১৯৯৮ কমনওয়েলথ গেমসে ক্রিকেট | |||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|
মাঠ | কুয়ালালামপুর | ||||||
তারিখ | ৯–১৯ সেপ্টেম্বর ১৯৯৮ | ||||||
প্রতিযোগী | ১৬টি দেশের ২৫৬ (প্রতি দলে ১৪) জন প্রতিযোগী | ||||||
পদক বিজয়ী | |||||||
| |||||||
ক্রিকেটের ধরন | লিস্ট এ |
---|---|
প্রতিযোগিতার ধরন | রাউন্ড-রবিন ও প্লে-অফ |
বিজয়ী | দক্ষিণ আফ্রিকা (১ম শিরোপা) |
রানার-আপ | অস্ট্রেলিয়া |
খেলার সংখ্যা | ২৮ |
সর্বাধিক রান সংগ্রহকারী | অভিষ্কা গুণবর্ধনে (২৩৪) |
সর্বাধিক উইকেটধারী | ড্যামিয়েন ফ্লেমিং (১৪) |
১৯৯৮ কমনওয়েলথ গেমসে ক্রিকেট অদ্যাবধি কমনওয়েলথ গেমসের আসরে প্রথমবারের মতো ও একবারমাত্র অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। মালয়েশিয়ায় অনুষ্ঠিত কমনওয়েলথ গেমসের এ আসরে ৫০ ওভারের খেলাগুলো লিস্ট এ ক্রিকেটের মর্যাদা পায়। কিন্তু এ খেলাগুলো পূর্ণাঙ্গ একদিনের আন্তর্জাতিকের মর্যাদাসম্পন্ন নয়। ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জ থেকে সম্মিলিতভাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল হিসেবে অংশ নেয়নি। বড়দের প্রতিযোগিতায় এন্টিগুয়া ও বার্বুদা দল প্রথমবারের মতো অংশ নেয়। উত্তর আয়ারল্যান্ডেরও একই অবস্থা। কারণ, আইরিশ ক্রিকেট সচরাচর সমগ্র দ্বীপপুঞ্জ থেকে আয়ারল্যান্ড ক্রিকেট দল নামে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে।
স্বর্ণপদক বিজয়ী দক্ষিণ আফ্রিকা দল পূর্ণাঙ্গ শক্তিধর দল প্রেরণ না করলেও টেস্ট দলের নিয়মিত সদস্য শন পোলক, জ্যাক ক্যালিস, মাখায়া এনটিনি, মার্ক বাউচার ও হার্শেল গিবসকে দলে অন্তর্ভুক্ত করে।[১]
সর্বমোট ষোলটি দল প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। তন্মধ্যে তৎকালীন নয়টি টেস্টভূক্ত দেশের মধ্যে সাতটি দল যোগদান করে। ইংল্যান্ড কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপের কারণে দল প্রেরণ করেনি। অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড উচ্চমানের দল প্রেরণ করে।[২][৩] ভারত ও পাকিস্তান ১৯৯৮ সালে সাহারা কাপের কারণে দূর্বল দল প্রেরণ করে।
কুয়ালালামপুরের ছয়টি মাঠে খেলাগুলো অনুষ্ঠিত হয়। শীর্ষবাছাই অনুযায়ী ১৬ দলকে চারটি গ্রুপে বিভক্ত করা হয়। প্রত্যেক দল অন্য তিন দলের বিপক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। খেলাগুলো ৯-১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে শেষ হয়। বিজয়ী দল দুই পয়েন্ট, ফলাফল না এলে এক পয়েন্ট ও পরাজয়বরণ করলে কোন পয়েন্ট পাবে না। প্রত্যেক গ্রুপের শীর্ষ দল নক-আউট পর্বের অংশ হিসেবে সেমি-ফাইনাল খেলবে। অতঃপর ফাইনালে খেলবে। পাশাপাশি সেমি-ফাইনালে পরাজয়বরণকারী দল তৃতীয় স্থান নির্ধারণী খেলায় অংশ নিবে। সমান পয়েন্ট অর্জনকারী দলগুলোকে নেট রান রেটের মাধ্যমে নির্ধারণ করা হবে।
পয়েন্ট তালিকাগুলির উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো[৪]
গ্রুপ পর্বের সকল খেলায় জয়ী হয়ে শ্রীলঙ্কা দল সেমি-ফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে। মালয়েশিয়ার বিপক্ষে ৭ উইকেটে, জামাইকার বিপক্ষে ৬৭ রানে ও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে নাটকীয়ভাবে ১ উইকেটে জয় পায় শ্রীলঙ্কা দল।
গ্রুপের অন্য খেলায় জিম্বাবুয়ে জামাইকাকে ৪ উইকেটে ও মালয়েশিয়াকে ২২১ রানের বিরাট ব্যবধানে হারায়। নামমাত্র খেলায় জামাইকা মালয়েশিয়াকে ৬ উইকেটে পরাভূত করে।
অব. | দল | খে | জ | হা | ফহ | এনআরআর | পয়েন্ট |
---|---|---|---|---|---|---|---|
১ | শ্রীলঙ্কা | ৩ | ৩ | ০ | ০ | ১.৫৮১ | ৬ |
২ | জিম্বাবুয়ে | ৩ | ২ | ১ | ০ | ১.৮৮৭ | ৪ |
৩ | জ্যামাইকা | ৩ | ১ | ২ | ০ | −০.১১২ | ২ |
৪ | মালয়েশিয়া | ৩ | ০ | ৩ | ০ | −৩.৭৩৬ | ০ |
অব. | দল | খে | জ | হা | ফহ | এনআরআর | পয়েন্ট |
---|---|---|---|---|---|---|---|
১ | অস্ট্রেলিয়া | ৩ | ৩ | ০ | ০ | ৩.২৯৯ | ৬ |
২ | অ্যান্টিগুয়া ও বার্বুডা | ৩ | ১ | ১ | ১ | ০.০৭৯ | ৩ |
৩ | ভারত | ৩ | ১ | ১ | ১ | −০.৩৪০ | ৩ |
৪ | কানাডা | ৩ | ০ | ৩ | ০ | −২.৫৫৮ | ০ |
অব. | দল | খে | জ | হা | ফহ | এনআরআর | পয়েন্ট |
---|---|---|---|---|---|---|---|
১ | দক্ষিণ আফ্রিকা | ৩ | ৩ | ০ | ০ | ১.৪৪৩ | ৬ |
২ | বার্বাডোস | ৩ | ২ | ১ | ০ | ১.৪৩৩ | ৪ |
৩ | উত্তর আয়ারল্যান্ড | ৩ | ১ | ২ | ০ | −০.৯৪৩ | ২ |
৪ | বাংলাদেশ | ৩ | ০ | ৩ | ০ | −১.৬৪৯ | ০ |
অব. | দল | খে | জ | হা | ফহ | এনআরআর | পয়েন্ট |
---|---|---|---|---|---|---|---|
১ | নিউজিল্যান্ড | ৩ | ৩ | ০ | ০ | ১.৭৯৯ | ৬ |
২ | পাকিস্তান | ৩ | ১ | ১ | ১ | ০.৪৮ | ৩ |
৩ | কেনিয়া | ৩ | ১ | ২ | ০ | −০.৬৯৭ | ২ |
৪ | স্কটল্যান্ড | ৩ | ০ | ২ | ১ | −২.৪০১ | ১ |
সেমি-ফাইনাল | ফাইনাল | ||||||
১৬ সেপ্টেম্বর – কুয়ালালামপুর | |||||||
দক্ষিণ আফ্রিকা | ১৩১/৯ | ||||||
শ্রীলঙ্কা | ১৩০ | ||||||
১৯ সেপ্টেম্বর – কুয়ালালামপুর | |||||||
দক্ষিণ আফ্রিকা | ১৮৪/৬ | ||||||
অস্ট্রেলিয়া | ১৮৩ | ||||||
তৃতীয় স্থান নির্ধারণী | |||||||
১৭ সেপ্টেম্বর – কুয়ালালামপুর | ১৮ সেপ্টেম্বর – কুয়ালালামপুর | ||||||
অস্ট্রেলিয়া | ৬২/১ | শ্রীলঙ্কা | ১৬১ | ||||
নিউজিল্যান্ড | ৫৮ | নিউজিল্যান্ড | ২১২/৭ |
সেমি-ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে বিভীষিকাময় পরাজয়ের পর নিউজিল্যান্ড উঠে দাঁড়ায়। তৃতীয় স্থান নির্ধারণী খেলায় শ্রীলঙ্কাকে তারা ৫১ রানে পরাজিত করে। ক্রিস হ্যারিসের অপরাজিত ৫৬ ও নাথান অ্যাসলে’র ৫৬ রানের কল্যাণে দলটি ২১২/৭ তুলে। তন্মধ্যে তারা তিনটি রান-আউটের শিকার হয়। এ রানের জবাবে শ্রীলঙ্কা দল এক পর্যায়ে ৭৭/৭ হয়। অষ্টম উইকেট জুটিতে পেরেরা’র অনবদ্য ৪৫ রানের কল্যাণে রুখে দাঁড়ানোর চেষ্টা চালালেও ১৬১ রানে অল-আউট হয়।