মৌসুম | ২০০৫–০৬ |
---|---|
তারিখ | ৫ আগস্ট ২০০৫ – ১৩ মে ২০০৬ |
চ্যাম্পিয়ন | বায়ার্ন মিউনিখ ১৯তম বুন্দেসলিগা শিরোপা ২০তম জার্মান শিরোপা |
অবনমন | কাইজারস্লাউটার্ন ডুসবুর্গ কলন |
চ্যাম্পিয়নস লীগ | বায়ার্ন মিউনিখ ভেয়ার্ডার ব্রেমেন হামবুর্গার |
উয়েফা কাপ | শালকে বায়ার লেভারকুজেন আইন্ট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্ট |
ইন্টারটোটো কাপ | হের্টা |
মোট খেলা | ৩০৬ |
মোট গোলসংখ্যা | ৮৬১ (ম্যাচ প্রতি ২.৮১টি) |
শীর্ষ গোলদাতা | মিরোস্লাভ ক্লোসা (২৫টি গোল) |
← ২০০৪–০৫ ২০০৬–০৭ → |
২০০৫–০৬ বুন্দেসলিগা জার্মানির পেশাদার ফুটবল লীগের শীর্ষ স্তর বুন্দেসলিগার ৪৩তম মৌসুম ছিল। এই মৌসুমটি ২০০৫ সালের ৫ই আগস্ট তারিখে শুরু হয়ে ২০০৬ সালের ১৩ই মে তারিখে সম্পন্ন হয়েছিল।[১] বায়ার্ন মিউনিখের জার্মান মধ্যমাঠের খেলোয়াড় ওয়েন হারগ্রিভস এই মৌসুমের প্রথম গোল করেছিলেন।[২]
বায়ার্ন মিউনিখ বুন্দেসলিগার পূর্ববর্তী আসরের চ্যাম্পিয়ন, যারা ২০০৪–০৫ মৌসুমে ৭৭ পয়েন্ট অর্জন করে এই প্রতিযোগিতার ইতিহাসে ১৮তম বারের মতো শিরোপা জয়লাভ করেছিল।
এই মৌসুমে ৭৫ পয়েন্ট অর্জন করে বায়ার্ন মিউনিখ ১৯তম বারের মতো বুন্দেসলিগা এবং ২০তম বারের মতো জার্মান শিরোপা জয়লাভ করেছিল। ভেয়ার্ডার ব্রেমেনের জার্মান আক্রমণভাগের খেলোয়াড় মিরোস্লাভ ক্লোসা ২৫ গোল করে এই মৌসুমের শীর্ষ গোলদাতার পুরস্কার জয়লাভ করেছিলেন।
প্রতিটি ক্লাব একে অপরের বিরুদ্ধে দুইটি ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল; একটি নিজেদের মাঠে এবং অপরটি প্রতিপক্ষ দলের মাঠে। ক্লাবগুলো প্রতিটি জয়ের জন্য তিন পয়েন্ট এবং ড্রয়ের জন্য এক পয়েন্ট করে অর্জন করেছিল। যদি দুই বা ততোধিক ক্লাব সমান পয়েন্ট অর্জন করে থাকে, তবে গোল পার্থক্যের মাধ্যমে পয়েন্ট তালিকায় তাদের অবস্থান নির্ধারণ করা হয়েছিল। সর্বাধিক পয়েন্ট অর্জনকারী ক্লাবটি চ্যাম্পিয়ন হিসেবে শিরোপা জয়লাভ করেছিল এবং সর্বনিম্ন পয়েন্ট অর্জনকারী তিনটি ক্লাব ২. বুন্দেসলিগায় অবনমিত হয়েছিল।
২০০৪–০৫ মৌসুম শেষে বোখুম, হান্সা রস্টক এবং ফ্রাইবুর্গ মৌসুমে সর্বনিম্ন পয়েন্ট অর্জন করে পয়েন্ট তালিকার সর্বনিম্ন অবস্থানে থাকা দুই ক্লাব হিসেবে বুন্দেসলিগা হতে সরাসরি অবনমিত হয়েছিল। অন্যদিকে, তাদের বদলে কলন, ডুসবুর্গ এবং আইন্ট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্ট বুন্দেসলিগায় উন্নীত হয়েছিল। পূর্ববর্তী মৌসুমের মতো এই মৌসুমেও ১৮টি ক্লাব প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল।
ক্লাব | অবস্থান | মাঠ[৩] | ধারণক্ষমতা[৩] |
---|---|---|---|
হের্টা | বার্লিন | বার্লিন অলিম্পিক স্টেডিয়াম | ৭৬,০০০ |
আরমিনিয়া বিলেফেল্ড | বিলেফেল্ড | শুকো আরেনা | ২৬,৬০০ |
ভেয়ার্ডার ব্রেমেন | ব্রেমেন | ভেজার স্টেডিয়াম | ৪২,১০০ |
বরুসিয়া ডর্টমুন্ড | ডর্টমুন্ড | ভেস্টফালেন স্টেডিয়াম | ৬৮,৬০০ |
ডুসবুর্গ | ডুসবুর্গ | এমএসভি আরেনা | ৩১,৫০২ |
আইন্ট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্ট | ফ্রাঙ্কফুর্ট | কোমারৎসব্যাংক আরেনা | ৬২,০০০ |
হামবুর্গার | হামবুর্গ | ফক্সপার্কস্টাডিওন | ৬২,০০০ |
হানোফার | হানোফার | এডব্লিউডি আরেনা | ৬০,৪০০ |
কাইজারস্লাউটার্ন | কাইজারস্লাউটার্ন | ফ্রিৎস ভাল্টার স্টেডিয়াম | ৪১,৫০০ |
কলন | কোলন | মুঙ্গার্সডর্ফার স্টেডিয়াম | ৪৬,০০০ |
বায়ার লেভারকুজেন | লেভারকুজেন | বেএরিনা | ২২,৫০০ |
মাইনৎস | মাইনৎস | ব্রুখভেগ স্টেডিয়াম | ২০,৩০০ |
বরুসিয়া মনশেনগ্লাডবাখ | মনশেনগ্লাডবাখ | বরুসিয়া পার্ক | ৫৪,০৬৭ |
বায়ার্ন মিউনিখ | মিউনিখ | আলিয়ানৎস আরেনা | ৭৫,০০০ |
নুর্নবার্গ | নুরেমবার্গ | ফ্রাঙ্কেন স্টেডিয়াম | ৪৪,৭০০ |
শালকে | গেলজেনকির্খেন | আরেনা আউফশালকে | ৬১,৯৭৩ |
স্টুটগার্ট | স্টুটগার্ট | গটলিয়েব ডাইমলার স্টেডিয়াম | ৫৩,৭০০ |
ভলফসবুর্গ | ভলফসবুর্গ | ফক্সভাগেন আরেনা | ৩০,০০০ |
অব | দল | ম্যাচ | জয় | ড্র | হার | স্বগো | বিগো | গোপা | পয়েন্ট | যোগ্যতা অর্জন বা অবনমন |
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
১ | বায়ার্ন মিউনিখ (C) | ৩৪ | ২২ | ৯ | ৩ | ৬৭ | ৩২ | +৩৫ | ৭৫ | চ্যাম্পিয়নস লীগের গ্রুপ পর্বে উত্তীর্ণ |
২ | ভেয়ার্ডার ব্রেমেন | ৩৪ | ২১ | ৭ | ৬ | ৭৯ | ৩৭ | +৪২ | ৭০ | |
৩ | হামবুর্গার | ৩৪ | ২১ | ৫ | ৮ | ৫৩ | ৩০ | +২৩ | ৬৮ | চ্যাম্পিয়নস লীগের তৃতীয় বাছাইপর্বে উত্তীর্ণ |
৪ | শালকে | ৩৪ | ১৬ | ১৩ | ৫ | ৪৭ | ৩১ | +১৬ | ৬১ | উয়েফা কাপের প্রথম পর্বে উত্তীর্ণ |
৫ | বায়ার লেভারকুজেন | ৩৪ | ১৪ | ১০ | ১০ | ৬৪ | ৪৯ | +১৫ | ৫২ | |
৬ | হের্টা | ৩৪ | ১২ | ১২ | ১০ | ৫২ | ৪৮ | +৪ | ৪৮ | ইন্টারটোটো কাপের তৃতীয় পর্বে উত্তীর্ণ |
৭ | বরুসিয়া ডর্টমুন্ড | ৩৪ | ১১ | ১৩ | ১০ | ৪৫ | ৪২ | +৩ | ৪৬ | |
৮ | নুর্নবার্গ | ৩৪ | ১২ | ৮ | ১৪ | ৪৯ | ৫১ | −২ | ৪৪ | |
৯ | স্টুটগার্ট | ৩৪ | ৯ | ১৬ | ৯ | ৩৭ | ৩৯ | −২ | ৪৩ | |
১০ | বরুসিয়া মনশেনগ্লাডবাখ | ৩৪ | ১০ | ১২ | ১২ | ৪২ | ৫০ | −৮ | ৪২ | |
১১ | মাইনৎস | ৩৪ | ৯ | ১১ | ১৪ | ৪৬ | ৪৭ | −১ | ৩৮ | |
১২ | হানোফার | ৩৪ | ৭ | ১৭ | ১০ | ৪৩ | ৪৭ | −৪ | ৩৮ | |
১৩ | আরমিনিয়া বিলেফেল্ড | ৩৪ | ১০ | ৭ | ১৭ | ৩২ | ৪৭ | −১৫ | ৩৭ | |
১৪ | আইন্ট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্ট | ৩৪ | ৯ | ৯ | ১৬ | ৪২ | ৫১ | −৯ | ৩৬ | উয়েফা কাপের প্রথম পর্বে উত্তীর্ণ[ক] |
১৫ | ভলফসবুর্গ | ৩৪ | ৭ | ১৩ | ১৪ | ৩৩ | ৫৫ | −২২ | ৩৪ | |
১৬ | কাইজারস্লাউটার্ন (R) | ৩৪ | ৮ | ৯ | ১৭ | ৪৭ | ৭১ | −২৪ | ৩৩ | ২. বুন্দেসলিগায় অবনমিত |
১৭ | কলন (R) | ৩৪ | ৭ | ৯ | ১৮ | ৪৯ | ৭১ | −২২ | ৩০ | |
১৮ | ডুসবুর্গ (R) | ৩৪ | ৫ | ১২ | ১৭ | ৩৪ | ৬৩ | −২৯ | ২৭ |
অবস্থান | খেলোয়াড় | ক্লাব | গোল |
---|---|---|---|
১ | মিরোস্লাভ ক্লোসা | ভেয়ার্ডার ব্রেমেন | ২৫ |
২ | দিমিতার বেরবাতভ | বায়ার লেভারকুজেন | ২১ |
৩ | হালিল আলতিন্তোপ | কাইজারস্লাউটার্ন | ২০ |
৪ | রয় মাকায় | বায়ার্ন মিউনিখ | ১৭ |
৫ | রোবের্ত ভিতেক | নুর্নবার্গ | ১৬ |
৬ | ইভান ক্লাসনিচ | ভেয়ার্ডার ব্রেমেন | ১৫ |
৭ | মাইকেল বালাক | বায়ার্ন মিউনিখ | ১৪ |
৮ | এউজেবিউশ স্মোলারেক | বরুসিয়া ডর্টমুন্ড | ১৩ |
৯ | ইওয়ানিস আমানাতিদিস | আইন্ট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্ট | ১২ |
১০ | দিয়েগো ক্লিমোভিচ | ভলফসবুর্গ |