৩২ ওল্ড স্লীপ | |
---|---|
সাধারণ তথ্যাবলী | |
স্থাপত্যশৈলী | আধুনিক |
অবস্থান | অর্থনৈতিক বিভাগ, ম্যানহাটান |
ঠিকানা | ৩২ ওল্ড স্লীপ |
শহর | নিউ ইয়র্ক |
দেশ | মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র |
স্থানাঙ্ক | ৪০°৪২′১৪″ উত্তর ৭৪°০০′২৯″ পশ্চিম / ৪০.৭০৪° উত্তর ৭৪.০০৮° পশ্চিম |
সম্পূর্ণ | ১৯৮৭ |
স্বত্বাধিকারী | আরএক্সআর রিয়েলটি[১] |
উচ্চতা | ৫৭৫ ফুট ০ ইঞ্চি (১৭৫.২৬ মিটার) |
কারিগরী বিবরণ | |
তলার সংখ্যা | ৩৬ |
নকশা ও নির্মাণ | |
স্থাপত্য সংস্থা | এডওয়ার্ড ডুরল স্টোন এন্ড এসোসিয়েট |
Website | |
www | |
তথ্যসূত্র | |
[২][৩] |
৩২ ওল্ড স্লিপ, যা ওয়ান ফিন্যানশিয়াল স্কয়ার হিসেবে সমধিক পরিচিত, হল নিউ ইয়র্ক শহরের অর্থনৈতিক বিভাগে অবস্থিত এক আকাশস্পর্শী ভবন। ১৯৮৭ সালে ভবনটি সম্পূর্ণরূপে তৈরি করা হয়। ভবনটি ৩৬ তলা বিশিষ্ট এবং সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৫৭৫ ফুট ০ ইঞ্চি (১৭৫.২৬ মিটার)। এই ভবনে রয়েছে সফটওয়্যার কোম্পানি কনভেন,[৪] এয়াইজি গ্লোবাল রিয়েল স্টেট,[৫] গোল্ডম্যান স্যাচ,[৬] যুক্তরাষ্ট্র আদমশুমারি ব্যুরোর নিউ ইয়র্কের আঞ্চলিক অফিস,[৭] এবং নিচ তলায় রয়েছে নিউ ইয়র্ক শহর অগ্নি নিয়ন্ত্রণ বিভাগ (এফডিএনওয়াই), ৪টি ইঞ্জিন কোম্পানি এবং ১৫টি ল্যাডার কোম্পানি রয়েছে।[৮][৯]
বর্তমান ভবনটির স্থলে পূর্বে যুক্তরাষ্ট্রের শেষ গণ স্বর্ণপরিশোধনাগার যুক্তরাষ্ট্র এসেয় অফিস অবস্থিত ছিল।[১০] এখানে সাধারণত ক্ষতিগ্রস্ত মুদ্রা ও কাগজের নোট গলিয়ে ফেলে নষ্ট করা হত। ১৯৮৩ সালে যুক্তরাষ্ট্র মিন্ট ৪২,১৭৬ বর্গফুটের (৩,৯১৮.৩ বর্গমিটার) এ সম্পত্তি নিলামে তোলে। ৩ মিলিয়ন ডলার ডাকার মধ্য দিয়ে নিলাম শুরু হলেও শেষে এইচআরও ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড গ্রুপ ২৭ মিলিয়ন ডলার দিয়ে নিলামে জয়লাভ করে। এই নিলাম স্থানটিকে নিলামে বিক্রয়কৃত যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে মূল্যবান সরকারি সম্পত্তির আখ্যা এনে দেয়।[১০] ১৯৮৬ সালে এশেয় অফিস ভবনটি ভেঙ্গে ফেলা হয়। [১১]
১৯৮৭ সালে এইচআরও ৩৬তলা বিশিষ্ট এক সুবিশাল ভবন নির্মাণ করেন এবং এই সম্পত্তির নাম দেয়া হয় ২৩-৪৩ ওল্ড স্লিপ প্রোপার্টি ওয়ান ফিন্যানশিয়াল সেন্টার।[১][২][১১] ১৯৯৫ সালে প্যারামাউন্ট গ্রুপ ১৩৫ মিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে এই সম্পত্তি কিনে নেয়।[১২] ২০০৭ এর আগস্টে এই সম্পত্তি বেকন ক্যাপিটাল পার্টনারস এর কাছে ৭৫১ মিলিয়ন ডলারে বিক্রি করে দেওয়া হয়,[১][১১] যা ছিল লোয়ার ম্যানহাটনের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি দামে বিক্রয় হওয়া অফিস ভবন।[১৩]
২০১২ সালে ম্যানহাটনের অনেক ভবনের মত ৩২ ওল্ড স্লিপ ভবনে হারিকেন স্যান্ডির সময় ঝড় ও পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বেশিরভাগ এলাকার ভবন নির্মাণ করা হয়েছে এমন নকশায় যাতে সেগুলো শক্তিশালি ভূমিকম্প ও বন্যাতেও টিকে থাকে।[১৪] এক বছরের মধ্যে এই ভবনের বাজার মূল্য ২১.৬% হ্রাস পায় ($৬৫.৭ মিলিয়ন)।[১৫] ২০১৩ সালে পুনরায় উন্নত করার চেষ্টা করা হয়েছে যাতে এই ভবন ভবিষ্যতের যেকোনো ঝড়ের মাঝেও ভালভাবে টিকে থাকতে পারে।[৩]
এই দালানটি আধুনিক স্থাপত্য হিসেবে বিবেচিত। দালানটির চার ধার গ্রানাইট এবং রূপার প্রলেপযুক্ত কাচ দ্বারা দালানটির ভিত্তি গঠিত হয়েছে। এই দালানের সিঁড়ি অষ্টভুজ আকৃতিবিশিষ্ট। এই দালানটির কাঁচগুলো পর্দা দ্বারা আবৃত।[১৬]
ভবনটির প্রতি তলায় ২৩,৪০৪ থেকে ৩৮,৭৫০ বর্গফুট স্থান ভাড়া দেওয়ার জন্য ব্যবহৃত হয়। সব মিলিয়ে মোট ১,১৬১,৪৩৪ বর্গফুট ভাড়া দেওয়া হয়ে থাকে।[৩] এর প্রতি তলারই অভ্যন্তরীণ অংশ স্তম্ভহীন এবং ৪০ ফুট ০ ইঞ্চি (১২.১৯ মিটার) দৈর্ঘ্যের লবিবিশিষ্ট।[১৬] ভবনটিতে মোট ২৬টি এলিভেটর এবং ভবনের তলদেশে পার্কিং গ্যারেজ আছে।[৩] ভবনটির নিচে পশ্চাৎদিকে ব্যক্তিগত মালিকানাধীন কিছু খিলান এবং শহুরে প্লাজা আছে।[১৭]