২০১৪ ফিফা বিশ্বকাপের গ্রুপ এ ব্রাজিল, ক্রোয়েশিয়া, মেক্সিকো, এবং ক্যামেরুনকে নিয়ে গঠিত।
ড্র স্থান | দল | বাছাইয়ের পদ্ধতি |
বাছাইয়ের তারিখ |
চূড়ান্তপর্বে উত্তীর্ণ |
সর্বশেষ উপস্থিতি |
সর্বোচ্চ সাফল্য |
ফিফা র্যাঙ্কিং[দ্রষ্টব্য ১] |
---|---|---|---|---|---|---|---|
এ১ | ![]() |
আয়োজক | ৩০ অক্টোবর ২০০৭ | ২০তম | ২০১০ | বিজয়ী (১৯৫৮, ১৯৬২, ১৯৭০, ১৯৯৪, ২০০২) | ১১ |
এ২ | ![]() |
উয়েফা প্লে-অফ বিজয়ী | ১৯ নভেম্বর ২০১৩ | ৪র্থ | ২০০৬ | তৃতীয় স্থান (১৯৯৮) | ১৮ |
এ৩ | ![]() |
কনকাকাফ ওএফসি প্লে-অফ | ২০ নভেম্বর ২০১৩ | ১৫তম | ২০১০ | কোয়ার্টার ফাইনাল (১৯৭০, ১৯৮৬) | ২৪ |
এ৪ | ![]() |
সিএএফ তৃতীয় রাউন্ড বিজয়ী | ১৭ নভেম্বর ২০১৩ | ৭ম | ২০১০ | কোয়ার্টার ফাইনাল (১৯৯০) | ৫৯ |
ব্যাখ্যা |
---|
গ্রুপ বিজয়ী ও গ্রুপ রানার আপ ১৬ দলের রাউন্ডে অগ্রসর হবে |
দল
|
খেলা |
জয় |
ড্র |
পরাজয় |
স্বগো |
বিগো |
গোপা |
পয়েন্ট |
---|---|---|---|---|---|---|---|---|
![]() |
৩ | ২ | ১ | ০ | ৭ | ২ | +৫ | ৭ |
![]() |
৩ | ২ | ১ | ০ | ৪ | ১ | +৩ | ৭ |
![]() |
৩ | ১ | ০ | ২ | ৬ | ৬ | ০ | ৩ |
![]() |
৩ | ০ | ০ | ৩ | ১ | ৯ | −৮ | ০ |
দুইটি দল এর আগে দুইবার মুখোমুখি হয়েছে। ২০০৬ বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বেও তারা মুখোমুখি হয় যেখানে ব্রাজিল ১-০ গলে জয় লাভ করে।[১] এই খেলায় মাঠে নামতে পারবেন না ক্রোয়েশিয়ার ফরোয়ার্ড মারিও মানজুকিচ, কেননা, আইসল্যান্ডের বিপক্ষে ক্রোয়েশিয়ার শেষ বাছাইপর্বের খেলায় তিনি লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন।[২]
মার্সেলোর আত্মঘাতী গোলে ক্রোয়েশিয়ার এগিয়ে যাওয়ার পর,[৩] ২৫-গজ (২৩-মিটার) দূর থেকে নেওয়া শটে গোল করে নেইমার ব্রাজিলকে সমতায় ফেরান।[৪] অবশ্য এর কয়েক মিনিট আগে লুকা মদ্রিচকে কনুই দ্বারা আঘাত করার কারণে তাকে হলুদ কার্ড দেখানো হয়।[৫] দ্বিতীয়ার্ধে, ব্রাজিলের পক্ষে বিতর্কিত পেনাল্টি থেকে গোল করে দলকে এগিয়ে নিয়ে যান নেইমার। রেফারির বিচারে ফ্রেডকে পেনাল্টি অঞ্চলে ফাউল করেছিলেন দেয়ান লভ্রেন।[৪] ক্রোয়েশিয়ার একটি সমতাসূচক গোল বাতিল করে দিয়ে ব্রাজিলীয় গোলরক্ষক হুলিও সিজারকে ফাউল করার সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়।[৬] ইনজুরি সময়ে, ২২ গজ (২০ মিটার) দূর থেকে গোল করে অস্কার ব্রাজিলকে আরও এক গোলে এগিয়ে নিয়ে যান এবং নিজেদের জয় নিশ্চিত করেন।[৪]
খেলার পর, ফিফা রেফারিদের প্রধান, মাসিমো বুসাক্কা, খেলার রেফারির পক্ষে কথা বলেন, এবং লভ্রেন ও ফ্রেডের মধ্যে সামান্য পরিমাণে হলেও সংস্পর্শ হয়েছিল বলে জোর দাবি করেন।[৭] অন্যদিকে, ফিফার প্রখ্যাত সাবেক শীর্ষস্থানীয় রেফারি মার্কুস মের্ক নিশিমুরাকে উদ্বোধনী খেলার রেফারির দায়িত্ব দেওয়ায় ফিফার সমালোচনা করেন এবং খেলার রেফারিংকে "হতবুদ্ধিকর" (Embarrassing) বলে আখ্যায়িত করেন।[৮]
এই প্রতিযোগিতার প্রথম গোলটি আত্মঘাতী, যা ফিফা বিশ্বকাপের ইতিহাসে এর আগে কখনও ঘটেনি, এছাড়া এটি বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বে করা কোন ব্রাজিলীয় ফুটবলারেরও প্রথম আত্মঘাতী গোল। যেহেতু এটি বিশ্বকাপের প্রথম খেলা ছিল, সেহেতু এতেই প্রথম ফ্রি-কিকের স্থান নির্ধারণের জন্য ভ্যানিশিং স্প্রে, গোল হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত করার জন্য গোল-লাইন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়।[৯]
![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ব্রাজিল[১২]
|
![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ক্রোয়েশিয়া[১৩]
|
|
![]() |
|
ম্যাচসেরা:
|
দুই দল এর আগে ১৯৯৩ সালে একটি প্রীতি খেলায় মুখোমুখি হয়েছিল।[১৫]
প্রথমার্ধে, মেক্সিকোর জিওভানি দস সান্তোসের দুইটি গোল অফসাইডের কারণে বাতিল হয়ে যায়। যদিও, রিপ্লেতে দেখা যায় যে প্রথম গোলটিতে তিনি ক্যামেরুনের শেষ রক্ষণভাগের খেলোয়াড়ের সাথে একি লাইনে ছিলেন এবং দ্বিতীয় ক্ষেত্রে বলটি এসেছিল ক্যামেরুনের একজন খেলোয়াড়ের কাছে থেকে।[১৬] দ্বিতীয়ার্ধে, দস সান্তোসের একটি শট রুখে দেন ক্যামেরুনের গোলরক্ষক চার্ল ইতাঁজে, কিন্তু বলটি ফিরে আসে মেক্সিকান ফরোয়ার্ড অরিবে পেরাল্তার কাছে, যিনি তা গোলে পরিণত করেন।[১৭]
মেক্সিকোর অধিনায়ক রাফায়েল মার্কেজ বিশ্বকাপের চারটি আলাদা আসরে অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করার মাধ্যমে ইতিহাস সৃষ্টি করেন।[১৮]
মেক্সিকো ![]() | ১ - ০ | ![]() |
---|---|---|
অরিবে পেরাল্তা ![]() |
প্রতিবেদন |
![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() মেক্সিকো
|
![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ক্যামেরুন
|
|
![]() |
|
ম্যাচসেরা: সহকারী রেফারিগণ:
|
এর আগে দল দুইটি ৩৮টি খেলায় মুখোমুখি হয়েছিল। এর মধ্যে বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বেই তিনবার, যার সবকয়টিই জিতেছে ব্রাজিল: (১৯৫০: ৪–০; ১৯৫৪: ৫–০; ১৯৬২: ২–০)।[১৯] অতি সম্প্রতি তারা মুখোমুখি হয়েছিল ২০১৩ ফিফা কনফেডারেশন্স কাপের গ্রুপ পর্বে, যেখানে ব্রাজিল নেইমার ও জো এর গোলে ২-০ গোলে জয় লাভ করে।
খেলায় মেক্সিকান গোলরক্ষক গিয়ের্মো ওচোয়া চারটি অসাধারণ শট রুখে দেন, যার দুইটি প্রথমার্ধে এবং অন্য দুইটি দ্বিতীয়ার্ধে।[২০]
১৯৭০ বিশ্বকাপের পর এই প্রথম কোন স্বাগতিক দেশ গ্রুপ পর্বের খেলায় ড্র করে।
![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ব্রাজিল
|
![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() মেক্সিকো
|
|
![]() |
|
ম্যাচসেরা:
সহকারী রেফারিগণ:
|
এটিই দুই দলের প্রথম সাক্ষাৎ।[২১]
বিশ্বকাপে নিজেদের টিকিয়ে রাখতে উভয় দলেরই অন্তত এক পয়েন্ট প্রয়োজন ছিল। প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার কিছুক্ষণ আগে ইভান পেরিশিচের পাস থেকে খেলার প্রথম গোলটি করেন ক্রোয়েশিয়ার ইভিসা অলিচ। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই গোল করে ব্যবধান বাড়ান পেরিশিচ। ক্রোয়েশিয়ার পক্ষে শেষ দুইটি গোল করেন মানজুকিচ।[২২] খেলার ফলাফল বিশ্বকাপ থেকে ক্যামেরুনের বিদায় নিশ্চিত করে।
খেলা চলাকালে, বেনুয়া আসু-ইকতুকে তার সতীর্থ বেঞ্জামা মুকাঞ্জোকে মাথা দ্বারা আঘাত করতে দেখা যায়।.[২৩][২৪] মানজুকিচকে ফাউল করায় লাল কারদ দেখেন সং। খেলার পরে তিনি মানজুকিচের কাছে ক্ষমা চায়ে নেন। এছাড়া তিনি তার দেশের কাছেও ক্ষমা প্রারথনা করেন। খেলার পরে ক্যামেরুনের কোচ ফল্কার ফিনকে বলেন যে তিনি তার দলের উপর নিরাশ।[২৫][২৬][২৭]
অলিচ সর্বশেষ ২০০২ বিশ্বকাপে গোল করেছিলেন। তিনি দ্বিতীয় খেলোয়াড় যিনি ১২ বছরের ব্যবধানে বিশ্বকাপে দুই গোল করেন। এর আগে ১২ বছরের ব্যবধানে বিশ্বকাপে দুই গোল করেছিলেন ডেনমার্কের মিকেল লাউদ্রুপ (১৯৮৬ ও ১৯৯৮ এ)।[২৮] ক্রোয়েশিয়ার প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে বিশ্বকাপে জোড়া গোল করেন মানজুকিচ। এছাড়া এটিই বিশ্বকাপে ক্রোয়েশিয়ার সর্বোচ্চ ব্যবধানে জয়।[২৯]
![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ক্যামেরুন
|
![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ক্রোয়েশিয়া
|
|
![]() |
|
ম্যাচসেরা:
সহকারী রেফারিগণ:
|
এর আগে দল দুইটি চারটি খেলায় মুখোমুখি হয়েছিল। যার মধ্যে ১৯৯৪ বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বের খেলাটি উল্লেখযোগ্য, যেখানে ব্রাজিল ৩–০ গোলে জয় লাভ করে।[৩০] দল দুইটির সর্বশেষ সাক্ষাৎ হয়েছিল ২০০৩ ফিফা কনফেডারেশন্স কাপের গ্রুপ পর্বে, যেখানে ক্যামেরুন স্যামুয়েল ইতোর একমাত্র গোলে জয় লাভ করে। ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে খেলায় লাল কার্ড দেখার কারণে ক্যামেরুনের মিডফিল্ডার অ্যালেক্স সং এই খেলায় বহিষ্কৃত ছিলেন।[৩১] খেলার প্রথম গোলটি আসে ব্রাজিলের পক্ষে। ১৭তম মিনিটে লুইজ গুস্তাভোর ক্রস থেকে গোল করেন নেইমার।[৩২] আলান নিওমের ক্রস থেকে গোল করে ক্যামেরুনকে সমতায় ফেরান মাতিপ। প্রথমার্ধেই ব্রাজিলকে পুনরায় এগিয়ে নিয়ে যান নেইমার।[৩৩] দ্বিতীয়ার্ধে, দাভিদ লুইজের ক্রস থেকে গোল করে ব্যবধান বাড়ান ফ্রেড। অস্কারের পাস থেকে ব্রাজিলের পক্ষে শেষ গোলটি করেন ফের্নান্দিনিয়ো।[৩৪]
![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ক্যামেরুন
|
![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ব্রাজিল
|
|
![]() |
|
ম্যাচসেরা:
সহকারী রেফারিগণ:
|
দুইটি দল এর আগে তিনবার মুখোমুখি হয়েছে। ২০০২ বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বেও তারা মুখোমুখি হয় যেখানে মেক্সিকো ১-০ গোলে জয় লাভ করে।[৩৫]
ম্যাচের শুরু থেকে দুইদলই গোলের জন্য চেষ্টা করলেও ৭০ মিনিট ম্যাচটি গোলশূন্য ছিল। ৭২ মিনিটে মেক্সিকোর অধিনায়ক রাফায়েল মার্কেজ কর্ণার থেকে প্রথম গোলটি করেন।[৩৬] পরবর্তী রাউন্ডে যাওয়ার জন্য জয় ছাড়া বিকল্প না থাকায় তারা তাদের আক্রমণ বাড়ায়, পাল্টা আক্রমণে মেক্সিকো প্রথম গোলের তিন মিনিট পর আন্দ্রেস গুয়ারদাদো গোল করে ব্যবধান দ্বিগুন করেন। ম্যাচের ৮২ মিনিটে হাভিয়ের হার্নান্দেস গোল করে গোলের ব্যবধান ৩-০ করেন। ম্যাচের শেষদিকে ৮৭ মিনিটে ক্রোয়েশিয়ার পক্ষে একমাত্র গোলটি করেন ইভান পেরিশিচ।[৩৭]
ক্রোয়েশিয়া ![]() | ১–৩ | ![]() |
---|---|---|
পেরিশিচ ![]() |
প্রতিবেদন | মার্কেজ ![]() গুয়ারদাদো ![]() হার্নান্দেস ![]() |
![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ক্রোয়েশিয়া
|
![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() মেক্সিকো
|
|
![]() |
|
ম্যাচসেরা:
সহকারী রেফারিগণ:
|
|শিরোনাম=
at position 18 (সাহায্য)