পূর্ণ নাম | গ্যাব্রিয়েলা বিয়াত্রিজ সাবাতিনি | |||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
দেশ | আর্জেন্টিনা | |||||||||||
বাসস্থান | বুয়েনোস আইরেস, আর্জেন্টিনা বোকা র্যাটন, ফ্লোরিডা, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র | |||||||||||
জন্ম | বুয়েনোস আইরেস, আর্জেন্টিনা | ১৬ মে ১৯৭০|||||||||||
উচ্চতা | ১.৭৫ মি | |||||||||||
পেশাদারিত্ব অর্জন | ১৯৮৫ জানুয়ারী | |||||||||||
অবসর গ্রহণ | ১৯৯৬ | |||||||||||
খেলার ধরন | ডানহাতি (এক হাতের ব্যাকহ্যান্ড) | |||||||||||
পুরস্কার | মার্কিন$৮,৭৮৫,৮৫০ | |||||||||||
টেনিস এইচওএফ | ২০০৬ (সদস্য পাতা) | |||||||||||
একক | ||||||||||||
পরিসংখ্যান | ৬৩২–১৮৯ (৭৬.৯৮%) | |||||||||||
শিরোপা | ২৭ | |||||||||||
সর্বোচ্চ র্যাঙ্কিং | বিশ্বে তৃতীয় (২৭শে ফেব্রুয়ারি ১৯৮৯) | |||||||||||
গ্র্যান্ড স্ল্যাম এককের ফলাফল | ||||||||||||
অস্ট্রেলিয়ান ওপেন | সেমিফাইনাল (১৯৮৯, ১৯৯২, ১৯৯৩, ১৯৯৪) | |||||||||||
ফ্রেঞ্চ ওপেন | সেমিফাইনাল (১৯৮৫, ১৯৮৭, ১৯৮৮, ১৯৯১, ১৯৯২) | |||||||||||
উইম্বলডন | ফাইনাল (১৯৯১) | |||||||||||
ইউএস ওপেন | বিজয়ী (১৯৯০) | |||||||||||
অন্যান্য প্রতিযোগিতা | ||||||||||||
ট্যুর ফাইনাল | বিজয়ী (১৯৮৮, ১৯৯৪) | |||||||||||
দ্বৈত | ||||||||||||
পরিসংখ্যান | ২৫২–৯৬ | |||||||||||
শিরোপা | ১৪ | |||||||||||
সর্বোচ্চ র্যাঙ্কিং | বিশ্বে তৃতীয় (৬ই নভেম্বর ১৯৮৮) | |||||||||||
গ্র্যান্ড স্ল্যাম দ্বৈতের ফলাফল | ||||||||||||
অস্ট্রেলিয়ান ওপেন | সেমিফাইনাল (১৯৮৯) | |||||||||||
ফ্রেঞ্চ ওপেন | ফাইনাল (১৯৮৬, ১৯৮৭, ১৯৮৯) | |||||||||||
উইম্বলডন | বিজয়ী (১৯৮৮) | |||||||||||
ইউএস ওপেন | সেমিফাইনাল (১৯৮৬, ১৯৮৭, ১৯৮৮, ১৯৮৯, ১৯৯৪, ১৯৯৬) | |||||||||||
পদকের তথ্য
|
গ্যাব্রিয়েলা বিয়াত্রিজ সাবাতিনি (স্পেনীয় উচ্চারণ: [gaˈβɾjela saβaˈtini]; জন্ম ১৬ই মে ১৯৭০) একজন আর্জেন্টিনীয় প্রাক্তন পেশাদার টেনিস খেলোয়াড়। তিনি ১৯৮০-এর দশকের শেষের দিকে এবং ১৯৯০-এর দশকের গোড়ার দিকের মহিলা সার্কিটের শীর্ষস্থানীয় খেলোয়াড়দের একজন। তিনি ১৯৯০ সালে ইউএস ওপেনে মহিলা গ্র্যান্ড স্ল্যামে একক শিরোপা, ১৯৮৮ সালে উইম্বলডনে মহিলাদের গ্র্যান্ড স্ল্যামে ডাবলস, ১৯৮৮ এবং ১৯৯৪ সালে দুটি ডব্লিউটিএ ফাইনাল, এবং ১৯৮৮ সালে সিওলে অলিম্পিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় একটি রৌপ্য পদক জিতেছিলেন। মিয়ামি এবং রোম সহ মহিলাদের সর্বাধিক স্তরের নিয়মিত ইভেন্টগুলিতেও সাবাতিনি জিতেছেন (চারবার)। ১৯৮০ এর দশকের শেষদিকে, জার্মান সুগন্ধি সংস্থা মুয়েলহেন্সের সাথে যৌথভাবে, সাবাতিনি কিছু বিশেষ সুগন্ধি বাজারে আনেন। তার নামাঙ্কিত সুগন্ধি আত্মপ্রকাশ করে ১৯৮৯ সালে।
সাবাতিনি ১৬ই মে ১৯৭০ সালে আর্জেন্টিনার বুয়েনোস আইরেসে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তার বাবা ও মায়ের নাম যথাক্রমে ওসভালদো এবং বিয়াত্রিজ গারোফালো সাবাতিনি। তার এক বড় ভাই আছে।[১] তার বাবা জেনারেল মোটরস-এর একজন আধিকারিক।[২]
সাবাতিনই বলেছিলেন যে সাংবাদিক এবং প্রচারের খ্যাতি এড়াতে তিনি কমবয়সে ইচ্ছাকৃতভাবে খেলায় হেরে যেতেন। তিনি তার ৪৩ বছর বয়সে এই দাবিটি করেন, তিনি এও বলেছিলেন যে তার একটি বড় সমস্যা ছিল তিনি লাজুক এবং তিনি ভাবতেন কোনও প্রতিযোগিতা জেতার পরে তাকে কথা বলতে হবে; তাই প্রায়ই তিনি সেমিফাইনালে হেরে যেতেন।[৩][৪][৫]
সাবিতিনি জুনিয়র হিসাবেই প্রথম টেনিস বিশ্বের নজরে এসেছিলেন। তিনি ৬ বছর বয়সে টেনিস খেলতে শুরু করেছিলেন এবং ৮ বছর বয়সে তিনি প্রথম টুর্নামেন্ট জিতেছিলেন। ১৯৮৩ সালে, ১৩ বছর বয়সে, তিনি ফ্লোরিডার মিয়ামিতে সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে অরেঞ্জ বাওল জেতেন। তিনি মেয়েদের একক ফরাসী ওপেন সহ ছয়টি বড় আন্তর্জাতিক জুনিয়র শিরোপা জিতেছিলেন, এবং ১৯৮৪ সালে বিশ্বের প্রথম স্থান অধিকারী জুনিয়র খেলোয়াড় ছিলেন।
১৯৮৫ সালে, ১৫ বছর ৩ সপ্তাহ বয়সে, ফরাসি ওপেনের সেমিফাইনালে পৌঁছোনো সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় হয়েছিলেন সাবাতিনি, যেখানে তিনি ক্রিস এভার্টের কাছে হেরে যান। পরে, সেই বছরে, তিনি টোকিওতে প্রথম শীর্ষ স্তরের একক শিরোপা জিতেছিলেন। ১৯৮৮ সালে, সাবাতিনি তার প্রথম একক গ্র্যান্ড স্ল্যাম ইউএস ওপেনের ফাইনালে পৌঁছেছিলেন। তিনি পশ্চিম জার্মানির স্টেফি গ্রাফের মুখোমুখি হয়েছিলেন, যিনি সে বছর পূর্ববর্তী তিনটি গ্র্যান্ড স্লাম একক ইভেন্টে জিতেছিলেন এবং চতুর্থটি জয় করতে চলেছিলেন। গ্রাফ তিন সেটে খেলাটি জেতেন।[৬] সাবাতিনিকে সিউলে অনুষ্ঠিত ১৯৮৮ গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে আর্জেন্টিনার প্রতিনিধিত্ব করার জন্য নির্বাচিত করা হয়েছিল এবং উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি তার দেশের পতাকা বহন করেন। তিনি মহিলাদের একক প্রতিযোগিতায় রৌপ্য পদক জিতেছিলেন। ফাইনালে, তিনি আবার গ্রাফের মুখোমুখি হয়েছিলেন। গ্রাফ তার "গ্র্যান্ড স্ল্যাম" (একই বছরে চারটি প্রধান প্রতিযোগিতায় জয়) কে "গোল্ডেন স্ল্যাম" (একই বছরে চারটি প্রধান প্রতিযোগিতা ও অলিম্পিক গেমসে জয়) এ রূপান্তরিত করার জন্য চেষ্টা করছিলেন।[৭] গ্রাফ ৬–৩, ৬–৩ এ জেতেন। সে বছর উইম্বলডনে মহিলাদের যুগ্ম শিরোপা জিততে গ্রাফের সাথে জুটি বেঁধেছিলেন সাবাতিনি। তিনি ১৯৮৮ সালের বছরের শেষ ডব্লিউটিএ ট্যুর চ্যাম্পিয়নশিপ জিতেছিলেন।
সাবাতিনির পরবর্তী গ্র্যান্ড স্লাম সিঙ্গলসের ফাইনালটি এল ১৯৯০ সালে, যেখানে তিনি ক্যাথি জর্ডান, ইসাবেল ডেমোনজিট, সাবাইন অ্যাপেলম্যানস, হেলেনা সুকোভা, লীলা মেসখি এবং মেরি জো ফার্নান্ডেজকে পরাজিত করেন। এরপর নিউ ইয়র্কে ইউএস ওপেনের ফাইনালে আবারও গ্রাফের মুখোমুখি হন তিনি। সাবাতিনি গ্রাফকে সরাসরি হারিয়ে দেন, এবং তার একমাত্র একক মহিলা গ্র্যান্ড স্ল্যাম শিরোপা জেতেন। তিনি তার জয়ের কৃতিত্ব দেন নিজের আক্রমণাত্মক খেলা এবং গ্রাফের ছোট মারগুলিকে নেটে এসে আক্রমণ করে ফেরানোকে। ম্যাডিসন স্কোয়ার গার্ডেনে ডব্লিউটিএ ট্যুর চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিফাইনালে গ্রাফকেও হারিয়েছিলেন সাবাতিনি, তবে ফাইনালে মনিকা সেলেসের কাছে পরাজিত হন ৬-৪, ৫-৭, ৩-৬, ৬-৪, ৬-২ ফলে। এটি ছিল এই প্রতিযোগিতার প্রথম পাঁচ সেটের খেলা।
১৯৯১ সালে, বছরের প্রথমার্ধেই পাঁচটি প্রতিযোগিতা জিতে সাবতিনি জোরালো ভাবে শুরু করেন। তিনি উইম্বলডনে তার তৃতীয় গ্র্যান্ড স্ল্যাম ফাইনালে পৌঁছোন এবং আবার গ্রাফের মুখোমুখি হন। গ্রাফ তিন সেটে খেলায় জয়ী হন। ১৯৯১ সালে সাবাতিনি বিশ্ব ক্রমপর্যায়ে প্রথম স্থান অর্জনের কাছাকাছি এসেছিলেন, তবে একটুর জন্য প্রথমে গ্রাফ এবং তারপরে মনিকা সেলেসের কাছে হেরে যান। তিনটি খেলোয়াড়ের র্যাঙ্কিং বছরের বেশিরভাগ সময় একে অপরের খুব কাছাকাছি ছিল ছিল।
১৯৯২ সালে পাঁচটি প্রতিযোগিতা জিতলেও, সাবাতিনি কোনও গ্র্যান্ড স্ল্যামের ফাইনালে উঠতে ব্যর্থ হন। ১৯৯২ অস্ট্রেলিয়ান ওপেন এ,সাবাতিনি সেমিফাইনালে মেরি জো ফার্নান্ডেজ এর কাছে হেরে ৬-১, ৬-৪ এ হেরে যান। ১৯৯২ ফরাসি ওপেন এ, সেমিফাইনালে সেলেসের কাছে ম্যাচটি হারেন সাবাতিনি। এই খেলায় তৃতীয় এবং নির্ণায়ক সেটে, সাবাতিনি ৪-২ তে এগিয়ে ছিলেন, তবে সেলেস পিছন থেকে খেলে সাবতিনিকে পরাস্ত করেন। সেই বছরের উইম্বলডনে, মনে হচ্ছিল সাবাতিনি টানা দ্বিতীয় বার উইম্বলডনের ফাইনালে উঠবেন, এবং ঠিক আগের বছরের মতো, সাবাতিনি গ্রাফের মুখোমুখি হন, এবার সেমিফাইনালে। অবশ্য, তাদের ১৯৯১ চ্যাম্পিয়নশিপ ম্যাচের মত নয়, গ্রাফ সহজেই সাবাতিনিকে ৬-৩, ৬-৩ এ পরাজিত করেন। ১৯৯২ সালের ইউএস ওপেন এ, কোয়ার্টার ফাইনালে সাবাতিনি আবারও ২-৬, ৬-১, ৪-৬ ফলে ফার্নান্ডেজের কাছে হেরেছিলেন।
১৯৯৩ সালে মরসুমের শুরুতে, সাবাতিনি গ্র্যান্ড স্ল্যামের দিকে এগিয়ে যেতে থাকেন। অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে, সেমিফাইনালে উঠে সেলেসের কাছে ২-৬, ১-৬ ব্যবধানে পরাজিত হন। পরে সেই বছর রোল্যাঁ গ্যাঁরোতে, কোয়ার্টার ফাইনালে ফার্নান্ডেজের কাছে পরাজিত হন সাবাতিনি। সাবাতিনি আপাতদৃষ্টিতে অদম্য ৬-১, ৫-১ ব্যবধানে এগিয়ে গিয়েছিলেন এবং মনে হচ্ছিল সহজেই তিনি জিতবেন। তবে, দ্বিতীয় সেট টাইব্রেকে জিতে যাওয়ার পথে মেরি জো পাঁচটি ম্যাচ পয়েন্ট বাঁচিয়েছিলেন। অবশেষে, সাড়ে তিন ঘণ্টা পরে, ফার্নান্ডেজ সাবতিনিকে ১-৬, ৭-৬ (৭-৪), ১০-৮ চূড়ান্ত ফলে পরাজিত করেন। ফরাসি ওপেনের ধাক্কা সত্ত্বেও, উইম্বলডনে কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছে যান সাবাতিনি। এখানে তিনি য়ানা নোভোৎনার কাছে পরাজিত হন, যাঁকে তিনি এর আগে টানা ছয় বার পরাজিত করেছিলেন। এবারে নোভোৎনা তাকে সরাসরি সেটে পরাজিত করেন। ১৯৯৩ সালের ইউএস ওপেন এ, সাবাতিনি ভাল কিছু করে বছর শেষের আশা করেছিলেন, তবে তাকে প্রথমে আবার গ্রাফের মুখোমুখি হতে হয়, এবার কোয়ার্টার ফাইনালে। তাদের আগের চারটি খেলায়, গ্রাফ সাবাতিনিকে হারিয়েছিলেন, তবে সাবাতিনি সেই সাম্প্রতিক ফলাফলগুলি পরিবর্তন করতে চেয়েছিলেন। প্রথম সেটটি ২-৬ তে হেরে যাওয়ার পরে, সাবাতিনি দ্বিতীয় সেটে তার খেলার মান উঁচুতে নিয়ে গিয়ে, ৭-৫ ফলে জিতে সেট সমান করেন। কিন্তু, তৃতীয় এবং নির্ণায়ক সেটে, গ্রাফ সাবাতিনিকে ৬-১ ফলে হারিয়ে দেন। সেই বছর শীর্ষ ২৫ জন খেলোয়াড়ের ১৭ জনের মধ্যে সাবাতিনি একমাত্র খেলোয়াড় ছিলেন যিনি সেলেসের বিরুদ্ধে ভোট দেওয়া থেকে বিরত ছিলেন। ছুরিকাঘাতের পরে সেলেসের র্যাঙ্কিং না খেলেও একই থাকবে কি না তাই নিয়ে মতদান হচ্ছিল। গ্রাফ প্রতিযোগিতায় অনুপস্থিত ছিলেন তাই এই মতদান হয়েছিল।[৮][৯] শেষ পর্যন্ত যখন সেলেস দুবছর পরে ফিরে এসেছিলেন তখন তাকে এবং গ্রাফকে যৌথভাবে ক্রমতালিকায় এক নম্বরে রাখা হয়েছিল।।[১০]
১৯৯২ সালে পাঁচটি প্রতিযোগিতা জেতার পরে, সাবাতিনির ২৯ মাসের খরা চলল, এই সময়ের মধ্যে তিনি কোনও শিরোপা জিততে পারেননি। ১৯৯৪ সালে ফ্লোরিডার আমেলিয়া দ্বীপে বশ অ্যান্ড লম্ব চ্যাম্পিয়নশিপে প্রায় এক বছর পর সাবাতিনি আবার একক ফাইনালে পৌঁছোন এবং অ্যারানসা সানচেজ ভিকারিওর মুখোমুখি হন। এটি ১৯৯৩ সালের বশ অ্যান্ড লম্ব ফাইনালের পুনরাবৃত্তি ছিল, যেখানে সানচেজ ভিকারিও সাবাতিনিকে পরাজিত করেছিলেন। এক বছর পরে, উভয় খেলোয়াড়ই তাদের শিরোপার খরা কাটিয়ে উঠতে চাইছিলেন: সাবাতিনি টানা ৩২ টি টুর্নামেন্টে এবং সানচেজ ভিকারিও টানা ১৫ টি টুর্নামেন্টে কোনো সাফল্যের মুখ দেখেননি। এবারও সানচেজ ভিকারিও শেষ সাতটি মোকাবিলায় ষষ্ঠবারের মতো সাবাতিনিকে পরাজিত করেন।
অবশেষে সাবাতিনি নভেম্বরে তার হারের খরা কাটিয়ে ওঠেন, ম্যাডিসন স্কোয়ার গার্ডেনে ১৯৯৪ ডব্লিউটিএ ট্যুর চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে লিন্ডসে ডেভেনপোর্ট কে পরাজিত করেন। এছাড়াও ১৯৯৪ সালে, গ্রেট আমেরিকান ডল কোম্পানি টেনিসের পোশাক পরে সাবাতিনির অনুরূপ একটি পুতুল তৈরি করে।[১১] একই বছর সাবতিনি মাই স্টোরি (আইএসবিএন ১-৮৮৬৬১২-০০-৫) নামে একটি প্রেরণামূলক বই প্রকাশ করেছিলেন [১], তার মধ্যে ছিল তার খেলোয়াড় হয়ে ওঠার পেছনে অনুপ্রেরণার কাহিনী।
সাবাতিনি ১৯৯৫ সালের মরসুম শুরু করেছিলেন সিডনিতে সেমিফাইনালে পৌঁছে। সেখানে তিনি মেরি জো ফার্নান্ডেজের মুখোমুখি হয়েছিলেন এবং সেটিও গত বছরের ম্যাচের পুনরাবৃত্তি ছিল। ১৯৯৪ সালের সিডনি টুর্নামেন্টে, সেই সেমিফাইনালে ফার্নান্ডেজ সাবাতিনিকে সোজাসুজি হারিয়েছিলেন। এবার ফার্নান্ডেজের বিপক্ষে তিন ম্যাচের হারের ধারাবাহিকতা শেষ করে তিনি সোজা সেটে জিতলেন। সাবাতিনি তারপরে লিন্ডসে ডেভেনপোর্টকে ফাইনালে সোজা সেটে পরাস্ত করেন এবং এটি ছিল তার খেলোয়াড় জীবনের সর্বশেষ একক খেতাব। ১৯৯৫ সালের অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে, পঞ্চম বাছাই সাবাতিনি, প্রথম রাউন্ডেই মারিয়ান ওয়ার্ডেলের কাছে হেরে যান। কী বিস্কায়নে লিপটন চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিফাইনালে, সাবাতিনি কিমিকো ডেটের থেকে ৬-১, ৫-১ ফলে এগিয়ে ছিলেন। এরপর বিভ্রান্ত হয়ে তিনি তিনটি ম্যাচ পয়েন্ট নষ্ট করেন এবং ১৮ বার সার্ভিসে ডাবল ফল্ট করেন। এরপর ডেট সাবাতিনিকে ১–৬, ৭–৬, ৭–৬ ফলে হারিয়ে দেন। এটি ১৯৯৩ সালের ফরাসি ওপেনের কোয়ার্টার ফাইনালের পুনঃ সম্পাদন হয়ে দাঁড়াল, যেখানে সাবাতিনি মেরি জো ফার্নান্ডেজের বিপক্ষে ৬-১, ৫-১ এ এগিয়ে থেকে ম্যাচ হারেন। ১৯৯৫ সালের ফরাসি ওপেন এ, সাবাতিনি সেই স্মৃতিকে পিছনে ফেলে কোয়ার্টার ফাইনালে দ্বিতীয় বাছাই স্টেফি গ্রাফের মুখোমুখি হন। যাইহোক, গ্রাফ সাবাতিনির বিপক্ষে খুব শক্তিশালী প্রমাণ করে সোজাসুজি ম্যাচ জেতেন। পরে সেই গ্রীষ্মে উইম্বলডনে, অষ্টম বাছাই সাবাতিনি কোয়ার্টার ফাইনালে, গতবারের চ্যাম্পিয়ন এবং তৃতীয় বাছাই, স্পেনের কনচিতা মার্টিনিজের কাছে হেরে যান।মার্টিনেজ সাবাতিনির বিরুদ্ধে স্পষ্টতই যথেষ্ট শক্তিশালী ছিলেন, পাঁচবার মুখোমুখি হয়ে চারবারই তিনি সাবাতিনিকে হারান। বছরের চূড়ান্ত গ্র্যান্ড স্ল্যাম, নিউ ইয়র্কের ইউএস ওপেনে, সাবাতিনি প্রাক কোয়ার্টার ফাইনালে মার্টিনা হিঙ্গিস কে হারান। তারপরে কোয়ার্টার ফাইনালে মেরি জো ফার্নান্ডেজকে পরাস্ত করে সেমি ফাইনালে শীর্ষ-বাছাই গ্রাফের কাছে হেরে যান। এই জয়ের ফলে, গ্রাফ এখন টানা আট ম্যাচে সবাতিনিকে পরাস্ত করলেন। গ্রাফের বিপক্ষে, এটি সাবাতিনির ৪০ তম এবং শেষ ম্যাচ ছিল। তাদের প্রতিদ্বন্দিতা শুরু হয়েছিল ১৯৮৫ সালে এবং গ্রাফ এর মধ্যে ২৯টিতে জিতেছিলেন।
সাবাতিনির সর্বশেষ পেশাদার একক ম্যাচটি হয়েছিল ১৪ই অক্টোবর ১৯৯৬ তারিখে, যখন তিনি ইউরোপীয় ইন্ডোরস এর প্রথম রাউন্ডেই জেনিফার কাপ্রিয়াতির কাছে হেরে যান। সাবাতিনি তার সর্বশেষ পেশাদার ম্যাচটি খেলেছিলেন ১৯শে অক্টোবর ১৯৯৬ তারিখে। সেটি ছিল জুরিখে, লোরি ম্যাকনিলের সাথে একটি মহিলা ডাবলস সেমিফাইনাল লড়াই। সাবাতিনি ২৭ টি একক শিরোপা এবং ১৪ টি ডাবল শিরোপা জিতে, ১৯৯৬ সালে পেশাদার টেনিস থেকে অবসর নিয়েছিলেন। [১২][১৩] তিনি তার বিশ্বে তার সর্বোচ্চ ক্রমপর্যায়, তৃতীয় স্থানে, পৌঁছেছিলেন ১৯৮৯ সালে। ২০০১ সালে, তিনি আর্জেন্টিনার সর্বাধিক প্রাসঙ্গিক "দশকের ক্রীড়াবিদ" হিসাবে ডায়মন্ড কোনেক্স পুরস্কার জিতেছিলেন। সাবাতিনি ১৫ জুলাই ২০০৬ সালে আন্তর্জাতিক টেনিস হল অফ ফেমএ অন্তর্ভুক্ত হন।
২২শে মে ২০০৩ এ, সাবাতিনি ইতালীয় নাগরিকত্ব "জুস স্যাঙ্গুইনিস" পেতে সক্ষম হন। এর একটি কারণ হল তার পিতামহের বাবা ডেভিড সাবাতিনি জন্মগ্রহণ করেছিলেন মার্শ অঞ্চলের পোটেঞ্জা পিচেনায়, এবং ঊনবিংশ শতকের শেষে সান্তা ফে প্রদেশের রোলডেনর অনেক অন্যান্য সানতেসিদের মতো, তার স্ত্রী রোজা ভিভানির সাথে, আর্জেন্টিনায় অভিবাসিত হয়েছিলেন। তাদের বিবাহ হয়েছিল ১৮৯৯ সালের ১২ই ফেব্রুয়ারি পোটেঞ্জা পিচেনা তে।
এখন, তিনি বুয়েনোস আইরেস এবং বোকা র্যাটনে বাস করছেন। ২০১৫ সাল থেকে তিনি ফ্যাফিকন, সুইযস এও থাকা শুরু করেছেন।[১৪]
২৬ বছর বয়সে অবসর নেওয়ার পর থেকে সাবাতিনি তার সুগন্ধির প্রচার করেছেন এবং শিশু এবং দরিদ্রদের সহায়তা করার জন্য সংস্থার সাথে কাজ করে চলেছেন।
জয়ী | ফাই | সেমি | কো.ফা | #রা | রা.র | বা.হে (বা#) | অনু | খে. | আ# | প্লে-অফ | এসএফ-ব্রোঞ্জ | রৌ-এফ | রৌ-এস | স্বর্ণ | মা.সি.নয় | হয়নি |
প্রতিযোগিতায় জয়; বা ফাইনালে পৌঁছানো; সেমিফাইনাল; কোয়ার্টার-ফাইনাল; রাউন্ড ৪, ৩, ২, ১; রাউন্ড রবিন পর্যায়ে সম্পন্ন; বাছাইপর্বে হেরে যাওয়া; প্রতিযোগিতায় অনুপস্থিত; ডেভিস কাপের আঞ্চলিক বিভাগে খেলেছে (সঙ্গে তার সংখ্যা ইঙ্গিত করা হয়েছে) বা প্লে-অফ; ব্রোঞ্জ জয়, রৌপ্য (রৌ-এফ বা রৌ-এস) বা অলিম্পিকে স্বর্ণ পদক; একটি ডাউনগ্রেডেড মাস্টার সিরিজ/১০০০ টুর্নামেন্ট (মাস্টার্স সিরিজ নয়); বা একটি প্রদত্ত বছরে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত না হওয়া।
বিভ্রান্তি এবং দুবার গণনা এড়ানোর জন্য, এই তালিকা একটি প্রতিযোগিতা শেষে, অথবা যখন প্রতিযোগিতায় খেলোয়াড়ের অংশগ্রহণ শেষ হয়েছে তখনই হালনাগাদ করা হয়।
প্রতিযোগিতা | ১৯৮৪ | ১৯৮৫ | ১৯৮৬ | ১৯৮৭ | ১৯৮৮ | ১৯৮৯ | ১৯৯০ | ১৯৯১ | ১৯৯২ | ১৯৯৩ | ১৯৯৪ | ১৯৯৫ | ১৯৯৬ | জঃ অঃ | জঃ পঃ |
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
অস্ট্রেলিয়ান ওপেন | অ | অ | NH | অ | অ | সেঃফাঃ | রাঃ ৩ | কোঃফাঃ | সেঃফাঃ | সেঃফাঃ | সেঃফাঃ | রাঃ ১ | রাঃ ৪ | ০ / ৮ | ২৯–৮ |
ফ্রেঞ্চ ওপেন | অ | সেঃফাঃ | রাঃ ৪ | সেঃফাঃ | সেঃফাঃ | রাঃ ৪ | রাঃ ৪ | সেঃফাঃ | সেঃফাঃ | কোঃফাঃ | রাঃ ১ | কোঃফাঃ | অ | ০ / ১১ | 4৪২–১১ |
উইম্বলডন | অ | রাঃ ৩ | সেঃফাঃ | কোঃফাঃ | রাঃ ৪ | রাঃ ২ | সেঃফাঃ | ফাঃ | সেঃফাঃ | কোঃফাঃ | রাঃ ৪ | কোঃফাঃ | অ | ০ / ১১ | ৪২–১১ |
ইউএস ওপেন | রাঃ ৩ | রাঃ ১ | রাঃ ৪ | কোঃফাঃ | ফাঃ | সেঃফাঃ | বিঃ | কোঃফাঃ | কোঃফাঃ | কোঃফাঃ | সেঃফাঃ | সেঃফাঃ | রাঃ ৩ | ১ / ১৩ | ৫১–১২ |
জয়–পরাজয় | ২–১ | ৭–৩ | ১১–৩ | ১৩–৩ | ১৪–৩ | ১৪–৪ | ১৭–৩ | ১৯–৪ | ১৯–৪ | ১৭–৪ | ১৩–৪ | ১৩–৪ | ৫–২ | ১ / ৪৩ | ১৬৪–৪২ |
বছরের শেষে ক্রম | ৭৪ | ১২ | ৯ | ৬ | ৪ | ৩ | ৫ | ৩ | ৩ | ৫ | ৭ | ৭ | প্রযোজ্য নয় |
প্রতিযোগিতা | ১৯৮৪ | ১৯৮৫ | ১৯৮৬ | ১৯৮৭ | ১৯৮৮ | ১৯৮৯ | ১৯৯০ | ১৯৯১ | ১৯৯২ | ১৯৯৩ | ১৯৯৪ | ১৯৯৫ | ১৯৯৬ | জঃ অঃ |
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
অস্ট্রেলিয়ান ওপেন | অ | অ | NH | অ | অ | সেঃফাঃ | রাঃ ২ | রাঃ ৩ | অ | অ | অ | রাঃ ২ | কোঃফাঃ | ০ / ৫ |
ফ্রেঞ্চ ওপেন | অ | রাঃ ১ | ফাঃ | ফাঃ | সেঃফাঃ | ফাঃ | অ | সেঃফাঃ | অ | অ | রাঃ ৩ | রাঃ ৩ | অ | ০ / ৮ |
উইম্বলডন | অ | রাঃ ২ | অ | রাঃ ৩ | বিঃ | কোঃফাঃ | কোঃফাঃ | অ | অ | অ | রাঃ ১ | সেঃফাঃ | অ | ১ / ৭ |
ইউএস ওপেন | অ | রাঃ ১ | সেঃফাঃ | সেঃফাঃ | সেঃফাঃ | সেঃফাঃ | রাঃ ৩ | অ | অ | অ | সেঃফাঃ | রাঃ ২ | সেঃফাঃ | ০ / ৯ |
গ্র্যান্ড স্ল্যাম জঃ অঃ | ০ / ০ | ০ / ৩ | ০ / ২ | ০ / ৩ | ১ / ৩ | ০ / ৪ | ০ / ৩ | ০ / ২ | ০ / ০ | ০ / ০ | ০ / ৩ | ০ / ৪ | ০ / ২ | ১ / ২৯ |
বছরের শেষে ক্রম | ১২৮ | ৫৪ | ৯ | ৫ | ৩ | ১৯ | ২৯ | ৫৫ | স্থান নেই | স্থান নেই | ১৪ | ১৩ | স্থান নেই |
পুরস্কার | ||
---|---|---|
পূর্বসূরী দিয়েগো মারাদোনা |
অলিম্পিয়া ডি ওরো 1987–1988 |
উত্তরসূরী এডোয়ার্ডো রোমেরো |
অলিম্পিক গেমস | ||
পূর্বসূরী রিকার্ডো ইবারা |
Flagbearer for আর্জেন্টিনা সিউল ১৯৮৮ |
উত্তরসূরী মার্সেলো গ্যারাফো |