আক শামসুদ্দিন | |
---|---|
Ak Şemsettin | |
জন্ম | শামসুদ্দিন ১৩৮৯ খ্রি. |
মৃত্যু | ফেব্রুয়ারি ১৩৮৯ (বয়স -৭১–-৭০) |
জাতীয়তা | উসমানীয় |
পরিচিতির কারণ | কনস্টান্টিনোপল বিজয়ে অবদান, সুলতান মুহাম্মাদ ফাতিহের শিক্ষক ও উপদেষ্টা |
উচ্চশিক্ষায়তনিক কর্ম | |
যুগ | মধ্যযুগ |
উল্লেখযোগ্য কাজ | কিতাবুত তিব্ব
|
সুন্নি ইসলাম ধারাবাহিকের একটি অংশ |
---|
সুফিবাদ এবং তরিকা |
---|
প্রবেশদ্বার |
আক শামসুদ্দিন (মুহাম্মদ শামসুদ্দিন বিন হামজা, তুর্কি: Ak Şemsettin) (জন্ম. ১৩৮৯, দামেস্ক - মৃত্যু. ১৬ ফেব্রুয়ারি ১৪৫৯, গোনুক, বোলু) ছিলেন একজন উসমানীয় আলেম, কবি, সুফি এবং সুলতান দ্বিতীয় মুহাম্মদের বাল্যশিক্ষক ও উপদেষ্টা।[১][২] তার শিক্ষক শাইখ হাজি বাইরাম ওয়ালির সান্নিধ্য সমাপ্ত করার পর তিনি শামসিয়া-বাইরামিয়া সুফি তরিকা প্রবর্তন করেন। সুলতান দ্বিতীয় মুহাম্মাদকে কনস্টান্টিনোপল জয়ের জন্য শিশুকাল থেকে তিনি উৎসাহিত করেন। এছাড়াও তিনি আধ্যাত্মিক শক্তিবলে কনস্টান্টিনোপলে সাহাবি আবু আইয়ুব আনসারির কবর খুজে বের করায় ভূমিকা রেখেছিলেন।[৩][৪][৫] তাকে কনস্টান্টিনোপলের প্রকৃত বা আধ্যাত্মিক বিজয়ী (الفاتح المعنوي-আল ফাতিহ আল মানাভী) বলে অভিহিত করা হয়।[৬]
ধর্মীয় বিষয়াদির পাশাপাশি তিনি চিকিৎসাবিজ্ঞান ও ঔষধবিজ্ঞানে পাণ্ডিত্যের জন্য বিখ্যাত ছিলেন। তিনি কোথায় এ বিষয়ে শিক্ষা অর্জন করেছিলেন তা নিয়ে বেশি সূত্র পাওয়া যায় না। তবে ওরিয়েন্টালিস্ট এলিয়াস জন উইলকিনসন গিব তার হিস্ট্রি অব অটোমান পোয়েট্রি নামক বইয়ে লিখেছেন যে আক শামসুদ্দিন তার শিক্ষক হাজি বাইরাম ওয়ালির কাছ থেকে এই জ্ঞান অর্জন করেছিলেন।[৭] তিনি মানসিক ও আধ্যাত্মিক ভারসাম্যহীনতার চিকিৎসায়ও পারদর্শী ছিলেন।[৮][৯][১০][১১][১২]
অ্যান্থনি ভন লিউয়েনহুকের আবিষ্কারের দুই শতাব্দী পূর্বে আক শামসুদ্দিন তার মাদ্দাতুল হায়াত গ্রন্থে অণুজীবের উল্লেখ করেছেন:
“ | এমনটা ধারণা করা সঠিক নয় যে রোগ মানুষের মধ্যে একের পর এক দেখা দেয়। রোগ এক ব্যক্তি থেকে অন্য ব্যক্তিতে ছড়িয়ে পড়ার মাধ্যমে সংক্রমণ করে। এই সংক্রমণ বীজের মাধ্যমে হয় যেগুলি এতটাই ক্ষুদ্র যে তাদের দেখা যায় না কিন্তু তারা জীবিত।[১৩][১৪] | ” |
৮৫৭ হিজরিতে (১৪৫৩ খ্রিস্টাব্দ) কনস্টান্টিনোপল বিজয়ের পর শেখ আক শামসুদ্দিন আবু আইয়ুব আনসারির কবরের অবস্থান নির্ধারণ করে বলেছিলেন: "আমি এই জায়গায় আলো দেখতে পাচ্ছি, খুব সম্ভব তার কবর এখানে।" এরপর তিনি সেই জায়গায় কিছুক্ষণ ধ্যান করে বললেন, "আমার রুহ তার রুহের সাথে সাক্ষাত করেছে। তিনি এই বিজয়ের জন্য আমাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।" তিনি আরো বলেন: “আল্লাহর শোকর! যিনি আমাদেরকে কুফরের অন্ধকার থেকে রক্ষা করেছেন।” তারপর সুলতান ফাতিহ ঐ স্থানে একটি গম্বুজ নির্মাণের নির্দেশ দেন।[১৫]
তুর্কী উসমানীয় ভাষায় তার রচিত কিতাবুত তিব্ব ও মাদ্দাতুল হায়াত গ্রন্থদ্বয় চিকিৎসাবিজ্ঞানে প্রসিদ্ধ।
এছাড়া আরবিতে লিখিত নিম্ন গ্রন্থাবলীও সুপ্রসিদ্ধ:
তিনি ১৪৫৯ খ্রিস্টাব্দে কনস্টান্টিনোপল বিজয়ের ছয় বছর পরে কনস্টান্টিনোপল (ইস্তাম্বুল) থেকে প্রায় ১৭০ কিলোমিটার পূর্বে কৃষ্ণ সাগর অঞ্চলের বর্তমান বোলু প্রদেশে (তুর্কি: Bolu) অবস্থিত গোনিয়ুক (তুর্কি: Göynük) গ্রামে মৃত্যুবরণ করেন।