২০২১ কোপা আমেরিকাদক্ষিণ আমেরিকার ফুটবল সংস্থা কনমেবল কর্তৃক আয়োজিত চতুর্বষীয় আন্তর্জাতিক ফুটবল প্রতিযোগিতা কোপা আমেরিকার ৪৭তম আসর ছিল। এই আসরটি ২০২১ সালের ১৩ই জুন হতে ১১ই জুলাই পর্যন্ত ব্রাজিলে অনুষ্ঠিত হয়েছে।[৩] ২০২১ সালের ২০শে মে কলম্বিয়ার রাষ্ট্রপতি ইভান দুকের বিরুদ্ধে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভের ফলে কলম্বিয়াকে সহ-আয়োজকের পদ থেকে অপসারণ করা হয়েছে।[১][৪] অতঃপর ৩০শে মে, আর্জেন্টিনায় কোভিড-১৯ এর মহামারীর কারণে আয়োজকের পদ থেকে অপসারণ করা হয়েছে।[৫][৬][৭] এক দিন পর, কনমেবল ব্রাজিলকে এই আসরের আয়োজক হিসেবে ঘোষণা করেছিল।[২][৮][৯]
এই আসরটি মূলত ২০২০ সালের ১২ই জুন হতে ১২ই জুলাই পর্যন্ত ২০২০ কোপা আমেরিকা হিসেবে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। ২০২০ সালের ১৭ই মার্চ তারিখে, কনমেবল ঘোষণা করেছিল যে দক্ষিণ আমেরিকায় করোনাভাইরাসের বৈশ্বিক মহামারীর কারণে এই আসরটি এক বছরের জন্য স্থগিত করা হয়েছে, একই সাথে ইউরোপের ফুটবল সংস্থা উয়েফা কর্তৃক উয়েফা ইউরো ২০২০ এক বছরের জন্য স্থগিত করা হয়েছিল।[১০]
ব্রাজিল এই প্রতিযোগিতার পূর্ববর্তী আসরের বিজয়ী দল,[১১] যারা ২০১৯ সালে নবমবারের মতো শিরোপা জয়লাভ করেছিল।[১২][১৩]ফাইনালে আর্জেন্টিনা স্বাগতিক ব্রাজিলকে ১–০ গোলের ব্যবধানে পরাজিত করে ১৯৯৩ সালের পর প্রথম, কোপা আমেরিকার ইতিহাসে পঞ্চদশ এবং উরুগুয়ের সাথে যৌথভাবে সর্বাধিক শিরোপা জয়লাভ করেছে।[১৪][১৫][১৬]
২০১৭ সালের মার্চ মাসে, কনমেবল ক্যালেন্ডার পরিবর্তনের অংশ হিসেবে ২০২০ সালে কোপা আমেরিকা আয়োজনের একটি প্রস্তাব করেছিল।[১৭]২০১৯ সালে ব্রাজিলে এই প্রতিযোগিতা আয়োজনের পর, এই চতুর্বষীয় আন্তর্জাতিক ফুটবল প্রতিযোগিতাটি ২০২০ সাল হতে জোড় সালগুলোতে আয়োজনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়; এর পরবর্তী আসরটি ২০২৪ সালে ইকুয়েডরে অনুষ্ঠিত হবে। উয়েফা ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশিপের সাথে সামঞ্জস্য রেখে এই প্রতিযোগিতাটি জোড় সালগুলোতে স্থানান্তরিত করা হয়েছে; উয়েফা ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশিপর আসরটিও ২০২০ আয়োজনের কথা ছিল (যা পরবর্তীতে ২০২০ ইউরোপে করোনাভাইরাসের বৈশ্বিক মহামারীর কারণে এক বছরের জন্য স্থগিত করা হয়েছিল)।[১৮] বেশ কয়েকটি সংবাদ প্রতিবেদনে প্রকাশ করা হয়েছিল যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই আসরের আয়োজক দেশ হতে পারে, যারা ইতিপূর্বে ২০১৬ সালে অনুষ্ঠিত কনমেবল এবং কোপা আমেরিকার শতবর্ষ উৎযাপনের আসর ২০১৬ কোপা আমেরিকা আয়োজন করেছে।[১৯] ২০১৮ সালের ১৮ই সেপ্টেম্বর তারিখে, ফিফার কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে আবেদন করার পর কনমেলবলের সভাপতি আলেহান্দ্রো দোমিঙ্গেজ ক্যালেন্ডার পরিবর্তনের পরিকল্পনাটি নিশ্চিত করেছেন।[২০]
২০১৮ সালের ২৬শে অক্টোবর তারিখে, রুয়ান্ডারকিগালিতে অনুষ্ঠিত ফিফা কাউন্সিলের এক সভায় ২০২০ সাল হতে জোড় সালগুলোতে কোপা আমেরিকা আয়োজনের আবেদন অনুমোদিত হয়েছে।[২১] একই সাথে এই আসরটি ২০২০ সালের ১২ই জুন হতে ১২ই জুলাই পর্যন্ত আয়োজনের জন্য নির্ধারণ করা হয়েছিল; একই সময়ে উয়েফা ইউরো ২০২০-ও আয়োজনের কথা ছিল।[২২]
২০১৯ সালের ১৩ই মার্চ তারিখে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিলাম-ডাক প্রত্যাখ্যান হওয়ার পরে কনমেবল আর্জেন্টিনা এবং কলম্বিয়াকে এই আসরটির সহ-আয়োজক হিসেবে ঘোষণা করেছিল।[২৩][২৪] একই দিনে কনমেবল আনুষ্ঠানিকভাবে এই আসরটি যৌথভাবে আয়োজনের অনুমোদন দিয়েছিল। অতঃপর ২০১৯ সালের ৯ই এপ্রিল তারিখে, ব্রাজিলেররিউ দি জানেইরুতে অনুষ্ঠিত কনমেবল কংগ্রেসে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে যৌথ আয়োজক হিসেবে আর্জেন্টিনা এবং কলম্বিয়ার নাম প্রকাশ করা হয়েছিল।[২৫] ২০২১ সালের ২০শে মে তারিখে কলম্বিয়ার রাষ্ট্রপতি ইভান দুকের বিরুদ্ধে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভের ফলে কলম্বিয়াকে সহ-আয়োজকের পদ থেকে অপসারণ করে আর্জেন্টিনাকে এই আসরটি এককভাবে আয়োজন করার অধিকার প্রদান করা হয়েছিল।[২৬] ২০২১ সালের ৩০শে মে তারিখে কনমেবল ঘোষণা করে যে, আর্জেন্টিনায় কোভিড-১৯ এর মহামারীর ফলে জনস্বাস্থ্য পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে কোপা আমেরিকার এই আসরটি অনুষ্ঠিত হবে না।[২৭]
২০২০ সালের মার্চ মাসে, দক্ষিণ আমেরিকায়করোনাভাইরাসের বৈশ্বিক মহামারী (কোভিড-১৯) ফুটবলকে প্রভাবিত করতে শুরু করে। যার ফলে মার্চ মাসে অনুষ্ঠিতব্য দক্ষিণ আমেরিকার ২০২২ ফিফা বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের দুটি ম্যাচ ফিফা স্থগিত ঘোষণা করেছিল[২৮] এবং কনমেবল কোপা লিবের্তাদোরেসের সকল ম্যাচ সাময়িকভাবে স্থগিত করেছিল।[২৯] ২০২০ সালের ১৭ই মার্চ তারিখে, কনমেবল এক ঘোষণায় জানায় যে, দল, মিডিয়া, দর্শনার্থী এবং আয়োজক শহরগুলোর স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা রক্ষার জন্য কোপা আমেরিকার এই আসরটি পরবর্তী বছরের জন্য স্থগিত করা হয়েছিল, যার এই আসরটি ২০২১ সালের ১১ই জুন হতে ১১ই জুলাই তারিখ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।[১০] পরের দিন, ফিফা কাউন্সিলের দফতর ফিফাভুক্ত আন্তর্জাতিক ম্যাচের পঞ্জিকায় সকল ম্যাচের তারিখ পরিবর্তনের অনুমোদন দেয়। এর ফলস্বরূপ, ২৪ দলের সমন্বয়ে প্রথমবারের মতো আয়োজিত ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের (যা ২০২০ সালের জুন হতে জুলাই মাসের মধ্যে আয়োজনের কথা ছিল) সময়সূচী পুনরায় নির্ধারণ করা হয়েছিল।[৩০]
২০২১ সালের ৩০শে মে তারিখে কনমেবল এক ঘোষণায় জানিয়েছিল যে, আর্জেন্টিনায় কোভিড-১৯ এর মহামারীতে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার কারণে তাদের আয়োজক দেশের পদ থেকে অপসারণ করা হয়েছে, একই সাথে তারা অন্যান্য দেশের অবস্থার দিকে তাকিয়ে আছে যারা আর্জেন্টিনার প্রতিস্থাপক হিসেবে এই আসরটি আয়োজনে আগ্রহ প্রকাশ করেছে, যার মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও রয়েছে জানা গিয়েছিল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রহ থাকা সত্ত্বেও প্রাথমিকভাবে তাদের আয়োজক দেশ হিসেবে নির্বাচিত করায় প্রত্যাখ্যান করা হয়েছিল।[৩১][৩২] ৩১শে মে তারিখে কনমেবলের সভাপতি আলেহান্দ্রো দোমিঙ্গেসব্রাজিলীয় ফুটবল কনফেডারেশনের (সিবিএফ) সভাপতি রগেরিও কাবোকলোর মাধ্যমে এই আসরটি ব্রাজিলের আয়োজনের জন্য ব্রাজিল সরকারের সাথে পরামর্শ করেন। ব্রাজিলের রাষ্ট্রপতি জাইর বলসোনারু দ্রুত এই আসরটি আয়োজনের পক্ষে তার মত জানান।[৩৩][৩] ব্রাজিলে ব্রাজিলে করোনাভাইরাসের মহামারীর (কোভিড-১৯) এই আসরের সকল ম্যাচ বিনা দর্শকের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে।[৩] ১লা জুন তারিখে ব্রাজিল সরকারের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছিল যে, "সর্বোচ্চ ৬৫ জনের ১০টি প্রতিনিধি দল"-এর উপস্থিতিতে এই আসরের ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হবে, এছাড়াও ম্যাচগুলোতে বিদ্যমান প্রতিনিধি দল এবং রেফারি দলের সকল সদস্যের কোভিড-১৯ এর টিকা গ্রহণ নিশ্চিত করা হবে।[৩৪]
কনমেবলের অন্তর্ভুক্ত ১০টি জাতীয় দল এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছে, যারা গ্রুপ পর্বের ক্ষেত্রে দুটি ভৌগোলিক অঞ্চলে বিভক্ত ছিল।[৪১]
২০১৯ সালের জুন মাসে, কনমেবল কাউন্সিল আনুষ্ঠানিকভাবে অস্ট্রেলিয়া এবং কাতারকে দুটি আমন্ত্রিত দল হিসেবে এই আসরে অংশগ্রহণ করার ক্ষেত্রে অনুমোদন প্রদান করেছিল, যারা এএফসি এশিয়ান কাপের পূর্ববর্তী দুই চ্যাম্পিয়ন দল ছিল।[৪২] কোপা আমেরিকার ইতিহাসে অস্ট্রেলিয়া প্রথমবারের মতো এবং কাতার দ্বিতীয়বারের মতো (তারা ইতিপূর্বে ২০১৯ কোপা আমেরিকায় অংশগ্রহণ করেছিল)। তবে ২০২১ সালের ২৩শে ফেব্রুয়ারি অস্ট্রেলিয়া ফুটবল ফেডারেশন ও কাতার ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন এই আসর হতে নিজেদের নাম প্রত্যাহার করা ঘোষণা দিয়েছিল। ২০২২ ফিফা বিশ্বকাপ বাছাইপর্বেরএএফসি অঞ্চলের দ্বিতীয় পর্বের অবশিষ্ট খেলা ২০২১ সালের জুন মাস পর্যন্ত স্থগিত থাকার কারণে অস্ট্রেলিয়া ফুটবল ফেডারেশন এই প্রতিযোগিতা থেকে সরে আসার ঘোষণা দিয়েছিল।[৪৩][৪৪] প্রত্যাহারের পর কনমেবলের একজন মুখপাত্র বলেছিলেন যে, ফুটবল পঞ্জিকা সমস্যার কারণে অস্ট্রেলিয়া এবং কাতার এই আসরে অংশগ্রহণ করতে পারবে না, তবে তিনি ইতিমধ্যে অন্যান্য জাতীয় দলের কাছ থেকে তাদের জায়গায় অতিথি হিসেবে খেলার আগ্রহ লক্ষ্য করেছেন এবং তিনি জানিয়েছিলেন এই আসরে ১২টি দলই অংশগ্রহণ করবে। মুখপাত্র আরো জানিয়েছিলেন, যদি কোন প্রতিস্থাপন না পাওয়া যায়, তবে এই আসরটি ১০টি দল নিয়ে আয়োজিত হবে (যা ১৯৯১ সালের পর প্রথমবারের মতো হবে)।[৪৫]
২০১৯ সালের ৯ই এপ্রিল তারিখে, উত্তরাঞ্চল এবং দক্ষিণাঞ্চলে বিভক্ত কনমেবল সদস্যদের দল ঘোষণা করা হয়েছিল।[৪৬] ২০১৯ সালের ৩রা ডিসেম্বর তারিখে কলম্বিয়ারকার্তাহেনায় গ্রুপ পর্বের ড্র অনুষ্ঠিত হয়েছিল।[৪৭] ড্রয়ের সময় দুই আমন্ত্রিত দেশের অঞ্চল (মূলত অস্ট্রেলিয়া এবং কাতার) এবং উভয় গ্রুপের সময়সূচী নির্ধারণ করা হয়েছিল। স্বাগতিক হিসেবে আর্জেন্টিনা ও কলম্বিয়াকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে যথাক্রমে এ১ ও বি১ পদে বরাদ্দ করা হয়েছিল।[৪৮] এই আসরের উদ্বোধনী খেলায় ব্রাজিল অংশগ্রহণ করেছে।[৪৯] ড্রয়ের পর, দুই আমন্ত্রিত দেশসহ অঞ্চল এবং গ্রুপের ক্ষেত্রে দলের অবস্থান নিম্নরূপ:[৫০][৫১][৫২][৫৩]
২০২১ সালের ২১শে এপ্রিল তারিখে কনমেবল এই আসরের জন্য সর্বমোট ১৪ জন রেফারি, ২২ জন সহকারী রেফারি, ১৬ জন ভিডিও সহকারী রেফারি এবং ১০ জন সহায়তাকারী রেফারির নাম ঘোষণা করা হয়েছিল।[৫৪][৫৫] ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে এই আসরের জন্য কনমেবল এবং উয়েফার মধ্যকার স্বাক্ষরিত এক সমঝোতা স্মারকের অংশ হিসেবে একটি স্পেনীয় রেফারি দলের অংশগ্রহণ করেছে, যার মধ্যে রেফারি বিনিময় কর্মসূচি অন্তর্ভুক্ত ছিল।[৫৬]
এই আসরের মূল সময়সূচী এবং কিক-অফ সময় যথাক্রমে ২০১৯ সালের ৩রা ডিসেম্বর এবং ২০২০ সালের ৪ঠা মার্চ তারিখে ঘোষণা করা হয়েছিল।[৫৭][৫৮] ২০২০ সালের ১৭ই মার্চ তারিখে এই আসরটি ২০২১ সাল পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছিল ১৩ই আগস্ট তারিখে নতুন সময়সূচী ঘোষণা করা হয়েছিল।[৫৯][৫৩] কাতার ও অস্ট্রেলিয়ার নাম প্রত্যাহারের পর ২০২১ সালের ১৫ই মার্চ তারিখে এই আসরের সময়সূচী সংক্ষিপ্ত করে নতুন সময়সূচী ঘোষণা করা হয়েছিল।[৬০][৬১] আয়োজক হিসেবে কলম্বিয়া ও আর্জেন্টিনা সরে দাঁড়ানোর পর, ২০২১ সালের ২রা জুন তারিখে এই আসরের নতুন ম্যাচের সময়সূচী ঘোষণা করা হয়েছিল।[৬২] এই আসরের গ্রুপ পর্বে কনমেবলের সর্বমোট ১০টি দেশ অঞ্চল ভিত্তিক দুইটি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে অংশগ্রহণ করেছে। প্রতিটি গ্রুপের শীর্ষ ৪টি দল কোয়ার্টার-ফাইনালে উত্তীর্ণ হয়েছে।
নিম্নে তালিকাভুক্ত ম্যাচগুলোর সময় ব্রাজিল সময় অনুযায়ী উল্লেখ করা হয়েছে (ইউটিসি-৩)। কুইয়াবা একটি ভিন্ন সময় অঞ্চলে অবস্থিত, এজন্য তাদের স্থানীয় সময়ও উল্লেখ করা হয়েছে।
ফুটবলে পরিসংখ্যানগত নিয়ম অনুযায়ী, অতিরিক্ত সময়ে নিষ্পত্তি হওয়া ম্যাচগুলো নেওয়া ম্যাচগুলো জয় এবং পরাজয় হিসেবে এবং পেনাল্টি শুট-আউটের মাধ্যমে নিষ্পত্তি হওয়া ম্যাচগুলো ড্র হিসেবে গণ্য করা হয়েছে।
পিবে নামক একটি বাদামী রঙের কুকুরকে এই আসরের আনুষ্ঠানিক মাসকট হিসেবে নির্বাচিত করা হয়েছিল, যা কোপা আমেরিকার ইতিহাসে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচিত ১৪তম মাসকট।[৬৫]
↑মূলত, এই আসরটি যথাক্রমে আর্জেন্টিনা এবং কলম্বিয়ায় যৌথভাবে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। তবে ২০২১ সালের ২০শে মে তারিখে কলম্বিয়ায় রাজনৈতিক সমস্যার কারণে সহ-আয়োজকের পদ থেকে অপসারণ করা হয়েছিল, পরবর্তীকালে ৩১শে মে তারিখে আর্জেন্টিনায় কোভিড-১৯ এর মহামারীর কারণে আয়োজকের পদ থেকে অপসারণ করা হয়েছিল।[১] পরবর্তী দিন কনমেবল এই আসরটি ব্রাজিলে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা নিশ্চিত করেছে।[২]