كأس آسيا لكرة القدم للسيدات 2018 | |
---|---|
বিবরণ | |
স্বাগতিক দেশ | জর্ডান |
শহর | আম্মান |
তারিখ | ৬-২০ এপ্রিল |
দল | ৮ (১টি কনফেডারেশন থেকে) |
মাঠ | ২ (১টি আয়োজক শহরে) |
চূড়ান্ত অবস্থান | |
চ্যাম্পিয়ন | জাপান (২য় শিরোপা) |
রানার-আপ | অস্ট্রেলিয়া |
তৃতীয় স্থান | গণচীন |
চতুর্থ স্থান | থাইল্যান্ড |
পরিসংখ্যান | |
ম্যাচ | ১৭ |
গোল সংখ্যা | ৬৬ (ম্যাচ প্রতি ৩.৮৮টি) |
দর্শক সংখ্যা | ৩১,৫৩৭ (ম্যাচ প্রতি ১,৮৫৫ জন) |
শীর্ষ গোলদাতা | লি ইং (৭ গোল) |
সেরা খেলোয়াড় | মানা ইওয়াবুচি |
ফেয়ার প্লে পুরস্কার | জাপান |
২০১৮ এএফসি মহিলা এশিয়ান কাপ এএফসি মহিলা এশিয়ান কাপের ১৯তম আসর, এশিয়ার আন্তর্জাতিক ফুটবল টুর্নামেন্টটি এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের (এএফসি) মহিলা জাতীয় দলগুলি অংশগ্রহণে চার বছর পর পর অনুষ্ঠিত হয়। এটি মূলত ৭ থেকে ২২ এপ্রিল ২০১৮ পর্যন্ত জর্ডানে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল, তবে পরে এটি ৬ থেকে ২০ এপ্রিল ২০১৮ তে পরিবর্তিত হয়।[১][২][৩]
টুর্নামেন্টটি ২০১৯ ফিফা মহিলা বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বের জন্য এশীয় অঞ্চলের বাছাই পর্ব হিসেবেও কাজ করে, পাঁচ শীর্ষ দল ফ্রান্স বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা লাভ করে।[৪]
ফাইনালে জাপান অস্ট্রেলিয়াকে ১-০ গোলে হারিয়ে পরপর দ্বিতীয়বার শিরোপা জয় করে। একই দিন তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে চীন থাইল্যান্ডকে ৩-১ গোলে হারায়।[৫]
বাছাইপর্বের ড্র ২১ জানুয়ারী ২০১৭ অনুষ্ঠিত হয়। [৬] সর্বশেষ এএফসি মহিলা কাপের শীর্ষ তিন দল স্বয়ংক্রিয়ভাবে যোগ্যতা অর্জন করে এবং তাদের বাছাইপর্বে অংশ নিতে হয়নি, এছাড়াও স্বাগতিক হিসাবে জর্ডান স্বয়ংক্রিয়ভাবে যোগ্যতা অর্জন করে, তবে তারা বাছাই পর্বে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।[৭] ম্যাচগুলি ৩ থেকে ১২ এপ্রিল ২০১৭ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয় [৮]
নিম্নলিখিত আটটি দল টুর্নামেন্টের চূড়ান্তপর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে। [৯]
দল | যোগ্যতা অর্জন করার কারণ | উপস্থিতি | পূর্বের সেরা পারফরম্যান্স | ইভেন্টের শুরুতেফিফার র্যাঙ্কিং [১০] |
---|---|---|---|---|
জর্ডান | স্বাগতিক | দ্বিতীয়বার | গ্রুপ পর্ব (২০১৪) | ৫১ |
জাপান | ২০১৪ চ্যাম্পিয়ন | ১৬তম | চ্যাম্পিয়ন ( ২০১৪ ) | ১১ |
অস্ট্রেলিয়া | ২০১৪ রানার-আপ | ৬ষ্ঠ | চ্যাম্পিয়ন ( ২০১০ ) | ৬ |
গণচীন | ২০১৪ তৃতীয় স্থান | ১৪ তম | চ্যাম্পিয়ন ( ১৯৮৬, ১৯৮৯, ১৯৯১, ১৯৯৩, ১৯৯৫, ১৯৯৭, ১৯৯৯, ২০০৬ ) | ১৭ |
ফিলিপাইন | গ্রুপ এ রানার-আপ [নোট ১] | ৯ম | গ্রুপ পর্ব ( ১৯৮১, ১৯৮৩, ১৯৯৩, ১৯৯৫, ১৯৯৭, ১৯৯৯, ২০০১, ২০০৩ ) | ৭২ |
দক্ষিণ কোরিয়া | গ্রুপ বি চ্যাম্পিয়ন | ১২ তম | তৃতীয় স্থান ( ২০০৩ ) | ১৬ |
থাইল্যান্ড | গ্রুপ সি চ্যাম্পিয়ন | ১৬ তম | চ্যাম্পিয়ন (১৯৮৩) | ৩০ |
ভিয়েতনাম | গ্রুপ ডি চ্যাম্পিয়ন | ৮ম | গ্রুপ পর্ব ( ১৯৯৯, ২০০১, ২০০৩, ২০০৬, ২০০৮, ২০১০, ২০১৪ ) | ৩৫ |
নোট ১: গ্রুপ-এ বিজয়ী জর্ডান ইতোমধ্যে স্বাগতিক হিসাবে চূড়ান্ত পর্বে স্বয়ংক্রিয়ভাবে যোগ্যতা অর্জন করেছে, তাই ফিলিপাইন চূড়ান্তপর্বের জন্য রানার-আপ হিসাবে যোগ্যতা অর্জন করে।
প্রতিযোগিতাটি আম্মান শহরের দুটি ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হয়।
আম্মান | আম্মান | |
---|---|---|
আম্মান আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম | রাজা দ্বিতীয় আবদুল্লাহ স্টেডিয়াম | |
ধারণ ক্ষমতা: ১৭,৬১৯ | ধারণ ক্ষমতা: ১৩,০০০ |
চূড়ান্ত পর্বের ড্র মৃত সাগরের পূর্ব উপকূলে রাজা হুসেন বিন তালাল কনভেনশন সেন্টারে ৯ ডিসেম্বর ২০১৭, ১৩:০০ EET ( ইউটিসি + ২ ) এ অনুষ্ঠিত হয়। [১১] ড্র এর মাধ্যমে আটটি দলকে চার দলের দুটি গ্রুপে বিভক্ত করা হয়। [১২] দলগুলিকে ২০১৪ এএফসি মহিলা এশিয়ান কাপ চূড়ান্তপর্বের যোগ্যতা অনুযায়ী এবং তাদের পারফরম্যান্স অনুসারে নির্ধারণ করা হয়, স্বাগতিক জর্ডান স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাছাই দল হিসাবে গণ্য হয় এবং ড্রয়ে অবস্থান এ১ তে নির্ধারিত হয়।[১৩]
পট ১ | পট ২ | পট 3 | পট 4 |
---|---|---|---|
প্রতিটি দলকে ন্যূনতম ১৮ জন এবং সর্বোচ্চ ২৩ জন খেলোয়াড়ের একটি স্কোয়াড নিবন্ধন করতে হবে, যার মধ্যে ন্যূনতম তিনজনকে অবশ্যই গোলরক্ষক হতে হবে (প্রবিধানসমূহের অনুচ্ছেদ ৩১.৪ এবং ৩১.৫)) [১৪]
চূড়ান্ত টুর্নামেন্টের জন্য মোট ১০ জন রেফারি এবং ১২ জন সহকারী রেফারি নিয়োগ দেওয়া হয়।
প্রতিটি গ্রুপের শীর্ষ দুটি দল ২০১৯ ফিফা মহিলা বিশ্বকাপের পাশাপাশি সেমিফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে। প্রতিটি গ্রুপের তৃতীয় স্থান অধিকারী দল পঞ্চম স্থান নির্ধারণী ম্যাচে অংশগ্রহণ করে।
দলগুলিকে পয়েন্ট অনুসারে ক্রমবিন্যাস করা হয় (জয়ের জন্য তিন পয়েন্ট, ড্রয়ের জন্য ১ পয়েন্ট, হারের জন্য ০ পয়েন্ট) এবং যদি পয়েন্ট সমান হয় তবে নিম্নে বর্ণিত মানদণ্ডের উপর ভিত্তি করে ক্রম নির্ধারণ করা হবে (বিধি ধারা ১১.৫):[১৪]
সমস্ত সময় স্থানীয় সময় অনুযায়ী দেওয়া হয়েছে, EEST ( ইউটিসি + ৩ )। [১৫]
ম্যাচের দিন | তারিখ | ম্যাচ |
---|---|---|
ম্যাচের দিন ১ | ৬–৭ এপ্রিল ২০১৮ | ১ বনাম ৪, ২ বনাম ৩ |
ম্যাচের দিন ২ | ৯-১০ এপ্রিল ২০১৮ | ৪ বনাম ২, ৩ বনাম ১ |
ম্যাচের দিন ৩ | ১২–১৩ এপ্রিল ২০১৮ | ১ বনাম ২, ৩ বনাম ৪ |
অব | দল | ম্যাচ | জয় | ড্র | হার | স্বগো | বিগো | গোপা | পয়েন্ট | যোগ্যতা অর্জন |
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
১ | গণচীন | ৩ | ৩ | ০ | ০ | ১৫ | ১ | +১৪ | ৯ | নক-আউট পর্বে ও ২০১৯ বিশ্বকাপে উত্তীর্ণ |
২ | থাইল্যান্ড | ৩ | ২ | ০ | ১ | ৯ | ৬ | +৩ | ৬ | |
৩ | ফিলিপাইন | ৩ | ১ | ০ | ২ | ৩ | ৭ | −৪ | ৩ | ২০১৯ বিশ্বকাপ প্লে-অফ |
৪ | জর্ডান | ৩ | ০ | ০ | ৩ | ৩ | ১৬ | −১৩ | ০ |
গণচীন | ৪–০ | থাইল্যান্ড |
---|---|---|
|
প্রতিবেদন |
থাইল্যান্ড | ৬–১ | জর্ডান |
---|---|---|
|
প্রতিবেদন |
|
জর্ডান | ১–৮ | গণচীন |
---|---|---|
|
প্রতিবেদন |
|
থাইল্যান্ড | ৩–১ | ফিলিপাইন |
---|---|---|
প্রতিবেদন |
|
অব | দল | ম্যাচ | জয় | ড্র | হার | স্বগো | বিগো | গোপা | পয়েন্ট | যোগ্যতা অর্জন |
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
১ | অস্ট্রেলিয়া | ৩ | ১ | ২ | ০ | ৯ | ১ | +৮ | ৫ | নক-আউট পর্বে ও ২০১৯ বিশ্বকাপে উত্তীর্ণ |
২ | জাপান | ৩ | ১ | ২ | ০ | ৫ | ১ | +৪ | ৫ | |
৩ | দক্ষিণ কোরিয়া | ৩ | ১ | ২ | ০ | ০ | ০ | ০ | ৫ | ২০১৯ বিশ্বকাপ প্লে-অফ |
৪ | ভিয়েতনাম | ৩ | ০ | ০ | ৩ | ০ | ১৬ | −১৬ | ০ |
বিশেষ দ্রষ্টব্য:- হেড-টু-হেড রেজাল্ট এর ক্ষেত্রে
এই তিনটি খেলার ফলাফলের ভিত্তিতে,
দল | পয়েন্ট | গোপা | স্বগো |
---|---|---|---|
অস্ট্রেলিয়া | ২ | ০ | ১ |
জাপান | |||
দক্ষিণ কোরিয়া | ০ |
ভিয়েতনাম | ০–৮ | অস্ট্রেলিয়া |
---|---|---|
প্রতিবেদন |
|
জাপান | ১–১ | অস্ট্রেলিয়া |
---|---|---|
|
প্রতিবেদন |
|
দক্ষিণ কোরিয়া | ৪–০ | ভিয়েতনাম |
---|---|---|
|
প্রতিবেদন |
তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচ ব্যতীত নকআউট পর্যায়ে অতিরিক্ত সময় এবং পেনাল্টি শ্যুট আউট প্রয়োজনে বিজয়ী নির্ধারণের জন্য ব্যবহৃত হয়, তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে প্রয়োজনে পেনাল্টি শ্যুট আউট (কোন অতিরিক্ত সময়ে খেলা হবে না) দ্বার বিজয়ী নির্ধারণে ব্যবহৃত হয়। [১৪]
সেমিফাইনাল | ফাইনাল | |||||
১৭ এপ্রিল – রাজা দ্বিতীয় আবদুল্লাহ | ||||||
গণচীন | ১ | |||||
২০ এপ্রিল – আম্মান আন্তর্জাতিক | ||||||
জাপান | ৩ | |||||
জাপান | ১ | |||||
১৭ এপ্রিল – রাজা দ্বিতীয় আবদুল্লাহ | ||||||
অস্ট্রেলিয়া | ০ | |||||
অস্ট্রেলিয়া (পে.) | ২ (৩) | |||||
থাইল্যান্ড | ২ (১) | |||||
তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচ | ||||||
২০ এপ্রিল – আম্মান আন্তর্জাতিক | ||||||
গণচীন | ৩ | |||||
থাইল্যান্ড | ১ |
পঞ্চম স্থান নির্ধারণী ম্যাচ | ||
১৬ এপ্রিল – আম্মান আন্তর্জাতিক | ||
ফিলিপাইন | ০ | |
দক্ষিণ কোরিয়া | ৫ | |
বিজয়ী ২০১৯ ফিফা মহিলা বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে ।
ফিলিপাইন | ০–৫ | দক্ষিণ কোরিয়া |
---|---|---|
প্রতিবেদন |
|
অস্ট্রেলিয়া | ২–২ (অ.স.প.) | থাইল্যান্ড |
---|---|---|
|
প্রতিবেদন |
|
পেনাল্টি | ||
৩–১ |
গণচীন | ৩–১ | থাইল্যান্ড |
---|---|---|
|
প্রতিবেদন |
|
জাপান | ১–০ | অস্ট্রেলিয়া |
---|---|---|
|
প্রতিবেদন |
টুর্নামেন্ট শেষে নিম্নলিখিত পুরস্কার দেওয়া হয়:
সবচেয়ে মূল্যবান খেলোয়াড়[১৬] | সর্বোচ্চ গোলদাতা[১৭] | ফেয়ার প্লে পুরস্কার[১৮] |
---|---|---|
মানা ইওয়াবুচি | লি ইং (৭ গোল) | জাপান |
এই টুর্নামেন্টে মোট ১৭ ম্যাচে ৬৬ গোল হয়েছে, প্রতি ম্যাচে গড়ে ৩.৮৮ গোল হয়েছে।
৭ গোল
৪ গোল
৩ গোল
২ গোল
১ গোল
১ আত্মঘাতি গোল
২ আত্মঘাতি গোল
এএফসি থেকে নিম্নলিখিত পাঁচটি দল ২০১৯ ফিফা মহিলা বিশ্বকাপে যোগ্যতা অর্জন করে।
দল | যোগ্যতা অর্জন | ফিফা মহিলা বিশ্বকাপে পূর্বের উপস্থিতি1 |
---|---|---|
গণচীন | ৯ এপ্রিল ২০১৮[১৯] | ৬ (১৯৯১, ১৯৯৫, ১৯৯৯, ২০০৩, ২০০৭, ২০১৫) |
থাইল্যান্ড | ১২ এপ্রিল ২০১৮[২০] | ১ (২০১৫) |
অস্ট্রেলিয়া | ১৩ এপ্রিল ২০১৮[২১] | ৬ (১৯৯৫2, ১৯৯৯2, ২০০৩2, 2007, 2011, ২০১৫) |
জাপান | ১৩ এপ্রিল ২০১৮[২১] | ৭ (১৯৯১, ১৯৯৫, ১৯৯৯, ২০০৩, ২০০৭, ২০১১, ২০১৫) |
দক্ষিণ কোরিয়া | ১৬ এপ্রিল ২০১৮[২২] | ২ (২০০৩, ২০১৫) |
২০১৫ সালে লে স্পোর্টস চীনে সকল সম্প্রচারমাধ্যম এবং সংকেত উৎপাদন স্বত্ত্ব অর্জন করে,[২৩] তবে ২০১৭ সালে আর্থিক সমস্যার কারণে তারা তাদের সমস্ত স্বত্ত্ব চীনা কেন্দ্রীয় টেলিভিশন এবং পিপি স্পোর্টসের কাছে হস্তান্তর করে। টায়ার প্রস্তুতকারী কন্টিনেন্টাল ঘোষণা করে যে তারা সরকারি পৃষ্ঠপোষক হবে।[২৪]