখাচিত্র নাইকুইস্ট কম্পাঙ্ক নাইকুইস্ট ছাঁকনি হ্রাসবৃদ্ধি অবক্ষয় উপপাদ্য |
পুরস্কার | আইইই মেডেল অব অনার Stuart Ballantine Medal (1960) |
বৈজ্ঞানিক কর্মজীবন | |
কর্মক্ষেত্র | ইলেক্ট্রনিক প্রকৌশল |
প্রতিষ্ঠানসমূহ | বেল ল্যাব্স |
ডক্টরাল উপদেষ্টা | হেনরি অ্যান্ড্রুজ বামস্টিড |
হ্যারি নাইকুইস্ট (ইংরেজি: Harry Nyquist) একজন সুয়েডীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন ইলেকট্রনীয় (বৈদ্যুতিন) প্রকৌশলী যিনি যোগাযোগ তত্ত্ব ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন।
নাইকুইস্ট ১৮৮৯ সালের ৭ই ফেব্রুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ইউনিভার্সিটি অব নর্থ ডাকোটা থেকে তড়িৎ প্রকৌশলে ১৯১৪ সালে বিজ্ঞানে স্নাতক এবং ১৯১৫ সালে বিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর উপাধি অর্জন করেন। তিনি ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯১৭ সালে পদার্থবিজ্ঞানে পিএইচডি উপাধি অর্জন করেন। তিনি ১৯১৭ থেকে ১৯৩৪ সাল পর্যন্ত এটিঅ্যান্ডটির উন্নয়ন ও গবেষণা বিভাগে কাজ করেন। তিনি ১৯৩৪ থেকে ১৯৫৪ সাল পর্যন্ত বেল ল্যাব্স নামক গবেষণা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ছিলেন। ৩৭ বছরের কর্মজীবনে তিনি ১৩৮টি কৃতিস্বত্ব (প্যাটেন্ট) লাভ করেন। [১]
বেল ল্যাবরেটরিজে প্রকৌশলী হিসেবে কাজ করার সময় নাইকুইস্ট তাপীয় কোলাহল ("জনসন-নাইকুইস্ট কোলহল"),[২] পুনর্নিবেশ (ফিডব্যাক) বিবর্ধকসমূহের স্থিতিশীলতা,তারবার্তা (টেলিগ্রাফি), ফ্যাক্স, টেলিভিশন ও যোগাযোগ ক্ষেত্রের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সমস্যার উপরে তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রাখেন। হার্বার্ট ই আইভস-এর সাথে একত্রে তিনি এটিঅ্যান্ডটি-র সর্বপ্রথম ফ্যাক্স যন্ত্রগুলি নির্মাণ করেন যেগুলি ১৯২৪ সালে জনসমক্ষে প্রকাশ করা হয়। ১৯৩২ সালে তিনি পুনর্নিবেশ বিবর্ধকগুলির স্থিতিশীলতা সংক্রান্ত কালোত্তীর্ণ গবেষণাপত্রটি প্রকাশ করেন।[৩] বর্তমানে পুনর্নিবেশ নিয়ন্ত্রণ তত্ত্বের উপরে সমস্ত পাঠ্যপুস্তকে নাইকুইস্ট স্থিতিশীলতা মানদণ্ড নামক বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত।
তথ্য সম্প্রচারের জন্য পটির প্রশস্ততা (ব্যান্ডউইড্থ) সংক্রান্ত আবশ্যকীয়তাগুলি নির্ধারণের উপরে নাইকুইস্ট যে প্রাথমিক তাত্ত্বিক গবেষণাকর্মগুলি সম্পাদন করেন, সেগুলিকে ভিত্তি হিসেবে ব্যবহার করা মার্কিন গণিতবিদ ক্লড শ্যানন এ-সংক্রান্ত গবেষণায় অগ্রগতি সাধন করেন এবং এর পরিণামে তথ্য তত্ত্বের সৃষ্টি হয়। বিশেষত নাইকুইস্ট এটি নির্ণয় করেন যে একক সময়ে একটি তারবার্তা প্রণালীর ভেতর দিয়ে অতিক্রমকারী স্বাধীন স্পন্দনের সংখ্যা ঐ প্রণালীর পটির প্রশস্ততার দ্বিগুণ পরিমাণ দ্বারা সীমায়িত। তিনি তাঁর গবেষণার ফলাফলগুলি সার্টেন ফ্যাকটর্স অ্যাফেক্টিং টেলিগ্রাফ স্পিড (Certain factors affecting telegraph speed, "তারবার্তার দ্রুতির উপর প্রভাব বিস্তারকারী কিছু নিয়ামক") (১৯২৪)[৪] এবং সার্টেন টপিক্স ইন টেলিগ্রাফ ট্রান্সমিশন থিওরি (Certain topics in Telegraph Transmission Theory, "তারবার্তা সম্প্রচার তত্ত্বের কিছু বিষয়") (১৯২৮).[৫] নামক দুইটি গবেষণাপত্রে প্রকাশ করেন। এই নিয়মটি বর্তমানে নাইকুইস্ট-শ্যানন উপপাদ্য নামে পরিচিত।