ফেতুল্লাহ গুলেন | |
---|---|
জন্ম | [১] পাসিনলার, এরজুরাম, তুরস্ক | ২৭ এপ্রিল ১৯৪১
যুগ | আধুনিক যুগ |
অঞ্চল | মুসলিম ধর্মতত্ত্ববিদ |
ধারা | হানাফি[২] |
প্রধান আগ্রহ | গোঁড়া ইসলামি চিন্তাবিদ, ইসলামী রক্ষণশীলতা, শিক্ষা, বইয়ের এর মানুষ, আস্থাযোগ্য সংলাপ, সুফিবাদ |
উল্লেখযোগ্য অবদান | গুলেন আন্দোলন |
ভাবগুরু |
মো. ফেথুল্লাহ গিউলেন বা ফেতুল্লাহ গুলেন(ইংরেজি:Fethullah Gulen) (জন্ম ২৭ এপ্রিল ১৯৪১-২০ অক্টোবর ২০২৪) হলেন একজন তুর্কি ধর্মপ্রচারক, লেখক, শিক্ষক, মুসলিম চিন্তাবিদ এবং রাজনীতি ব্যক্তিত্ব।[৪][৫][৬] বর্তমানে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়ায় স্বেচ্ছানির্বাসিত অবস্থায় বসবাস করছেন। তিনি তুরস্কের গুলেন আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা।
গুলেন সাইদ নুসরির শিক্ষায় অনুপ্রাণিত হয়ে সুন্নি/হানাফি ইসলামের মধ্যমপন্থী সংষ্করণ শিক্ষা দেন এবং এর আধুনিকীকরণ করে থাকেন। তার এই ধর্মপ্রচার পন্থা পরবর্তীতে তুরষ্কের একটি বিশাল ধর্মীয় রাজনৈতিক আন্দোলনে রূপ নেয় যেটি গুলেন আন্দোলন নামে পরিচিত।
গুলেন সন্ত্রাসের বিরোধিতা করেন, তুর্কী ধর্মনিরপেক্ষতার বিরোধিতা করেন, কিন্তু বিভিন্ন ধর্মের মানুষের মাঝে যোগাযোগকে সমর্থন করেন। তিনি ভ্যাটিকান ও কিছু ইহুদী সংগঠনের মধ্যে বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য সংলাপের ব্যবস্থা করেছিলেন।
প্রাথমিক জীবনে ইসলামের কারণে জনপ্রিয়তা অর্জনকারী এই ব্যক্তি পরবর্তীতে পশ্চিমা, জায়োনবাদী এবং সেকুলারদের হয়ে কাজ করার অভিযোগে অনেকবার বিতর্কিত হয়েছেন। তুরস্কের বর্তমান রাষ্ট্রপতি রেজেপ তাইয়িপ এরদোয়ানের দল জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি এর সাথে প্রথম দিকে ভাল সম্পর্ক থাকলেও ধীরে ধীরে সেই সম্পর্কে ফাটল ধরে। এমন কি ২০১৬ সালে রেজেপ তাইয়িপ এরদোয়ান সরকারের বিরুদ্ধে পরিচালিত সামরিক অভ্যুত্থানেও ফেতুল্লাহ গুলেনের গুলেন মুভমেন্টের অনেক কর্তাব্যক্তিও জড়িত ছিল অভিযোগ রয়েছে। যার কারণে ফেতুল্লাহ গুলেন স্বেচ্ছায় যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাসিত হন এবং ২০১৭ সালে তার তুর্কি নাগরিকত্ব বাতিল করা হয়।[৭][৮]