মৌসুম | ১৯২৯ |
---|---|
চ্যাম্পিয়ন | বার্সেলোনা (১ম শিরোপা) |
মোট খেলা | ৯০ |
মোট গোলসংখ্যা | ৩৮৩ (ম্যাচ প্রতি ৪.২৬টি) |
শীর্ষ গোলদাতা | ![]() (১৭টি গোল) |
সবচেয়ে বড় স্বাগতিক জয় | অ্যাথলেটিক বিলবাও ৯–০ এউরোপা |
সবচেয়ে বড় অতিথি জয় | রেসিং সান্তান্দের ০–৪ অ্যাথলেটিক বিলবাও |
দীর্ঘতম টানা জয় | ৬ ম্যাচ আরেনাস বার্সেলোনা |
দীর্ঘতম টানা অপরাজিত | ১১ ম্যাচ বার্সেলোনা |
দীর্ঘতম টানা জয়বিহীন | ৭ ম্যাচ রেসিং সান্তান্দের |
দীর্ঘতম টানা পরাজয় | ৭ ম্যাচ রেসিং সান্তান্দের |
১৯২৯–৩০ → |
১৯২৯ লা লিগা (এছাড়াও ১৯২৯ প্রিমেরা দিভিসিওন নামে পরিচিত) স্পেনের পেশাদার ফুটবল লিগের শীর্ষ স্তর লা লিগার উদ্বোধনী মৌসুম ছিল। এই মৌসুমটি ১৯২৯ সালের ১০ই ফেব্রুয়ারি তারিখে শুরু হয়ে ২৩শে জুন তারিখে সম্পন্ন হয়েছিল।[১] আতলেতিকো মাদ্রিদের স্পেনীয় আক্রমণভাগের খেলোয়াড় ভিসেন্তে পালাসিওস গোন্সালেস এই মৌসুমের প্রথম গোল করেছিলেন।[২]
এই মৌসুমে ২৫ পয়েন্ট অর্জন করে বার্সেলোনা প্রথম ক্লাব হিসেবে লা লিগার শিরোপা জয়লাভ করেছিল।[৩] রিয়াল সোসিয়েদাদের স্পেনীয় আক্রমণভাগের খেলোয়াড় পাকো বিয়েন্সাবাস ১৭ গোল করে এই মৌসুমের শীর্ষ গোলদাতার পুরস্কার জয়লাভ করেছিলেন।[৪]
প্রতিটি ক্লাব একে অপরের বিরুদ্ধে দুইটি ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল; একটি নিজেদের মাঠে এবং অপরটি প্রতিপক্ষ দলের মাঠে। ক্লাবগুলো প্রতিটি জয়ের জন্য দুই পয়েন্ট এবং ড্রয়ের জন্য এক পয়েন্ট করে অর্জন করেছিল। যদি দুই বা ততোধিক ক্লাব সমান পয়েন্ট অর্জন করে থাকে, তবে হেড-টু-হেড ফলাফলের ভিত্তিতে পয়েন্ট তালিকায় তাদের অবস্থান নির্ধারণ করা হয়েছিল। সর্বাধিক পয়েন্ট অর্জনকারী ক্লাবটি চ্যাম্পিয়ন হিসেবে শিরোপা জয়লাভ করেছিল এবং সর্বনিম্ন পয়েন্ট অর্জনকারী ক্লাবটি সেহুন্দা দিভিসিওনের চ্যাম্পিয়ন ক্লাবের বিরুদ্ধে দুই লেগের অবনমন/উন্নয়ন প্লে-অফে অংশগ্রহণ করেছিল, যেখানে বিজয়ী ক্লাব পরবর্তী মৌসুমে লা লিগায় অংশগ্রহণের জন্য উত্তীর্ণ হয়েছিল।
১৯২৮ সালে জাতীয় লিগ তৈরির ব্যর্থতার পর, দলগুলো দুটি অসম্পূর্ণ লিগে বিভক্ত হয়ে যায়; অবশেষে সকল ক্লাব একত্রে রয়্যাল স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশনের সাথে একত্রিত এই লিগ তৈরিতে সম্মতি প্রকাশ করে। পরবর্তীকালে নিশ্চিত করা হয় যে, প্রথম স্তরের লিগে স্পেনীয় চ্যাম্পিয়নশিপ (আরেনাস, অ্যাথলেটিক বিলবাও, বার্সেলোনা, রিয়াল মাদ্রিদ, রিয়াল সোসিয়েদাদ এবং রেয়াল ইউনিয়ন) এবং কমপক্ষে একটি ফাইনালে অংশগ্রহণকারী তিনটি ক্লাব (আতলেতিকো মাদ্রিদ, এস্পানিওল এবং এউরোপা) যোগদান করবে।
বাকি ১টি ক্লাব বাছাইপর্বের মাধ্যমে নির্ধারণ করা হয়েছিল; যেখানে বিজয়ী ক্লাব রেসিং সান্তান্দের লা লিগায় যোগদান করেছিল এবং অংশগ্রহণকারী বাকি ক্লাবগুলো রেসিং মাদ্রিদের সাথে সেহুন্দা দিভিসিওনে অংশগ্রহণ করেছিল। এই মৌসুমে ১০টি ক্লাব প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল।[৫]
অব | দল | ম্যাচ | জয় | ড্র | হার | স্বগো | বিগো | গোপা | পয়েন্ট | যোগ্যতা অর্জন বা অবনমন |
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
১ | বার্সেলোনা (C) | ১৮ | ১১ | ৩ | ৪ | ৩৭ | ২৩ | +১৪ | ২৫ | |
২ | রিয়াল মাদ্রিদ | ১৮ | ১১ | ১ | ৬ | ৪০ | ২৭ | +১৩ | ২৩ | |
৩ | অ্যাথলেটিক বিলবাও | ১৮ | ৮ | ৪ | ৬ | ৪৭ | ৩৪ | +১৩ | ২০ | |
৪ | রিয়াল সোসিয়েদাদ | ১৮ | ৮ | ৪ | ৬ | ৪৬ | ৪১ | +৫ | ২০ | |
৫ | আরেনাস | ১৮ | ৮ | ৩ | ৭ | ৩৩ | ৪৩ | −১০ | ১৯ | |
৬ | আতলেতিকো মাদ্রিদ | ১৮ | ৮ | ২ | ৮ | ৪৩ | ৪১ | +২ | ১৮ | |
৭ | এস্পানিওল | ১৮ | ৭ | ৪ | ৭ | ৩২ | ৩৮ | −৬ | ১৮ | |
৮ | এউরোপা | ১৮ | ৬ | ৪ | ৮ | ৪৫ | ৪৯ | −৪ | ১৬ | |
৯ | রেয়াল ইউনিয়ন | ১৮ | ৫ | ২ | ১১ | ৪০ | ৪২ | −২ | ১২ | |
১০ | রেসিং সান্তান্দের (O) | ১৮ | ৩ | ৩ | ১২ | ২৫ | ৫০ | −২৫ | ৯ | অবনমন প্লে-অফে উত্তীর্ণ |
অবস্থান | খেলোয়াড় | ক্লাব | গোল |
---|---|---|---|
১ | ![]() |
রিয়াল সোসিয়েদাদ | ১৭ |
২ | ![]() |
আতলেতিকো মাদ্রিদ | ১৫ |
৩ | ![]() |
আতলেতিকো মাদ্রিদ | ১২ |
৪ | ![]() |
অ্যাথলেটিক বিলবাও | |
৫ | ![]() |
বার্সেলোনা | ১১ |
৬ | ![]() |
এউরোপা | |
৭ | ![]() |
আরেনাস | |
৮ | ![]() |
রেয়াল ইউনিয়ন | |
৯ | ![]() |
রেয়াল ইউনিয়ন | |
১০ | ![]() |
রিয়াল মাদ্রিদ |