৬ষ্ঠ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার | ||||
---|---|---|---|---|
পুরস্কার দেওয়া হয় | ১৯৮০ সালে চলচ্চিত্রশিল্পে গৌরবোজ্জ্বল ও অসাধারণ অবদানের জন্য | |||
পুরস্কার প্রদান করে | বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি | |||
আয়োজক | তথ্য মন্ত্রণালয় | |||
প্রদান | ১৯৮০ | |||
স্থান | ঢাকা, বাংলাদেশ | |||
অফিসিয়াল ওয়েবসাইট | অফিসিয়াল ওয়েবাইট | |||
আলোকপাত | ||||
শ্রেষ্ঠ পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র | এমিলের গোয়েন্দা বাহিনী | |||
শ্রেষ্ঠ অভিনেতা | বুলবুল আহমেদ শেষ উত্তর | |||
শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী | শাবানা সখী তুমি কার | |||
সর্বাধিক পুরস্কার | এমিলের গোয়েন্দা বাহিনী (৫) | |||
|
৬ষ্ঠ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক চলচ্চিত্রের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখার জন্য প্রদত্ত ৬ষ্ঠ আয়োজন; যা ১৯৮০ সালে বাংলাদেশের মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র সমূহের জন্য দেওয়া হয়। ১৯৭৫ সাল থেকে প্রতি বছর এটি দেয়া হচ্ছে। সরকার কর্তৃক নিযুক্ত একটি জাতীয় প্যানেল বিজয়ীদের নির্বাচন করে থাকে। এই বছর ১৮টি বিভাগে পুরস্কার প্রদান করা হয়। এমিলের গোয়েন্দা বাহিনী ৫টি বিভাগে, কসাই ৪টি বিভাগে, ডানপিটে ছেলে ৩টি বিভাগে, ঘুড্ডি ২টি বিভাগে এবং এখনই সময়, শেষ উত্তর, সখী তুমি কার, যদি জানতেম ১টি বিভাগে পুরস্কার অর্জন করে।[১]
এই বছর ১৮টি শাখায় পুরস্কার প্রদান করা হয়।[২] ১টি শাখায় কোন পুরস্কার দেয়া হয়নি। ১১ নভেম্বর, ১৯৮১ সালে ১৯৭৯ ও ১৯৮০ সালের পুরস্কার একসাথে দেয়া হয়। পুরস্কার বিতরণ করেন তৎকালীন তথ্য, বেতার, ক্রীড়া ও সংস্কৃতি মন্ত্রী শামসুল হুদা চৌধুরী।
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে এই বছর প্রথম কোন শিশুতোষ চলচ্চিত্র শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রের পুরস্কার লাভ করে এবং এখন পর্যন্ত (২০১৭ সাল) আর কোন শিশুতোষ চলচ্চিত্র এই বিভাগে পুরস্কৃত হয় নি। এই বছর বাদল রহমান ও খান আতাউর রহমান দুটি বিভাগে পুরস্কার লাভ করেন। বাদল রহমান[৩] শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র ও শ্রেষ্ঠ সম্পাদক এবং খান আতাউর রহমান শ্রেষ্ঠ গীতিকার ও শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকার বিভাগে পুরস্কার লাভ করেন। খান আতাউর রহমানের এটি দ্বিতীয়বারের মত শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকার বিভাগে এই পুরস্কার অর্জন। এই বছর বুলবুল আহমেদ তৃতীয়বারের মত শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে এই পুরস্কার লাভ করেন।[৪] আব্দুল্লাহ আল মামুন, শাবানা, গোলাম মুস্তাফা[৫] ও রোজিনা[৬] এই বছর প্রথমবারের মত যথাক্রমে শ্রেষ্ঠ পরিচালক, শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী, শ্রেষ্ঠ পার্শ্বচরিত্রে অভিনেতা, শ্রেষ্ঠ পার্শ্বচরিত্রে অভিনেত্রী বিভাগে পুরস্কার লাভ করেন। সৈয়দ আব্দুল হাদী[৭] ও সাবিনা ইয়াসমিন[৮] এই বছর টানা তৃতীয়বারের মত যথাক্রমে শ্রেষ্ঠ পুরুষ কণ্ঠশিল্পী ও শ্রেষ্ঠ নারী কণ্ঠশিল্পী বিভাগে এই পুরস্কার লাভ করেন। চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব সৈয়দ সালাহউদ্দিন জাকী শ্রেষ্ঠ সংলাপ রচয়িতা বিভাগে পুরস্কৃত হন।[৯] এছাড়া প্রশংসনীয় অভিনয়ের জন্য শিশু শিল্পী টিপটিপকে বিশেষ পুরস্কার দেয়া হয়।[১]
পুরস্কারের নাম | বিজয়ী | চলচ্চিত্র |
---|---|---|
শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র | বাদল রহমান | এমিলের গোয়েন্দা বাহিনী |
শ্রেষ্ঠ পরিচালক | আব্দুল্লাহ আল মামুন | এখনই সময় |
শ্রেষ্ঠ অভিনেতা | বুলবুল আহমেদ | শেষ উত্তর |
শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী | শাবানা | সখী তুমি কার |
শ্রেষ্ঠ পার্শ্বচরিত্রে অভিনেতা | গোলাম মুস্তাফা | এমিলের গোয়েন্দা বাহিনী |
শ্রেষ্ঠ পার্শ্বচরিত্রে অভিনেত্রী | রোজিনা | কসাই |
শ্রেষ্ঠ শিশুশিল্পী | মাস্টার শাকিল | ডানপিটে ছেলে |
শ্রেষ্ঠ সঙ্গীত পরিচালক | আলাউদ্দিন আলী | কসাই |
শ্রেষ্ঠ গীতিকার | খান আতাউর রহমান | ডানপিটে ছেলে |
শ্রেষ্ঠ পুরুষ কণ্ঠশিল্পী | সৈয়দ আব্দুল হাদী | কসাই |
শ্রেষ্ঠ নারী কণ্ঠশিল্পী | সাবিনা ইয়াসমিন | কসাই |
পুরস্কারের নাম | বিজয়ী | চলচ্চিত্র |
---|---|---|
শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকার | খান আতাউর রহমান | ডানপিটে ছেলে |
শ্রেষ্ঠ সংলাপ রচয়িতা | সৈয়দ সালাউদ্দিন জাকী | ঘুড্ডি |
শ্রেষ্ঠ চিত্রগ্রাহক (সাদা কালো) | শফিকুল ইসলাম স্বপন | ঘুড্ডি |
শ্রেষ্ঠ চিত্রগ্রাহক (রঙ্গিন) | আনোয়ার হোসেন | এমিলের গোয়েন্দা বাহিনী |
শ্রেষ্ঠ চিত্রসম্পাদক | বাদল রহমান | এমিলের গোয়েন্দা বাহিনী |
শ্রেষ্ঠ শব্দগ্রাহক | মোস্তফা কামাল | যদি জানতেম |