১জি (ইংরেজি: 1G বা 1-G) কে সেলুলার টেলিফোন প্রযুক্তি, মোবাইল টেলিযোগাযোগের প্রথম বা প্রারম্ভিক পর্যায় কে বুঝিয়ে থাকে। এটা হল এনালগ টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা যা ১৯৮০ সালে প্রবর্তন করা হয় এবং ২জি দ্বারা প্রতিস্থাপিত হওয়ার আগ পর্যন্ত ব্যবহার করা হয়েছিল।
২জি হল ডিজিটাল টেলিযোগাযোগ পদ্ধতি। ১জি এবং ২জি মধ্যে প্রধান পার্থক্য হল, যে রেডিও সংকেত ১জি নেটওয়ার্ক ব্যবহার করা হয় তা এনালগ এবং যখন সেটি ২জি নেটওয়ার্কে ব্যবহার করা হয় তখন সেটি ডিজিটাল। যদিও উভয় সিস্টেমের জন্য রেডিও টাওয়ার (যা হ্যান্ডসেট শুনা যায়) সংযোগ করতে ডিজিটাল সংকেত ব্যবহার করা হয়। উদাহরণস্বরূপ, এই ধরনের পদ্ধতি এনএমটি (নর্ডিক মোবাইল টেলিফোন), নর্ডিক দেশসমূহে ব্যবহৃত, যেমন সুইজারল্যান্ড, হল্যান্ড, পূর্ব ইউরোপ এবং রাশিয়া। এছাড়া এএমপিএস (এডভান্স মোবাইল ফোন পদ্ধতি) উত্তর আমেরিকা এবং অস্ট্রেলিয়ায় ব্যবহার করা হয়।
অন্যান্য দেশগুলির মধ্যে রয়েছে উত্তর আমেরিকা ও অস্ট্রেলিয়ায় ব্যবহৃত অ্যাডভান্সড মোবাইল ফোন সিস্টেম (AMPS), যুক্তরাজ্যে TACS (টোটাল অ্যাক্সেস কমিউনিকেশন সিস্টেম), পশ্চিম জার্মানি, পর্তুগাল ও দক্ষিণ আফ্রিকায় C-450, ফ্রান্সে রেডিওকম 2000, স্পেনের টিএমএ এবং ইতালিতে RTMI। [১]
প্রথম বাণিজ্যিকভাবে স্বয়ংক্রিয় সেলুলার নেটওয়ার্ক (১ জি) জাপানের নিপ্পন টেলিগ্রাফ এবং টেলিফোন (এনটিটি) ১৯৭৯ সালে চালু করেছিল, প্রাথমিকভাবে টোকিওতে। পাঁচ বছরের মধ্যে, এনটিটি জাপানের সমগ্র জনসংখ্যা নেটওয়ার্কের আওতাভুক্ত করার জন্য নেটওয়ার্ক সম্প্রসারিত করে এবং প্রথম দেশব্যাপী ১জি নেটওয়ার্ক তৈরি হয়।
১৯৮১ সালে, এনএমটি সিস্টেম একযোগে ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড, নরওয়ে এবং সুইডেনে চালু হয়েছিল। এনএমটি ছিল প্রথম মোবাইল ফোন নেটওয়ার্ক যা আন্তর্জাতিক রোমিংয়ের বৈশিষ্ট্যযুক্ত। ১৯৮৩ সালে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম ১জি নেটওয়ার্ক চালু হয়েছিল শিকাগো-ভিত্তিক আমেরিকো মটোরোলা ডায়নাট্যাক মোবাইল ফোন ব্যবহার করে। ১৯৮০ সালের মাঝামাঝি দিকে যুক্তরাজ্য, মেক্সিকো এবং কানাডা সহ বেশ কয়েকটি দেশ অনুসরণ করে। [২]
১৯৮০ সালের দিকে ১জি-তে যে প্রযুক্তিগুলো বেশি ব্যবহৃত হয়েছিল।