১৯৭১ | |
---|---|
পরিচালক | অমৃত সাগর |
প্রযোজক | অমৃত সাগর মতি সাগর |
রচয়িতা | পীযূষ মিশ্র |
শ্রেষ্ঠাংশে | মনোজ বাজপেয়ী রবি কিষাণ চিত্তরঞ্জন গিরি কুমুদ মিশ্র মানব কৌল দীপক ডোবরিয়াল পীযূষ মিশ্র বিবেক মিশ্র |
সুরকার | আকাশ সাগর |
চিত্রগ্রাহক | চিরন্তন দাস |
সম্পাদক | শ্যাম কে সালগাঁওকর |
মুক্তি |
|
স্থিতিকাল | ১৬০ মিনিট |
দেশ | ভারত |
ভাষা | হিন্দি |
১৯৭১ হল ২০০৭ সালের ভারতীয় হিন্দি ভাষার যুদ্ধ নাট্য চলচ্চিত্র, এটি পরিচালনা করেছিলেন অমৃত সাগর এবং রচনা করেছিলেন পীযূষ মিশ্র এবং অমৃত সাগর। এটি একাত্তরের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের পরে যুদ্ধবন্দীদের সত্য কাহিনী অবলম্বনে নির্মিত হয়েছে। এই ছবিতে অভিনয় করেছিলেন মনোজ বাজপেয়ী, রবি কিষাণ, পীযূষ মিশ্র, দীপক ডোবরিয়াল এবং আরো অনেকে। ৫৫তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে, এটি হিন্দিতে পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র বিভাগে সেরা জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জিতেছিল।[১] ছবিটি, একাত্তরের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের সময়, পাকিস্তান সেনাবাহিনী দ্বারা যুদ্ধবন্দী হিসাবে নেওয়া ভারতীয় সেনাবাহিনীর ছয় সৈন্যের পালানোর বিবরণ। যুদ্ধের আগে, পূর্ব পাকিস্তান (বর্তমানে বাংলাদেশ) বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিল পশ্চিম পাকিস্তান (বর্তমান পাকিস্তান) থেকে নিজেকে আলাদা করে নিয়ে নতুন দেশ গঠনের জন্য। [২]
গল্পটি শুরু হয়েছিল পাকিস্তানে ১৯৭৭ সালে, ১৯৭১ সালের বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের ছয় বছর পরে। মেজর সুরজ সিং (মনোজ বাজপেয়ী), ক্যাপ্টেন কবির (কুমুদ মিশ্র), ক্যাপ্টেন জ্যাকব (রবি কিষাণ), পালি, ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট রাম (মানব কৌল), ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট গুর্টু (দীপক ডোবরিয়াল) এবং কর্নেল পুরী যুদ্ধবন্দীরূপে পাকিস্তানের হাতে ধরা পড়েছিলেন। তাঁদের আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল যে, তাঁদের স্বদেশে পুনর্বাসিত করা হবে। কিন্তু একটি একটি সংবাদপত্র থেকে তাঁরা জানতে পেরেছিলেন তাঁদের মিথ্যা আশ্বাস দেওয়া হচ্ছে। তখন তাঁরা পালানোর পরিকল্পনা করেছিলেন। তাঁরা কিছু জাল পরিচয় পত্র এবং পাকিস্তানি উর্দি যোগাড় করেন। ১৪ই আগস্ট উদ্যাপন করতে পাকিস্তান শিবিরে একজন গজল গায়ককে আমন্ত্রণ করা হয়েছিল (পরে প্রকাশিত হয়েছিল জায়গাটি ছিল চকলালা, ভারত-পাক সীমান্ত থেকে ২০০ কিলোমিটার দূরে)। শিবিরের বৈদ্যুতিক কক্ষটি উড়িয়ে দিয়ে পালানোর সময় আহমেদ মারা যান। বাকিরা গায়কের সাথে পালাতে সক্ষম হয়েছিলেন। লুকিয়ে থাকার সময় জ্যাকব আঘাত পেয়েছিলেন। সেই ব্যথা পরে অসহ্য হওয়ায় তিনি নিজেকে গুলি করে শেষ করে দেন। রাম নিজের শরীরের উপর একটি গ্রেনেড বিস্ফোরণ করে সন্ধানী দলের অনেককে মেরে ফেলেছিলেন, যাতে তাঁর সঙ্গীরা পালিয়ে যেতে পারেন। ভারতীয় সীমান্তের খুব কাছেই কবীর ঘুমের মধ্যে মারা যান। সীমান্ত পার হবার সময় পাকিস্তানীরা সুরজকে গুলি করে হত্যা করেছিল।
২০০৭ সাল, পাকিস্তানের মুলতান জেল। একজন বৃদ্ধ লোককে দেখা গেল জেলখানার চত্বরে হাঁটছেন। তিনি মাটি দিয়ে পাঁচটি ছোট ছোট ঢিবি তৈরি করেছেন এবং সেগুলির উপর ফুল দিচ্ছেন। তিনি ঢিবিগুলির পাশে মাটিতে বসে মেজর সুরজ সিংয়ের জেল ডায়েরিটির পাতা ওল্টাচ্ছেন। এই বৃদ্ধ মানুষটি গুর্টু।