মৌসুম | ১৯৯০–৯১ |
---|---|
তারিখ | ৮ আগস্ট ১৯৯০ – ১৫ জুন ১৯৯১ |
চ্যাম্পিয়ন | কাইজারস্লাউটার্ন ১ম বুন্দেসলিগা শিরোপা ৩য় জার্মান শিরোপা |
অবনমন | জাংকট পাওলি বায়ার ০৫ উরডিঙ্গেন হের্টা |
ইউরোপীয় কাপ | কাইজারস্লাউটার্ন |
কাপ উইনার্স কাপ | ভেয়ার্ডার ব্রেমেন |
উয়েফা কাপ | বায়ার্ন মিউনিখ আইন্ট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্ট হামবুর্গার স্টুটগার্ট |
মোট খেলা | ৩০৬ |
মোট গোলসংখ্যা | ৮৬৩ (ম্যাচ প্রতি ২.৮২টি) |
শীর্ষ গোলদাতা | রোলান্ড ভলফার্ট (২১টি গোল) |
সবচেয়ে বড় হোম জয় | বায়ার্ন মিউনিখ ৭–০ ভাটেনশাইড (২৪ নভেম্বর ১৯৯০) স্টুটগার্ট ৭–০ ডর্টমুন্ড (২৩ ফেব্রুয়ারি ১৯৯১) |
সর্বোচ্চ স্কোরিং | উরডিঙ্গেন ৩–৭ কাইজারস্লাউটার্ন (২২ সেপ্টেম্বর ১৯৯০) বায়ার্ন মিউনিখ ৭–৩ হের্টা (২৫ মে ১৯৯১) |
← ১৯৮৯–৯০ ১৯৯১–৯২ → |
১৯৯০–৯১ বুন্দেসলিগা পশ্চিম জার্মানির পেশাদার ফুটবল লীগের শীর্ষ স্তর বুন্দেসলিগার ২৮তম মৌসুম ছিল। ১৯৯০ সালের ৩রা অক্টোবর তারিখে জার্মান পুনঃএকত্রীকরণের ফলে এটি শুধুমাত্র পশ্চিম জার্মানির ক্লাবগুলোর অংশগ্রহণে আয়োজিত সর্বশেষ মৌসুম ছিল, জার্মান পুনঃএকত্রীকরণের ফলে পরবর্তী মৌসুম হতে প্রাক্তন পূর্ব জার্মানির ক্লাবগুলো বুন্দেসলিগায় অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছিল।[১] এই মৌসুমটি ১৯৯০ সালের ৮ই আগস্ট তারিখে শুরু হয়ে ১৯৯১ সালের ১৫ই জুন তারিখে সম্পন্ন হয়েছিল।[২][৩] স্টুটগার্টের জার্মান মধ্যমাঠের খেলোয়াড় ফ্রিৎস ভাল্টার এই মৌসুমের প্রথম গোল করেছিলেন।[৪]
বায়ার্ন মিউনিখ বুন্দেসলিগার পূর্ববর্তী আসরের চ্যাম্পিয়ন, যারা ১৯৮৯–৯০ মৌসুমে ৪৯ পয়েন্ট অর্জন করে এই প্রতিযোগিতার ইতিহাসে ১১তম বারের মতো শিরোপা জয়লাভ করেছিল।
এই মৌসুমে ৪৮ পয়েন্ট অর্জন করে কাইজারস্লাউটার্ন ১ম বারের মতো বুন্দেসলিগা এবং ৩য় বারের মতো জার্মান শিরোপা জয়লাভ করেছিল। বায়ার্ন মিউনিখের জার্মান আক্রমণভাগের খেলোয়াড় রোলান্ড ভলফার্ট ২১ গোল করে এই মৌসুমের শীর্ষ গোলদাতার পুরস্কার জয়লাভ করেছিলেন।
প্রতিটি ক্লাব একে অপরের বিরুদ্ধে দুইটি ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল; একটি নিজেদের মাঠে এবং অপরটি প্রতিপক্ষ দলের মাঠে। ক্লাবগুলো প্রতিটি জয়ের জন্য দুই পয়েন্ট এবং ড্রয়ের জন্য এক পয়েন্ট করে অর্জন করেছিল। যদি দুই বা ততোধিক ক্লাব সমান পয়েন্ট অর্জন করে থাকে, তবে গোল পার্থক্যের মাধ্যমে পয়েন্ট তালিকায় তাদের অবস্থান নির্ধারণ করা হয়েছিল। সর্বাধিক পয়েন্ট অর্জনকারী ক্লাবটি চ্যাম্পিয়ন হিসেবে শিরোপা জয়লাভ করেছিল এবং সর্বনিম্ন পয়েন্ট অর্জনকারী দুইটি ক্লাব ২. বুন্দেসলিগায় অবনমিত হয়েছিল। পয়েন্ট তালিকায় তৃতীয় সর্বনিম্ন পয়েন্ট অর্জনকারী ক্লাবটি ২. বুন্দেসলিগায় তৃতীয় স্থান অধিকারী ক্লাবের বিরুদ্ধে দুই লেগের অবনমন/উন্নয়ন প্লে-অফে অংশগ্রহণ করেছিল, যেখানে বিজয়ী ক্লাব পরবর্তী মৌসুমে বুন্দেসলিগায় অংশগ্রহণের জন্য উত্তীর্ণ হয়েছিল।
১৯৮৯–৯০ মৌসুম শেষে ভাল্ডহফ মানহাইম এবং হমবুর্গ মৌসুমে সর্বনিম্ন পয়েন্ট অর্জন করে পয়েন্ট তালিকার সর্বনিম্ন অবস্থানে থাকা দুই ক্লাব হিসেবে বুন্দেসলিগা হতে সরাসরি অবনমিত হয়েছিল। অন্যদিকে, তাদের বদলে হের্টা এবং ভাটেনশাইড বুন্দেসলিগায় উন্নীত হয়েছিল। পয়েন্ট তালিকায় তৃতীয় সর্বনিম্ন পয়েন্ট অর্জনকারী ক্লাব হিসেবে বোখুম ২. বুন্দেসলিগায় তৃতীয় স্থান অধিকারী ক্লাব জারব্রুকেনের বিরুদ্ধে দুই লেগের অবনমন/উন্নয়ন প্লে-অফে অংশগ্রহণ করেছিল, উক্ত প্লে-অফে জয়লাভ করে বোখুম বুন্দেসলিগার এই মৌসুমে অংশগ্রহণের জন্য উত্তীর্ণ হয়েছিল। পূর্ববর্তী মৌসুমের মতো এই মৌসুমেও ১৮টি ক্লাব প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল।
ক্লাব | অবস্থান | মাঠ[৫] | ধারণক্ষমতা[৫] |
---|---|---|---|
হের্টা | বার্লিন | বার্লিন অলিম্পিক স্টেডিয়াম | ৭৬,০০০ |
বোখুম | বোখুম | রুর স্টেডিয়াম | ৪০,০০০ |
ভেয়ার্ডার ব্রেমেন | ব্রেমেন | ভেজার স্টেডিয়াম | ৩২,০০০ |
বরুসিয়া ডর্টমুন্ড | ডর্টমুন্ড | ভেস্টফালেন স্টেডিয়াম | ৫৪,০০০ |
ফর্টুনা ডুসেলডর্ফ | ডুসেলডর্ফ | রাইন স্টেডিয়াম | ৫৯,৬০০ |
আইন্ট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্ট | ফ্রাঙ্কফুর্ট | ভাল্ডস্টাডিওন | ৬২,০০০ |
হামবুর্গার | হামবুর্গ | ফক্সপার্কস্টাডিওন | ৬২,০০০ |
কাইজারস্লাউটার্ন | কাইজারস্লাউটার্ন | ফ্রিৎস ভাল্টার স্টেডিয়াম | ৪২,০০০ |
কার্লস্রুহার | কার্লস্রুহে | ভিল্ডপার্কস্টাডিওন | ৫০,০০০ |
কলন | কোলন | মুঙ্গার্সডর্ফার স্টেডিয়াম | ৬১,০০০ |
বায়ার লেভারকুজেন | লেভারকুজেন | উলরিখ হাবারলান্ড স্টেডিয়াম | ২০,০০০ |
বরুসিয়া মনশেনগ্লাডবাখ | মনশেনগ্লাডবাখ | বোকেলবার্গস্টাডিওন | ৩৪,৫০০ |
বায়ার্ন মিউনিখ | মিউনিখ | মিউনিখ অলিম্পিক স্টেডিয়াম | ৭০,০০০ |
নুর্নবার্গ | নুরেমবার্গ | স্টাটিশেস স্টেডিয়াম | ৬৪,২৩৮ |
জাংকট পাওলি | হামবুর্গ | মিলার্ন্টর স্টেডিয়াম | ১৮,০০০ |
স্টুটগার্ট | স্টুটগার্ট | নেকার স্টেডিয়াম | ৭২,০০০ |
বায়ার ০৫ উরডিঙ্গেন | ক্রেফেল্ড | গ্রটেনবুর্গ স্টেডিয়াম | ৩৪,৫০০ |
ভাটেনশাইড | বোখুম | লোরহাইডে স্টেডিয়াম | ১৫,০০০ |
অব | দল | ম্যাচ | জয় | ড্র | হার | স্বগো | বিগো | গোপা | পয়েন্ট | যোগ্যতা অর্জন বা অবনমন |
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
১ | কাইজারস্লাউটার্ন (C) | ৩৪ | ১৯ | ১০ | ৫ | ৭২ | ৪৫ | +২৭ | ৪৮ | ইউরোপীয় কাপের প্রথম পর্বে উত্তীর্ণ |
২ | বায়ার্ন মিউনিখ | ৩৪ | ১৮ | ৯ | ৭ | ৭৪ | ৪১ | +৩৩ | ৪৫ | উয়েফা কাপের প্রথম পর্বে উত্তীর্ণ |
৩ | ভেয়ার্ডার ব্রেমেন | ৩৪ | ১৪ | ১৪ | ৬ | ৪৬ | ২৯ | +১৭ | ৪২ | কাপ উইনার্স কাপের প্রথম পর্বে উত্তীর্ণ |
৪ | আইন্ট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্ট | ৩৪ | ১৫ | ১০ | ৯ | ৬৩ | ৪০ | +২৩ | ৪০ | উয়েফা কাপের প্রথম পর্বে উত্তীর্ণ |
৫ | হামবুর্গার | ৩৪ | ১৬ | ৮ | ১০ | ৬০ | ৩৮ | +২২ | ৪০ | |
৬ | স্টুটগার্ট | ৩৪ | ১৪ | ১০ | ১০ | ৫৭ | ৪৪ | +১৩ | ৩৮ | |
৭ | কলন | ৩৪ | ১৩ | ১১ | ১০ | ৫০ | ৪৩ | +৭ | ৩৭ | |
৮ | বায়ার লেভারকুজেন | ৩৪ | ১১ | ১৩ | ১০ | ৪৭ | ৪৬ | +১ | ৩৫ | |
৯ | বরুসিয়া মনশেনগ্লাডবাখ | ৩৪ | ৯ | ১৭ | ৮ | ৪৯ | ৫৪ | −৫ | ৩৫ | |
১০ | বরুসিয়া ডর্টমুন্ড | ৩৪ | ১০ | ১৪ | ১০ | ৪৬ | ৫৭ | −১১ | ৩৪ | |
১১ | ভাটেনশাইড | ৩৪ | ৯ | ১৫ | ১০ | ৪২ | ৫১ | −৯ | ৩৩ | |
১২ | ফর্টুনা ডুসেলডর্ফ | ৩৪ | ১১ | ১০ | ১৩ | ৪০ | ৪৯ | −৯ | ৩২ | |
১৩ | কার্লস্রুহার | ৩৪ | ৮ | ১৫ | ১১ | ৪৬ | ৫২ | −৬ | ৩১ | |
১৪ | বোখুম | ৩৪ | ৯ | ১১ | ১৪ | ৫০ | ৫২ | −২ | ২৯ | |
১৫ | নুর্নবার্গ | ৩৪ | ১০ | ৯ | ১৫ | ৪০ | ৫৪ | −১৪ | ২৯ | |
১৬ | জাংকট পাওলি (R) | ৩৪ | ৬ | ১৫ | ১৩ | ৩৩ | ৫৩ | −২০ | ২৭ | অবনমন প্লে-অফে উত্তীর্ণ |
১৭ | বায়ার ০৫ উরডিঙ্গেন (R) | ৩৪ | ৫ | ১৩ | ১৬ | ৩৪ | ৫৪ | −২০ | ২৩ | ২. বুন্দেসলিগায় অবনমিত |
১৮ | হের্টা (R) | ৩৪ | ৩ | ৮ | ২৩ | ৩৭ | ৮৪ | −৪৭ | ১৪ |
অবস্থান | খেলোয়াড় | ক্লাব | গোল |
---|---|---|---|
১ | রোলান্ড ভলফার্ট | বায়ার্ন মিউনিখ | ২১ |
২ | ইয়ান ফুরতোক | হামবুর্গার | ২০ |
৩ | আন্ড্রেয়াস মোলার | আইন্ট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্ট | ১৬ |
৪ | টমাস আলোফস | ফর্টুনা ডুসেলডর্ফ | ১৫ |
৫ | উইন্টন রুফার | ভেয়ার্ডার ব্রেমেন | |
৬ | মাউরিস বানাখ | কলন | ১৪ |
৭ | সুলাইমান সানে | ভাটেনশাইড | ১৩ |
৮ | হান্স-ইয়র্গ ক্রিয়েন্স | বরুসিয়া মনশেনগ্লাডবাখ | ১২ |
৯ | ফ্রিৎস ভাল্টার | স্টুটগার্ট | |
১০ | নান্দো | হামবুর্গার | ১১ |