তারিখ | ১৪ মে – ২০ জুন |
---|---|
তত্ত্বাবধায়ক | আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল |
ক্রিকেটের ধরন | একদিনের আন্তর্জাতিক |
প্রতিযোগিতার ধরন | রাউন্ড রবিন ও নক-আউট |
আয়োজক | ইংল্যান্ড আয়ারল্যান্ড নেদারল্যান্ডস স্কটল্যান্ড ওয়েলস |
বিজয়ী | অস্ট্রেলিয়া (২য় শিরোপা) |
রানার-আপ | পাকিস্তান |
অংশগ্রহণকারী দলসংখ্যা | ১২ |
খেলার সংখ্যা | ৪২ |
প্রতিযোগিতার সেরা খেলোয়াড় | ল্যান্স ক্লুজনার |
সর্বাধিক রান সংগ্রহকারী | রাহুল দ্রাবিড় (৪৬১) |
সর্বাধিক উইকেটধারী | জিওফ এলট (২০) শেন ওয়ার্ন (২০) |
১৯৯৯ আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ (আনুষ্ঠানিকভাবে আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ '৯৯ নামে পরিচিত) হল ১৯৯৯ সালের ১৪ মে-২০ জুন পর্যন্ত অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপ ক্রিকেট প্রতিযোগিতার ৭ম আসর। মূল স্বাগতিক ইংল্যান্ডের পাশাপাশি আয়ারল্যান্ড, ওয়েলস, স্কটল্যান্ড এবং নেদারল্যান্ডস সহঃ আয়োজকের মর্যাদা লাভ করে। লন্ডনের লর্ড’স ক্রিকেট গ্রাউন্ডে একচেটিয়াভাবে অনুষ্ঠিত চূড়ান্ত খেলায় পাকিস্তানকে ৮ উইকেটে পরাজিত করে অস্ট্রেলিয়া দ্বিতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয়।[১] সেমি-ফাইনালে নিউজিল্যান্ড এবং দক্ষিণ আফ্রিকা অংশ নিয়েছিল। দক্ষিণ আফ্রিকার ল্যান্স ক্লুজনার ম্যান অব দ্য সিরিজ পুরস্কারে ভূষিত হন। অন্যদিকে, ভারতের রাহুল দ্রাবিড় সর্বোচ্চ ৪৬১ রান করেন। নিউজিল্যান্ডের জিওফ এলট ও অস্ট্রেলিয়ার শেন ওয়ার্ন ২০ উইকেট লাভ করে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী হন।[২]
বিশ্বের ১২টি দেশের জাতীয় ক্রিকেট দল (অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, জিম্বাবুয়ে, কেনিয়া এবং স্কটল্যান্ড) দুই গ্রুপে অংশগ্রহণ করে। লীগ পদ্ধতিতে প্রত্যেক গ্রুপের দলগুলো একে-অপরের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। প্রতি গ্রুপের শীর্ষস্থানীয় তিনটি দল সুপার সিক্স পর্যায়ে লড়বে যা প্রতিযোগিতার নতুন রূপরেখা হিসেবে প্রণীত হয়। এ রূপরেখায় এ গ্রুপের দলগুলো বি গ্রুপের দলের সাথে লড়বে। এরপর শীর্ষস্থানীয় চার দল সুপার সিক্স পর্ব থেকে সেমি-ফাইনালে উত্তীর্ণ হবে।
নতুন ধরনের সাদা ডিউক ক্রিকেট বল বিশ্বকাপে প্রবর্তন করা হয়। বলের প্রস্তুতকারক ব্রিটিশ ক্রিকেট বল লিমিটেড দাবী করে যে উক্ত বলের আচরণ পূর্বের বিশ্বকাপের লাল বলেরই অনুরূপ।[৩] কিন্তু পরবর্তীকালে দেখা যায় যে, বলের প্রকৃতি শক্ত ধরনের এবং সুইংও উল্লেখযোগ্যমাত্রায় বেশি ছিল।[৪]
আইসিসি'র সদস্যভূক্ত ১০টি টেস্টখেলুড়ে দেশ ও ২টি সহযোগী সদস্যদেশ এ বিশ্বকাপে অংশ নেয়। দলগুলো হলো:
পূর্ণ সদস্য | |
---|---|
অস্ট্রেলিয়া | বাংলাদেশ |
ইংল্যান্ড | ভারত |
নিউজিল্যান্ড | পাকিস্তান |
দক্ষিণ আফ্রিকা | শ্রীলঙ্কা |
ওয়েস্ট ইন্ডিজ | জিম্বাবুয়ে |
সহযোগী সদস্য | |
কেনিয়া | স্কটল্যান্ড |
মাঠ | শহর | দর্শক ধারণ ক্ষমতা | খেলার সংখ্যা |
---|---|---|---|
এজবাস্টন ক্রিকেট গ্রাউন্ড | বার্মিংহাম, ওয়েস্ট মিডল্যান্ডস | ২১,০০০ | ৩ |
কাউন্টি ক্রিকেট ক্লাব | ব্রিস্টল | ৮,০০০ | ২ |
সেন্ট লরেন্স গ্রাউন্ড | ক্যান্টারবারি, কেন্ট | ১৫,০০০ | ১ |
কাউন্টি ক্রিকেট গ্রাউন্ড | চেমসফোর্ড, এসেক্স | ৬,৫০০ | ২ |
রিভারসাইড গ্রাউন্ড | চেস্টার-লি-স্ট্রিট, ডারহ্যাম | ১৫,০০০ | ২ |
কাউন্টি ক্রিকেট গ্রাউন্ড | ডার্বি, ডার্বিশায়ার | ৯,৫০০ | ১ |
কাউন্টি ক্রিকেট গ্রাউন্ড | হোভ, সাসেক্স | ৭,০০০ | ১ |
কার্নেগি ক্রিকেট গ্রাউন্ড | লিডস, ওয়েস্ট ইয়র্কশায়ার | ১৭,৫০০ | ৩ |
গ্রেস রোড | লিচেস্টার, লিচেস্টারশায়ার | ১২,০০০ | ২ |
লর্ড’স | লন্ডন | ২৮,০০০ | ৩ |
দি ওভাল | লন্ডন | ২৩,৫০০ | ৩ |
ওল্ড ট্রাফোর্ড | ম্যানচেস্টার, গ্রেটার ম্যানচেস্টার | ২২,০০০ | ৩ |
কাউন্টি ক্রিকেট গ্রাউন্ড | নর্দাম্পটন, নর্দাম্পটনশায়ার | ৬,৫০০ | ২ |
ট্রেন্ট ব্রিজ | নটিংহাম, নটিংহ্যাম্পশায়ার | ১৭,৫০০ | ৩ |
কাউন্টি ক্রিকেট গ্রাউন্ড | সাউদাম্পটন, হ্যাম্পশায়ার | ৬,৫০০ | ২ |
কাউন্টি ক্রিকেট গ্রাউন্ড | টাউনটন, সমারসেট | ৬,৫০০ | ২ |
নিউ রোড | ওরচেস্টার, ওরচেস্টারশায়ার | ৪,৫০০ | ২ |
মাঠ | শহর | দর্শক ধারণ ক্ষমতা | খেলার সংখ্যা |
---|---|---|---|
ভিআরএ ক্রিকেট গ্রাউন্ড | আমস্টেলভিন, নেদারল্যান্ডস | ৪,৫০০ | ১ |
সোফিয়া গার্ডেন্স | কার্ডিফ, ওয়ালস | ১৫,৬৫৩ | ১ |
ক্যাসেল এভিনিউ | ডাবলিন, আয়ারল্যান্ড | ১ | |
দ্য গ্র্যাঞ্জ ক্লাব | এডিনবরা, স্কটল্যান্ড | ২ |
১৯৯৯ সালের বিশ্বকাপ ক্রিকেটের সকল খেলার ফলাফল নিম্নে প্রদান করা হলো:
দলের নাম | খেলা | জয় | পরাজয় | নো রেজাল্ট | টাই | পয়েন্ট | গড় রানের ব্যবধান | পিসিএফ |
---|---|---|---|---|---|---|---|---|
দক্ষিণ আফ্রিকা | ৫ | ৪ | ১ | ০ | ০ | ৮ | ০.৮৬ | ২ |
ভারত | ৫ | ৩ | ২ | ০ | ০ | ৬ | ১.২৮ | ০ |
জিম্বাবুয়ে | ৫ | ৩ | ২ | ০ | ০ | ৬ | ০.০২ | ৪ |
ইংল্যান্ড | ৫ | ৩ | ২ | ০ | ০ | ৬ | −০.৩৩ | - |
শ্রীলঙ্কা | ৫ | ২ | ৩ | ০ | ০ | ৪ | −০.৮১ | - |
কেনিয়া | ৫ | ০ | ৫ | ০ | ০ | ০ | −১.২০ | - |
দলের নাম | খেলা | জয় | পরাজয় | নো রেজাল্ট | টাই | পয়েন্ট | গড় রানের ব্যবধান | পিসিএফ |
---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পাকিস্তান | ৫ | ৪ | ১ | ০ | ০ | ৮ | ০.৫১ | ৪ |
অস্ট্রেলিয়া | ৫ | ৩ | ২ | ০ | ০ | ৬ | ০.৭৩ | ০ |
নিউজিল্যান্ড | ৫ | ৩ | ২ | ০ | ০ | ৬ | ০.৫৮ | ২ |
ওয়েস্ট ইন্ডিজ | ৫ | ৩ | ২ | ০ | ০ | ৬ | ০.৫০ | - |
বাংলাদেশ | ৫ | ২ | ৩ | ০ | ০ | ৪ | −০.৫২ | - |
স্কটল্যান্ড | ৫ | ০ | ৫ | ০ | ০ | ০ | −১.৯৩ | - |
দল | খেলা | জয় | পরাজয় | নো রেজাল্ট | টাই | পয়েন্ট | এনআরআর | পিসিএফ |
---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পাকিস্তান | ৫ | ৩ | ২ | ০ | ০ | ৬ | ০.৬৫ | ৪ |
অস্ট্রেলিয়া | ৫ | ৩ | ২ | ০ | ০ | ৬ | ০.৩৬ | ০ |
দক্ষিণ আফ্রিকা | ৫ | ৩ | ২ | ০ | ০ | ৬ | ০.১৭ | ২ |
নিউজিল্যান্ড | ৫ | ২ | ২ | ১ | ০ | ৫ | −০.৫২ | ২ |
জিম্বাবুয়ে | ৫ | ২ | ২ | ১ | ০ | ৫ | −০.৭৯ | ৪ |
ভারত | ৫ | ১ | ৪ | ০ | ০ | ২ | −০.১৫ | ০ |
৬-৭ জুন, ১৯৯৯
স্কোরকার্ড |
ব
|
||
সেমি-ফাইনাল | ফাইনাল | |||||
১৬ জুন - ওল্ড ট্রাফোর্ড, ম্যানচেস্টার | ||||||
নিউজিল্যান্ড | ২৪১/৭ | |||||
২০ জুন - লর্ডস, লন্ডন | ||||||
পাকিস্তান | ২৪২/১ | |||||
পাকিস্তান | ১৩২ | |||||
১৭ জুন - এজবাস্টন ক্রিকেট গ্রাউন্ড, বার্মিংহাম | ||||||
অস্ট্রেলিয়া | ১৩৩/২ | |||||
অস্ট্রেলিয়া | ২১৩ | |||||
দক্ষিণ আফ্রিকা | ২১৩ | |||||
১৭ জুন, ১৯৯৯
স্কোরকার্ড |
ব
|
||