তত্ত্বাবধায়ক | আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল |
---|---|
ক্রিকেটের ধরন | একদিনের আন্তর্জাতিক |
প্রতিযোগিতার ধরন | নক-আউট |
আয়োজক | বাংলাদেশ |
বিজয়ী | দক্ষিণ আফ্রিকা (১ম শিরোপা) |
অংশগ্রহণকারী দলসংখ্যা | ৯ |
খেলার সংখ্যা | ৮ |
প্রতিযোগিতার সেরা খেলোয়াড় | জ্যাক ক্যালিস |
সর্বাধিক রান সংগ্রহকারী | ফিলো ওয়ালেস (২২১) |
সর্বাধিক উইকেটধারী | জ্যাক ক্যালিস (৮) |
আনুষ্ঠানিক ওয়েবসাইট | ICC-Cricinfo Tournament website |
১৯৯৮ আইসিসি নক-আউট ট্রফি (ইংরেজি: 1998 ICC KnockOut Trophy) সম্প্রচারসত্ত্বের কারণে ক্রিকেটের এ প্রতিযোগিতাটি উইলস ইন্টারন্যাশনাল কাপ নামে পরিচিত।[১] আইসিসি কর্তৃক আয়োজিত একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট প্রতিযোগিতা বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়। উদ্বোধনী এ প্রতিযোগিতায় শুধুমাত্র টেস্ট ক্রিকেটের সাথে যুক্ত দলগুলো অংশগ্রহণ করে। পরবর্তী প্রতিযোগিতাগুলো আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নামে পরিচিতি পেয়েছে।
চূড়ান্ত খেলায় দক্ষিণ আফ্রিকা ১৮ বল বাকী রেখে ৪ উইকেটের ব্যবধানে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে পরাভূত করে চ্যাম্পিয়ন হয়।[২]
আইসিসি টেস্ট খেলুড়ে দেশের বাইরে দলগুলোতে ক্রিকেট খেলার উন্নয়নে তহবিল বৃদ্ধিকল্পে সংক্ষিপ্ত ক্রিকেট প্রতিযোগিতারূপে এ প্রতিযোগিতা আয়োজনের ব্যবস্থা গ্রহণ করে।[৩] পরবর্তীতে প্রতিযোগিতাটি ক্ষুদ্রাকৃতির বিশ্বকাপ ক্রিকেটে রূপান্তরিত হয়, যাতে আইসিসি’র পূর্ণাঙ্গ সদস্যভূক্ত দেশসমূহ জড়িত হয়। এছাড়াও, নক-আউটভিত্তিক প্রতিযোগিতা হওয়ায় খুবই স্বল্পকালীন সময়ের জন্য অনুষ্ঠিত হয়। ফলে, বিশ্বকাপের গুণগতমান ও গুরুত্বতায় কোন প্রভাব পড়েনি।
বাংলাদেশে ক্রিকেটের মানোন্নয়নের লক্ষ্যেই আইসিসি কর্তৃক প্রতিযোগিতা আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেয়। ঐ সময়ে বাংলাদেশ টেস্টখেলুড়ে দেশের মর্যাদা না পাবার ফলে প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারেনি। কিন্তু স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় বিপর্যস্ত দেশে প্রতিযোগিতা আয়োজন বেশ হুমকির সম্মুখীন হয়ে পড়েছিল।[৪] তারপরও বাংলাদেশ সরকারের সার্বিক সহযোগিতায় প্রতিযোগিতাটি সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের মাধ্যমে ১০% অর্থ প্রধানমন্ত্রীর বন্যা ত্রাণ তহবিলে দান করা হয়।[৫]
সবগুলো খেলাই বাংলাদেশের প্রধান ও জাতীয় স্টেডিয়াম হিসেবে পরিচিত বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়।
সরাসরি নক-আউট পদ্ধতিতে দলগুলোর মধ্যে অনুষ্ঠিত হয়। ঐ সময়ে টেস্টখেলুড়ে দলের সংখ্যা ৯ হওয়ায় সর্বনিম্ন স্থানের অধিকারী দু’টি দল যোগ্যতা নির্ধারণী খেলায় অংশগ্রহণ করে। ১৯৯৬ সালের বিশ্বকাপ ক্রিকেটে দলের অবস্থানের উপর র্যাঙ্কিং করার কথা ঘোষণা করা হয়েছিল। বড় দলগুলোর সমর্থকদের কথা বিবেচনায় এনে ড্র অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।[৬] চূড়ান্ত খেলা অনুষ্ঠানের সময়সূচীতে নিউজিল্যান্ডকে প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়ের মোকাবেলা করার বিষয়টিই প্রাধান্য পায় বেশি।[৭]
প্রাথমিক খেলা | ||
২৪ অক্টোবর - বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম, ঢাকা | ||
জিম্বাবুয়ে | ২৫৮/৭ | |
নিউজিল্যান্ড | ২৬০/৫ | |
পরদিন প্রতিযোগিতার মূল নক-আউট পদ্ধতি শুরু হয়।
কোয়ার্টার-ফাইনাল | সেমি-ফাইনাল | ফাইনাল | ||||||||
২৫ অক্টোবর - বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম, ঢাকা | ||||||||||
ইংল্যান্ড | ২৮১/৭ | |||||||||
৩০ অক্টোবর - বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম, ঢাকা | ||||||||||
দক্ষিণ আফ্রিকা | ২৮৩/৪ | |||||||||
দক্ষিণ আফ্রিকা | ২৪০/৭ | |||||||||
২৬ অক্টোবর - বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম, ঢাকা | ||||||||||
শ্রীলঙ্কা | ১৩২ | |||||||||
নিউজিল্যান্ড | ১৮৮ | |||||||||
১ নভেম্বর - বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম, ঢাকা | ||||||||||
শ্রীলঙ্কা | ১৯১/৫ | |||||||||
দক্ষিণ আফ্রিকা | ২৪৮/৬ | |||||||||
২৮ অক্টোবর - বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম, ঢাকা | ||||||||||
ওয়েস্ট ইন্ডিজ | ২৪৫ | |||||||||
ভারত | ৩০৭/৮ | |||||||||
৩১ অক্টোবর - বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম, ঢাকা | ||||||||||
অস্ট্রেলিয়া | ২৬৩ | |||||||||
ভারত | ২৪২/৬ | |||||||||
২৯ অক্টোবর - বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম, ঢাকা | ||||||||||
ওয়েস্ট ইন্ডিজ | ২৪৫/৪ | |||||||||
ওয়েস্ট ইন্ডিজ | ২৮৯/৯ | |||||||||
পাকিস্তান | ২৫৯/৯ | |||||||||
৩০ অক্টোবর, ১৯৯৮
স্কোরকার্ড |
ব
|
||
১ নভেম্বর, ১৯৯৮
স্কোরকার্ড |
ব
|
||