মৌসুম | ২০১৩–১৪ |
---|---|
তারিখ | ৯ আগস্ট ২০১৩ – ১০ মে ২০১৪ |
চ্যাম্পিয়ন | বায়ার্ন মিউনিখ ২৩তম বুন্দেসলিগা শিরোপা ২৪তম জার্মান শিরোপা |
অবনমন | নুর্নবার্গ আইন্ট্রাখট ব্রাউনশভাইগ |
উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লীগ | বায়ার্ন মিউনিখ বরুসিয়া ডর্টমুন্ড শালকে বায়ার লেভারকুজেন |
উয়েফা ইউরোপা লীগ | ভলফসবুর্গ বরুসিয়া মনশেনগ্লাডবাখ মাইনৎস |
মোট খেলা | ৩০৬ |
মোট গোলসংখ্যা | ৯৬৭ (ম্যাচ প্রতি ৩.১৬টি) |
শীর্ষ গোলদাতা | রবের্ত লেভানদোভস্কি (২০টি গোল) |
সবচেয়ে বড় হোম জয় | হের্টা ৬–১ আইন্ট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্ট বরুসিয়া ডর্টমুন্ড ৬–১ স্টুটগার্ট |
সর্বোচ্চ স্কোরিং | স্টুটগার্ট ৬–২ হফেনহাইম বরুসিয়া ডর্টমুন্ড ৬–২ হামবুর্গার বায়ার লেভারকুজেন ৫–৩ হামবুর্গার হফেনহাইম ৪–৪ ভেয়ার্ডার ব্রেমেন হফেনহাইম ৬–২ ভলফসবুর্গ |
দীর্ঘতম টানা জয় | ১৯ ম্যাচ বায়ার্ন মিউনিখ |
দীর্ঘতম টানা অপরাজিত | ২৮ ম্যাচ বায়ার্ন মিউনিখ |
দীর্ঘতম টানা জয়বিহীন | ১৭ ম্যাচ নুর্নবার্গ |
দীর্ঘতম টানা পরাজয় | ৮ ম্যাচ স্টুটগার্ট |
সর্বোচ্চ উপস্থিতি | ৮০,৬৪৫ বরুসিয়া ডর্টমুন্ড ৬–২ হামবুর্গার |
সর্বনিম্ন উপস্থিতি | ২৩,০০০ আইন্ট্রাখট ব্রাউনশভাইগ ০–১ ভেয়ার্ডার ব্রেমেন |
গড় উপস্থিতি | ৪৩,৫০২[১] |
← ২০১২–১৩ ২০১৪–১৫ → |
২০১৩–১৪ বুন্দেসলিগা জার্মানির পেশাদার ফুটবল লীগের শীর্ষ স্তর বুন্দেসলিগার ৫১তম মৌসুম ছিল। এই মৌসুমটি ২০১৩ সালের ৯ই আগস্ট তারিখে শুরু হয়ে ২০১৪ সালের ১০ই মে তারিখে সম্পন্ন হয়েছিল।[২] বায়ার্ন মিউনিখের ওলন্দাজ আক্রমণভাগের খেলোয়াড় আরিয়েন রোবেন এই মৌসুমের প্রথম গোল করেছিলেন।[৩]
বায়ার্ন মিউনিখ বুন্দেসলিগার পূর্ববর্তী আসরের চ্যাম্পিয়ন, যারা ২০১২–১৩ মৌসুমে ৯১ পয়েন্ট অর্জন করে এই প্রতিযোগিতার ইতিহাসে ২২তম বারের মতো শিরোপা জয়লাভ করেছিল।
এই মৌসুমে ৯০ পয়েন্ট অর্জন করে বায়ার্ন মিউনিখ ২৩তম বারের মতো বুন্দেসলিগা এবং ২৪তম বারের মতো জার্মান শিরোপা জয়লাভ করেছিল। বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের পোলীয় আক্রমণভাগের খেলোয়াড় রবের্ত লেভানদোভস্কি ২০ গোল করে এই মৌসুমের শীর্ষ গোলদাতার পুরস্কার জয়লাভ করেছিলেন।[৪][৫]
প্রতিটি ক্লাব একে অপরের বিরুদ্ধে দুইটি ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল; একটি নিজেদের মাঠে এবং অপরটি প্রতিপক্ষ দলের মাঠে। ক্লাবগুলো প্রতিটি জয়ের জন্য তিন পয়েন্ট এবং ড্রয়ের জন্য এক পয়েন্ট করে অর্জন করেছিল। যদি দুই বা ততোধিক ক্লাব সমান পয়েন্ট অর্জন করে থাকে, তবে গোল পার্থক্যের মাধ্যমে পয়েন্ট তালিকায় তাদের অবস্থান নির্ধারণ করা হয়েছিল। সর্বাধিক পয়েন্ট অর্জনকারী ক্লাবটি চ্যাম্পিয়ন হিসেবে শিরোপা জয়লাভ করেছিল এবং সর্বনিম্ন পয়েন্ট অর্জনকারী দুইটি ক্লাব ২. বুন্দেসলিগায় অবনমিত হয়েছিল। পয়েন্ট তালিকায় তৃতীয় সর্বনিম্ন পয়েন্ট অর্জনকারী ক্লাবটি ২. বুন্দেসলিগায় তৃতীয় স্থান অধিকারী ক্লাবের বিরুদ্ধে দুই লেগের অবনমন/উন্নয়ন প্লে-অফে অংশগ্রহণ করেছিল, যেখানে বিজয়ী ক্লাব পরবর্তী মৌসুমে বুন্দেসলিগায় অংশগ্রহণের জন্য উত্তীর্ণ হয়েছিল।
২০১২–১৩ মৌসুম শেষে ফর্টুনা ডুসেলডর্ফ এবং গ্রয়টার ফুর্ট মৌসুমে সর্বনিম্ন পয়েন্ট অর্জন করে পয়েন্ট তালিকার সর্বনিম্ন অবস্থানে থাকা দুই ক্লাব হিসেবে বুন্দেসলিগা হতে সরাসরি অবনমিত হয়েছিল। অন্যদিকে, তাদের বদলে হের্টা এবং আইন্ট্রাখট ব্রাউনশভাইগ বুন্দেসলিগায় উন্নীত হয়েছিল। পয়েন্ট তালিকায় তৃতীয় সর্বনিম্ন পয়েন্ট অর্জনকারী ক্লাব হিসেবে ১৮৯৯ হফেনহাইম ২. বুন্দেসলিগায় তৃতীয় স্থান অধিকারী ক্লাব কাইজারস্লাউটার্নের বিরুদ্ধে দুই লেগের অবনমন/উন্নয়ন প্লে-অফে অংশগ্রহণ করেছিল, উক্ত প্লে-অফে জয়লাভ করে ১৮৯৯ হফেনহাইম বুন্দেসলিগার এই মৌসুমে অংশগ্রহণের জন্য উত্তীর্ণ হয়েছিল। পূর্ববর্তী মৌসুমের মতো এই মৌসুমেও ১৮টি ক্লাব প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল।
ক্লাব | অবস্থান | স্টেডিয়াম | ধারণক্ষমতা[৬] |
---|---|---|---|
আউগসবুর্গ | আউগসবুর্গ | আউগসবুর্গ এরিনা | ৩০,৬৬০ |
বায়ার লেভারকুজেন | লেভারকুজেন | বেএরিনা | ৩০,২১০ |
বায়ার্ন মিউনিখ | মিউনিখ | আলিয়ানৎস আরেনা | ৭১,০০০ |
বরুসিয়া ডর্টমুন্ড | ডর্টমুন্ড | সিগনাল ইডুনা পার্ক | ৮০,৬৪৫ |
বরুসিয়া মনশেনগ্লাডবাখ | মনশেনগ্লাডবাখ | বরুসিয়া পার্ক | ৫৪,০১০ |
আইন্ট্রাখট ব্রাউনশভাইগ | ব্রাউনশভাইগ | আইন্ট্রাখট স্টেডিয়াম | ২৩,৩২৫[৭] |
আইন্ট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্ট | ফ্রাঙ্কফুর্ট | কোমারৎসব্যাংক আরেনা | ৫১,৫০০ |
ফ্রাইবুর্গ | ফ্রাইবুর্গ | মাগে সোলার স্টেডিয়াম | ২৪,০০০ |
হামবুর্গার | হামবুর্গ | ইমটেক এরিনা | ৫৭,০০০ |
হানোফার | হানোফার | এইচডিআই আরেনা | ৪৯,০০০ |
হের্টা | বার্লিন | বার্লিন অলিম্পিক স্টেডিয়াম | ৭৪,২৪৪ |
১৮৯৯ হফেনহাইম | সিনশাইম | রাইন নেকার এরিনা | ৩০,১৫০ |
মাইনৎস | মাইনৎস | মেভা এরিনা | ৩৪,০০০ |
নুর্নবার্গ | নুরেমবার্গ | গ্রুন্ডিগ স্টেডিয়াম | ৫০,০০০ |
শালকে | গেলজেনকির্খেন | আরেনা আউফশালকে | ৬১,৯৭৩ |
স্টুটগার্ট | স্টুটগার্ট | গটলিয়েব ডাইমলার স্টেডিয়াম | ৬০,৪৪১ |
ভেয়ার্ডার ব্রেমেন | ব্রেমেন | ভেজার স্টেডিয়াম | ৪২,১০০ |
ভলফসবুর্গ | ভলফসবুর্গ | ফক্সভাগেন আরেনা | ৩০,০০০ |
অব | দল | ম্যাচ | জয় | ড্র | হার | স্বগো | বিগো | গোপা | পয়েন্ট | যোগ্যতা অর্জন বা অবনমন |
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
১ | বায়ার্ন মিউনিখ (C) | ৩৪ | ২৯ | ৩ | ২ | ৯৪ | ২৩ | +৭১ | ৯০ | চ্যাম্পিয়নস লীগের গ্রুপ পর্বে উত্তীর্ণ |
২ | বরুসিয়া ডর্টমুন্ড | ৩৪ | ২২ | ৫ | ৭ | ৮০ | ৩৮ | +৪২ | ৭১ | |
৩ | শালকে | ৩৪ | ১৯ | ৭ | ৮ | ৬৩ | ৪৩ | +২০ | ৬৪ | |
৪ | বায়ার লেভারকুজেন | ৩৪ | ১৯ | ৪ | ১১ | ৬০ | ৪১ | +১৯ | ৬১ | চ্যাম্পিয়নস লীগের প্লে-অফ পর্বে উত্তীর্ণ |
৫ | ভলফসবুর্গ | ৩৪ | ১৮ | ৬ | ১০ | ৬৩ | ৫০ | +১৩ | ৬০ | ইউরোপা লীগের গ্রুপ পর্বে উত্তীর্ণ[ক] |
৬ | বরুসিয়া মনশেনগ্লাডবাখ | ৩৪ | ১৬ | ৭ | ১১ | ৫৯ | ৪৩ | +১৬ | ৫৫ | ইউরোপা লীগের প্লে-অফ পর্বে উত্তীর্ণ[ক] |
৭ | মাইনৎস | ৩৪ | ১৬ | ৫ | ১৩ | ৫২ | ৫৪ | −২ | ৫৩ | ইউরোপা লীগের তৃতীয় বাছাইপর্বে উত্তীর্ণ[ক] |
৮ | আউগসবুর্গ | ৩৪ | ১৫ | ৭ | ১২ | ৪৭ | ৪৭ | ০ | ৫২ | |
৯ | ১৮৯৯ হফেনহাইম | ৩৪ | ১১ | ১১ | ১২ | ৭২ | ৭০ | +২ | ৪৪ | |
১০ | হানোফার | ৩৪ | ১২ | ৬ | ১৬ | ৪৬ | ৫৯ | −১৩ | ৪২ | |
১১ | হের্টা | ৩৪ | ১১ | ৮ | ১৫ | ৪০ | ৪৮ | −৮ | ৪১ | |
১২ | ভেয়ার্ডার ব্রেমেন | ৩৪ | ১০ | ৯ | ১৫ | ৪২ | ৬৬ | −২৪ | ৩৯ | |
১৩ | আইন্ট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্ট | ৩৪ | ৯ | ৯ | ১৬ | ৪০ | ৫৭ | −১৭ | ৩৬ | |
১৪ | ফ্রাইবুর্গ | ৩৪ | ৯ | ৯ | ১৬ | ৪৩ | ৬১ | −১৮ | ৩৬ | |
১৫ | স্টুটগার্ট | ৩৪ | ৮ | ৮ | ১৮ | ৪৯ | ৬২ | −১৩ | ৩২ | |
১৬ | হামবুর্গার (O) | ৩৪ | ৭ | ৬ | ২১ | ৫১ | ৭৫ | −২৪ | ২৭ | অবনমন প্লে-অফে উত্তীর্ণ |
১৭ | নুর্নবার্গ (R) | ৩৪ | ৫ | ১১ | ১৮ | ৩৭ | ৭০ | −৩৩ | ২৬ | ২. বুন্দেসলিগায় অবনমিত |
১৮ | আইন্ট্রাখট ব্রাউনশভাইগ (R) | ৩৪ | ৬ | ৭ | ২১ | ২৯ | ৬০ | −৩১ | ২৫ |
অবস্থান | খেলোয়াড় | ক্লাব | গোল |
---|---|---|---|
১ | রবের্ত লেভানদোভস্কি | বরুসিয়া ডর্টমুন্ড | ২০ |
২ | মারিও মাঞ্জুকিচ | বায়ার্ন মিউনিখ | ১৮ |
৩ | ইয়োসিপ দ্রমিচ | নুর্নবার্গ | ৭ |
৪ | রবার্তো ফিরমিনো | ১৮৯৯ হফেনহাইম | ১৬ |
৫ | আদ্রিয়ান রামোস | হের্টা | |
৬ | মার্কো রয়েস | বরুসিয়া ডর্টমুন্ড | |
৭ | স্টেফান কিয়েসলিং | বায়ার লেভারকুজেন | ১৫ |
৮ | শিনজি ওকাজাকি | মাইনৎস | |
৯ | রাফায়েল | বরুসিয়া মনশেনগ্লাডবাখ | |
১০ | ইভিকা ওলিচ | ভলফসবুর্গ | ১৪ |