১০১ রেন্ট বয়েজ | |
---|---|
পরিচালক | ফেন্টন বেইলি র্যান্ডি বারবাটো |
প্রযোজক | ফেন্টন বেইলি র্যান্ডি বারবাটো |
চিত্রগ্রাহক | সান্ড্রা শ্যান্ডলার |
সম্পাদক | উইলিয়াম গ্রেবার্ন |
পরিবেশক | স্ট্র্যান্ড রিলিজিং |
মুক্তি | ৭ জুন ২০০০সান ফ্রান্সিসকো ইন্টারন্যাশানাল লেসবিয়ান অ্যান্ড গে ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল) | (
স্থিতিকাল | ৭৮ মিনিট |
দেশ | মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র |
ভাষা | ইংরেজি |
১০১ রেন্ট বয়েজ (ইংরেজি: 101 Rent Boys) হল ২০০০ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত একটি তথ্যচিত্র। এই ছবিতে ক্যালিফোর্নিয়ার লস এঞ্জেলস অঞ্চলের পুরুষ যৌনকর্মীদের জীবনযাপনের দিকগুলি তুলে ধরা হয়েছে। ফেন্টন বেইলি ও র্যান্ডি বারবাটো পরিচালিত এই ছবিটিতে ১০১ জন যৌনকর্মীর বর্ণনা দেওয়া হয়েছে। এঁদের সময় পাওয়ার বিনিময়ে ৫০ ডলার খরচ করতে হয়। এই যৌনকর্মীরা বিভিন্ন জাতি, অঞ্চল ও অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট থেকে আগত।[১] এই যৌনকর্মীদের সান্টা মনিকা বুলেভার্ড অঞ্চল ও তার পারিপার্শ্বিক এলাকা থেকে একত্র করা হয়।[২] এঁরা বিভিন্ন বিষয় আলোচনা করেন। অনেকেই তাদের ব্যক্তিগত ইতিহাস এবং তাদের কাজের প্রকৃতি সম্পর্কে মন্তব্য করেন।[১]
চলচ্চিত্রকার ফেন্টন বেইলি ও র্যান্ডি বারবাটো ইতিপূর্বে দি আইজ অফ টমি ফায় ও পার্টি মনস্টার নামে দু-টি ইন্ডিপেনডেন্ট চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছিলেন। এই দু-টি ছবি বিভিন্ন বিষয়ের উপর আলোকপাত করলেও, এর সিনেমাটোগ্রাফি ও সাধারণ ভঙ্গিমা ১০১ রেন্ট বয়েজ ছবির অনুরূপ। প্রত্যেক যৌনকর্মীকে ৫০ ডলার পারিশ্রমিক দিয়ে তাদের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়।[১] এই যৌনকর্মীদের সান্টা মনিকা বুলেভার্ড অঞ্চল ও তার পারিপার্শ্বিক এলাকা থেকে একত্র করা হয়।[২]
যাঁদের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়, তারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যৌনব্যবসার নানান দিক সম্পর্কে আলোচনা করেন। এগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য তাদের স্বতন্ত্র শারীরিক বিক্রয়-ব্যবস্থা, খদ্দেরদের প্রতি তাদের আচরণ এবং যৌনতা-সংক্রান্ত পছন্দ-অপছন্দ। আত্মপরিচয় ও যৌনপ্রবৃত্তি প্রকাশ পায়। একাধিক মানুষ “গে ফর পে” (অর্থের বিনিময়ে পুরুষ-সমকামী) হয়ে যান। শারীরিক নিগ্রহ ও গৃহহীনতার পর্যায় সংক্রান্ত তাদের ব্যক্তিগত জীবনসমস্যাগুলির কথাও উঠে আসে।[১] এঁদের কয়েকজন বাল্যকালে যৌননিগ্রহের শিকার হয়েছিলেন। কেউ কেউ অবসাদের অনুভূতি ও বিচ্ছিন্নতাবোধের কথাও উল্লেখ করেন। উদাহরণস্বরূপ, একজনের বর্ণনা অনুসারে ড্রাগের ব্যবহার “বিক্রয়সামগ্রী হিসেবে নিজেকে একাত্ম করার” জন্য তার “নিজেকে [যৌনব্যবসার] সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার প্রচেষ্টা”।[৩] যদিও অন্যরা তাদের দুশ্চিত্র বলার বা কলঙ্কিত করার প্রতিবাদ করেন। প্রত্যেক যৌনকর্মীর একটি বড়ো কার্ড আছে। এই কার্ডে যে নম্বরের উল্লেখ করা হয়েছে, তারই ভিত্তিতে তারা চলচ্চিত্রে সাক্ষাৎকার দানের জন্য ডাক পান।[১]
ছবিতে উল্লিখিত বিষয়গুলির অতিরিক্ত উদাহরণগুলির মধ্যে রয়েছে এক পেশাদার ল্যাটিনো যৌনকর্মীর বয়ান। অতীতে তিনি ছিলেন একজন ‘গ্যাং মেম্বার’ (বিডিএসএম দৃশ্যে কর্মরত একজন অত্যুৎসাহী ফেটিজমের প্রতীক)। আর একজন যৌনকর্মী রূপান্তরকামী। ছবিতে যাঁরা সাক্ষাৎকার দিয়েছেন, তাদের বেশভূষা এবং পোষাকের অবস্থা ব্যক্তিবিশেষ অনুসারে পৃথক পৃথক। অল্পক্ষেত্রে নগ্নতা প্রকাশিত হয়েছে। তবে ছবিতে কোনও যৌন দৃশ্য নেই।[১]
ভ্যারাইটি পত্রিকায় চলচ্চিত্র সমালোচক ডেনিস হার্ভে এই ছবিটি সম্পর্কে মিশ্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। তার মতে, যে যৌনকর্মীদের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছে “তাঁদের সেখানে চিহ্নিত করার কাজই বেশি করা হয়েছে। তাঁদের যথার্থভাবে বোঝার চেষ্টা করা হয়নি।” তিনি বলেছেন যে, চলচ্চিত্রকারেরা “এমন এক মার্জিত ও সযত্নে দর্শিত প্যাকেজ উপস্থাপন করেছেন, যাতে একঘেয়েমির কোনও স্থানই নেই।” তবে তার মতে, এই যৌনকর্মীদের জীবন সম্পর্কে আরও গভীর আলোচনা কর প্রয়োজন ছিল। তার জন্য কম যৌনকর্মীর সাক্ষাৎকার নেওয়াই উচিত ছিল। যদিও হার্ভে মানে করেন ছবির কিছু কিছু দৃশ্য অবশ্যই “স্মরণীয়”। তিনি একটি উদাহরণ দেন। এক যৌনকর্মী অতিমাত্রায় হেরোইন সেবনে বাবা-মায়ের মৃত্যুর বর্ণনা দেন। হার্ভে বলেন, এই বর্ণনার ফলে “তাঁর আত্মা ভেসে গিয়েছে।”[১]
শিকাগো রিডার পত্রিকায় এই ছবিটির সংক্ষিপ্ত উল্লেখ পাওয়া যায়। এই পত্রিকায় এই ছবিটিকে “কর্কশ” বলে উল্লেখ করা হয় এবং যৌনকর্মীদের খোলামেলা মন্তব্য সম্পর্কে মতামত প্রকাশ করা হয়েছে।[৩] এনসাইক্লোপেডিয়া অফ প্রস্টিটিউশন অ্যান্ড সেক্স ওয়ার্ক বইটির প্রথম খণ্ডের পৃষ্ঠায় এই ছবিটির বিরূপ সমালোচনা পাওয়া যায়। এই বইতে বলা হয়েছে যে, ১০১ রেন্ট বয়েজ ছবিটিকে সত্য ঘটনা বর্ণনার পরিবর্তে “একটি অন্যায় চিত্রণে”র দোষে দুষ্ট। বইতে আরু বলা হয়েছে যে, এই ছবির সামগ্রিক ভঙ্গিমাটি এমন ভাবে চিত্রিত হয়েছে, যা দেখে মনে হয়, “মানুষগুলিকে প্যারোডির পর্যায়ে নামিয়ে আনা হয়েছে।” চিকেন রাঞ্চ (১৯৮৩) ও ফেটিশেস (১৯৯৬) ছবিদুটিতে বিষয়টি অন্যভাবে উপস্থাপিত হয়েছে।[২]
২০০০ সালের অগস্ট মাসে ব্রডকাস্ট নেটওয়ার্ক সিনেম্যাক্সে ছবিটি মুক্তি পায়।[১]