৪৭ নাটকাল | |
---|---|
পরিচালক | কে বলচন্দ[১] |
প্রযোজক | আর ভেঙ্কটরমণ |
রচয়িতা | কে বলচন্দ |
কাহিনিকার | শিবশঙ্করী |
শ্রেষ্ঠাংশে | চিরঞ্জীবী জয়া প্রদা শরৎ বাবু রমাপ্রভা |
সুরকার | এম এস বিশ্বনাথান[১] |
চিত্রগ্রাহক | বি এস লোকনাথ |
সম্পাদক | এন আর কিট্টু |
প্রযোজনা কোম্পানি | প্রেমালয় পিকচার্স |
পরিবেশক | প্রেমালয় পিকচার্স |
মুক্তি | ১৭ জুলাই ১৯৮১ |
দেশ | ভারত |
ভাষা | তামিল |
৪৭ নাটকাল (তামিল: 47 நாட்கள்; বাংলা: ৪৭ দিন) ১৯৮১ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত একটি তামিল চলচ্চিত্র যেটি কে বলচন্দ পরিচালনা করেন।[২][৩] এতে অভিনয় করেন চিরঞ্জীবী, জয়া প্রদা, শরৎ বাবু এবং রমাপ্রভা। অভিনেত্রী সারিতা চলচ্চিত্রটিতে অতিথি চরিত্রে ছিলেন।[৪] এটি ছিলো চিরঞ্জীবীর প্রথম তামিল ভাষার চলচ্চিত্র। চলচ্চিত্রটি লেখিকা শিবশঙ্করী এর লেখা একটি উপন্যাস অবলম্বনে তৈরি। এই চলচ্চিত্রটি একই সঙ্গে তেলুগু ভাষায় ৪৭ রোজুলু নামে শুটিং করা হয়েছিলো।
অভিনেত্রী সারিতা একটি ছোটো শহরে বৈশালী (জয়া প্রদা) নামের এক নারীকে দেখতে আসে, কারণ সে বৈশালীর বাস্তবজীবন ভিত্তিক একটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করতে চায়। বৈশালী সারিতার ওপর রুষ্ট হয়ে যায়। বৈশালীর জীবনকাহিনী তার ভাই বলা শুরু করে যে বৈশালীর একজন ফ্রান্সপ্রবাসী পুরুষের সঙ্গে বিয়ে হয় যে বিয়ে মাত্র ৪৭ দিন টিকে ছিলো।
বৈশালীর স্বামীর নাম কুমার (চিরঞ্জীবী), সে ফ্রান্সের একটি নির্জন এলাকায় মনোরম পরিবেশে বাস করে, এখানে বৈশালী এসে ভালোই অনুভব করে সবকিছু। বৈশালী তামিল ভাষা ছাড়া আর কোনো ভাষা বোঝেনা, এমনকি সে ভারতের রাষ্ট্রভাষা হিন্দিও পারেনা। বৈশালীর পতি তাকে বিয়ে করার আগেই এক ফরাসী রমণীকে বিয়ে করে রেখেছে। কুমার এই ফরাসী নারীকে বলে যে সে ভারত থেকে তার বোনকে এনেছে (বৈশালী), অপরদিকে বৈশালীকে সে বোঝায় যে লুসি (ফরাসী নারীটি) তার বান্ধবী।
বৈশালী কুমারকে অপছন্দ করে ফেলে, কারণ কুমার তাকে অনেকভাবে মানসিক-শারীরিকভাবে পীড়ন করে তাছাড়া সে কুমারকে ফরাসী ঐ নারীটির সঙ্গে অন্তরঙ্গ মূহুর্তে দেখেছে। বৈশালী বাড়ি থেকে পালিয়ে তামিলভাষী কোনো মানুষ খোঁজার চেষ্টা করে যাকে তার মনের চাপা কষ্টের কথা বলতে পারে। একদিন একটি হোটেলে বৈশালীকে যখন কুমার তামিল ভাষায় কটূক্তি করছিলো তখন পেছন থেকে এক তামিলভাষী নারী (রমাপ্রভা) সব শুনে ফেলে, সে পরে কৌশলে বৈশালীকে শৌচাগারে নিয়ে তাকে বাইরে আনতে সক্ষম হয় কুমারের চোখকে ফাঁকি দিয়ে। যদিও কিছুক্ষণ পরে হোটেল থেকে বাইরে এসে কুমার তাকে খুঁজে বের করে বাসায় নিয়ে যায়।
কুমার এক পর্যায়ে বৈশালীর অনিচ্ছা সত্ত্বেও তার সঙ্গে জোরপূর্বক যৌনমিলন করে। বৈশালী একদিন বুঝতে পারে যে সে গর্ভবতী। কুমার বৈশালীর গর্ভপাত ঘটাতে চায়। শঙ্কর (শরৎ বাবু) নামের এক তামিলভাষী পুরুষের সহায়তায় বৈশালী ভারত চলে আসে। বৈশালী এখন তার পিতামাতা এবং ভাইয়ের সঙ্গে বাস করে।
যদিও সিনেমার কোথাও এটা বোঝানো হয়না যে বৈশালী বাচ্চা জন্ম দিয়েছে নাকি দেয়নি নাকি গর্ভপাত করেছে, কিন্তু দর্শককে এটি পরোক্ষভাবে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে যে বৈশালী আসলে গর্ভপাতই করেছে।[৫]