মৌসুম | ১৯৮৮–৮৯ |
---|---|
তারিখ | ২২ জুলাই ১৯৮৮ – ১৭ জুন ১৯৮৯ |
চ্যাম্পিয়ন | বায়ার্ন মিউনিখ ১০ম বুন্দেসলিগা শিরোপা ১১তম জার্মান শিরোপা |
অবনমন | স্টুটগার্টার কিকার্স হানোফার |
ইউরোপীয় কাপ | বায়ার্ন মিউনিখ |
কাপ উইনার্স কাপ | বরুসিয়া ডর্টমুন্ড |
উয়েফা কাপ | কলন ভেয়ার্ডার ব্রেমেন হামবুর্গার স্টুটগার্ট |
মোট খেলা | ৩০৬ |
মোট গোলসংখ্যা | ৮৩৮ (ম্যাচ প্রতি ২.৭৪টি) |
শীর্ষ গোলদাতা | টমাস আলোফস রোলান্ড ভলফার্ট (১৭টি গোল) |
সবচেয়ে বড় হোম জয় | কাইজারস্লাউটার্ন ৬–০ কিকার্স (৩ সেপ্টেম্বর ১৯৮৮) ডর্টমুন্ড ৬–০ ফ্রাঙ্কফুর্ট (২৬ নভেম্বর ১৯৮৮) |
সবচেয়ে বড় অ্যাওয়ে জয় | কিকার্স ০–৬ ভেয়ার্ডার ব্রেমেন (১৬ নভেম্বর ১৯৮৮) |
সর্বোচ্চ স্কোরিং | উরডিঙ্গেন ৭–৩ হানোফার (২৫ মে ১৯৮৯) |
← ১৯৮৭–৮৮ ১৯৮৯–৯০ → |
১৯৮৮–৮৯ বুন্দেসলিগা পশ্চিম জার্মানির পেশাদার ফুটবল লীগের শীর্ষ স্তর বুন্দেসলিগার ২৬তম মৌসুম ছিল। এই মৌসুমটি ১৯৮৮ সালের ২২শে জুলাই তারিখে শুরু হয়ে ১৯৮৯ সালের ১৭ই জুন তারিখে সম্পন্ন হয়েছিল।[১][২] স্টুটগার্টের জার্মান রক্ষণভাগের খেলোয়াড় রাইনার জিয়েশ এই মৌসুমের প্রথম গোল করেছিলেন।[৩]
ভেয়ার্ডার ব্রেমেন বুন্দেসলিগার পূর্ববর্তী আসরের চ্যাম্পিয়ন, যারা ১৯৮৭–৮৮ মৌসুমে ৫২ পয়েন্ট অর্জন করে এই প্রতিযোগিতার ইতিহাসে ২য় বারের মতো শিরোপা জয়লাভ করেছিল।
এই মৌসুমে ৫০ পয়েন্ট অর্জন করে বায়ার্ন মিউনিখ ১০ম বারের মতো বুন্দেসলিগা এবং ১১তম বারের মতো জার্মান শিরোপা জয়লাভ করেছিল। কলনের জার্মান আক্রমণভাগের খেলোয়াড় টমাস আলোফস এবং বায়ার্ন মিউনিখের জার্মান আক্রমণভাগের খেলোয়াড় রোলান্ড ভলফার্ট ১৭ গোল করে এই মৌসুমের শীর্ষ গোলদাতার পুরস্কার জয়লাভ করেছিলেন।
প্রতিটি ক্লাব একে অপরের বিরুদ্ধে দুইটি ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল; একটি নিজেদের মাঠে এবং অপরটি প্রতিপক্ষ দলের মাঠে। ক্লাবগুলো প্রতিটি জয়ের জন্য দুই পয়েন্ট এবং ড্রয়ের জন্য এক পয়েন্ট করে অর্জন করেছিল। যদি দুই বা ততোধিক ক্লাব সমান পয়েন্ট অর্জন করে থাকে, তবে গোল পার্থক্যের মাধ্যমে পয়েন্ট তালিকায় তাদের অবস্থান নির্ধারণ করা হয়েছিল। সর্বাধিক পয়েন্ট অর্জনকারী ক্লাবটি চ্যাম্পিয়ন হিসেবে শিরোপা জয়লাভ করেছিল এবং সর্বনিম্ন পয়েন্ট অর্জনকারী দুইটি ক্লাব ২. বুন্দেসলিগায় অবনমিত হয়েছিল। পয়েন্ট তালিকায় তৃতীয় সর্বনিম্ন পয়েন্ট অর্জনকারী ক্লাবটি ২. বুন্দেসলিগায় তৃতীয় স্থান অধিকারী ক্লাবের বিরুদ্ধে দুই লেগের অবনমন/উন্নয়ন প্লে-অফে অংশগ্রহণ করেছিল, যেখানে বিজয়ী ক্লাব পরবর্তী মৌসুমে বুন্দেসলিগায় অংশগ্রহণের জন্য উত্তীর্ণ হয়েছিল।
১৯৮৭–৮৮ মৌসুম শেষে হমবুর্গ এবং শালকে মৌসুমে সর্বনিম্ন পয়েন্ট অর্জন করে পয়েন্ট তালিকার সর্বনিম্ন অবস্থানে থাকা দুই ক্লাব হিসেবে বুন্দেসলিগা হতে সরাসরি অবনমিত হয়েছিল। অন্যদিকে, তাদের বদলে জাংকট পাওলি এবং স্টুটগার্টার কিকার্স বুন্দেসলিগায় উন্নীত হয়েছিল। পয়েন্ট তালিকায় তৃতীয় সর্বনিম্ন পয়েন্ট অর্জনকারী ক্লাব হিসেবে ভাল্ডহফ মানহাইম ২. বুন্দেসলিগায় তৃতীয় স্থান অধিকারী ক্লাব ডার্মস্টাটের বিরুদ্ধে দুই লেগের অবনমন/উন্নয়ন প্লে-অফে অংশগ্রহণ করেছিল, উক্ত প্লে-অফে জয়লাভ করে ভাল্ডহফ মানহাইম বুন্দেসলিগার এই মৌসুমে অংশগ্রহণের জন্য উত্তীর্ণ হয়েছিল। পূর্ববর্তী মৌসুমের মতো এই মৌসুমেও ১৮টি ক্লাব প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল।
ক্লাব | অবস্থান | মাঠ[৪] | ধারণক্ষমতা[৪] |
---|---|---|---|
বোখুম | বোখুম | রুর স্টেডিয়াম | ৪০,০০০ |
ভেয়ার্ডার ব্রেমেন | ব্রেমেন | ভেজার স্টেডিয়াম | ৩২,০০০ |
বরুসিয়া ডর্টমুন্ড | ডর্টমুন্ড | ভেস্টফালেন স্টেডিয়াম | ৫৪,০০০ |
আইন্ট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্ট | ফ্রাঙ্কফুর্ট | ভাল্ডস্টাডিওন | ৬২,০০০ |
হামবুর্গার | হামবুর্গ | ফক্সপার্কস্টাডিওন | ৬২,০০০ |
হানোফার | হানোফার | নিডারজারকসেন স্টেডিয়াম | ৬০,৪০০ |
কাইজারস্লাউটার্ন | কাইজারস্লাউটার্ন | ফ্রিৎস ভাল্টার স্টেডিয়াম | ৪২,০০০ |
কার্লস্রুহার | কার্লস্রুহে | ভিল্ডপার্কস্টাডিওন | ৫০,০০০ |
কলন | কোলন | মুঙ্গার্সডর্ফার স্টেডিয়াম | ৬১,০০০ |
বায়ার লেভারকুজেন | লেভারকুজেন | উলরিখ হাবারলান্ড স্টেডিয়াম | ২০,০০০ |
ভাল্ডহফ মানহাইম | লুডভিগশাফেন | সুডভেস্ট স্টেডিয়াম | ৭৫,০০০ |
বরুসিয়া মনশেনগ্লাডবাখ | মনশেনগ্লাডবাখ | বোকেলবার্গস্টাডিওন | ৩৪,৫০০ |
বায়ার্ন মিউনিখ | মিউনিখ | মিউনিখ অলিম্পিক স্টেডিয়াম | ৮০,০০০ |
নুর্নবার্গ | নুরেমবার্গ | স্টাটিশেস স্টেডিয়াম | ৬৪,২৩৮ |
জাংকট পাওলি | হামবুর্গ | মিলার্ন্টর স্টেডিয়াম | ১৮,০০০ |
স্টুটগার্টার কিকার্স | স্টুটগার্ট | নেকার স্টেডিয়াম | ৭২,০০০ |
স্টুটগার্ট | স্টুটগার্ট | নেকার স্টেডিয়াম | ৭২,০০০ |
বায়ার ০৫ উরডিঙ্গেন | ক্রেফেল্ড | গ্রটেনবুর্গ স্টেডিয়াম | ৩৫,৭০০ |
অব | দল | ম্যাচ | জয় | ড্র | হার | স্বগো | বিগো | গোপা | পয়েন্ট | যোগ্যতা অর্জন বা অবনমন |
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
১ | বায়ার্ন মিউনিখ (C) | ৩৪ | ১৯ | ১২ | ৩ | ৬৭ | ২৬ | +৪১ | ৫০ | ইউরোপীয় কাপের প্রথম পর্বে উত্তীর্ণ |
২ | কলন | ৩৪ | ১৮ | ৯ | ৭ | ৫৮ | ৩০ | +২৮ | ৪৫ | উয়েফা কাপের প্রথম পর্বে উত্তীর্ণ |
৩ | ভেয়ার্ডার ব্রেমেন | ৩৪ | ১৮ | ৮ | ৮ | ৫৫ | ৩২ | +২৩ | ৪৪ | |
৪ | হামবুর্গার | ৩৪ | ১৭ | ৯ | ৮ | ৬০ | ৩৬ | +২৪ | ৪৩ | |
৫ | স্টুটগার্ট | ৩৪ | ১৬ | ৭ | ১১ | ৫৮ | ৪৯ | +৯ | ৩৯ | |
৬ | বরুসিয়া মনশেনগ্লাডবাখ | ৩৪ | ১২ | ১৪ | ৮ | ৪৪ | ৪৩ | +১ | ৩৮ | |
৭ | বরুসিয়া ডর্টমুন্ড | ৩৪ | ১২ | ১৩ | ৯ | ৫৬ | ৪০ | +১৬ | ৩৭ | কাপ উইনার্স কাপের প্রথম পর্বে উত্তীর্ণ |
৮ | বায়ার লেভারকুজেন | ৩৪ | ১০ | ১৪ | ১০ | ৪৫ | ৪৪ | +১ | ৩৪ | |
৯ | কাইজারস্লাউটার্ন | ৩৪ | ১০ | ১৩ | ১১ | ৪৭ | ৪৪ | +৩ | ৩৩ | |
১০ | জাংকট পাওলি | ৩৪ | ৯ | ১৪ | ১১ | ৪১ | ৪২ | −১ | ৩২ | |
১১ | কার্লস্রুহার | ৩৪ | ১২ | ৮ | ১৪ | ৪৮ | ৫১ | −৩ | ৩২ | |
১২ | ভাল্ডহফ মানহাইম | ৩৪ | ১০ | ১১ | ১৩ | ৪৩ | ৫২ | −৯ | ৩১ | |
১৩ | বায়ার ০৫ উরডিঙ্গেন | ৩৪ | ১০ | ১১ | ১৩ | ৫০ | ৬০ | −১০ | ৩১ | |
১৪ | নুর্নবার্গ | ৩৪ | ৮ | ১০ | ১৬ | ৩৬ | ৫৪ | −১৮ | ২৬ | |
১৫ | বোখুম | ৩৪ | ৯ | ৮ | ১৭ | ৩৭ | ৫৭ | −২০ | ২৬ | |
১৬ | আইন্ট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্ট | ৩৪ | ৮ | ১০ | ১৬ | ৩০ | ৫৩ | −২৩ | ২৬ | অবনমন প্লে-অফে উত্তীর্ণ |
১৭ | স্টুটগার্টার কিকার্স (R) | ৩৪ | ১০ | ৬ | ১৮ | ৪১ | ৬৮ | −২৭ | ২৬ | ২. বুন্দেসলিগায় অবনমিত |
১৮ | হানোফার (R) | ৩৪ | ৪ | ১১ | ১৯ | ৩৬ | ৭১ | −৩৫ | ১৯ |
অবস্থান | খেলোয়াড় | ক্লাব | গোল |
---|---|---|---|
১ | টমাস আলোফস | কলন | ১৭ |
২ | রোলান্ড ভলফার্ট | বায়ার্ন মিউনিখ | |
৩ | উভে ব্রাইন | হামবুর্গার | ১৫ |
৪ | হান্স-ইয়র্গ ক্রিয়েন্স | বরুসিয়া মনশেনগ্লাডবাখ | ১৩ |
৫ | ইয়ুর্গেন ক্লিন্সমান | স্টুটগার্ট | |
৬ | হারাল্ড কোর | কাইজারস্লাউটার্ন | |
৭ | ফ্রাঙ্ক নয়বার্ট | ভেয়ার্ডার ব্রেমেন | |
৮ | ফ্রিৎস ভাল্টার | স্টুটগার্ট | |
৯ | ইয়ুর্গেন ভেগমান | বায়ার্ন মিউনিখ | |
১০ | কার্ল-হাইনৎস রিডল | ভেয়ার্ডার ব্রেমেন |